নিচে কয়েকটি ধাপে দেখানো হলো
১।ধরি গাভীর ওজন ৪০০কেজি,দুধ দেয় ১২লিটার।
থাম্ব রুল অনুযায়ী ৪০০কেজি ওজনের গাভীর ২.৫% হারে ১০কেজি ড্রাইমেটার লাগবে
২।খাবারের উপাদান গুলোকে ২ভাগে ভাগ করতে হবে
রাফ্রেজ(ফাইবারঃ)গ্রিন ঘাস,ফোডার,খড়) ২/৩ অংশ
কনসেন্টট্রেট(Concentrate)(শস্য দানা,খৈলঃ ১/৩।
তাহলে রাফ্রেজ লাগবে ৬.৬কেজি আর কনন্সেট্রেট ৩.৩কেজি(টোটাল ১০কেজি)
৩।আবার ফাইবারকে ২ ভাগে ভাগ করতে হবে গ্রিন ফোডার ও খড়ের অনুপাতঃ গ্রিন ফোডারঃখড়(স্ট্র)ঃ ১ঃ২।মানে গ্রিন ফোডার ২.২কেজি এবং খড় ৪.৪কেজি ।
৪।গ্রিন ফোডার (সবুজ ঘাস) এ ৭৫% আর্দ্রতা থাকে তাই ২.২কেজি গ্রিন ড্রাই ম্যাটার পেতে ৮.৮কেজি সবুজ ঘাস লাগবে।
খড়ে ১০% আর্দ্রতা থাকে তাই খড় লাগবে ৪.৮৮কেজি।
৫।কনসেন্টেট(দানাদার) ঃএটা প্রতি লিটার দুধের জন্য ৩০০গ্রাম লাগবে
উল্ল্যেখিত গাভীর ১২লিটার দুধের জন্য লাগবে দানাদার ৩.৬কেজি
দানাদার খাবারে ড্রাই ম্যাটা্র থাকে ৯০% তাই প্রায় ৪কেজি দানাদার দিতে হবে।
৬।এতএব ১২লিটার দুধ দেয় এমন ৪০০কেজি গাভীর জন্য দিনে রেশন লাগবেঃ
সবুজ ঘাস ৮.৮কেজি
খড় ৪.৮৮কেজি
দানাদার ঃ৪কেজি
মোটঃ ১৭.৬৮কেজি
এনিম্যালের সব খাবারে ম্যাক্রো ও মাক্রো মিনারেলস এর ঘাটতি থাকে তাই ফিডে পাউডার ক্যালসিয়াম(ডি্ সি পি) ও মিনারেলস প্রিমিক্স দিতে হবে।
বাচ্চা এবং গ্রোয়িং পিরিয়ডে ১৫% অতিরিক্ত খাবার দিতে হবে।
আর গর্ভবতী গাভীকে ১০% হারে অতিরিক্ত রেশন দিতে হবে।
নিচের ফর্মুলাটা দিয়েছেন ডা শেখ মাসুদুর রহমান
গাভীর খাবার হিসাব করতে হয়। শুষ্ক পদার্থ ( DM) মেগাজুল ও গ্রাম প্রোটিন হিসাবে। একটি গরু তার প্রতি ১০০ কেজি দৈহিক ওজনের জন্য ১০ মেগাজুল শক্তি (energy) ও ১০০ গ্রাম প্রোটিন পাবে এবং প্রতি লিটার দুধের জন্য ৫ মেগাজুল ও ১০ গ্রাম প্রোটিন পাবে। এটা নিয়ম।
উদাহরন দিলে আপনার জন্য পরিষ্কার হবে, ৩০০ কেজি দৈহিক ওজনের একটি গরু যদি ১০ লিটার দুধ দেয় তবে তার জন্য শক্তি লাগবে ৩০+৫০ মেগাজুল এবং প্রোটিন লাগবে ৩০০+১০০ গ্রাম।
এখন এই খাবার আপনি আশজাতিয় ও দানাদার এই দুইভাগে ভাগ করবেন। আশজাতিয় খাদ্য আবার কাচাঘাস এবং খড়ে ভাগ হবে। প্রজাতিভেদে ঘাস ও খড়ের শুষ্ক পদার্থ, মেগাজুল ও গ্রাম প্রোটিন জেনে নিয়ে এবং মিশ্র দানাদারেরও শুষ্ক পদার্থ, মেগাজুল ও গ্রাম প্রোটিন জেনে নিয়ে ঘাস, খড় ও দানাদারের প্রাপ্যতা আনুযায়ী হিসাব করে নিবেন।
ডা শেখ মাসুদুর রহমান