Breaking News

প্রান্তিক খামারিদের কেন সংগঠিত হতে হবেঃ

প্রান্তিক খামারিদের কেন সংগঠিত হতে হবেঃ

পর্ব-১
প্রান্তিক শব্দটাই কেমন যেন অভিজাত শ্রেণির নিকট অবহেলিত, অচ্ছ্যুৎ, অথচ দেশের আনাচে কানাছে ছড়িয়ে থাকা এই প্রান্তজনারাই তথা কথিত অভিজাত শিল্পপতিদের প্রতিদিনের আভিজাত্যের রসদ জুগিয়ে যায়।
অথচ যুগ যুগ ধরে এই মানুষদের স্বার্থ এবং বেঁচে থাকার বিষয়ে
উপরের তলার মানুষেরা নির্বিকার। 
তারা এটা নিশ্চিত জানে প্রান্ত জনার অভাব এই বঙদেশে কোন কালেই হবে না।
কেউ বিদায় নিবে আবার নতুন কেউ এসে তার স্থলাভিষিক্ত হবেই।
যাঁরা হারিয়ে যায়- তাদের খবর কেউ কি জানে অথবা রাখে?
কি কষ্টে কেমন মানবেতর জীবনযাপন তাঁদের করতে হয় – যাঁদের শ্রমে ঘামে আর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পুঁজিতে এক দিন এই শিল্পপতিদের বিশাল শিল্প সাম্রাজ্য গড়ে উঠেছে- সেই প্রান্তিক খামারীরা এখন কেমন আছেন।
বাংলাদেশে এখন পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রির বিশাল ব্যপ্তি- প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে প্রায় এক কোটি মানুষ এই শিল্পের সাথে যুক্ত- এবং প্রতিদিন এই শিল্প এ দেশের আঠার কোটি মানুষের মুখে দৈনিক চাহিদার সিংহভাগ প্রোটিনের যোগান দিয়ে যাচ্ছে।
দেশে লক্ষ লক্ষ প্রান্তিক পোল্ট্রি খামারী আছেন- যাঁদের খামারে প্রতিদিন উৎপন্ন হচ্ছে কোটি কোটি ডিম আর লক্ষ লক্ষ কেজি লাইভ ব্রয়লার বা সোনালী নামের দেশী মুরগী।
দেখতে শুনতে ভালই লাগে- দেশ উন্নত হচ্ছে, মানুষের পুষ্টির যোগান নিরবিচ্ছিন্ন ভাবেই হচ্ছে।
অথচ এই পুষ্টির যোগান দাতাদের পকেট ফাঁকা- দায়দেনা আর লোকশানে দিশেহারা। কোথায় যাবে কার কাছে থেকে একটু সহানুভূতি নিবে, ঘুরে দাঁড়ানোর সাহস পাবে?
নেই তাদের পাশে কেউ নেই- কেউ যুদ্ধ করতে করতে দায় দেনা মাথায় নিয়ে খামার ব্যবসায় ইস্তফা দিচ্ছেন, নতুন কেউ আবার লোভে পড়ে অন্যের ফাঁদে পড়ে এই ব্যবসায় বিনিয়োগ করছে।
কেউ কেউ শেষ ভরসা হিসাবে উচ্চ সুদে দাদন নিচ্ছেন-
যাঁরা দাদন নেয় তাঁদের জন্য এই পেশা শাকের করাত হয়- এক দিকে বাকিতে কেনার কারনে বাচ্চা খাদ্য মেডিসিন ভিটামিট সব সময় উচ্চ মূল্যে কিনতে হচ্ছে অন্য দিকে দাদনে টাকা নেওয়ার কারনে ডিম বা রেডি মুরগী পাইকারি বাজার মূল্য থেকে কম দামে দাদনকারবারি বা ফড়িয়ার হাতে তুলে দিতে হচ্ছে।
খামারিদের অনেকেরই নিজের কোন পোল্ট্রি পালন বিষয়ে ব্যবহারিক ট্রেনিং নেই, মুরগী পালন করতে গিয়ে পুরাতন খামারিদের অনুসরণ করেন অথবা পরামর্শ নেন।
ইহা অনেকটাই গুরুমুখী বিদ্যার মতন- অনুসরণে অনেক সময় ভুলের মাত্রা বাড়াতেই থাকে- এর ফলে নিয়মিত ঝুঁকি বাড়ে।
আপনারা খামারীগন সব কিছু চাক্ষুষ অবলোকন করেন, নতুন করে বলার কিছু নেই।
ফড়িয়া দালাল সিন্ডিকেট এখন এই পেশার নিয়ন্ত্রক, আপনি আমি ওদের হাতের ক্রিড়ানক।

প্রান্তিক খামারিদের একতাবদ্ধ হতে হবে, মধ্যসত্ব ভোগী চক্র থেকে বেরিয়ে আসার জন্য দেশ ব্যাপি নিজেদের সংগঠন গড়ে তুলতে হবে- নিজেদেরই বেঁচে থাকা এবং টিকে থাকার স্বার্থে।
এখন এই প্রতিকূল সময়ে এর বিকল্প নেই।

পর্ব ২
একটি পেশাজীবি সংগঠনের মূল উদ্দেশ্যই হল সুনির্দিষ্ট পেশায় যুক্ত খামারিদের কল্যানে বহুমুখী কাজ করা যেমন-
১. তাদের পেশার সুরক্ষা দেওয়া
২. নিজেদের মধ্যে আন্তঃ সম্পর্ক সুসংগঠিত করা।
৩. নিজেদের বার্গেনিং করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
৪. নিজেদের উৎপাদিত পন্যের নায্য মূল্য পাওয়া নিশ্চিত করা
৫. দালাল ফড়িয়া মধ্য সত্বভোগী এবং দাদনকারবারীদের খপ্পর থেকে বেরিয়া আসা।
৬. সমবায় ভিত্তিতে পন্যের উৎপাদন এবং বিপনন ব্যবস্থা গড়ে তোলা।
৭. প্রতিদিন নিজেরাই নিজেদের বাজার চাহিদা অনুসারে পন্যের দাম নির্ধারণ করা।
৮. নিজেদের এলাকায় কোন কোন কোম্পানির খাদ্য বাচ্চা মেডিসিন ভিটামিন বিক্রি তার একটা সুনির্দিষ্ট তলিকা তৈরি করা।
৯. তালিকা তৈরি করার আগে –
পোল্ট্রির জন্য খাদ্য বাচ্চা ও অন্যান্ন দরকারি উপাদান কার কার থেকে ক্রয় করা হবে তাদের কোয়ালিটি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া।
১০. কোয়ালিটি নিশ্চিত হলে সারা বছরের জন্য দাম ফিক্স করা এবং তারা যে চুক্তি অনুসারে বছর ব্যাপি সরবরাহ নিশ্চিত করবেন তার লিখিত গ্যারান্টি নেওয়া।
১১. সাপ্লাই চেইন ঠিক রাখার জন্য একাধিক বাচ্চা খাদ্য মেডিসিন ভিটামিন কোম্পানি ঠিক করতে হবে- না হলে কিছু ঝুঁকি থাকবে।
১২. সংগঠনের সদস্যদের ফার্মে নিয়মত চিকিৎসা সেবা প্রদান করার জন্য এক বা একাধিক ভেটেরিনারিয়ান কে সংগঠনের মাধ্যমে চুক্তি করতে হবে।
১৩. নিজেদের উৎপাদিত পন্য বিক্রির জন্য উপজেলা ভিত্তিক বিজনেস সেন্টার গড়ে তুলতে হবে, সেই সেন্টারের মাধ্যমে ঐ উপজেলার মুরগী ও ডিমের সুনির্দিষ্ট দিনের দাম ঠিক হবে এবং উপজেলা বিজনেস সেন্টার এই বেচা বিক্রি মনিটরিং করবে।
১৪. প্রতিটি উপজেলা বিজনেস সেন্টার অন্যান্ন পাশ্ববর্তী উপজেলা বিজনেস সেন্টারের সাথে এবং জেলা ও জাতীয় সংগঠনের সাথে সমন্বয় করে প্রতিদিনের দাম নির্ধারণ করবেন।
১৫. সংগঠনের প্রত্যেক সদস্যের নিজস্ব আইডেনন্টিটি ( পরিচয়) থাকতে হবে-
ক. প্রত্যেক সদস্যকে ট্রেড লাইসেন্স( ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভা) থাকতে হবে
খ. উপজেলা প্রানী সম্পদ অফিস থেকে ফার্মের নিবন্ধন থাকতে হবে।
গ. নিজস্ব জাগার উপর খামার থাকতে হবে।
৪. নিজস্ব জাগার উপর খামার না হলে ভাড়াটিয়া চুক্তিপত্র থাকতে হবে।

পর্ব – ৩

বাংলাদেশের প্রান্তিক পোল্ট্রি খামারীদের প্রধান প্রধান সমস্যা গুলো হল-
১. প্রয়োজনীয় পুঁজির ঘাটতি 
২.আধুনিক প্রযুক্তি খামারে ব্যবহার করতে না পারা।
৩. বাচ্চা খাদ্য মেডিসিন ভিটামিন সহ পোল্ট্রি পালনে অতি দরকারি পন্য সমুহের দামের ঠিক না থাকা।
৪. অঞ্চল ভিত্তিক বিভিন্ন রোগের পাদুর্ভাব এবং মৃত্যু হার অধিক হওয়া
৫. উৎপাদিত পন্য ব্রয়লার, ডিমের দামের স্থিতিশীল বাজার না থাকা।
৬. আর্থিক অসচ্ছলতার কারনে ভাল বাচ্চা বা খাদ্য ক্রয়ে নিজের সিধান্ত নিতে না পারা ( বাকিতে ক্রয় করার কারনে)
৭. প্রযুক্তিগত এবং পোল্ট্রি পালন বিষয়ে আধুনিক জ্ঞান বা ট্রেনিং প্রাপ্তির সুযোগ না থাকা।
৮. ব্যাংক সহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে সহজ পথে আর্থিক যোগান না পাওয়া।
৯. নিজেরা সুসংগঠিত না হওয়ার কারনে, প্রান্তিক খামারীরা নিজেদের সমস্যা এবং দাবিদাওয়া কথা যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট তুলে ধরতে না পারা।
১০. পৃথিবীর অন্যান্ন দেশের মত বাংলাদেশে খামারিদের মধ্যে সমবায় মানসিকতা গড়ে না ওঠার কারনে এখানে একটি যুতসই বিপনন ব্যবস্থা গড়ে না ওঠার কারনে
১. দালাল/ফড়িয়া
২. মধ্যসত্ব ভোগী
৩. দাদন কারবারির
উদ্ভব হয়েছে, যার কারনে খামারীগন তাদের উৎপাদিত পন্যের সঠিক দাম পায় না।
১১. নিজস্ব পুঁজির ঘাটতি থাকার কারনে পদে পদে ক্রয় বিক্রয়ে অন্যের অনুগ্রহের উপর নির্ভর করতে হয়।
১২. অধিকাংশ খামারির ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য ট্রেড লাইসেন্স, প্রানী সম্পদ অধিদপ্তরের নিবন্ধন নাই।
১৩. খামারিদের আধুনিক ভাবে ফার্ম পরিচালনা করার জন্য নিয়মিত ট্রেনিং নেওয়ার সুযোগ খুবই সীমিত।
এ সকল সমস্যা বিবেচনা করে আগামী দিনে প্রতিযোগিতা মুলক বাজারে টিকে থাকতে হলে প্রান্তিক খামারিদের নিজেদের জেলা উপজেলা ভিত্তিক স্বাধীন সংগঠন গড়ে তুলতে হবে।
যেখানে নিজেদের ব্যবসা পরিচালনার অনেক সিধান্ত নিতে পারবেন এবং দেশ ব্যাপি নিজের একটা চ্যানেল গড়ে উঠবে এবং প্রতিদিনের বাজার মনিটরিং, দাম নির্ধারণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে সহজে তথ্য আদান প্রদান করতে পারবেন।
এর ফলে দালাল ফড়িয়া দাদনকারবারীদের দৌরাত্ব অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসবে।

 

প্রান্তিক পোল্ট্রি খামারীদের সংগঠিত হওয়া এবং পোল্ট্রি প্রফেশনাল’স বাংলাদেশের ভূমিকাঃ
পোল্ট্রি প্রফেশনাল’স বাংলাদেশ মূলত একটি নলেজ ভিত্তিক অনলাইন পোল্ট্রি পেশাজীবি সংগঠন যাদের মূল্য লক্ষ্য পোল্ট্রি বিষয়ে সর্বশেষ প্রযুক্তি সম্পর্কিত অথ্য ও জ্ঞান নিয়মিত সেমিনার সিম্পোজিয়াম ও ট্রেনিং এর মাধ্যমে যাঁরা পোল্ট্রি পেশায় টেকনিক্যাল পদে বিভিন্ন খামার, ব্রিডার ফার্ম, ফিড মিল অথবা মার্কেটিং এ প্রান্তিক খামারিদের পোল্ট্রি পালনে কারিগরি বা ম্যানেজমেন্ট সংক্রান্ত সার্ভিস দিয়ে থাকেন তাদের দক্ষ করে তোলায় স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান হিসাবে ভূমিকা রাখা।
যা ইতিমধ্যে আমরা নিয়মিত ভাবে নির্দিষ্ট বিরোতিতে সেমিনার এবং ট্রেনিং আয়োজনের মাধ্যমে করে যাচ্ছি।
আমরা পিপিবি কর্ম পরিচালনা করতে গিয়ে একটি বিষয় অনুধাবন করতে পেরেছি যে প্রান্তিক খামারীরা নানান ভাবে বঞ্চিত এবং বেশিরভাগ খামারীরা অধুনিক পোল্ট্রি পালন বিষয়ে পর্যাপ্ত ধারনা রাখেন না। প্রধান সমস্যা হল খামারীরা সারা দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন, তাদের সাথে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ করাও সম্ভব নয়।
যেহেতু বর্তমানে সোসাল মিডিয়ায় যুক্ত কম বেশি সবাই ফেইস বুকে যুক্ত আছেন আমরা আমাদের বিবেচনায় এই মাধ্যমেই প্রান্তিক খামারিদের সাথে যোগাযোগের একটি ফ্ল্যাট ফর্ম গড়ে তুলেছি আমাদের একটি পেইজ এবং একটি পাব্লিক গ্রুফের মাধ্যমে। দিনে দিনে দেশের সকল প্রান্ত থেকে খামারিরা আমাদের অনলাইন ফ্ল্যাট ফর্মে যুক্ত হচ্ছেন যদিও সরাসরি তাঁদের সাথে আমাদের চেনা পরিচয় নেই কিন্তু আমাদের স্বার্থ অভিন্ন। আমাদের শ্রমে ঘামে এবং পুঁজিতে উৎপাদিত পন্যের সঠিক দাম পাওয়া।
আমরা আমাদের স্বেচ্ছাসেবী কর্মের মাধ্যমে দেশের বিশেষ বিশেষ পোল্ট্রি জোনের প্রতিদিনের পাইকারি দামের গড় বাজারমূল্য দিয়ে যাওয়ার চেস্টা করছি।
বাজার মূল্য প্রাপ্তির জন্য আমাদের আরো বেশি স্বেচ্ছাসেবক প্রয়োজন এবং সেটা প্রতিটি উপজেলা থেকে। আমরা যদি সুনির্দিষ্ট একটি জেলার প্রতিটি উপজেলার প্রতিদিনের বিক্রিত মুল্য পাই তাহলে পাইকারি দামের ভুলের মাত্রা আরো কম হবে এবং প্রায় কাছাকাছি মুল্য পাব।
আমরা ইতিমধ্যে দেশ ব্যাপ্তি আমাদের নতুন কর্মসূচি জেলা উপজেলা এবং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে নিবেদিত প্রান স্বেচ্ছাসেবী টিম গঠন ঢাকাস্থ শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কমিটি গঠনের মাধ্যমে আরম্ভ করেছি-
ধারাবাহিক ভাবে প্রতিটি জেলা উপজেলায় আমরা কমিটি গঠন করব-
স্বেচ্ছা সেবক টিম গঠনের উদ্দেশ্যঃ
১. প্রতিদিনের বাজার মুল্য যেন আমরা প্রতিটি উপজেলা থেকে পাই এবং তা যেন নির্ভুলভাবে হয়।
২. আপনারা প্রতিটি উপজেলা জেলায় যদি স্বাধীন প্রান্তিক খামারী সংগঠন গড়ে তুলেন তাহলে আমাদের স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক টিম আপনাদের সার্বিকভাবে সব সময় সহযোগিতা করবে।
৩. ক্রমে ক্রমে যদি প্রতিটি জেলা উপজেলায় পোল্ট্রি প্রফেশনাল’স বাংলাদেশের স্বেচ্ছাসেবক কমিটি গঠিত হয় আপনারা জেলা উপজেলা কমিটি গুলো খুব সহজে আপনাদের নিকটবর্তী বাজার দাম খুব সহজে নিজেদের চ্যানেলে জেনে যেতে পারবেন- ফলে দালাল আর সিন্ডিকেট আপনাদের প্রতিদিনের দাম নিয়ে লুকোচুরি করতে পারবে না।
৪. পোল্ট্রি প্রফেশনাল’স বাংলাদেশ যথা সাধ্য চেস্টা করবে সেমিনার সিম্পোজিয়াম জেলা অথবা বিভাগ ভিত্তিক শুরু করতে।
৫. প্রতিটি উপজেলা জেলা প্রান্তিক খামারিদের সংগঠনের সাথে পোল্ট্রি প্রফেশনাল’স বাংলাদেশ সরাসরি যুক্ত থাকবে না কিন্তু আমাদের স্বেচ্ছাসেবী টিমের মাধ্যমে আপনাদের সকল কর্মসূচিতে সহযোগিতা করবে।

 

অঞ্জন মজুমদার(পিপিবি এডমিন)

Please follow and like us:

About admin

Check Also

একজন ভেট এর সাথে কি কি থাকা জরুরি।

একজন ভেট এর সাথে কি কি থাকা জরুরি। আগে জানতে হবে ডাক্তার কোন স্পিসিস নিয়ে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »