Breaking News
ডেইরী ফার্মের কাজের রুটিন
ডেইরী ফার্মের কাজের রুটিন

ডেইরী ফার্মের কাজের রুটিন।বিস্তারিত

*ডেইরী ফার্মের কাজের রুটিন।
১#সকাল ৫/৬টার মধ্যে গোয়াল ঘড় পরিস্কার।
২#৬/৭টার মধ্যে দানাদার খাদ্য।
৩#৭/৮টার মধ্যে দুধ দোহন।
৪#৮/৯মধ্যে কাচা ঘাস বা খর দেওয়া।
৫#৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত গাভীকে রেষ্ট
৬#দুপুর১২টা থেকে২টার মধ্যে গরু ও ঘড় পরিস্কার।
৭#২টা থেকে ৩টার মধ্যে দানাদার খাদ।
৮#বিকাল৩/থেকে ৫টার মধ্যে দুধ দোহন, আর যদি আপনি আগে দুধ দোহন করেন তাহলে পরে দানাদার খাদ্য দিতে হবে।
৯#সন্ধা৫/৬টার মধ্যে কাচা ঘাস বা খর দিতে হবে।
১০#রাত্রে ৮/৯টা মধ্যে গোয়াল ঘড় ওপানির হাউজ পরিস্কার করে হাওজে সাদা পানি দিয়ে রাখতে হবে।

অথবা

সকাল ৬-৬.১৫ পর্যন্ত গাভী ও বকনার হিট পর্যবেক্ষন

৬.১৫-৭ পর্যন্ত গোয়াল ঘরের গবর সরানো ও পরিস্কার করা,

৭-৭.৪৫ পর্যন্ত গোসল, ব্রাশিং ও খাবার পানি প্রদান,

৭.৪৫-৮.১৫ পর্যন্ত দানাদার খাদ্য প্রদান,

৮.১৫-৯ পর্যন্ত দুধ দোহন ও টিট ডিপিং,

৯-৯.১৫ পর্যন্ত জীবানু নাশক স্প্রেইং

৯.১৫-১১ টা পর্যন্ত পরিমান মত কাঁচাঘাস ও খড় প্রদান,

বিশ্রাম
,,,,,,,,,,,,,,,

১১-৩.২০ জাবর কাটা ও বিশ্রাম,
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

বিকেল
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

৩.২০-৪ পর্যন্ত পরিস্কার ও খাবার পাত্রে পানি প্রদান,

৪-৪.৩০ পর্যন্ত দানাদার খাদ্য প্রদান,

৪.৩০-৫ পর্যন্ত দুধ দোহন ও টিট ডিপিং

৫-৫.১৫ জীবানু নাশক স্প্রেইং

৫.১৫-রাত ৮ পর্যন্ত পরিমান মত কাঁচা ঘাস ও খড় প্রদান,

রাত
,,,,,,,,,,,,

৮ টায় পানির পাত্রে পানি প্রদান,

বিশ্রাম
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

রাত ৮ – সকাল ৬ টা পর্যন্ত জাবর কাটা ও বিশ্রাম,

রাতে কৃত্তিম আলো না জ্বালানোই ভাল,এতে গাভীর ঘুমে ব্যঘাত ঘটে।

এমডি সোহেল।

দুগ্ধ খামারের দৈনন্দিন কার্যাবলী :
——————————————————-
অনেকেই জানতে চান একটি দুগ্ধ খামারের দৈনন্দিন কাজ গুলি কি কি ভাবে, কোনটা কোন সময়ে করতে হয়।

অথবা,এক কথায় বলা যেতে পারে একটি দুগ্ধ খামারের দৈনন্দিন কাজের রুটিন টা কেমন হবে তা নিচে দেয়া হলো

১। দুগ্ধবতী গাভীকে প্রচুর বিশ্রাম দিতে হয়,এতে তার দুধ উৎপাদন বাড়ে। এ কারণে গাভীকে ভোর ৬ টা বাজার আগে কখনোই তুলবেন না। তাহলে আমরা বুঝলাম যে গাভীকে ভোর ৬ টায় তুলে দিতে হবে।
২। ভোর ৬ টা থেকে সকাল ৭ টার মধ্যে গাভীর ঘর এবং গাভী গুলিকে পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। ঘর পরিষ্কার করবেন পানির সাথে জীবাণুনাশক দিয়ে। গাভীর ওলানও পটাশের পানি দিয়ে ধুয়ে দিবেন হোক সেটা দুধাঁলো বা গর্ভবতী। রানের পিছনের দিক,পেটের নিচ এবং ক্ষুরা সহ পা ধুয়ে দিবেন ভালো করে। বাছুর গুলিরও পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করবেন।
৩। সকাল ৭ টা বাজে দুধ দোয়াবেন এবং এক ঘন্টার ভিতর সব গাভীর দুধ দুইয়ে ফেলবেন। মনে রাখবেন গাভীর দুধ দ্রুত দোয়াতে হয়, কারণ একটি গাভী যখন দোয়ানোর জন্য তৈরী হবে তখন থেকে মাত্র ৮-১০ মিনিট তার অক্সিটোসিন হরমোন নি:সরণ শুরু হয়।কাজেই দ্রুত দুধ দোওয়ানোর কাজ সারতে হবে।
৪। সকাল ৮ টায় দুধ দোয়ানোর কাজ শেষ হওয়ার সাথে সাথে গাভীকে দানাদার খাদ্য সরবরাহ করবেন। এরই মধ্যে বাছুর গুলোর মধ্যে যেগুলি দানাদার খাদ্য খেতে শিখেছে তাদের খাদ্যও দিতে হবে।
৫। গাভীর খাদ্য গ্রহনের পর্ব শেষ হলে তাকে কিছুক্ষণ বিশ্রাম দিয়ে, সকাল ১১ টায় কিছু কাঁচা ঘাস আর খড় দিবেন। বাছুর গুলি এসময় বেধে ফেলবেন।
৬। দুপুর ১ টায় গাভী গুলি কে গোছল করিয়ে দিবেন ভালো করে। এর পর আবার বিশ্রাম।
৭।বিকাল ৪ টায় দুধ দোয়াবেন।
৮। বিকাল ৫ টায় দানাদার খাদ্য দিবেন।
৯। সন্ধ্যে ৬ টায় কাঁচা ঘাস আর খড় দিবেন।
১০। রাত ৮ টার ভিতর গরুর খাদ্য পাত্র থেকে সব কিছু সরিয়ে তা পরিষ্কার পানি দিয়ে পূর্ণ করে দিবেন। মনে রাখবেন দুধাঁলো গাভীকে কমপক্ষে ১৩ ঘন্টা ঘুম এবং উৎপাতহীন বিশ্রামের সুযোগ দিতে হবে এবং এটা করলে গাভীর দুধ উৎপাদন ১৫%-২০% বাড়ে!!!

 

mukti mahmud(PDF)

#গাভীর_দৈনন্দিন_পরিচর্যাঃ

1.প্রতিদিন সঠিক সময়ে খাদ্য প্রদান করতে হবে।
2.পরিমিত পরিমাণ খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
3.নিয়মিত গাভীকে গোসল করাতে হবে।
4.গাভীর থাকার স্থান পরিস্কার ও শুস্ক রাখতে হবে।
5.গোবর ও মূত্র নিয়মিত পরিস্কার করতে হবে।
6.গাভীর ঘর সংলগ্ন ড্রেন নিয়মিত পরিস্কার করতে হবে।
7.খাদ্য সরবরাহের পূর্বে খাদ্যের পাত্র পরিস্কার করতে হবে।
8.খাদ্য সংরক্ষন ঘর পরিস্কার করতে হবে।
9.শুস্ক আঁশ জাতীয় খাদ্য সঠিকভাবে প্রক্রিয়াজাত অবস্থায় পরিবেশন 10.করতে হবে অর্থাৎ ছোট আকারে কেটে দিলে ভালো হয়।
11.দানাদার খাদ্য সঠিকভাবে ভেঙে দিতে হবে।
12.ভেজালমুক্ত খাবার পরিবেশন করতে হবে।
13.২-৪ মাস পর পর পশু চিকিৎসকের সহায়তায় গোবর পরীক্ষা করে 14.দেখতে হবে গাভী কৃমি আক্রান্ত কিনা। প্রয়োজনে খামারে 15.কৃমিনাশক ব্যবহার করতে হবে।
16.নিয়মিত রোগ প্রতিষেধক টিকা প্রয়োগ করতে হবে।

#বাছুরের_যত্ন :

আশানুরূপ উৎপাদন পেতে হলে জন্মের পর হতেই একটি বাছুরের যত্ন, পরিচর্যা, খাদ্য ও প্রতিপালন ব্যবস্থা উন্নত হওয়া প্রয়োজন। খামার স্থাপন করে লাভবান হতে শংকর জাতের অথবা দেশী উন্নত জাতের ও অধিক উৎপাদনশীল গাভী পালন করা উচিত।

এ ধরনের গাভী হতে প্রাপ্ত বাছুরের অধিক যত্ন প্রয়োজন এবং এজন্য এদের পরিচালনা ব্যবস্থা সম্বন্ধে সম্যক জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। জন্মের পর প্রথমেই বাসস্থানের পাশেই শুকনা জায়গায় বাঁশ দিয়ে ঘেরাও করে শুকনা খড় বিছিয়ে বাছুরের থাকার ব্যবস্থা করে দিতে হবে। কয়েকদিন পর পর ঘর পরিষ্কার করে পুরনো খড় ফেলে দিয়ে অথবা রোদে শুকিয়ে নতুন করে দিতে হবে।

#বাছুরের খাদ্য ও পুষ্টিঃ
জন্মের পর প্রথম কয়েক মাস পর্যন্ত বাছুরের দৈহিক বৃদ্ধি অতি দ্রুত হয়।

তাই জন্মের পর প্রথম তিন মাস বাছুরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি অতি গুরুত্বপূর্ণ।

এ সময় পুষ্টির অভাব হলে বাছুরের দৈহিক বৃদ্ধি ক্ষতিগ্রস্থ হয়, যৌবন প্রাপ্তি দীর্ঘায়িত হয় অর্থাৎ গর্ভধারণ ক্ষমতা বিলম্বিত হয় বলে খামারীর ক্ষতির কারণ হয়।

#দুধঃ
সাধারণত একটি বাছুরকে তার শরীরের ওজনের ১০% ভাগ দুধ খাওয়াতে হয়।

খেয়াল রাখতে হবে জন্মের পর প্রথম ৫-৭ দিন বাছুরকে যেন অবশ্যই শালদুধ খাওয়ানো হয়।

৬-৮ সপ্তাহ পর্যন্ত দৈনিক নির্দিষ্ট সময়ে দুধ খাওয়াতে হয়। পরবর্তী সময়ে দৈনিক ২ বেলা নির্দিষ্ট পরিমাণ দুধ খাওয়ানোই যথেষ্ট কেননা এ সময়ে বাছুর আঁশ ও দানাদার খাদ্য গ্রহণে অভ্যস্ত হয়ে উঠে।

একটি বাছুরকে প্রতিদিন নিম্নলিখিত মাত্রায় দুধ খাওয়ানো উচিতঃ

বয়স দুধের পরিমাণ

১ম সপ্তাহ ২ লিটার
২য় সপ্তাহ ৩ লিটার
৩য়-১২ সপ্তাহ ৪ লিটার
১৩-১৬ সপ্তাহ ৩ লিটার
১৭-২০ সপ্তাহ ২ লিটার
দুধ ছাড়া পর্যন্ত ১ লিটার

#বাছুরের জন্য আঁশ ও দানাদার খাদ্যঃ

বাছুরকে জন্মের ১ মাস পরেই কিছু কিছু কাঁচা ঘাস ও দানাদার খাদ্যে অভ্যস্ত করে তুলতে হয়।

২ মাস বয়স হতে পরিমিত সহজপাচ্য আঁশ জাতীয় খাদ্য এবং দৈনিক ২৫০ গ্রাম-৫০০ গ্রাম দানাদার খাদ্য দিতে হবে।

বয়স অনুসারে ক্রমান্বয়ে দানাদার খাদ্যের পরিমাণ বাড়িয়ে ৪ মাস বয়সে দৈনিক প্রায় ৭৫০ গ্রাম, ৬-৯ মাস বয়স পর্যন্ত ১ কেজি এবং এক বৎসর বয়সে দৈনিক ১.৫ কেজি দানাদার খাদ্য দিতে হবে।

অনুরূপ কাঁচা ঘাসের পরিমাণ বাড়িয়ে দৈনিক ৬-৮ কেজি পর্যন্ত দিতে হবে।

#বাছুরের জন্য দানাদার খাদ্যঃ

 

উপাদান      নমুনা-১      নমুনা-২
গমের ভূষি  ৩.৫ কেজি  ৬.৫ কেজি
খেসারী ভাঙ্গা ১.৫ কেজি   ২.৫ কেজি
ছোলা ভাঙ্গা    ১ কেজি —
গম/ভূট্টা ভাঙ্গা  ২.৫ কেজি
তিলের খৈল     ১ কেজি      ৫০০ গ্রাম
খনিজ মিশ্রণ     ৪০০ গ্রাম    ৪০০ গ্রাম
লবণ            ১০০ গ্রাম      ১০০ গ্রাম
সর্বমোট =     ১০ কেজি   ১০ কেজি

#বাছুরের জন্য আঁশ জাতীয় খাদ্যঃ

বয়স কাঁচা ঘাস/ খড়
৬-৯ মাস ৪-৫ কেজি ১-২ কেজি
৯-১২ মাস ৫-৬ কেজি ২-৩ কেজি
১৩ মাস-গর্ভধারণ পর্যন্ত ৬-৮ কেজি ৩-৪ কেজি
পূর্বে আলোচিত পদ্ধতিতে প্রস্ত্ততকৃত প্রক্রিয়াজাত অথবা সংরক্ষিত কাঁচা ঘাস ও খড় খাওয়ানো ভাল।

#বাছুরের স্বাস্থ্য পরিচর্যাঃ

কতিপয় রোগের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে হলে বাছুরের মালিককে কিছু রোগের প্রতিরোধ ব্যবস্থা সম্বন্ধে সচেতন হতে হবে। বাছুরের সাধারণ রোগ হলো-
১. সাদা উদরাময় বা কাফ স্কাউর
২. নেভাল ইল বা নাভীর রোগ
৩. সর্দি বা ঠান্ডা লাগা
৪. উদরাময় বা ডায়রিয়া
৫. কৃমি
৬. গিরা রোগ
এসকল ক্ষেত্রে অবশ্যই ভেটেরিনারি চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করে পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।

#
#বাছুরের টিকা প্রদান ও কৃমির ঔষধ খাওয়ানোর তালিকাঃ

#বাছুরের বয়স টিকা কৃমির ঔষধ মন্তব্য:

৭-২১ দিন — Piperazin Citrate
৪৫ দিন ক্ষুরা রোগ — ৬ সিসি করে চামড়ার নীচে প্রয়োগ
৪ মাস ক্ষূরা রোগ Albendazole ৬ সিসি করে চামড়ার নীচে প্রয়োগ
৬ মাস বাদলা (BQ) — প্রতি বছরে ১ বার
৬ মাস ২১ দিন তড়কা (Anthrax) — প্রতি বছরে ১ বার
৭ মাস ১৪ দিন গলাফুলা ((HS) — প্রতি বছরে ১ বার
৮ মাস — Triclabendazole বছরে ২ বার
১০ মাস ক্ষুরা রোগ ৬ সিসি করে চামড়ার নীচে প্রয়োগ
প্রতিটি টিকা প্রদানের মাঝে কমপক্ষে ১৪ দিন অবশ্যই বিরতি দিতে হবে।

Please follow and like us:

About admin

Check Also

নবজাতক বাছুরের যত্ন ও করণীয় :

নবজাতক বাছুরের যত্ন ও করণীয় : স্তন্যপায়ী প্রায় সকল প্রাণীর জন্মপ্রক্রিয়া প্রায় একই হলেও কিছু …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »