রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় অনুষ্ঠিত হয় ৩দিন ব্যাপি আন্তর্জাতিক পোল্ট্রি মেলা ।
এতে ২২ দেশের প্রায় ৫০০টি কোম্পানী অংশ নেয়।
এই প্রোগ্রামে প্রায় ১লাখ লোকের সমাগম হয়েছিল।
১ম দিন
৭ তারিখে সকালে ১১ তম আন্তর্জাতিক পোল্ট্রি মেলার উদ্বোধন করেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।তিনি কয়েকটি চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন যেমন
উচ্চ সুধের হার,বাজার ব্যবস্থা ও বিদেশী বাজারে পোল্ট্রি রপ্তানী ।
বঙ্গ বন্ধু শেখ মজিবুর মেডিকেল বিশ্রবিদ্যালয়ের সাবেক ডীন এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন পুস্টির ঘাটতির পূরণে পোল্ট্রি শিল্পের বিকপ্ল নাই।
ডিম ও মাংসের দাম কম কিন্তু পুস্টি বেশি।
সবাই খেতে পারে এমন কি ডায়াবেটিক রোগীও খেতে পারে ।ক্লোলেস্টেরল কম তাই রিক্স নেই।
২য় দিন
বি পি আইসির মহাপরিচালক মশিউর রহমান বলেন ২০৩০ সালের মধ্যে পোল্ট্রির ডিম ও মাংসে এন্টিবায়োটিক মুক্ত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
প্রবায়োটিক ও প্রিবায়োটিকের ব্যবহার অনেক বেড়ে গেছে।
বেঁচে থাকার জন্য পোল্ট্রির বিকল্প নাই বলে তিনি উল্লেখ করেন।
২য় দিনে শো এর পাশাপাশি ছিল বিভিন্ন প্রতিযোগিতা
পোল্ট্রি কুকিং কন্টেস্ট
চিকেন সেলফি প্রতিযোগিতা
কুকিং শো
১ম পুরস্কার ছিল ২০ হাজার টাকা
২য় পুরস্কার ১৫ হাজার
৩য় পুরস্কার ১০ হাজার
পরের ৭ জন কে দেয়া হয় ৫ হাজার টাকা করে।
৩য় দিন
সমাপনী দিনে প্রাণী সম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু এম পি পোল্ট্রি সেক্টরের কিছু বিষয় তুলে ধরেন যেমন
পোল্ট্রি খাদ্যের ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধি,নতুন নতুন রোগ, মেডিসিনের কার্যকারিতা কমে যাওয়া ইত্যাদি।
তিনি আরো বলেন এই সরকার প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন নীতিমালা,পোল্ট্রি উন্নয়ন নীতিমালা ও নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ প্রণয়ন করেছে।
ডিম ও মাংস রপ্তানীর জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে ।মধ্যপ্রাচ্যের দেশ গুলোতে ২০২৪ সালের মধ্যে রপ্তানীর সুযোগ আছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বিশেষ অতিথি মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রাইসুল আলম মণ্ডল বলেন,রপ্তানীর জন্য স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর ও গাইডলাইন অতি তাড়াতাড়ি তৈরি হবে।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহফুজুল হক আধুনিক জবাইখানা নির্মাণ ও খোলা বাজারে জীবন্ত মুরগি বিক্রি বন্ধের সুপারিশ করেন।
প্রানী সম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক বলেন দেশে প্রায় ৮৮ হাজার পোল্টি ফার্ম আছে।
বি পি আইসির সভাপতি মশিউর রহমান বলেন পোল্টি শোর প্রভাবে দেশে আগামী ২ বছরে বিনিয়োগ বাড়বে ৫হাজার কোটি টাকা।
তিনি আরো বলেন H9N2 ভাইরাসের টিকা অনুমতি দেয়ার কথা বাব বার বলার পর ও দেয়া হচ্ছে না।কাচামালের উপর শুল্ক ও কর কমানো এবং প্রবায়োটিক ও প্রিবায়োটিকের উপর ৫ বছরের জন্য ভর্তুকি দেয়ার আহবান জানান।
অবৈধ ফিডমিল উচ্ছেদ,পোল্টি উন্নয়ন বোর্ড,সারা বছর ডিম ও মাংসের ন্যায্য মূল্য পাওয়ার নিশ্চয়তা চান তিনি।
ওয়াপসা বাংলাদেশ শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাহাবুব হাসান বলেন অপুস্টির হার কমাতে ডিম ও মাংসের ভূমিকা অনেক।
মেলায় বেস্ট স্টল ক্যাটগরিতে
১ম পুরস্কার পায় এ সি আই লি
২য় পুরস্কার নাহার এগ্রো লিঃ
৩য় পুরস্কার রেনাটা লিঃ
কে কি কিভাবে উপকৃত হয়
এই শিল্পের সাথে অনেক কিছু জড়িত আমরা শুধু একেক জন একেক কাজে জড়িত যেমন
১।ফিডমিল
২।ব্রিডার ফার্ম
৩।হ্যাচারী
৪।মেডিসিন.
৫।ভ্যাক্সিন কোম্পানী
৬।ফিড ইন গ্রেডিয়েন্ট আমদানী ও উতপাদনকারী প্রতিষ্ঠান
৭।ডিলার
৮।খামারী
৯।প্রসেস ও ফারদার প্রসেস কোম্পানী.
১০।ভোক্তা
১১।মিডিয়া
মেলার মাধ্যমে সবাই এক ছাতার নিচে চলে আসে।
সাধারণ জনগণঃ
ঢাকায় যারা থাকে তারা এমন কি অনেক গ্রামের লোকজন ও জানে না, লেয়ার কোথায় থাকে, কি ধরণের খাবার খা্য়, কত দিন পর পর ডিম দেয়।
মানুষ ৪০ টাকা কেজি চাল খেলেও ব্রয়লার কিন্তু ৪৫-৪৭টাকা কেজি ধরের খাবার খায়। অনেকে মনে করেন মুরগি কম দামি খাবার খায়।
মুরগির খাবার যে ফরমুলায় বানানো হয় তা মানুষ ও সেভাবে খায় না।
লেয়ার ও ব্রয়লার এ সি তে( ব্রিডার ফার্ম ,বড় বড় কমার্শিয়াল ফারম) খাকে যা অনেকের কাছে কাল্পনিক।
পোল্ট্রি কোথায় থাকে, কি খায়, কেমনে পালন করা হয় সব বিষয়ে একটা ধারণা তৈরি হয়েছে যারা মেলায় এসেছে।
তাছাড়া সেসব ভূল বিশ্বাস ও অপ প্রচার ছিল তা দূর হয়ে যায়।
পোল্ট্রি পেশাজীবী
যারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকে সবার সাথে দেখা করার সুযোগ এমন হয় না তাই সবার মাঝে দেখা সাক্ষাতের সুযোগ তৈরি হলো।
নিজেদের মধ্যে বন্ধন দৃঢ় হয়।
টেকনিক্যাল ও মার্কেটিং বিষয়ে আলোচনা হয়।
ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসায়িক আলোচনা করে নিতে পারে।
পোল্ট্রি সেক্টরে যারা নতুন তারা সহজেই তাদের সম্ববনা ও ভবিষ্যৎ জীবন সম্পর্কে ধারণা পায়।
ডিলারঃ
কোম্পানী ও খামারীর মাঝখানে যার অবস্থান তিনি হলেন ডিলার।
মেলায় বিভিন্ন কোম্পানীর বিভিন ফিড ও ফিডের উপাদান, মেডিসিন , টিকা ,বাচ্চা ও এই সেক্টরের সাথে জড়িত সবার সম্পর্কে জানতে পারে।
খামারী
খামারী বিভিন্ন প্রযুক্তি,যন্তপাতি ও ব্যবস্তাপনা সম্পর্কে ধারণা পায় এবং নিজেদের ভুল ত্রুটি দূর হয়।
ভোক্তাঃ
ভোক্তা যা খায় তার সম্পর্কে যদি ধারণা না থাকে তাহলে সে অপ প্রচার দ্বারা বিভ্রান্ত হতে পারে।
মেলায় এসে পোল্ট্রি সম্পর্কে ধারণা পাওয়ায় সে আরো ১০ জন কে ডিম ও মাংস খাওয়ার ব্যাপারে উৎসাহিত করতে পারে।