#কৃত্রিম_প্রজননের_সিমেন_প্রক্রিয়াজাতকরণ
সাধারণত ৫০লাখ থেকে ১ কোটি ২৮ লাখ শুক্রানু বিশিষ্ট্য ১মিলি সিমেন গরুকে পাল দেয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়।
নরমালি ভালো মানের একটি ষাড় থেকে প্রতি নির্গমণে ৪ থেকে ৫ মিলি সিমেন পাওয়া যায়। যেখানে গড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি শুক্রানু থাকে। উন্নত মানের বুল ষ্টেশনগুলোতে একটি ষাড় থেকে সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার সিমেন কালেক্ট করা হয়।
ধরে নেয়া যাক, একটি ষাড় থেকে ৩ মিলি সিমেন পাওয়া গেলো যার মধ্যে শুক্রানূর সংখ্যা ৩০০ কোটি।
শুক্রানুর গতিশীলতার হার ৭০% হলে, প্রতি মিলি লিটারে গতিশীল শুক্রানুর সংখ্যা= ৭০ কোটি
পাল দেয়ার জন্য প্রতি মিলিলিটারে আবশ্যকীয় গতিশীল শুক্রানুর সংখ্যা= ৫০ লাখ থেকে ১ কোটি ২৮ লাখ
(যদিও বুল ষ্টেশন ও ব্রিডিং বুলের মানের উপর ভিত্তি করে অনেক ক্ষেত্রে এই মাত্রার তারতম্যও হয়)
অতএব, ১ মিলিলিটার সিমেন থেকে ৫০ লাখ করে গতিশীল শুক্রানু ভাগ করে নিলে অর্থাৎ তরলকারকের হার= ৭০ কোটি/ ৫০ লাখ = ১৪০
সুতরাং, ৩ মিলিলিটার সিমেনকে ডাইলুয়েন্ট দিয়ে ৩ x ১৪০ = ৪২০ মিলিলিটার করে নিয়ে প্রতিটি গাভীকে ১ মিলি লিটার করে পাল দেয়া যাবে।
অর্থাৎ, এক বার ষাড় থেকে ৩ মিলি লিটার সিমেন কালেক্ট করে ৪২০ টি গাভীকে কৃত্রিম প্রজনন করানো যায়।
#Hope #Agro
#Narsingdi
সূত্রঃ
১. পশু চিকিৎসাবিদ্যা – প্রফেসর ড. মোঃ এম এ সামাদ
২.http://www.vivo.colostate.edu/…/…/reprod/semeneval/bull.html