পাঠ ১।
বাছুরের নাভীপাকা বা নাভীফোলা রোগ:
প্রধানত মিশ্র ব্যাকটেরিয়া সংক্রমনে নাভীফোলা রোগ হয়।সাধারনত 1-2 সপ্তাহ বয়সের বাছুরের এই রোগ হয়।
লক্ষন:
1) শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় 105-106 ডিগ্রি ফারেনহাইট ।
2)নাভী ফোলা ,ভেজা ,গরম,ও শক্ত অনুভূত হয়।
3)চাপ দিলে ব্যথা অনুভূত হয় এবং রক্ত মিশানো তরল পদার্থ বা পেকে গিয়ে থাকলে পুজ বের হবে।
4)আক্রান্ত বাছুর নিস্তেজ ও দূর্বল হয়ে পরে।
5)নাভীতে পোকা দেখা যায়।
প্রতিরোধ :
1)বাছুর জন্মের পর জীবানুমুক্ত ব্লেড দ্বারা নাড়ী কাটতে হবে।
2)নাভীতে জীবানুনাশক ওষুধ লাগাতে হবে এবং পরিস্কার পরিবেশে রাখতে হবে।
চিকিৎসা:
1)Inj.Sp-Vet/Strepto-p 0.5gm
2 ml 10/15kg BW
2)Inj.Astavet
3-5 ml
3) জ্বর থাকলে Tab. Fast vet/Ace vet
1 টি ট্যাবলেট 100 কেজি ওজনের জন্য 6 ঘন্টা পরপর
।
4) ঘা না পাকলে ম্যাগসালফা দুই চামুচ আধা পোয়া কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে সেক দিতে হবে।
ঘা পাকলে ফোলা যায়গা সামান্য কেটে পুজ বের করে পটাশ মিশ্রিত পানি দ্বারা পরিস্কার করে
Sumid vet.লাগাতে হবে।
পাঠ ২।
বাছুরের নাভিপাকা রোগ
কারন: ★নাভিতে যদি কোন আঘাত পায় ( গাভি অনেক সময় নাভি চেঠে খেয়ে ফেলে) নাভি যদি জন্মের পর ভালভাবে অ্যান্টিসেপটিক দ্বারা না ধুয়ে কাটলে,
বাছুরকে অপরিষ্কার জায়গায় রাখলে
লক্ষনসমূহ:
*জন্মের ৪-৬ দিনে প্রকাশ পায়।
* তাপমাত্রা ১০৫-১০৬* ফা।
* নাভি ফোলা, ভেজা গরম শক্ত মনে হয়।
* চাপ দিলে পেকে গেলে পুজ বের হয়
* বাছুর বারবার আক্রানত নাভি চাটে।
★দুধ খেতে অনিহা প্রকাশ করে।
★বাছুর ঘনঘন প্রসাব করে।
চিকিৎসা:
★পুজ হয়ে গেলে পুজ বের করতে হবে এবং ক্ষতস্থান ভাইরোসিড অথবা ভায়োডিন দ্বারা ধুয়ে সালফার পাউডার ( sumid vet) লাগিয়ে পট্রি দিয়ে দিতে হবে…
★সাথে যেকোন অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশন ৩-৫ দিন দিতে হবে
প্রতিরোধ :
★জন্মের পর নাভি কাটার সময় টিংচার আয়োডিন প্রয়োগ করতে হবে
★গাভি যেন নাভি না চাটে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
গবাদিপশুর যত্ন নিন….