পশুর বিভিন্ন সংক্রামক রোগের প্রতিরোধ ব্যবস্থাঃ-
কিছু বিষয় খেয়াল রাখলে বিভিন্ন সংক্রামক রোগ অনেকটাই প্রতিরোধ করা যায়।যেমনঃ
★নতুন প্রাণি ক্রয় করার পর প্রাণিগুলাকে খামারের অন্যান্ন প্রাণির সাথে না রেখে প্রায় ৩ সপ্তাহ আলাদা রেখে পর্যবেক্ষন করবেন।
এ সময়ের মধ্য যদি নতুন ক্রয় করা প্রাণিগুলোর কোন রোগের লক্ষন প্রকাশ না পায় তাহলে পুরাতন প্রাণিগুলার সাথে রাখবেন।
★বহিরাগত মানুষকে খামারে প্রবেশ করাতে হলে তাদের পা, জুতার তলা জীবানুনাশক দিয়ে ধুয়ে তারপর করাবেন।
★যে সমস্ত সংক্রামক রোগের টিকা পাওয়া যায় সেগুলো নিয়ম মত সঠিক সময়ে দিয়ে দিবেন।সাথে পাশ্ববর্তী খামারে দেওয়ারও ব্যাবস্থা করবেন।
★পশুকে কখনো পচা বাসি খাবার দিবেন না।সবসময় স্বাস্থসম্মত খাবার দিবেন।
★খামারে মশা,মাছি এ গুলার উপদ্রপ যাতে না হয় সে ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।
★খামারে রোগাক্রান্ত প্রাণির যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
★দুধালো গাভীর অন্যতম সমস্যা হল উলান প্রদাহ বা ম্যাস্টাইটিজ।এ বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে
কিছু অসাবদানতার কারনে সহযেই আপনার ফার্মে রোগটি প্রবেশ করতে পারে।যেমন
★ওলানের ছিদ্র দিয়ে কোন জীবানু প্রবেশ করলে।
★ওলানে কোন আঘাতের মাধ্যমে।
★অধিক দুধ ওলানে জমা হলে এবং দোহন না কেরলে
★অপরিষ্কার হাতে দুধ দোহন করলে ইত্যাদি এরকম আরও অনেক কারন আছে।
প্রতিরোধঃ
★যে দুধ দোহন করবে তার হাত দোহন করার আগে পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।প্রয়োজনে এন্টিসেপটিক দিয়ে দুয়ে নিবেন।
★দুধ দোহন করার পর এন্টিসেপটিক দ্বারা গাভীর ওলান ধৌত করতে হবে।
★ওলানে যেন কোন আঘাত না লাগে সেদিকে খায়াল রাখতে হবে।
★ওলানে যেন অতিরিক্ত দুধ না জমে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
★সেডের মেজে সপ্তাহ খানেক পর পর এন্টিসেপটিক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে আর মেজেতে যাতে কোন গর্ত না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
****এ রোগটি হলে দুধ উৎপাদন কমে যায়,দুধের ল্যাকটোজ,প্রোটিন,ক্যালসিয়াম,ফ্যাট ইত্যাদিও কমে যায় আর চিকিৎসার খরচও অনেক বেশি, অনেক সময় দেখা যায় বাট দিয়ে আর দুধই আসে না। তাই চিকিৎসার চেয়ে প্রতিরোধ করাই উওম
ফেসবুক থেকে নেয়া