Breaking News

ব্রয়লার কেন খাব ,জানতে চাইলে পড়ুন এ টু জেট ।সন্দেহ দূর হবে।

পর্ব-১

ব্রয়লার মুরগী আগে ছিল?
মনোসেক্স তেলাপিয়া আগে ছিল?
হাইব্রিড ধান কি আগে ছিল?
হাইব্রিড ধনিয়াপাতা কি আগে ছিল?
একমত হতে পারেন আর নাই পারেন আগে ছিল না এটা আমি নিশ্চিত।
কেন এমন হাই ব্রিড সব কিছু আসার দরকার পড়ল?
ভালই তো সব কিছু দেশি খেতে পারতাম স্বাদও ছিল তেমনি!
কোথায় গেল সে স্বাদ- শুধু খাওয়ার জন্য খাওয়া, বেঁচে থাকার জন্য খাওয়া, স্বাদ নেই সেই মন কাড়া সুগন্ধিও নেই।
লাল শাক দিয়ে আগে ভাত মাখলে লাল টকটকে হয়ে যেতে
দেশি শিং মাগুর কই পাবদা চিতল টেংরা পুঁটি দেশী মুরগীর ঝোল কয় পদের কথা বলব-
অতীত নিয়ে জাবর কাটি আর বুক চাপড়াই।

ব্রয়লার মুরগী আগে ছিল না- থাকার দরকারো ছিল না, মানুষ ছিল কম সে তুলনায় প্রোটিন যোগান দেওয়া মাছ মুরগী ছিল চাহিদার অনেক বেশি।
কিন্তু বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিস্কার, প্রযুক্তি এবং জীবন রক্ষাকারী ঔষধ হাতের নাগালে চলা আসার কারনে সারা পৃথিবীতে মানুষের মৃত্যু হার অনেক কমে গেল- পৃথিবীতে দ্রুত মানুষ বাড়তে থাকল, এই বাড়তি মানুষের খাদ্য পুস্টির যোগান দিতে নানান গবেষণা শুরু হয়ে, কি করে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানো যায়- এলো জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং তার বদৌলতে বাড়তে থাকলো মাছ মুরগী শস্যাদি অনেক বেশি পরিমানে।
ব্রয়লার মুরগি উৎপাদন শূরু হয় ষাটের দশক থেকে। সে সময়ের ব্রয়লারের বৃদ্ধি ছিল অনেক শ্লো ১৬ সপ্তাহ বয়স হলে একটি ব্রয়লার দুই কেজি ওজন আসত।
তার সাথে তুলনা করলে এখন একটা ব্রয়লারের সে ওজন আসে মাত্র ২৮-৩০ দিনে।
১৯৫৭ সালের একটা একদিন বয়সী ব্রয়লার বাচ্চার ওজন কত ছিল আর এখন একটা একদিন বয়সী ব্রয়লার বাচ্চা ডিম থেকে ফুটে বের হলে তার ওজন কত?
প্রথম দিনে যদি একটি বাচ্চা থেকে আরেক টি বাচ্চার ওজন ৫ গ্রাম বেশী থাকে তাহলে ৩০ দিন বয়স শেষে ছোট বাচ্চা টির চেয়ে ৫ গ্রাম বেশী ওজন থাকা বাচ্চাটি তে ৮০-৯০ গ্রাম ওজন বেশী আসে।
এখানেই বর্তমানের ব্রয়লার মুরগির দ্রুত ওজন আসার আসল রহস্য লুকিয়ে আছে- জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ক্রমাগত ব্রিডিং ( উন্নত মোরগের সাথে উন্নত মুরগীর মিলন ঘটানো)
নতুন যে হাইব্রিড মুরগির জাত সৃষ্টি করা হয়েছে – তাদের বংশধারার কারনে প্রথম দিনেই একটি ব্রয়লার বাচ্চার ওজন ৪৭-৫০ গ্রাম থাকে।
তাহলে বুঝুন একটা দেশি মুরগীর বাচ্চা ফুটে বাইর হলে কয় গ্রাম ওজন থাকে- বড় জোর ১২-১৭ গ্রাম, আর জন্মের পর থেকেই খাদ্য সংকটে থাকে এদিক সেদিক খাদ্য খুঁজতে হয়, আর ব্রয়লার মুরগী প্রথম থেকেই উন্নত খাদ্য খায়।
তাহলে কার ওজন দ্রুত বাড়বে
১. জেনেটিক বা বংশধারা গুনের কারনে
২. উন্নত এবং পর্যাপ্ত খাদ্য প্রাপ্তি
নিশ্চয় ব্রয়লার মুরগীর।

পর্ব-২
বিশ্বাসে ভর করে ধর্ম চলে, বিজ্ঞান চলে গবেষণায় আর তার ফলাফলে। পত্রিকা চলে চটকদার সংবাদের হেড লাইনে এবং আমজনতা হুজুগে মাতে গুজবের মায়াজালে।
ধান বানতে শিবের গীত – কি কইতে কি কথায় যায় ভাবতে পারেন আস্ত উম্মাদ নাকি এই লোকটা!
ব্রয়লার খাইলেই যেখানে ক্যান্সার হয় আর এই পাগলে কয় ব্রয়লার খাইতে।
যেখানে তাবত বড় বড় হিউম্যান ডাক্তার সাহেবেরা হালে অভিবাবকদের সাজেশান দেয় বাচ্চারে ভুলেও ব্রয়লার মাংস খাওয়াবেন না, পাগলে পাইছে ফালতু লোকের কথায় নিজের কলিজার ধনেরে ব্রয়লার মুরগীর মাংস খাওয়াইয়া বিপদে পড়ুম।
বড় স্মার্ট দেশের স্মার্ট মানুষ আমরা, তাবত দুনিয়ার শত কোটি মানুষের দিন চলে ব্রয়লার মাংস খেয়ে শুধু আমাদের এই দেশে এসে – ব্রয়লার মাংস বিষ হয়??
হুঁম, দেশী মুরগী – খান না কেন? কে মানা করছে- যদি পকেটের পয়সায় কুলায়।
কিন্তু ছাগলের গায়ে বাঘের ছাল চাপান কেন?
দেশি মুরগী কইয়া সোনালী মুরগী প্রকাশ কক মুরগী প্রকাশ পাকিস্থানী মুরগী খাবেন বেশি দামে আর দোষ চাপাবেন ব্রয়লারের গায়ে।
আপনাদের প্রিয় তথা কথিত দেশি মুরগির নামে যে সোনালী কক মুরগী খান সে গুলোও কিন্তু হাইব্রিড মুরগী, এগুলো ও ফার্মে পালন করা হয় আর ব্রয়লার মুরগীর খাদ্য যে যে উপাদান ব্যবহার করে বানানো হয় সোনালী-কক-পাকিস্থানী মুরগীর খাদ্য একই উপাদানে একই ফিড মিলে বানায়।
তাহলে সমস্যা কোথায় সোনালী মুরগী খেয়ে যদি ক্যান্সার না হয় ব্রয়লার মুরগীর মাংস খেলে কেন ক্যান্সার হবে?
ক্যান্সার ব্রয়লার মুরগীতে নয়- ক্যান্সার আমাদের উর্বর মস্তিষ্ক জাত হুজুগে মাতার গুজব ভাইরাসে।
ধান্দাবাজ নিউজ পোর্টালে, বলদদের পেইজ বুক পেইজে- আর বেক্কেল মার্কা কিছু মদনের বুঝে না বুঝে শেয়ার করার মধ্যে।

পর্ব -৩ব্র
ব্রয়লার মুরগীর উৎপত্তির কথা পশ্চিমা দুনিয়ার যাঁরা প্রথম ভেবেছিলেন, তাঁরা মধ্যবিত্ত এবং শ্রমজীবি মানুষদের তুলনামূলক কম দামে (ভেড়া,ছাগল,গরুর মংসের চেয়ে) প্রোটিনের যোগান দেওয়ার চিন্তা থেকে করেছেন, কারন পশ্চিমা দেশে মাটন বা গরুর মাংস যাই বলুন দাম অনেক বেশি।
এ ছাড়াও হরেকরকম ফাস্টফুড তৈরি করতে ব্রয়লার মুরগীর মাংসে অনেক সুবিধা-
# মাংস অনেক সফট( নরম)
# সহজে বোনলেস করা যায়
# প্রসেস করার পর কান্ট্রি/দেশী চিকেনের চেয়ে বেশী পরিমান মাংস পাওয়া যায়।
#ফুড ইন্ডাস্ট্রি তে যে পরিমান মাংস লাগে তা একমাত্র ব্রয়লার থেকেই পাওয়া সম্ভব কারন এগুলো খুব দ্রুত সময়ে অনেক ওজন লাভ করে।
উন্নতদেশের খাদ্যাভাসের সাথে আমাদের দেশের মানুষের খাদ্যাভ্যাসের অনেক তফাৎ –
আমরা মুরগীর মাংসকে ঝোল, কারি এবং বিরিয়ানি ও পোলাও র সাথে খেতে অভ্যস্ত, আর তারা মুরগীর মাংস দিয়ে ডজন ডজন আইটেম বানায়, কি ফাস্টফুড আর প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যা খাদ্য তালিকা যাই বলেন চিকেন থাকেই।
বর্তমানে দেশে কেন ব্রয়লার মাংসের চাহিদা ক্রমাগত নিন্মমুখী-
#অনবরত ব্রয়লার মাংস তথা পোল্ট্রি জাত পন্য মারাত্মক রকমের অপপ্রচার এবং গুজবের শিকার।
# পোল্ট্রির সাথে যুক্ত কিছু মানুষের অনৈতিক কর্মকান্ড যারা সংখ্যায় অতি নগন্য এবং তাদের কর্মকান্ড বাংলাদেশের পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রির বিশালতার কাছে অতি নগন্য কিন্তু মিডিয়া বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারনে তিল যেখানে তাল আকার ধারন করেছে।
#সকল অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আমাদের পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রি সংশ্লিষ্ট সংগঠন গুলো কার্য্যকরী ভূমিকা নিতে ব্যর্থতা।
#মানুষকে ব্রয়লার মাংস খাওয়ার জন্য প্রচারনার ঘাটতি
#সোনালি মুরগীর ব্রয়লারের মার্কেট শেয়ার নিয়ে নেওয়া।

কেন সোনালি মুরগী ব্রয়লার মুরগীর স্থান দখল করে নিল-
৯০ দশকে যখন ব্রয়লার ইন্ডাস্ট্রি বিকাশ লাভ করতে শুরু করে তখন বিয়ে শাদি থেকে জন্মদিন সহ যে কোন অনুষ্ঠানাদিতে ১২০০-১৩০০ গ্রামের ব্রয়লারের ব্যবহার বেশি প্রচলন ছিল।
পরে তা ১৪০০-১৫০০ গ্রামে উত্তীর্ণ হয়। ব্রয়লার মাংস দিয়ে বড় অনুষ্ঠানে কোরমা বা মাংসের ঝোল রান্না করলে মাংস হাড় থেকে খুলে যায় যা মাংসের স্বাদ এবং সৌন্দর্য দুই নষ্ট করে।
বিগত দশ বছরে ধীরে ধীরে সোনালী মুরগীর উৎপাদন এবং চাহিদা দুই বাড়ে –
#ব্রয়লার মুরগী রোগব্যাধির প্রতি অতি সংবেদনশীল
#ব্রয়লার মুরগির দাম একটু বাড়লে হ্যাচারি মালিকেরা বাচ্চার দাম দ্রুত বাড়াতে থাকেন।
#ব্রয়লার খামারীর লাভের সুযোগ কখনো হয় না- কখনো ওজন ভাল আসলে দাম থাকে না, দাম ভাল থাকলে গ্রোথা আসে না, দাম এবং গ্রোথা ভাল থাকলে দেখা গেল মর্টালিটি অনেক বেশী।
#সোনালী মুরগীর দাম ও চাহিদা থাকার কারনে এবং রোগব্যাধি তুলনামূলক কম ও এক ব্যাচ সোনালী মুরগী পালনে মোট খরচ ব্রয়লারের তুলনায় অনেক কম হওয়ার কারনে সারা দেশের অর্ধেকের বেশি খামারী ব্রয়লার থেকে সোনালী মুরগী ফার্ম করার দিকে ঝুঁকে যায়। বর্তমানে সোনালী এবং ব্রয়লার বাচ্চা উৎপাদন প্রায় কাছাকাছি চলে এসেছে।
বিগত বছরগুলোতে যে কোন বিয়ে শাদি সামাজিক অনুষ্ঠানে কেউ আর ব্রয়লার মুরগী খাওয়ায় না। ফলে আগের মত সিজন ধরে ব্রয়লার মুরগী দামের যে উর্ধগতি থাকত তাও আর নেই।
অথচ এক সময় এ সকল অনুষ্ঠানের মুরগীর চাহিদা ব্রয়লার দিয়েই পূরন করা হত।
অন্যদিকে বাংলাদেশের পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রির সঠিক কোন ডাটা না থাকার কারনে প্রকৃত চাহিদা এবং উৎপাদন আসলে কত আমরা কেউ জানি না।ফলে কখনো বাচ্চার দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পায়, কখনো মুরগীর দাম এত তলানীতে নামে যে খামারীর গায়ের ছাল থাকে না।
নানান জটিলতা এবং সমীকরণে বর্তমানে পুরো পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রি এবং এর সাথে যুক্ত কোটি মানুষ ও লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগ ঝুঁকির মুখে।
এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসার একটা মাত্র রাস্তা এখনো খোলা আছে-
ভোক্তাদের কে অহেতুক বিভ্রান্তির কবল থেকে বের করে আনার জন্য সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহন করা-
১. সরকারী ভাবে
২. ইন্ডাস্ট্রির নিজস্ব উদ্যোগে
৩. জেলা উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যন্ত খামারিদের নিজ উদ্যোগে ভলান্টিয়ার টিম গঠন করে ব্রয়লার মুরগীর খাওয়ার জন্য মানুষকে উদ্ভুদ্ধ করা

পর্ব ৪
স্বাদ এবং ন্যাচারাল ফ্লেভার:
সরাসরি চলে এলাম কেন খাব তার উত্তরে, স্বাদ অতি গুরত্বপূর্ণ
যে খাদ্যে স্বাদ নেই সে খাদ্য অন্তত বাঙালির পেটে সয় না এবং রুচিতেও লয় না।
বাজারে যে সাইজের ব্রয়লার পাওয়া যায় আমি অন্তত ঝোল ঝালে খেতে অভ্যস্ত বাঙালি হিসাবে বলতে পারব না এই সাইজের ব্রয়লার আমাদের পরিচিত মুরগীর ঝোল আর পোলাও বিরিয়ানির মত নয়, আমরা যেমন আশাকরি।
তাহলে খাই কেন বাধ্য হয়ে পাই না তাই।
আগেই বলেছি ঝোল রোস্ট কোর্মা পোলাও থেকে আগেই ব্রয়লার বিদায় নিয়েছে, তখন সোনালী পাওয়া যেত না তাই রোস্ট বানানোর জন্য ১৪০০/১৫০০ গ্রামের ব্রয়লার কে তেলে ভাজতে ভাজতে শক্ত করে বাবুর্চি মহাশয়গন চালিয়ে নিতেন- এতে তাদের অনেক ঝক্কি পোহাতে হত। এখন হাতের কাছে সাইজমত সোনালী মুরগী আছে- শুধু শুধু কেন ব্রয়লার রান্না করতে গিয়ে নিজেকে ঝামেলায় ফেলবে?
সারাদেশের লাখ লাখ বাবুর্চিখানার বাবুর্চিরা এক সময় আমাদের পরম বন্ধু ছিল তাদের কল্যানে মানুষ ব্রয়লার খেত ইচ্ছে না থাকা সত্বেও ব্রয়লারের রোস্ট খেতেন, ঝোল মাংস খেতেন। সে দিন আর নেই- এখন ব্রয়লার যা খাওয়া হয় তা ফাস্ট ফুডের দোকান আর যাদের একান্ত সোনালি কেনার সামর্থ নেই তারাই ব্রয়লার ক্রয় করেন, আগে একটা শ্রেনী ছিলেন তাঁরা বাচ্চাদের পছন্দের নরম মাংস হিসাবে ব্রয়লার কিনতেন- নানান অপপ্রচার আর গুজবে শহুরে সামর্থ্যবান মধ্য এবং উচ্চবিত্তরা আর বাচ্চাদের প্রিয় খাবার চিকেন ব্রয়লার খাওয়ান না।
একটা শ্রেনী আছেন এখনো যাঁরা প্রসেস করা ব্র‍্যান্ডেড বিভিন্ন পদের প্রসেস করা ব্রয়লার মাংস সুপারশপ থেকে কেনেন কারন তাদের আস্থা এ সকল ব্র‍্যান্ডেড কোম্পানির প্রোডাক্টে ঝামেলা নেই- এটুকু আশার আলো এখনো টিকে আছে।
ভোক্তাকে পূনরায় ব্রয়লার মুরগী খাওয়াতে হলে তাদের আস্থা আনতে হবে, বড় সাইজের ব্রয়লার খাওয়াতে হবে সে সাইজ হবে ২.৫- ২.৬ কেজি ওজনের মধ্যে এবং খামারীদের ব্রয়লার পালন করতে হবে ৪২/৪৩ দিন বয়স পর্যন্ত।
২.৫-২.৬ কেজি ওজনের ব্রয়লারের মধ্যে মাংসের ভোক্তারা প্রকৃত মুরগীর মাংসের স্বাদ এবং ফ্লেভার পাবেন।
কেন এই সাইজে প্রকৃত স্বাদ এবং ফ্লেভার লুকিয়ে আছে তা পরের পর্বে উপস্থাপন করা হবে।
আর সব চেয়ে বড় কথা খামারীরা এই সাইজের ব্রয়লার বিক্রি করলেই কম দামেও লাভের মুখ দেখতে পাবেন।

ব্রয়লার কেন খাব- ৫ম পর্ব
কিছু পর্যবেক্ষণ-
বিগত এক বছরের বেশি সময় ধরে পোল্ট্রি প্রফেশনাল’স বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিশেষ পোল্ট্রি জোনের পোল্ট্রি পন্যের গড় পাইকারি বাজার দাম দিয়ে যাচ্ছে। আপনারা খেয়াল করলে দেখবেন কার্ল্ড লেয়ার মুরগী(লাল/সাদা) এবং কার্ল্ড ব্রয়লার প্যারেন্টের দাম সারা বছরই একটা সুনির্দিষ্ট মূল্যের কাছাকাছি উঠানামা করেছে – যা সোনালী বা ব্রয়লারের ক্ষেত্রে হয়নি।
কেন এমন হচ্ছে- অর্থাৎ বড় এবং শক্ত মুরগীর মাংসের চাহিদা দেশে ভোক্তাদের কাছে এখনো আছে, তা যে সাইজেরই হউক। কার্ল্ড বার্ডে কিন্তু এবডোমিন রিজিয়নে( তল পেটে) অনেক পরিমানে আস্ত চর্বির স্তর আছে সেটা কিন্তু কেউ খাচ্ছে না ফেলে দিচ্ছে প্রসেসিং ওয়াস্ট হিসাবে।
এই কার্ল্ড বার্ড পৃথিবীর অনেক দেশে বিক্রি হয় না- এটা প্রসেসিং করে পোল্ট্রি মিল বানানো হয়, যা পোল্ট্রি ফিডের একটা উপাদান ও বটে।
আমাদের দেশে কেন এই বাতিল মুরগী এত বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে?
১. এর মাংস শক্ত
২. দেশি মুরগীর স্বাদ পাচ্ছে
৩. এই মাংসে দেশি মুরগীর মাংসের ফ্লেভার পাচ্ছে।
কারন এই মুরগীর বয়স অনেক বেশি।
যে খাদ্যে কোন চর্বি নেই সে খাদ্য আমাদের জিহবায় স্বাদ আনে না। এ চর্বি আবার আস্ত চর্বি নয়, ফাইবারে( উদ্ভিদজাত) বা মাসলে/মাংসপেশিতে ( প্রানীজ)যে চর্বি আছে সে চর্বি যা খালি চোখে দৃশ্যমান চর্বি নয়।
এবার আমরা আসি মূল আলোচনায়-
ব্রয়লারে ২৮-৩০ দিনে যে ওজন আসে তা পুরোটাই মাংসপেশি/প্রোটিনের ওজন, যদিও সামান্য কিছু পরিমানে তল পেটে চর্বি থাকে যা দৃশ্যমান, এ চর্বি কেউ খায় না, রান্না করার আগে বা জাবাই করে মাংস কাটকুটি করার সময় ফেলে দেয়।
তাহলে যা থাকল- কিছু হাড় আর মাংসপেশি। প্রোটিন কখনো জিহবায় স্বাদ দেয় না।
তাহলে কি দাঁড়ালো ২৮/৩০ বয়সী ২ কেজি ওজনের ব্রয়লারে কখনো আমদের স্বাদ লাগবে না।
★লাভজনক ব্রয়লার পালন কৌশলে উল্ল্যেখ করা হয়েছিল ২৪-২৮ দিন বয়সে ব্রয়লারে দিন অনুসারে ( এভারেজ ডেইলি ওয়েট গেইন) সব চেয়ে বেশি অর্জন করে । একটি ব্রয়লারের জীবন কালে অতিক্রম করে আসা দিন গুলোতে যদি রোগব্যাধি বা অন্য কোন ঝামেলায় না পড়ে এবং প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় সপ্তাহে জাত অনুসারে ঠিক ঠিক ওজন আসে তাহলে ২৪- ২৮ দিন বয়সে ফিমেল ব্রয়লার এভারেজে ৬০-৮০গ্রাম/দিন এবং মেল ব্রয়লার ১০০-১৪০গ্রাম/দিন দৈহিক ওজন অর্জন করবে।
১-২৮ দিন বয়স পর্যন্ত বয়সে যে ফিড খাওয়ানো হয় তাতে উচ্চহারে প্রোটিন ( CP) থাকে।
উদ্দেশ্য ব্রয়লারে বেশি বেশি যেন মাংসপেশি ডেভেলপ করে।
২৮ দিন বয়সের পরে ব্রয়লার খাদ্যে প্রোটিন অনেক কম থাকে এবং তুলনামূলক এনার্জি বেশি থাকে।
কেন ফিডে( ফিনিশারে) এমন পরিবর্তন আসে?
২৯-৪২ দিন বয়স পর্যন্ত ফিনিশার ফিড খায়ানো হয় যেন মাংসপেশি শক্ত পোক্ত হয় এবং মাসল( মাংসপেশিতে) যেন ইন্টার মাসকুলার ফ্যাট জমা হয় ( তল পেটের দৃশ্যমান চর্বি নয়)।
এই ইন্ট্রার মাসকুলার ফ্যাট সঞ্চিত হওয়ার ফলে ২৮ দিনের ব্রয়লার মাংসে এবং ৪২ দিনের ব্রয়লার মাংসের স্বাদের এবং সুগন্ধির আকাশ পাতাল পার্থক্য হয়ে যায়।
৪২ দিন বয়সী ব্রয়লার মাংস যদি আমাদের প্রচলিত মুরগীর ঝোল রান্না করা হয় তাহলেও মাংস হাড় থেকে খুলে যাবে না
যা ২৮ দিন বয়সী ব্রয়লার মাংসের ঝোল রান্না করলে সম্পুর্ন বিপরীত।
৪২ দিন বয়স হলে হাড় অনেকটাই শক্ত হয় এবং হাড়ের ভিতরে পর্যাপ্ত পরিমান মজ্জা সঞ্চিত হয় যা ছেলে বুড়ো সবার কাছে সমান জনপ্রিয়- মাংসের হাড় চিবানো এবং অস্তি মজ্জার স্বাদ নেওয়া?????????
২৮ দিন বয়সের পরে খাদ্য রূপান্তর দক্ষতা (এফ সি আর) আগের তুলনায় ভাল হবে না, অন্যদিকে দেখলে এ বয়সে খাদ্যের দামও কম থাকবে কারন প্রতি ১% CP কমলে খাদ্যের দামও আনুপাতিক হারে কমবে★(এ বিষয়ে টেকনিক্যাল পর্বে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে)
কেউ কেউ আলোচনার এ পর্যন্ত এসে ইউ টার্ন ঘুরে আমার সম্পুর্ন বিরোধী পক্ষ হয়ে যাবেন –
কাল্পনিক ডায়ালগ মোটামুটি এমন হবে-??????????
“আরে মিয়া ফাইজলামি পাইছেন, আমাদের বোকা ভাবেন ১০ বছর ধরে ব্রয়লার পালি ১.৩২ এফ সি আর পাইয়াও ব্রয়লার বেচে লস করি, আর আপনি শিখান ৪২ দিন পর্যন্ত ব্রয়লার পালতাম।”
পরের পর্বগুলোর

পর্ব ৬
ব্রয়লার মাংস এমনই এক মাংস যা সকল বয়সের মানুষ জন্য খাদ্য তালিকায় প্রযোজ্য
১. মাংসের প্রতি যাদের অনীহা সে যে মাংসই হউক তাঁদের জন্য আছে মুরগীর গলা ঘিলা লিভার হার্ট এবং স্পিলন ( এ সব গুলোকে এক সাথে জিব্লেট বলে)। বাংগালীয়ানা রেসিপিতে এগুলো হট এন্ড স্পাইসি (ঝোলে ঝালে) করে রান্না করে দেখেন কেমন লাগে।আশাকরি সেই স্বাদ সেই সুগন্দ যা আপনি দেশি মুরগীতে পান তা পেয়ে যাবেন, একটা ব্রয়লারে তো আর এত্তগুলো জিব্লেট পাওয়া যাবে না- একটু কয়েক পা হেঁটে আশপাশের সুপার সপে চলে যান যত্ত চান একসাথে কিনতে পারবেন, প্রসেস করা প্যাকেটে আছে।
২. বাড়ির বয়স্ক লোক শরীরে নানান সমস্যা উচ্চ রক্তচাপ, হাই কোলেস্টেরল, হার্টের সমস্যা- মাংস খাওয়া বারন।???????? অথচ মন চায় একটু মাংস খেতে। ডোন্ট ওরি
বাড়িতে মুরগী রান্না হয়েছে- বুকের মাংস টা তাঁকেই দিন, নিশ্চিন্তে খেতে পারবেন। বুকের মাংসে কোন ফ্যাট নাই বললেই চলে- এখানে উচ্চ মাত্রায় সুপ্রাচ্য প্রোটিন যা পুরোটাই সহজে হজম হবে।
★প্রোটিন প্রতিদিন শরীরের জন্য যতটুকু দরকার তাই থাকবে অতিরিক্ত বা বেদরকারি টা পায়খানা পশ্রাবের সাথে বেরিয়ে যায়
★ বয়স্কদের লিভার, রান এবং পাখার মাংস এড়িয়ে চলা উচিত কারনে এখানে উচ্চমাত্রায় ইন্টার মাস্কুলার ফ্যাট থাকে।
মনে কষ্ট নেওয়ার দরকার নাই আপনার জন্য তো বুকের মাংস, হার্ট, গিলা, স্পিলন,গলা আছেই, শুধু লিভারটা এড়িয়ে চলুন।
৩. বাবু সোনাদের প্রিয় রানের মাংস এবং চিকেন উইং – খাও মনের আনন্দে নিশ্চিন্তে – তোমাদের সুস্থ সবল ভাবে বেড়ে উঠার জন্য এ দু জাগার মাংসেই আছে সকল দরকারি পুস্টি উপাদান- স্বাদ ও সুগন্ধি।???????????? ইয়াম্মি!?????????
৪. রোগীর জন্য হেলথ রিকোভারী – স্যুপ খাবে নিশ্চিন্তে ব্রয়লারের বুকের মাংসের স্যুপ খাওয়ান – সলিড প্রোটিন সুপ্রাচ্য( সহজে হজম হবে) দ্রুত শরীরে শক্তি পাবে।
৫. কিশোর তরুন – চিকেন ইউং, থাই, লেগ ???? এগুলো ছাড়া কি চলে, ফ্রাই, ক্রিপসি,গ্রেভি – খেতে থাকো দেহ মন চাংগা হবে- বাড়বে বল বুদ্ধি।
৬. ঘরোয়া অনুষ্ঠানে- মুরগীর ঝোল/কারি রান্না করবেন টুক করে বাজারে গিয়ে ২.৫-২.৬ কেজির একটা ব্রয়লার কিনে ফেলেন কাটাকুটি করে ঝটপট নিজের নিজস্ব রেসিপিতে রান্না করে ফেলুন। ব্যাস হয়ে গেল। দেখেন মেহমানেরা আজকের রান্না করা ব্রয়লার মাংস খেয়ে কি বলে- আমাদের জানাতে ভুলবেন না কিন্তু।
ব্রয়লার মাংসের গুনগান তো গাইলাম- ভাগ যোগ ও করে দিলাম ছেলে বুড়ো কে কোন অংশ খাবেন-
এবার কই অন্য কথা – চিকেন টা কি সেপ, এন্টিবায়োটিক মুক্ত, সালমোনেলা ই কোলাই মুক্ত??????????‍?‍?‍???‍?‍?‍?????
ধরে নিতে পারেন ৪২ দিন বয়সের ২.৫-২.৬ কেজি বা তারো বেশী ওজনের ব্রয়লার যদি হয় তাহলে হাইপোথিটিক্যালি এই বয়স এবং ওজনের ভ্রয়লার যে কোন হেলথ হ্যাজার্ড এবং কন্ট্রামিনেশান মুক্ত।
৪২ দিন বয়স, ওজন ২ ৫-২.৬ কেজি ব্রয়লারঃ-
#সুস্বাদু
#প্রকৃত মুরগীর মাংসের ফ্লেভার পাবেনই – ১০০ ভাগ গ্যারান্টি দিলাম।

ব্রয়লার কেন খাব-শেষ পর্ব ৭
সেফ চিকেন – হেলদি ফুড- নিরাপদ খাদ্য এবং খাদ্য নিরাপত্তা;
“ভাবতে হবে সবাইকে সমন্বিতভাবে”
ব্রয়লারের উৎপাদনকারী – ভোক্তার চাহিদা মেটাতেই কিন্তু উৎপাদন করে থাকেন- ভোক্তা তার চাহিদা পূরনে সেবা বা পন্য মূল্য উৎপাদনকারীকে পরিশোধ করে। ব্যবসাতে শুধু লাভ দেখলেই হয় না- ওয়েলফেয়ার এবং ওয়েলনেসের কথাও ভাবতে হবে।
ভোক্তা টাকা দিয়ে অনিরাপদ কিছু নিশ্চয় কিনবে না- ভোক্তা কল্যানে উৎপাদনকারী কে তার পন্যের ক্রেতার ভালমন্দ বিষয়টিও দেখতে হবে।
আর পন্যটি যদি হয় ব্রয়লার মাংসের মত কোন বিষয়, যেখানে ক্রেতা মাংস ক্রয় করেন খাদ্যের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পেতে ,স্বাস্থ্যে সুরক্ষা দিতে সেখানে যদি খাদ্যের মাধ্যে শরীরের জন্য ক্ষতিকারক কিছু তার অজান্তে উৎপাদনকারীর পন্যের মাধ্যমে প্রবেশ করে তা একদিকে যেমন অমানবিক তেমনি শাস্তি যোগ্য অপরাধ।
মানুষ এখন সচেতন- আর ব্রয়লার মুরগী নিয়ে বিভিন্ন নেগেটিভ প্রচারনা এবং কিছু ক্ষেত্রে অনস্বীকার্য এজেন্ডা ব্রয়লার মাংস খাওয়া থেকে অনেকই নিরুৎসাহিত করেছে।
ভোক্তার আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে,

না হলে??????????

১. দেশের লক্ষ লক্ষ খামারী পথে বসবে।
২. পোল্ট্রি শিপ্লের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত প্রায় ১০ মিলিয়ন লোকের কর্মসংস্থান ঝুঁকিতে পড়ে।
৩. রাস্ট্র খাদ্য নিরাপত্তার ঝুঁকিতে পড়বে
৪. বাংলাদেশের পোল্ট্রি শিল্পে লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগে গড়ে উঠা পোল্ট্রি শিল্প হুমকির মুখে পড়বে।
৫. সাধারন মানুষকে আকাশ ছোঁয়া দামে মুরগী কিনে মাংসের স্বাদ নিতে হবে, পুষ্টি হীন প্রজন্ম সৃস্টি হবে।
যা যা করা দরকার সেফ চিকেন উৎপাদন করতে-
১. ভাল মানের খাদ্য যে খাদ্যে অনৈতিক কোন পন্য থাকে যা যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত নয় তা ব্যবহার না করা এবং মেনে চলতে কঠোর আইন প্রয়োগ করা।
২. খাদ্যে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে গ্রোথ প্রমোটর হিসাবে ( AGP) ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীসহ পোল্ট্রি সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষকে কঠোর নজরদারি বাড়াতে হবে।
৩. ব্রয়লারের চিকিৎসায় যদি কোন এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়, এন্টিবায়োটিকের উৎপাদনকারীর নির্দেশনা মেনে উইথড্রল পিরিয়ড শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেই ব্রয়লার বাজারে বিক্রি করা যাবে না।
৪. বায়োটেকনোলজিক্যাল বিভিন্ন উপাদানের ব্যবহারের মাধ্যমে এন্টিবায়োটিক এর ব্যবহার কে হ্রাস করে আনতে হবে- যদি উন্নত দেশের মত নিরাপদ ব্রয়লার ভোক্তার মুখে তুলে দিয়ে ওয়েলফেয়ারের কথা মাথায় রাখি।
৫. কোন ভাবেই ২.৫ -২.৬ কেজি ওজন না আসা পর্যন্ত ব্রয়লার ক্রয় বিক্রয় এ উৎসাহিত করা যাবে না।
৬. ভেজাল ফিড খাওয়ানো এবং একদিন বয়সী রোগাক্রান্ত বাচ্চা দিয়ে ব্রয়লার খামারিদের পোল্ট্রি খামার করা থেকে নিজের দেশের এবং ভোক্তার স্বার্থ চিন্তা করে বিরত থাকতে হবে।
৭. ফিড উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে আত্মঘাতী ক্রেডিট বিজনেস এবং ১.৩২-১ ৪০ FCR এর পিছনে দৌঁড়ানো বন্ধ করতে হবে।
৮. খামারীদের বাশি বা পুরানো বা আনসোল্ড বাচ্চা (ফুটার পর থেকে চব্বিশ ঘন্টা অতিক্রম হয়ে গেলে) কেনার লোভ সামলাতে হবে তা ফ্রি বা যত সস্তাতে দেওয়া হউক।
৯. রেজিস্টার্ড প্রানী চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এন্টিবায়োটিক বা অন্যান্ন ঔষধ ব্যবহারে খামারিদের দায়িত্বশীল হতে হবে।
মনে রাখতে হবে চিকিৎসার চেয়ে রোগ প্রতিরোধ করার দিকে অধিক নজর দিতে হবে
তাহলেই আমরা আস্তে আস্তে নিরাপদ চিকেন উৎপাদন এর দিকে এগিয়ে যেতে পারব- ভোক্তার হারানো আস্থা ফিরে আসবে।
পোল্ট্রি ব্যবসায় স্থিতিশীল একটা অবস্থা সৃষ্টি হবে যা এ পেশায় যুক্ত সকলের জন্য কল্যানকর হবে।
——–+++++++++ সমাপ্ত-++++++++++++++++
ধন্যবাদ সকলকে শেষ পর্যন্ত সাথে থাকার জন্য
অঞ্জন মজুমদার
সমন্বয়ক
পোল্ট্রি প্রফেশনাল’স বাংলাদেশ
Contact – anjan21@hotmail.com
Dhaka. Bangladesh.

 

Please follow and like us:

About admin

Check Also

টিপস ২৪

গমে মাইকোটক্সিন হয় না কারণ এতে থাকে Purothionine which is lipoprotine and has fungicidal.তাই গম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »