Breaking News
সজিনা
সজিনা

গরুর খাদ্য ও পুষ্টি পর্যালোচনা : সজনে পাতা

গরুর খাদ্য ও পুষ্টি পর্যালোচনা : সজনে পাতা

দৃষ্টি আকর্ষণ : এই সিরিজে বিভিন্ন সাইন্টিফিক টার্ম ব্যবহার করা হয়। কারো বুঝতে সমস্যা হলে কমেন্টে প্রশ্ন করবেন।

গরুর খাদ্য হিসাবে ‘সজনে পাতা’ : মূলত ঔষধি পাতা হিসাবে পরিচিত সজনে পাতা আদিকাল থেকেই বিভিন্ন রোগের ঔষধ হিসাবে মানুষ খেয়ে আসছে। আমার আব্বাকে শেষ বয়সে দেখতাম পা অথবা শরীরের অন্য কোথাও অবাঞ্চিত পানি জমলে সজনে পাতা তেল দিয়ে ভেজে খেতো এবং ২ দিনের মধ্যে ভালো হয়ে যেতো। তথ্যের অবাধ প্রবাহের সাথে সাথে আমি এখন এটাও জানি শুধু মানুষ নয় তৃণভোজী প্রাণীর জন্য ও সজনে পাতা পুষ্টিকর এবং উপকারী খাদ্য এবং ঘাস। উচ্চ্ মাত্রার প্রোটিন এবং মিনারেল সমৃদ্ধ সজনে পাতা গরুর পুষ্টি চাহিদা পূরণে এবং দুধ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ঔষধি গুন্ সম্পন্ন লিগিউম জাতের আলফা আলফা ঘাসের চেয়ে অধিক পুষ্টিমান সমৃদ্ধ সজনে পাতা গাছ বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ এবং আমাদের দেশে অনেক এলাকায় বাণিজ্যিক ভাবে চাষ করা হয়। বিভিন্ন পরীক্ষায় এবং গবেষণায় প্রমাণিত যে শুধুমাত্র পর্যাপ্ত পরিমান সজনে পাতার উপর নির্ভর করে বাণিজ্যিকভাবে গরু পালন সম্ভব। কাঁচা ঘাসের বিকল্প হিসাবে সজনে পাতায় রয়েছে গড়ে ২৪-২৮ % ড্রাই ম্যাটার এবং গড়ে ড্রাই ম্যাটারের ২৩-২৬%% ক্রুড প্রোটিন। সজনে পাতার প্রতি কেজি ড্রাই ম্যাটার থেকে গরু গড়ে প্রায় ১১ মেগা জুল বিপাকীয় শক্তি পেয়ে থাকে। সজনে পাতার আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে এতে আছে উচ্চমাত্রার মিনারেল বা খনিজ উপাদান যা কোনো কাঁচা ঘাসে পাওয়া সম্ভব না।

‘সজনে পাতার’ গড় পুষ্টি উপাদান :- (%/ড্রাই ম্যাটার)
ড্রাই ম্যাটার : ২৬.২ ”
ক্রুড প্রোটিন : ২৪.২ ”
ক্রুড ফাইবার : ১৩.৬ ”
ক্রুড ফ্যাট (ইথার এক্সট্রাক্ট) : ৫.৪ ”
নিউট্রাল ডিটারজেন্ট ফাইবার : ২৮.৩ ”
এসিড ডিটারজেন্ট ফাইবার : ১৯.৩ ”
লিগনিন : ৭.০ ”
অ্যাশ (ছাই) : ১০.৩ ”
গ্রস এনার্জি : ১৮.৬ মেজুল/কেজি
হজম যোগ্য এনার্জি : ১৩.৩ ”
বিপাকযোগ্য এনার্জি : ১০.৬ ”

মিনারেলস (খনিজ উপাদান) :- (ড্রাই ম্যাটার)
ক্যালসিয়াম : ২৬.৫ গ্রাম/কেজি
ফসফরাস : ৩.১ ”
পটাসিয়াম : ১৯.১ ”
সোডিয়াম : ০.২ ”
ম্যাগনেসিয়াম : ৫.০ ”
ম্যাঙ্গানিজ : ৪৫ ”
জিংক : ২৩ ”
কপার : ৯ ”
আয়রন : ৪৯৭ ”

এমাইনো এসিড :- (%/ ক্রুড প্রোটিন)
অর্গানাইন : ৫.৭ %
হিস্টিডাইন : ২.৩ %
লাইসিন : ৪.৮ %
মেথিওনিন : ১.৫ %
থ্রিওনাইন : ৪.০ %
ভ্যালাইন : ৫.৫ %

ক্ষতিকর উপাদান :
সজনে পাতায় কোনো ক্ষতিকর উপাদান থাকার কোনো তথ্য পাওয়া যায় নাই।

মাত্রা ও সতর্কতা : গরুর দৈনিক পুষ্টি চাহিদা পূরণের জন্য শুধুমাত্র পর্যাপ্ত পরিমান সজনে পাতাই যথেষ্ট এবং সজনে পাতায় কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নাই।

=========পশুদের বৃদ্ধি এবং উন্নয়নের উপর সজিনার প্রভাব:
• সজিনার তাজা পাতাগুলি বিভিন্ন প্রাণীদের খাদ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে| ছাগলের খাদ্যাভাসের উন্নতি , ভেড়ার বৃদ্ধিহার এবং দ্বৈত উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত গরুর দুধ উৎপাদনের উপর ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে|
• মাছ, ভেড়া, ও ডিমপাড়া মুরগির খাদ্যে সজিনা অন্তর্ভুক্তকরণে ভাল ফলাফল পাওয়া গেছে|
• শুধুমাত্র সজিনা খাওয়ানোর ফলে গরুর ওজন বৃদ্ধি হয় ১২০০-১৫০০ গ্রাম / দিন; সজিনা ছাড়া ওজন বৃদ্ধি হয় ৯০০ গ্রাম / দিন| অর্থাৎ ৩৩% বৃদ্ধি, কোন কৃত্রিম হরমোন বা অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার ছাড়াই|
• সজিনা খাওয়ানো ছাগলের ওজন বৃদ্ধি ঘটে ৮৬ গ্রাম / দিন; সজিনা ছাড়া মাত্র ৫৫ গ্রাম / দিন|
• বিভিন্ন পরিমানে (২,৩ ও ৪ কেজি) সজিনা পাতা গরুকে খাদ্য হিসেবে দিলে প্রতিদিন ৫০০ গ্রাম, ১ কেজি থেকে ১.৫ কেজি হারে ওজন বৃদ্ধি হয়।
যদি সজিনার পাতা গবাদি পশুর খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয় তবে দৈহিক ওজন বৃদ্ধি এবং দুধ উত্পাদনকে বৃদ্ধি করতে পারে।এটি উন্নয়নশীল দেশের কৃষকদের জন্য একটি সম্ভাবনাময় দরজা হিসেবে উন্মোচিত হবে।এই অঞ্চলে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর জন্য এটি খুবই কম খরচের পদ্ধতি হবে, যাতে হাজার হাজার ক্ষুধার্ত মানুষের সাহায্য করতে পারে।

আমাদের কাছে বিশ্বের সেরা বার মাসি সাজনা চারা ও ডি সি এর চারা পাওয়া যায় । এটি ৬ মাস বয়সেই ফলন দেয়া সুরু করে এবং একই রকম বারমাস ফল দিয়ে থাকে।

সজিনা পুষ্টি ও বিভিন্ন খাদ্যগুণসমৃদ্ধ সবজি। সজিনা গাছকে প্রচলিত বিভিন্ন খাদ্য প্রজাতির মধ্যে সর্বোচ্চ পুষ্টিমানসম্পন্ন উদ্ভিদ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

বহুবিধ খাদ্যগুণসম্পন্ন হওয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকায় সজিনা গাছকে ‘জাদুর গাছ’ হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়েছে।
ইংরেজীতে সজিনার নাম ‘‘ড্রামস্ট্রিক’’ যার অর্থ ঢোলের লাঠি। সজিনার ইংরেজী নামটি অদ্ভুত হলেও এটি একটি অতি প্রয়োজনীয় জীবন রক্ষাকারী উদ্ভিদ।

বাংলাদেশে এটি নিয়ে তেমন গবেষণা না হলেও বিশ্বের বহু দেশে এ নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে বিশেষ করে গাছ বৃদ্ধিকারক হরমোন, ঔষধ, কাগজ তৈরি ইত্যাদি বিষয়ে।

বহু দিন হতেই আমাদের দেশে এটি সবজির পাশাপাশি ঔষধ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে।

দেশের সবত্রই এ সবজিকে আমরা দেখতে পাই। বিশেষ করে গ্রামের রাস্তার ধারে এবং বসত বাড়ির আঙ্গিনায় যত্ন ছাড়াই বেড়ে ওঠে এ বৃক্ষটি। সজিনার ফুল ও পাতা শুধু শাক হিসেবেই নয়, পশু খাদ্য হিসেবেও ব্যবহার হয়ে থাকে।

এর পাতা শাক হিসেবে ব্যবহার করা যায় এতে শারীরিক শক্তি ও আহারের রুচির উন্নতি হয়। এর মধ্যে আছে ভিটামিন এ, বি, সি, নিকোটিনিক এসিড, প্রোটিন ও চর্বি জাতীয় পদার্থ, কার্বোহাইড্রেট ইত্যাদি। ভারতীয়রা এটির স্যুপ খেয়ে থাকে।

এ সময়ে ঋতু পরিবর্তনের কারণে আমাদের অনেকেরই মুখে স্বাদ থাকে না। আর এ স্বাদকে ফিরিয়ে আনতে সজিনার জুড়ি নাই। সজিনার গাছটির প্রতি আমাদের তেমন আগ্রহ না থাকলেও এর ডাটার প্রতি আগ্রহ নেই এমন মানুষ খুজে পাওয়া কঠিন।

আমরা জানি সবজি মাত্রই পুষ্টিকর খাদ্য। তবে সজিনা শুধু পুষ্টিকর সবজি নয় এটি ওষুধি বৃক্ষও বটে।

jahidul Islam(PDF)
সজিনার বহুমুখী ব্যবহার:
ফুলঃ সজিনার ফুল বসন্তকালে খাওয়া ভাল কারণ এটি বসন্ত প্রতিষেধক। এটি সর্দি কাশিতে, যকৃতের কার্যকারীতায়, কৃমি প্রতিরোধে, শক্তি বৃদ্ধিতে কার্যকারীতা রয়েছে।
ডাটাঃ এর ডাটা বা ফলে প্রচুর এমাইনো এসিড আছে। এটি বাতের রুগীদের জন্য ভাল।
বীজঃ এর বীজ থেকে তেলও পাওয়া যায় যা বাতের ওষুধ তৈরির কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে এবং ঘড়ি ঠিক করার জন্য যে বেল ওয়েল (Ben oil) ব্যবহার হয় তা এর বীজ হতে পাওয়া যায়।
ছাল: সজিনার ছাল থেকে তৈরি হয় দড়ি।
জলবায়ু:
সজিনা চরম পরিবেশ গত অবস্থা সহ্য করতে সক্ষম তবে ২০ হতে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ভাল জন্মায় এবং যেসব এলাকায় ২৫০ হতে ১৫০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয় সেখানে ভাল জন্মায়। মাটি বেলে দোঁআশ হতে দোয়াঁশ এবং পিএইচ ৫.০ হতে ৯.০ সম্পন্ন মাটি সহ্য করতে পারে। সজিনা চাষে সারের তেমন প্রয়োজন হয়না। কারণ সজিনার বিস্তৃত ও গভীর শিকড় রয়েছে। তবে ইউরিয়া এবং জৈব সার প্রয়োগ করলে গাছ ভাল হয়।
সেচ:
নতুন লাগানো গাছে সেচের ব্যবস্থা করতে হবে যাতে শীঘ্রই শিকড় গজাতে পারে। শুস্ক ও রৌদ্রজ্জ্বল সময় প্রায় দুই মাস সেচ দিতে হবে। তবে সজিনার গাছ একবার লেগে গেলে তেমন পানির প্রয়োজন হয়না।

কীটপতঙ্গ ও রোগ নিয়ন্ত্রন:
সজিনার গাছ তুলনামূলক কীটপতঙ্গ ও রোগ সহনশীলভাবে বেড়ে ওঠে। তবে মাঝে মাঝে রোগের প্রার্দুভাব দেখা যায়।

যেমন জলাবদ্ধ মাটিতে শিকড় পচা রোগ দেখা দিতে পারে এর কারণ ডিপ্লোডিয়া। কীট পতঙ্গ শুস্ক ও ঠান্ডায় বেশি আক্রমন করে। কীট পতঙ্গ দ্বারা গাছে হলুদ রোগ দেখা যায়।

কীটপতঙ্গের মধ্যে টারমাইটস্, এফিড, সাদা মাছি প্রধান। উপদ্রুপ বেশি হলে রাসায়নিক দমন ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।
তাছাড়া সজনাতে প্রতি ১০০ গ্রামে খাদ্যপোযোগী পুষ্টি উপাদান হচ্ছে –

জ্বলীয় অংশ = ৮৩.৩ গ্রাম
খনিজ = ১.৯ গ্রাম
আঁশ = ৪.৮ গ্রাম
খাদ্যশক্তি = ৬০ কিলোক্যালোরি
প্রোটিন = ৩.২ গ্রাম
চর্বি = ০.১ গ্রাম
শর্করা = ১১.৪ গ্রাম
ক্যলশিয়াম = ২১.০ মিলিগ্রাম
লোহা = ৫.৩ মিলিগ্রাম
ক্যারোটিন = ৭৫০ মাইক্রোগ্রাম
ভিটামিন=বি=১ = ০.০৪ মিলিগ্রাম
ভিটামিন=বি=১ = ০.০২ মিলিগ্রাম
ভিটামিন=সি = ৪৫.০ মিলিগ্রাম

স্বাদে ও গুনে ভরপুর এ সবজিটির প্রতি আমদের সকলের আগ্রহ থাকলেও এর চাষাবাদের প্রতি আমদের অনাগ্রহের কথা অস্বীকার করা যায়না। তাই অন্যান্য সবজির মত এটি আমাদের দেশে এখনও পর্যন্ত বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন করা সম্ভব হয়নি।

তাই এটি এখন বিলুপ্তির পথে। তবে এ সবজি চাষে যদি আমরা একটু মনোযোগী হই অর্থাৎ এর বানিজ্যিক উৎপাদন সন্বদ্ধে চিন্তা করি তবে অন্যান্য যেকোনো সবজি উৎপাদনের থেকে এটি লাভজনক।

কারণ অন্যান্য সবজির মত এর উৎপাদনে তেমন ঝুঁকি নেই এবং লাভজনক।সজিনা’ শুধু মানুষের খাদ্য হিসেবে নয়, গবাদীপশুর খাদ্য হিসেবেও `miracle tree /অলৌকিক বৃক্ষ’ হিসেবে পরিচিত।
সজিনার বহুবিধ ব্যবহার:
১) মানব খাদ্য, ২) পানি পরিশোধন, ৩) ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য, ৪) প্রাণী ও মাছের খাবার, ৫) সবুজ সার ও ৬) উদ্ভিদ বৃদ্ধি হরমোন।
গবাদিপশুর খাদ্য হিসাবে সজিনা:
সজিনা গাছের পাতাগুলি তাদের উচ্চপুষ্টির উপাদান এবং মানুষের ব্যবহারের জন্য অতি পরিচিত হয়ে উঠেছে তবে, এই পাতাটি উচ্চমাত্রার প্রোটিন ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির কারণে পশুখাদ্য হিসেবে উপকারী হতে পারে।
সজিনা কেন?
• সজিনা, বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল গাছগুলির মধ্যে একটি, যা উচ্চতর অশোধিত প্রোটিন সমৃদ্ধ|
• এটি যেকোনো জায়গার মানুষ ও গবাদিপশুর জন্য প্রোটিনের একটি ভাল বিকল্প উৎস|
• পশুখাদ্যে প্রোটিনের বিকল্প উৎস হিসাবে সজিনা ব্যবহারের আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে|
• ল্যাবরেটরি বিশ্লেষণে সজিনা উদ্ভিদে সামান্য পরিমাণ ট্যানিনস এবং প্রচুর সালফার সমৃদ্ধ অ্যামাইনো অ্যাসিডের অস্তিত্ব পাওয়া যায়|
• সজিনা পাতা পশুখাদ্য হিসাবে ব্যবহারের জন্য একটি সম্ভাব্য সাশ্রয়ী প্রোটিনের উৎস।প্রোটিনের উৎস হিসাবে সজিনা পাতা ব্যবহারের সুবিধা অনেক, এটি এক ঋতুতে অনেকবার কাটা যায়|
• সজিনা সহজেই মাঠে আবাদ করা যায়; নতুন করে উৎপাদনের জন্য গোঁড়া থেকে কেটে ফেলা যায়; পশুখাদ্য উৎপাদনের জন্য সম্ভাবনাময়।এটি ১২ মিটার উচু হতে পারে; খুব ঘনভাবে লাগানো হলে ১২০টন / হেক্টর / বছর পর্যন্ত ফলন হয়| উপরন্তু, এটি কোনও গুরুতর রোগদ্বারা আক্রান্ত হয়না

প্রতি পিচ চারার মূল্য = ২০০ টাকা ।

Please follow and like us:

About admin

Check Also

মোলাসেস (লালি/লাভ)

মোলাসেস ৫% ভুট্রার পরিবর্তে মোলাসেস দেয়া যায়। কিন্তু এটি দিলে মশা মাছির(ফ্লাই) উপদ্রব বেড়ে যায়। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »