মুরগির বাচ্চা বড় হয়না,ওজন বাড়েনা,একে বামন বিকার বলা হয়।এটি ব্রয়লারে হয় তবে মেল ব্রয়লারে বেশি হয়।এতি হটাত করে হয় এবং হঠাত ভাল হয়ে যায়।গাট ইমোনিটি খারাপ হলে বেশি হয়।১৯৪০ সালে প্রথম দেখা যায়।
একে ভাইরাল এন্টারাইটিস,ম্যালএবজোরশন সিন্ড্রম( malabsorption syndrome),ব্রিট্রল বোন ডিজিজ,ইনফেকশাস প্রভেন্টিকোলাইটিস,হেলিকপ্টার ডিজিজ,helicopter diseases),RSS(Runting and stunting syndrome.ISS(Infectiuos stunting syndrome)
পেল বার্ড সিন্ড্রম ( pale bird syndrome) ইত্যাদি নামে ডাকা হয়।রান্টিং স্টান্টিং সিন ড্রম বলা হয়া কারণ ব্রয়লারের ওজন ভাল আসে না।
কারনঃ
নির্দিষ্ট কোন কারণ বলা যায় না তবে
ভাইরাস
রিও( ১৭৩৩,২৪০৮ স্টেইন) প্রধান কারণ,রোটা,পারবো,এডেনো,এন্টারো, টোগা(Toga),calci(ক্যালসি) ভাইরাস্ কে কে দায়ী করা হয়।
ব্যাক্টেরিয়া
ই -কলাই,প্রোটিয়াস মিরাবিলিস,এন্টারোকক্কাস ফ্রাসিয়াম,স্টেপ্টোকক্কাস কোহ্নী,ক্লোস্ট্রিডিয়াম পারফি্নজেন্স।ব্যাক্টেরইডিস ফ্রাজেলিস,ব্যাসিলাস ইসেনিফরমিস।তাছাড়া মাইকোটক্সিন কে দায়ী করা হয়।লিটার একটি অন্যতম কারন
লক্ষণ
১ম ২ সপ্তাহে লক্ষণ গুলো দেখা দেয়।পাতলা পায়খানা হয় ফলে লিটার ভিজে যায়।।
মুরগি গুলোর বয়স২২দিন ওজন ৩০০-৭০০গ্রাম।কিছুর ওজন ১কেজি।পায়খানার রাস্তায় ময়লা লেগে থাকে।
নার্ভাস নেস হয়।লিটার খায়(coprophagia)slowing of growth)যা ১-১০% ব্রয়লারের ওজন কমে যায়পাখির পালকের বৃদ্ধি ভাল হয়না।কিছু পাখি বামন হয় আবার কিছু বড় হয়।ব্রয়লার ছোট বড় হয় মানে বিভিন্ন সাইজের হয় সমতা ৭০% থেকে ৩৫ % নেমে আসে।এফ সি আর বেড়ে যায়।মারা যায় যা ১১-১২ দিনে বেশি মারা যায়।বাচ্চা পানি ও খাবার পাত্রের দিকে জমা হয়।
৪-৮দিন বয়সে
ওজন ৪০গ্রাম।
উস্কোখোস্কো পালক।লিটার খায়।নড়াচড়া করতে চায় না।
পায়খানার রাস্তায় বিস্টা লেগে থাকে।
৭-১০দিন বয়সে
মাথায় ও গলায় পালক কম উঠে।পেঠ বড় হয়(pendulous abdomen)এই সময় খাবার ভাল খায় এবং বাচ্চা চঞ্চল থাকে।
১৪ দিন
আক্রান্ত ব্রয়ালরকে ইয়েলো হেড( yellow head) বলা হয় কারণ এই সময় গলা ও মাথায় নতুন হলুদ ( down feather) পালক উঠে।broken and displaced primary wing feather are seen.পায়ের হক জয়েন্ট ও পায়ের পাতার মাঝে( Shank) হলুদ হয়ে যায়.স্টান্টেড ব্রয়লার এর বৃদ্ধি নরমাল ব্রয়লারের মত হয় কিন্তু এফ সি আর ভাল না।
পোস্ট মর্টেমঃ
সঠিক কোন লেশন পাওয়া যায়না।চামড়ার নিচে হলুদ ফ্যাট জমা হয় তাই একে পেল বার্ড সিন্ড্রম বলা হয়।তবে ক্ষুদ্রান্ত্র কে দায়ী করা হয় যেমন পুস্টির সঠিক শোষন হয়না,বদহজম,এসবের কারণে মুরগির বৃদ্ধি হয়না।ক্ষুদ্রান্ত্র পাতলা ও অসচ্ছ হয়।নাড়িভুড়িতে অল্প হজম কৃত খাবার পাওয়া যায় এবং ইন্টেস্টাইন মোটা হয়ে যা,দেখতে বিবর্ণ হয়।একে মেল এব্জরশন সিন ড্রম বলা হয়।২ সপ্তাহের পর কিছু ব্রয়লারে অস্টিওডিস্টফি হয়(Osteodystrophy)।লিভার ছোট হয়ে যায়।
অগ্ন্যাশয়কে কেউ কেউ দায়ী করে কা্রণ অগ্নাশয়ের নালী বন্ধ হয়ে যাবার দরুন অগ্ন্যাশয় মোটা হয়ে যায় এবং অগ্ন্যাশয় থেকে রস ক্ষুদ্রান্তে না যাবার দরুন হজমের সমস্যা হয়।ফলে মুরগির বৃদ্ধি ভাল হয়না।মলে অতিরিক্ত চর্বি ও শ্বেতসার থেকে বুঝা যায় এনজাইম কোন কাজে আসেনি।
প্রতিরোধ;
ব্রিডারে টিকা দিতে হবে তবে টিকার ইফিকেসি ৫০%।পানিতে এসিডিফায়ার ব্যবহার করতে হবে।লিটার যাতে ভাল থাকে।বায়োসিকিউরিটি মেনে চলতে হবে( ইদুর,পোকা মাকড় ও বন্যপাখি।ব্রুডিং এ সঠিক তাপমাত্রা রাখতে হবে যাতে ঠান্ডা না লাগে।ব্যবস্থাপনা ভাল রাখতে হবে।ভিটামিন এ ডি ৩ ই দিতে হবে।