Breaking News

নিম্নলিখিত পরীক্ষাগুলোর মাধ্যমে গাভীর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করা সম্ভব (ডা মনির)

আমাদের দেশে গাভী প্রেগন্যান্ট/গাভীন কিনা টা রেক্টাল পালপেশন করে পরীক্ষা করা হয়(যা বীজ দেয়ার ২ মাস পর করতে হয়) তবে নিম্নলিখিত পরীক্ষাগুলোর মাধ্যমে ও গাভীর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করা সম্ভব যেমন—-

১) কপার সালফেট (তুঁতে) এবং দুধ পরীক্ষা:
ব্যবহৃত রি-এজেন্টঃ পানি মিশ্রিত কপার সালফেট মিশ্রণ।
কার্যপ্রণালীঃ একটি টেস্ট টিউবে ১০ মিলি ৩% কপার সালফেট (১০০ মিলি পানিতে ৩ গ্রাম কপার সালফেট) নিয়ে তার সাথে ১ মিলি গাভীর দুধ ভালোভাবে মিশাতে হবে।
ফলাফলঃ যদি মিশ্রনটি জমাট বাঁধে, তবে গাভীটি প্রেগন্যান্ট/গাভীন। না হলে প্রেগন্যান্ট নয়।

২) সোডিয়াম বেনজয়েট এবং প্রসাব পরীক্ষা:
কার্যপ্রণালীঃ একটি টেস্ট টিউবে ৩ মিলি প্রসাব এবং ০.৬ মিলি সোডিয়াম বেনজয়েট নিয়ে ভালো ভাবে মিশাতে হবে।
ফলাফলঃ যদি মিশ্রনটির সবুজ রং ৮-১০ মিনিটে পরিবর্তিত না হয় তবে গাভিটি প্রেগন্যান্ট/গাভীন আর যদি ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে পরিবর্তিত হয়ে যায় তবে গাভিটি প্রেগন্যান্ট/গাভীন নয়।

৩) সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড এবং ভ্যাজাইনাল মিউকাস পরীক্ষাঃ
রি-এজেন্টঃ ১০% সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড মিশ্রণ (১০০মিলি পানিতে ১০ গ্রাম সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড)
কার্যপ্রণালীঃ ১০% সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড মিশ্রনের সাথে সামান্য পরিমাণ ভ্যাজাইনাল মিউকাস মিশিয়ে মিশ্রণটিকে টগবগ করে ফোটা পর্যন্ত তাপ/জ্বাল দিতে হবে।
ফলাফলঃ যদি মিশ্রনটির রং কমলা হয় তাহলে গাভীটি প্রেগন্যান্ট আর না হলে প্রেগন্যান্ট নয়।

লিখেছেন

Dr Monir(Dairy Consultant)

Please follow and like us:

About admin

Check Also

টিকা ও ওষুধের ব্যবহার পদ্ধতি (এম এ ইসলাম)

টিকা ও ওষুধের ব্যবহার পদ্ধতি  টিকা ও ওষুধের সঠিক ব্যবহার রোগপ্রতিরোধ ও নিরাময় নিশ্চিত করে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »