#প্রসাব কালীন ছাগীর পরিচর্যাঃ
১.প্রসবের কয়েকদিন পূর্বে ও পরবর্তী ৭ দিন ছাগীকে দানাদার খাদ্যও নরম ঘাস/লতা পাতা দিতে হবে।
২. ১৪৩-১৫২ দিন তাই বাঁচ্চা প্রদানের ৮-১০দিন পুর্বেই তাকে আলাদা করতে হবে।
৩. প্রসাবের ১-২ দিন পূর্বে ওলানে অতিরিক্ত দুধ জমলে তা টেনে ফেলে দিতে হবে।
৪. সহজে বাঁচ্চা প্রসব না হলে কিংবা বাঁচ্চা প্রসবের পর ৮-১০ ঘন্টার মধ্যে গর্ভফুল বা প্লাসেন্টা না পড়লে পশু চিকিৎসকের সহায়তা নিতে হবে।
৫. গর্ভফুল বা প্লাসেন্টা পড়লে অতি দ্রুত ছাগীর কাছ থেকে সরিয়ে নিতে হবে। যাতে ছাগী তা খেয়ে ফেলতে পারে। যা (ময়লাযুক্তটা) খেলে ছাগল অসুখে বিসুখে আক্রান্ত হতে পারে তাতে ছাগী অসুস্থ হয়ে শুকিয়ে যেতে পারে এবং দুধ কমে যেতে পারে।
৬. ছাগীর বাঁচ্চা প্রসবের পর কমপক্ষে ৪৮ ঘন্টা মা ছাগল থেকে সর্তক থাকবেন। অসাবধনতায় নিজেই চাঁপা দিয়ে নিজ বাঁচ্চাকে মেরে ফেলতে পারে।
৭.অনেক সময় নতুন ছাগী মা হলে বাচ্চার দিকে কোন মনোযোগ থাকেনা! উদাসহীন! ঊাচ্চাকে দুধ দিতে চাইনা। দুধ খাওয়াতে গেওে অস্থির ভাব দেখায় ছোটাপাড়া করে। এসকল ক্ষেত্রে ছাগীকে ধরে ২/১ দিন দুধ খাওয়ালে এমনিতে অভ্যাস হয়ে যায় পরে নিজ থেকে দুধ দিতে শুরু করে।
৮. বাচ্চা জন্ম নেওয়ার পর অনেক ছাগীর দুধ একটু দেরিতে আসে সেক্ষেত্রে গ্লুকোজ ইঞ্জেকসন ৫% প্লাষ্টিক বোতর টি কুসুম গরম পানিতে কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রেখে তারপর মুখে খাইয়ে দিতে পারেন। অথবা বিকল্প দুধ / মানুষের বাচ্চাদের জন্য দুধ যেটা বাজারে কিনতে পাওয়া যায় সেটা খাওয়াতে পারেন।
#গবাদী পশুর গর্ভফুল খাওয়াঃ
স্তন্যপায়ী প্রাণির সাবক জন্মের পর তা গর্ভফুল খাওয়ার ঘঁনাটাকে প্লাসেনোটোফেগি বা গর্ভফুল ভক্ষণ বলে।
গর্ভফুলে উচ্চমাত্রায় প্রোস্টা গ্লানডিন থাকে। প্রোস্টাগ্লানডিন ইনভালুশান বা জরায়ু সংকোচনে সহায়তা করে।
গর্ভফুলে সামন্য পরিমাণে অক্সিটোসিন (এক প্রকার হরমোন) ও থাকে।
অক্সিটোসিন জন্মদানের ধকল কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করে ও স্তন্ন কোষের অশেপাশের পেশিকে সংকুচিত করে ও দুধ নিঃসরণ করে।
গর্ভফুল ভক্ষণ মানুষের ক্ষেত্রে কোন হরমোনাল প্রভাব ফেলে কি না সে সর্ম্পকে আজও গবেষণা হয়নি।
তবে পরিষ্কার ময়লা মুক্ত গর্ভফুল খেলে বরং পশুর উপকার সাধিত হবার কথা।
প্রোস্টাগ্লানডিন ও অক্সিটোসিন এদুটি উপাদান জরায়ু সংকোচনে সহায়তা এবং স্তন কোষের অশেপাশের পেশিকে সংকুচিত করে ও দুধ নিঃসরণ করতে সহায়তা করে।
MA Islam