Breaking News

পোল্ট্রির প্রজননতন্ত্র ও পরিপাক তন্ত্রের বিভিন্ন রোগ

কিছু রোগ আছে যা সরাসরি ওভারী(ডিম্বাশয়) এবং ওভিডাক্টের(ডিম্বনালী) উপর প্রভাব পড়ে ।

যেমন সালমোনেলা পুলোরাম(Pullorum)

আই বি,রানিক্ষেত,ই ডি এস

আবার কিছু আছে যা( স্পোরাডিক )মাঝে মাঝে হয় ওভারী ও ওভিডাক্টের ক্ষতি করে ,এমন কি মুরগি মারা যেতে পারে।পেংগুইনের মত মুরগি বসে থাকে যা বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে যেমন ।

১) ইউটেরাসে ডিম আটকে গেলে সেই ডিমের চাপে৷
২) রাইট ওভিডাক্টে যখন সিস্ট হয় তার চাপে।
৩) এগ পেরিটোনাইটিস এর কারণে ফুলে ওঠা বড় abdomen এর চাপে৷

কারণ

১. Egg bound হবার কারণ,

ক) ডিম আটকে যেতে পারে যদি double yolked ডিম বা অত্যধিক বড় ডিম হয়।
খ) যদি ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হয়
গ) যদি কোন আঘাতের কারণে (যেমন ভেন্ট পিকিং) ডিম বের হবার পথে obstruction সৃৃষ্টি হয়ে থাকে।
ঘ)  মুরগি শারীরিকভাবে পরিপক্ব হবার আগেই ডিম পাড়া শুরু করলে
ঙ) অতিরিক্ত ওজন (obesity) বা অধিক বয়স্ক মুরগিতে ডিম আটকে যাবার সম্ভাবনা থাকে।

২. সিস্ট হবার কারণ।

সুস্থ মুরগির বাম দিকের ওভারি ও অভিডাক্ট পরিপক্ব ও সক্রিয় থাকে। আর ডানদিকের ওভারি ও অভিডাক্ট অপরিপক্ব ও নিষ্ক্রিয় হয়ে থাকে। এই rudimentary right oviduct এর remnant মুরগির Cloaca এর ডানদিকের ওয়ালে লেগে থাকে। ব্রঙ্কাইটিস হলে (Qx strain of IB virus) মুরগির সক্রিয় বাম দিকের অভিডাক্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং Rudimentary Right Oviduct টি তখন ফ্লুইড ভর্তি সিস্টে পরিণত হয়।

৩. Egg yolk peritonitis হবার কারণঃ

ডিমের কুসুম বা আংশিক গঠিত ডিম যখন অস্বাভাবিকভাবে abdominal cavity তে চলে আসে এবং সেখানে পরবর্তীতে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া দ্বারা (যেমন, E.coli, Mycoplasma gallisepticum, Salmonella spp, Pasteurella spp etc.) ইনফেক্টেড হয়ে fibrin, caseous mass, exudates ইত্যাদি দ্বারা ভর্তি হয়ে পেট ফুলে ওঠে সেই কন্ডিশনকে Egg Yolk Peritonitis বলা হয়।

নিম্নোক্ত কারণে ডিম স্বাভাবিকভাবে অভিডাক্ট দিয়ে ভেন্ট অতিক্রম না করে অস্বাভাবিকভাবে abdominal cavity তে আসতে পারে,

ক) Internal Layer:
Internal layer মানে আংশিক বা পূর্ণ তৈরি হওয়া ডিম অভিডাক্টের “reverse peristalsis” এর কারণে উল্টোপথে চলে এবং abdominal cavity তে আসে।

খ) False layer:
False layer এর ক্ষেত্রে মুরগির ওভারি ফাংশনাল থাকে কিন্তু অভিডাক্ট ফাংশনাল থাকে না (E.coli, Mycoplasma বা IB virus ইনফেকশনে ওভিডাক্ট ক্ষতিগ্রস্ত বা ব্লকড হয়ে গেছে)। তখন ওভারি যে কুুসুমটা ছাড়ে সেটি অভিডাক্ট রিসিভ করতে না পারায় সেটি সরাসরি abdominal cavity তে চলে আসে।

যেহেতু yolk material খুবই পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ তাই সহজেই সেখানে opportunist bacteria infection তৈরি করতে পারে।

সালপিনজাইটিসঃ
ব্যাক্টেরিয়াল/ভাইরাল এজেন্ট কর্তৃক অভিডাক্টের যে inflammation হয় সেটাকেই salpingitis বলা হয়। Salpingitis এর ফলে অভিডাক্টে প্রচুর পরিমাণে exudate বা caseous mass তৈরি হতে পারে এবং অভিডাক্ট পুরোপুরি ব্লকড হয়ে যেতে পারে।

১. Penguin posture in chicken.
২. Egg binding in chicken
৩. Egg yolk peritonitis
৪. Cystic right oviduct
৫. Internal Layer
৬. False layer
৭. Salpingitis

যেমন

সিস্টিক রাইট ওভিডাক্ট

মুরগির ২টি ওভিডাক্ট থাকে(ডান ও বাম)

ডান পাশেরটা রিগ্রেস(ছোট হয়ে যায়)

বাম পাশের টা বড় হয় এবং এক্টিভ থাকে যা দিয়ে ডিম তৈরি/পাস হয়।

যদি ডান পাশের টা ছোট না হয়ে কিছুটা বড় হয় তাহলে তাকে সিস্টিক(পানির থলি) রাইট ওভিডাক্ট বলে।

সিস্টের  সাইজ ২-১০মিলি পর্যন্ত হতে পারে।

যদি বেশি বড় হয় তাহলে পেটে চাপ দেয় এবং পেন্ডোলাস এবডোমিন হয় (পেট বড় হয়ে যায়)।অনেক সময় এসাইটিসের মত মনে হয়।

ফলস লেয়ার(False layer)

যে মুরগি ডিম পাড়ার বক্সে ডিম পাড়তে যায় কিন্তু  পাড়তে পারেনা তাদেরকে ফ্লস লেয়ার বলে।

তাদের ওভারী এবং ওভিডাক্ট নরমাল থাকে কিন্তু ইনফান্ডিবুলাম ওভাম কে গ্রহণ করতে পারে না

পেটে তরল বা জমাট বাঁধা কুসুম দেখা যায়।

গ্রোয়িং পিরিয়ডে যদি আই বি হয় তাহলে এমন হতে পারে।

ন্টারনাল লেয়ার(Internal Layer)

পেরিটোনিয়াল ক্যাভিটিতে খোসা পাতলা ডিম বা আস্ত বড় ডিম দেখা যায়।

ডিম নরমালী ওভিডাক্টে যায় কিন্তু রিভার্স পেরিস্টালসিস(Reverse Peristalsis) ডিম কে বডি ক্যাভিটিতে পাঠিয়ে দেয়.

যদি অনেক ডিম পেঠে জমা হয় তাহলে তাকে পেংগুইনের মত দেখায়।

ইম্প্যাক্টেড ওভিডাক্ট(Impacted Oviduct)

কুসুমের পিন্ড বা কুসুমের মত বস্তু,জমাটবাধা কুসুম ,শেল মেমব্রেন বা ডিম যদি ওভিডাক্টে আটকে যায় তাহলে তাকে ইম্প্যাক্টেড ওভিডাক্ট বলে।

এগ বাউন্ড(Egg Bound)

ক্লোয়েলায় যদি ডিম আটকে যায় তাহলে তাকে এগ বাউন্ড বলে।

কারণ

জরায়ুতে প্রদাহ

জরায়ুর মাসল  যদি আংশিক প্যারালাইসিস হয়

যদি ডিমের সাইজ বড় হয়

নতুন ডিম পাড়া মুরগিতে এমন বেশি হয়।

পোল্ট্রির পরিপাক তন্ত্রের রোগ

বমি করা

কারণ

সোর ক্রপ(Sour Crop),ক্রপ ইম্প্যাকশন  (Crop Impaction)

মিউকয়েড প্রভেন্টিকলাইয়াটিস(Mucoid  proventriculitis)

গিজার্ড ইরোশন   (Gizzard Erosion),ক্যান্ডডিয়াসিস (Candidiasis)

ট্রাইকোমোনিয়াসিস (Trichomoniasis)

ডায়রিয়া(Diarrhoea)

কারণ

কৃমি

কিডনির রোগ( আই বি ডি,আই বি ,সালমোনেলা ,মাইকোটক্সিন)

পেঠের টিউমার,লিভারের রোগ(বিভিন্ন ব্যাক্টেরিয়াল এবং ভাইরাল রোগ)

এন্টারাইটিস

পায়খানায়  আনডাইজেস্টেড অংশ

কারণ

ইন্টেস্টিনাল হাইপারমর্টিলি(Intestinal Hypermotility)

গিজার্ড ইরোশন

গ্রিট বা পাথরের ঘাটতি হলে

কন্সটিপেশন(Constipation) শক্ত পায়খানা

কারণ

ডিহাইড্রেশন

খাবারে  অতিরিক্ত গ্রিট বা পাথর বা ফাইবার

ফ্যাটি বা ওভিসিটি,পেঠে টিউমার

যদি ডিম আটকে যায়

ইনটেস্টিনাল অবস্টাকশন(Intestinal Obstruction)

বিভিন্ন অর্গান অনুযায়ী রোগ নিচে দেয়া হল

মুখঃ

পক্স

ভিটামিন এ এর ঘাটতি

ক্যান্ডিডিয়াসিস

ট্রাইকোমোনিয়াসিস

ক্রপঃ

ক্যান্ডিডিয়াসিস

ট্রাইকোমোনিয়াসিস

সোর ক্রপ(Sour Crop)

ক্রপ ইম্প্যাকশন  (Crop Impaction)

ক্রপ ট্রমা

প্রভেন্টিকোলাস

মিউকয়েড প্রভেন্টিকলাইয়াটিস(Mucoid  proventriculitis)

গিজার্ড

(Gizzard Erosion)

মাসল এট্রফি অফ গিজার্ড (Muscle Atrophy of Gizzard)

ক্ষুদ্রান্ত্র এবং বৃহদান্ত্রঃ

এন্টারাইটিস( আমাশয়,নেক্রোটিক এন্টারাইটিস,কলেরা,ই-কলাই,সালমোনেলা,রানিক্ষেত)

ক্লোয়েকাল প্রোলাপ্স

কন্সটিপেশন

আমাশয়

লিভার

হেপাটাইটিস(মাইকোটক্সিন, বিভিন্ন ব্যাক্টেরিয়াল ও ভাইরাল রোগ)

ফ্যাটি লিভার

ইন্টেস্টিনাল প্যারাসাইট(Intestinal parasite)

বিস্তারিত নিচে

ক্রপ ইম্প্যাকশন বা ক্রপ বাউন্ড

মুরগি যদি  পালক ,খড় ,কাঠি,কাপড় খেয়ে ফেলে এবং  যদি ক্রপে জমা হয়,পেঠে এবং গিজার্ডে যেতে পারেনা।

বেশি পরিমণে ফাইবার জাতীয় খাবার যদি মুরগি খেয়ে ফেলে আর এগুলো জমা হয়ে বলের মত হয়।

ক্রপের ওয়াল যদি দূর্বল থাকে তাহলে খাবারকে ভিতরে পাস করতে পারে না।

ফলে ক্রপ বড় হয়ে যায় এবং মারা যেতে পারে।

টিম্পানী অফ ক্রপ(Tympany of Crop)

ক্রপে যদি গ্যাস জমা হয়।

পেন্ডোলাস ক্রপ(Pendulous Crop)

৫% মুরগি এবং টার্কির ফ্লকের ক্ষেত্রে এই রকম দেখা যায়।

ক্রপ বড় হয়ে যায় এবং পেন্ডোলাস হয়।

ক্রপে নরম গন্ধযুক্ত তরল থাকে।

কারণ

টার্কির ক্ষেত্রে বংশগত

টার্কির ক্ষেত্রে গরমে যদি তরল খাবার  বেশি খেলে।

সেরোলজ(Cerolose)স্টার্স জাতীয় খাবার থেকে হয়।

অনেক সময় লিটার খায়।

খাবার হজম হয় না কিন্তু খাবার খেতেই থাকে।

গিজার্ড ইরোশন

কারন

অনেক সময় নির্দিস্ট করে বলা যায় না তবে মেইন কারণ বেশি পরিমাণে ফিসমিল দিলে।

এতে মুরগির ওজন কমে যায়।ফার্মে লস হয়।

গিজার্ড ইম্প্যাকশন

এটা টার্কিতে বেশি হয় ৩ সপ্তাহের দিকে তবে মুরগিতে খুব কম হয়।

ইন্টেস্টাইনে খাবার থাকে না কিন্তু গিজার্ডে শক্ত বস্তু থাকে।

এই শক্ত মণ্ড অনেক সময় ক্ষুদ্রান্তে চলে যায়।

লিটার যদি টার্কির বাচ্চা খায় তাহলে এমন হতে পারে।

Please follow and like us:

About admin

Check Also

মেজর ভুল ডায়াগ্নোসিস গুলো কি কি

১.৬-৭দিনের বাচ্চার ক্ষেত্রে কোন মর্টালিটি হলে সাল্মোনেলা বলা হয় যা ৯৯%ই ভুল। কারণ বাচ্চার লিভার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »