এমন যদি হয় খামারের গরু খামারের একটি বেষ্টনীতে ঘুরে বেড়াচ্ছে।যখন খিদে লাগছে,পশুগুলো খেয়ে নিচ্ছে নিজের মতো করে।কোনো আবদ্ধ জায়গায় গরু-মহিষকে গলায়-মুখে দড়ি বেঁধে ঠায় দাঁড়িয়ে কিংবা বসিয়ে রাখা হয় না।
তাহলে পশুগুলোর স্বাস্থ্য বেশ ভালো থাকবে, প্রচুর দুধও দিবে।এই পদ্ধতিতে মাত্র দুই-তিনজন রাখাল দিয়ে শতাধিক গরু লালন-পালন করানো হয়।
ঘাস, ভুসি, গমই খেতে দেওয়া হবে গরুগুলিকে।
এক বিঘার খামারের মধ্যে পাঁচ কাঠা জায়গায় গড়তে পারেন এই বেষ্টনী।একপাশে ঢেউটিন দিয়ে ছোট্ট একটু শেড। গোটা বিশেক গাভি ও বাছুর বেষ্টনীর ভেতরে ছেড়ে দিতে পারেন।
বেষ্টনীর ভেতর গরু ছেড়ে দিয়ে বেশ উপকার পাওয়া যায়। এ কৌশল খাঁটিয়ে গরুগুলোর কাছ থেকে প্রচুর দুধ মিলবে।
বেষ্টনীর ভেতর গরু ছেড়ে পালন করলে তিন ধরনের সুবিধা রয়েছে।
★প্রথমত গরুর মধ্যে চাঞ্চল্য থাকে। মনমরা হয়ে থাকে না।
★ দ্বিতীয় বিষয় হচ্ছে, বেশি গরু পালন করা যায়, গোবর দিনে দুবার পরিষ্কার করলেই হয়। তাই শ্রমিক খরচ অনেকটাই কমে যায়।
★তৃতীয়ত, প্রাণচাঞ্চল্য থাকায় গরুর রোগ–বালাই কম হয়। এর ফলে চিকিৎসার ব্যয় কমে যায়। সব মিলিয়ে গরুর দুধ উৎপাদন বেশি হয়।
গরু বেঁধে পালন করতে হলে জায়গা তুলনামূলক বেশি প্রয়োজন হয়। বর্জ্য সরানোর জন্য আলাদা নালা করতে হয়। কিন্তু খোলা জায়গায় ছেড়ে দিয়ে রাখলে কম জায়গায় স্বাস্থ্যকর পরিবেশে বেশিসংখ্যক গরু পালন করা যায়।
বেষ্টনীতে ছেড়ে দিয়ে গরু পালন করলেঃ
★ গরুর মাংসে চর্বি কম জমে।
★মাংস সুস্বাদু হয়।
★হাঁটাচলা করায় গরুর পেটে গ্যাস কম জমে।তাই অসুখ-বিসুখ কম হয়।
তবে বেষ্টনীর চারপাশে খাবারের পাত্র থাকবে।সেখান থেকে গরুগুলো নিজের মতো করে খেয়ে নেবে।