Breaking News

পোল্ট্রি শিল্পের ভবিষ্যত

পোল্ট্রি শিল্পের ভবিষ্যতঃ

গন্তব্য ৩টি।

১.কন্ট্রাক্ট ফার্মিং

২.যেভাবে আছে সেভাবেই চলবে।

৩.সমন্বয় করে বাজার স্থিতিশিল রাখবে।পোল্ট্রি বোর্ড করে।পোল্ট্রি বোর্ড করলেই হবেনা।উপযুক্ত লোক রাখতে হবে।

১.কন্ট্রাক ফার্মিংঃ

কোম্পানী চাচ্ছে কন্ট্রাক ফার্মিং করতে।এতে কোম্পানী ইচ্ছেমত সুবিধা নিতে পারে।খামারীর সুবিধা অসুবিধা ২টাই আছে।ডিলারকে যে সুবিধা দেয়া সেটা খামারী ও কোম্পানী ভাগাভাগি করতে পারবে কারণ কন্ট্রাক ফার্মিং এ ডিলার থাকবে না।

কন্ট্রাক ফার্মিং নিয়ে লেখার শেষে আছে।

২.বর্তমান মার্কেট সিস্টেম।

সাপ্লাই ডিমান্ড সূত্র অনুযায়ী ।এই নিয়মে আমাদের সেক্টরটা ধবংস হয়ে গেছে/যাচ্ছে।

৩.সমন্বিয় সিস্টেম।

এই সিস্টেমে চললে সবার লাভ হত।আমার যে প্রস্তাবনা (সবার সব বিষয়গুলোকে এক সাথে সাজিয়েছি)আছে সেটা মেনে চললে ৯০% সমস্যার সমাধান হত।কিন্তু এই প্রস্তাবনা উপর মহলে পৌছে দেয়ার জন্য যোগ্য দায়িত্বশীল ব্যক্তি দরকার। আমরা সেই ব্যক্তির অপেক্ষায় আছি।

প্রধানমন্ত্রীর নজর ছাড়া পোল্ট্রি সেক্টরের সমাধান হবে না। কেউ করবে না।

যারা যায়িত্বে আছে তারা বুঝেও না আবার বুঝতেও চায় না।কিছুদিন আগে একটা অধিদপ্তরে গিয়েছিলাম।কথা বলতে চেয়েছিলাম কিন্তু কথা শেষকরতে দেয়নি।

কথা শুনে মনে হল তাদের কাছে কোন সমাধান নাই,যেভাবে আছে সেভাবেই চলুক।প্রান্তিক খামারীদের নিয়ে তাদের সামান্যতম চিন্তাভাবনা নাই।উনারা ভাবে এসব খামারীদের দিয়ে লাভ নাই।এদের দিয়ে হবেনা।কিন্তু একবার ও ভাবেনা ৫০লাখ লোক বেকার হলে সামাজিক অবস্থা কেমন হবে।

কন্ট্রাক ফার্মিং এর সুবিধা

১.একটা লাভজনক দামে মুরগি বিক্রি করতে পারে. ফিক্সড দাম ১৩০টা কিন্তু দাম ১৩০টাকার বেশি হলে বাড়তি দামের ৫০% খামারী পাবে বাকি ৫০% কোম্পানী পাবে।

কম দামেবাচ্চা(৩৫-৪০টাকা) ও খাবার পায়।(নরমাল দাম থেকে ২০০-৩০০টাকা/বস্তা কম)

অসুবিধাঃ

১.কন্ট্রাক্ট ফার্মিং এ দক্ষ,নগদী এবং ভাল খামারীরা স্বাধীনতা থাকবেনা।সেক্টর চলে যাবে কর্পোরেট কোম্পানীর কাছে সেখান থেকে আর ফিরে আসা যাবে না।

২.কন্ট্রাক্ট ফার্মিং এ সবার কর্মসংস্থান ঠিক থাকবে কিনা তা নিয়ে ভাবতে হবে।

কন্ট্রাক ফার্মিং এবং প্রান্তিক প্রচলিত ফার্ম এক সাথে চলার সুযোগ নাই।যে কোন একটা চলতে হবে।

কারণ কন্ট্রাক ফার্মিং এ খামারীরা ভাল বাচ্চা ও খাবার পায়।ভাল দাম পায়।

লস হয় না।অপরদিকে প্রচলিত খামারীরা লস এবং লাভের ২টার হবার সম্ভাবনা আছে তবে লসের সম্ভাবনা বেশি ।বাচ্চার প্রোডাকশন কম থাকলে কোম্পানী গুলো নিজেদের কন্ট্রাক ফার্মে বাচ্চা দিয়ে থাকে।বাকীরা দাম বেশি হবার জন্য বাচ্চা নিতে পারেনা।দামও পায় না।যেমন এখন কন্ট্রাক ফার্মে বাচ্চা যাচ্ছে ৩৫-৪০টা দামে অপর দিকে প্রচলিত খামারীরা বাচ্চা নিতে পারছে না।কারণ তারা লস দিয়ে হাতে টাকা নাই।ডিলার ও বাকি দিচ্ছেনা।কারণ ডিলার ও লাখ লাখ কোটি কোটি টাকা লস করছে।বাচ্চা নিলেও ৫৫-৬০টা করে নিতে হচ্ছে।এই দামে লাভ হবার সম্ভাবনা কম।কারণ দাম যদি ১৭০টাকার বেশি না থাকে তাহলে লস হবে।

২.ব্ল্যাংক চেক দেয়ায় কোম্পানী ইচ্ছে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারে।

কোন কোন কোম্পানী হাজারে ১৬০০০০-১৮০০০০টাকা অগ্রিম নিয়ে থাকে।ব্যবসা না করলে পরে টাকা ফেরত দিবে তবে তা অনেক প্রসেসের এবং সময়ের ব্যাপার।কোন কোন ক্ষেত্রে এই নিয়ে সমস্যা হয়েছে।

নোটঃ একেক কোম্পানীর একেক নিয়ম।কেউ অগ্রিম টাকা নেয় কেউ আবার অগ্রিম টাকা নেয় না।দামের ক্ষেত্রেও কম বেশি আছে।

কন্ট্রাক ফার্মিং এ ডিলার প্রথা ভেংগে যাবে।এতে কিছুটা সুবিধা আছে আবার অসুবিধা আছে।

অসুবিধাঃ

ডিলার ইচ্ছে মত খামারীদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার সুযোগ থাকে যেহেতু বাকি ব্যবসা।তবে যারা নগদে পালে তাদের সমস্যা নাই।

সুবিধাঃ

ডিলার প্রথা না থাকলে কন্ট্রাক ফার্মিং এ খামারীর খরচ কমে যাবে।ডিলারদের যে সুবিধা দেয়া হয় সেই সুবিধা খামারীকে দেয়া যাবে।

ভি আই পি নোটঃ(যদি কন্ট্রাক ফার্মি এ যেতে হয়)

১.কন্ট্রাক ফার্মিং এ গেলেও কোম্পানীগুলোকে মনিটরিং এ রাখতে হবে। এক্ষেত্রেও সরকারের পাশাপাশি বি পি এ কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।

২.একটা জাতীয় কন্ট্রাক ফার্মিং নীতিমালা করতে হবে।সেখানে চেক,অগ্রীমটাকা,ব্লাংক চেক,লভ্যাংশের হিসাব,খামারীর দায়িত্ব সব থাকতে হবে।এক্ষেত্রেও বাংলাদেশ পোল্ট্রি এসোসিয়েশন কে সাথে রেখে কাজ করতে হবে।

৩.ব্যাংক চেক নেয়া যাবে না।চেকে নির্ধারিত টাকা উল্লেখ করতে হবে।এগ্রিম টাকা নেয়ার সিস্টেম থাকলেও সেটা ন্যাশনালভাবে একটা নির্ধারিত পরিমাণ রাখতে হবে।সেটাও সবাইকে মানতে হবে।ব্যবসা না করলে ৫কার্য দিবসের মধ্যে খামারীকে টাকা ফেরত দিতে হবে।

তবে একটা সিস্টেমে আসলেই ভাল হবে।চেক অথবা টাকা।

নোটঃ

এক হাজার ব্রয়লারের জন্য ৫-৬লাখ বিনিয়োগ করা লাগে।লেয়ারে ১০-১২লাখ টা বিনিয়োগ করা লাগে।তাই বাধ্য হয়েই অনেকে বাকি ব্যবসা করে।

কে কোন সিস্টেম চাচ্ছেন?আপনাদের কোন মন্তব্য থাকলে করতে পারেন।

নোটঃ কোম্পানীর লস দাম বাড়িয়ে পুষিয়ে নিতে পারে কিন্তু খামারী সেটা পারেনা।তাই খামারী হারিয়ে যায়।কোম্পানী হারায় না

।হারালেও সংখ্যায় তা সামান্য।

Please follow and like us:

About admin

Check Also

করোনার প্রভাবে পোল্ট্রি শিল্পে নিন্মমুখী ধারা অব্যাহত- জরুরি প্রয়োজন বহুপক্ষীয় উদ্যোগ।

করোনার প্রভাবে পোল্ট্রি শিল্পে নিন্মমুখী ধারা অব্যাহত- জরুরি প্রয়োজন বহুপক্ষীয় উদ্যোগ। করোনার দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »