Breaking News

কোয়েলের খাদ্য গ্রহণের পরিমাণ

কোয়েলের খাদ্য গ্রহণের পরিমাণ

কোয়েলের খাদ্য গ্রহণের পরিমাণ এদের বয়স, ধরন (উদ্দেশ্য), মৌসুম (শীত, গ্রীষ্ম বা বর্ষাকাল) এবং খাদ্য বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের (প্রধানত শক্তি ও আমিষ) ঘনত্ব ইত্যাদির উপর নির্ভর করে৷ জন্মের দিন থেকে ৫ সপ্তাহ পর্যন্ত বাচ্চাপ্রতি মাত্র ৪০০ গ্রাম খাদ্যের প্রয়োজন হয়৷

ছয় সপ্তাহ বয়স থেকে প্রতিটি পাখি দৈনিক ২০-২৫ গ্রাম করে খাদ্য খায়৷ গড়ে প্রতিটি প্রাপ্ত বয়স্ক কোয়েলের জন্য বছরে মাত্র ৮ কেজি খাদ্যের প্রয়োজন হয়৷ ডিমপাড়ার পূর্বে প্রতিটি কোয়েলী থেকে এক গ্রাম ডিম উত্পাদনের জন্য প্রায় ৩.০ গ্রাম খাদ্য সরবরাহ করতে হয়৷
খাদ্য সংরক্ষণঃ

অন্যান্য প্রাণীর মতো কোয়েলের খাদ্য ও সঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে হবে৷ নিম্নলিখিত বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে৷ যেমন-

• খাদ্যে ছত্রাক ও অন্যান্য জীবাণুর দূষণ যেন না ঘটে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে৷
• খাদ্যদ্রব্য ব্যবহারের পূর্বে পরীক্ষা করে, উত্পাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ দেখে ব্যবহার করতে হবে৷ খাদ্য শুষ্ক ও পরিস্কার জায়গায় রাখতে হবে৷
• ড্রাম বা টিনে রাখলে ভালভাবে পাত্রের মুখ বন্ধ করতে হবে, আর বস্তায় রাখলে বস্তার মুখ ভালভাবে বন্ধ করতে হবে৷
• খাদ্যে যেন আফলাটক্সিন জন্মাতে না পারে সেজন্য প্রয়োজনে প্রতি টন খাদ্যে ২ কেজি মাত্রায় ক্যালসিয়াম প্রোপিওনেট যোগ করলে ভাল হয়৷
• ৮ সপ্তাহের বেশী সংরক্ষণ করলে খাদ্যের ভিটামিন নষ্ট হয়ে যায় ও খাদ্য পঁচে যেতে পারে, তাই খাদ্য সংরক্ষণে সাবধান হতে হবে৷

পানি ব্যবস্থাপনাঃ

যেকোন প্রাণীর ক্ষেত্রেই পানির গুরুত্ব অপরিসীম৷ খাদ্য বিপাক, দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, রক্তে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান ও রাসায়নিক দ্রব্য পরিবহন প্রভৃতি এই পানির মাধ্যমেই ঘটে বাচ্চা কোয়েলের পানির প্রয়োজনীয়তা খাদ্যের পরিমাণ ও বয়সের সাথে বদলাতে থাকে৷ সাধারণত দেখা যায় ১২-১৫, ১৯-২২ ও ২৬-২৯ দিন বয়সে এরা দেহের ওজনের যথাক্রমে ৪.২, ৩.১ ও ২.৭ গুণ পানি গ্রহণ করে৷ এরপর থেকে প্রতিগ্রাম ওজন বৃদ্ধির জন্য ২ গ্রাম হারে পানি গ্রহণ করে৷ তবে, সাধারণভাবে যে-কোন বয়সের কোয়েল শুষ্ক খাবারের দ্বিগুণ পানি গ্রহণ করে থাকে৷ নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর প্রতি সবসময় দৃষ্টি রাখতে হবে৷ যেমন-

• পাখিকে সব সময় পরিস্কার ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে হবে৷
• প্রতিটি পাখির জন্য পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি ও পাখির পাত্র সরবরাহ করতে হবে৷
• তিনবেলা খাবার সরবরাহ করার সময় বিশুদ্ধ পানিও সরবরাহ করতে হবে৷
• শুঁটকি মাছ পড়ে বা অন্য কোনভাবে পানির পাত্র যেন নোংরা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে৷
• পানির পাত্রগুলো দৈনিক কমপক্ষে দু’বার পরিষ্কার করতে হবে৷
• পানির পাত্র পুরোপুরিভাবে পূর্ণ করা উচিত নয়৷ এতে পানি পড়ে লিটার স্যাঁতসেঁতে হয়ে যায়৷

ফেসবুক থেকে নেয়া

Please follow and like us:

About admin

Check Also

কবুতরের প্রাকৃতিক মেডিসিন

কবুতর/পাখির জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রাকৃতিক ঔষধ ও উপকারিতাঃ

কবুতর/পাখির জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রাকৃতিক ঔষধ ও উপকারিতাঃ ১) তুলসী পাতা : ঠান্ডা, কাশি, শ্বাস …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »