বাচ্চা পালন
বাচ্চা পালন

ছাগলের বাচ্চা পালন পদ্ধতিঃ

#বাচ্চা পালন পদ্ধতিঃ
। একটা ছাগীর যদি দুইটি বাচ্চা হয় প্রাকৃতিক ভাবে মায়ের দুধে বেড়ে উঠে গ্রোথে সমস্যা হয়না।

খামারীও লাভবান হয়।দুয়ের অধিক হলে ঝুক্কি ঝামেলার অন্ত নেই এটা কর সেটা কর ইত্যাদি।

#এখন প্রশ্ন বাচ্চা যদি দুয়ের অধিক হয় তখন করণীয় কি ?
#দুটো পদ্ধতিতে ছাগলের বাচ্চা পালন করা হয় । যথা-
(১) প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে মায়ের সঙ্গে ও

(২) কৃত্তিম পদ্ধতিতে মা বিহীন অবস্থায় পালন ।
প্রতিটি পদ্ধতির সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে তবে এদের প্রাকৃতিক পদ্ধতিটি প্রচলিত । সাধারণত দু’ সপ্তাহ বয়স থেকেই বাচ্চারা কাঁচা ঘাস বা লতাপাতা খেতে শুরু করে ।

তাই এদের নাগালের মধ্যে কচি ঘাস , লতা পাতা এবং দানাদার খাদ্য রাখতে হয় । সময় বাচ্চাদের জন্য প্রচুর উন্মুক্ত আলো বাতাসের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন । গ্রীষ্মকালে দিনের বেলা গাছের নিচে বেড়া দিয়ে বাচ্চা পালন করা যায় ।

এতে এরা একদিকে পর্যাপ্ত ছায়া পেতে পারে । অন্যদিকে দৌড়াদৌড়ি এবং ব্যায়াম করার প্রচুর সুযোগ পায়, যা তাঁদের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য প্রয়োজন ।

প্রতিটি বাচ্চা ছাগলকে জন্মের প্রথম সপ্তাহে দৈনিক ৩০০-৩২৫ মি. লি. দুধ ৩-৪ বারে পান করাতে হবে ধীরে ধীরে দুধের পরিমাণ বৃদ্ধি করে ৬-৭ সপ্তাহে তা ৭৫০-৮৫০ মি. লি. দুধ কিভাবে পাবে ? এ উন্নীত করতে হবে ।

দুধের বিকল্প খাদ্য ৩ সপ্তাহ বয়সের পর খেতে দেয়া যেতে পারে । ১০-১১ সপ্তাহে দৈনিক দুধ সরবরাহের পরিমাণ ২০০-১০০ মি.লি. নামিয়ে আনতে হবে ।

এ সময় দৈনিক ১০০-১৫০ গ্রাম দানাদার খাদ্য ও প্রচুর কচি ঘাস, লতাপাতা সরবরাহ করতে হবে । ৩-৪ মাস বয়সে দুধ পান করানো পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে হবে ।

কারণ এ সময় শক্ত খাদ্যদ্রব্য খাওয়ার জন্য বাচ্চার পাকস্থলী পুরোপুরিভাবে তৈরি হয়ে যায়

৩. মায়ের দুধের পরিমাণ কম এমন বাচ্চাকে বোতলে অন্য ছাগলের দুধ বা বিকল্প দুধ (মিল্ক রিপে−সার) খাওয়াতে হবে।

এক্ষেত্রে হালকা গরম (৩৮-৩৯০সে. তাপমাত্রার) দুধ খাওয়ানো উচিত।
৪. শীতের সময়ে বাচ্চাকে মায়ের সাথে রাখতে হবে। এ সময় ঘরের তাপমাত্রা ২৫-২৮০সে. থাকলে ভালো হয়।বোতলের সাহায্যে মিল্ক রিপে−সার খাওয়ানো হচ্ছে

৫. বাচ্চা যেন অতিরিক্ত দুধ না খেতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। অতিরিক্ত দুধ খাওয়ার ফলে বাচ্চার ডায়রিয়া হতে পারে যা অনেক সময় মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

৬. পাঁঠার জন্য সবচেয়ে ভালো ছাগলের পুরুষ বাচ্চা নির্বাচন করতে হবে এবং যত্ন নিতে হবে। যেসব পুরুষ বাচ্চা প্রজনন কাজে ব্যবহৃত হবে না তাদেরকে ২-৩ সপ্তাহের মধ্যে খাসী করাতে হবে।

৭. প্রতিদিন কিছু পরিমাণ কাঁচা ঘাস বাচ্চাকে খাওয়ানোর অভ্যাস করাতে হবে। এর ফলে প্রয়োজনীয় ভিটামিনসহ অন্যান্য খাদ্য উপাদানের অভাব হবে না।
শরৎ ও হেমন্তকালে ছাগলের মৃত্যুরহার অত্তাধিক বেশি থাকে এ সময় কৃমির আক্রমণ দেখা দিতে পারে । তাছাড়া নিউমোনিয়া এবং এন্টারোটক্সিমিয়া ব্যাপক হারে দেখা দিতে পারে । তাই এ সময় সতর্কতা অবলম্বন করা উচিৎ ।

#বাচ্চা ছাগলের দানাদার খাদ্য মিশ্রণের নমুনাঃ
চালভাঙ্গা- ২৫%+ খেসারিভাংগা-২৫%+গমের ভুষি -২৫%+সয়াবিন খৈল- ১৬%+প্রোটিন কনসেন্টেট – ২%+সয়াবিন তেল-১%+চিটাগুড়-৪%+ এবংলবন-১%+ ভিটামিন- মিনারেল প্রিমিক্স-০.৫%+ ডি.সি. পি- ০.৫% ।

#বাচ্চা ছাগলের দানাদারখাবারের পরিমানঃ-
দৈনিক বাচ্চা ছাগলের দৈহিক ওজনের ১% দানাদারখাবার যথেষ্ট।

MA Islam

Please follow and like us:

About admin