মাঝে মাঝে কিছুগরু পাওয়া যারা দীর্ঘদিন ধরে কম খায়। চিকিৎসকের শরনাপন্ন হলে চিকিৎসক প্রথমে কৃমির চিকিৎসা দেয়।সাথে লিভার টনিক খেতে দেয়,মেটাবলিক ইনহেন্চার ইনজেকশন দেয়।এরপরও যখন উন্নতি হয় না,তখন মালিক চিকিৎসা বন্দ্ধ করে। এর অনেকগুলো কারন হতে পারে, যেমন যক্ষা,ট্রাইপ্যানোসোমিয়াসিস,মুখে অতিরিক্ত এ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ানোর কারনে সেলুলোজ হজম কারী রুমেন মাইক্রোফ্লোরা মারা যাওয়া,মুখে মেট্রিল,এ্যামোডিস খাওয়ানো, ক্রোনিক কিটোসিস। অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম প্রয়োগ।
ট্রিপ্যানোসোমিয়াসিস রোগে খাওয়া বা জাবর কাটা থাকে,অনেক সময় মুখে সুতার মত লালা পড়তে দেখা যায় যা মাঝে মাঝে ঘটে।দুপুর পর গায়ের লোম কাটা দিয়ে উঠে, তখন তাপমাত্রা ১০৫ ডিগ্রি পর্য্যন্ত ওঠে।খাওয়া জাবর স্বাভাবিক থাকায় মালিকের নজরে পড়েনা। শেষ পর্যন্ত এক সময় বুকের ছিনার নীচে পানি জমতে দেখা যায়।তখন মালিকের নজরে আসে। এক্ষেত্রে ইনঃ ব্যাবেনিল ৮ –১০ মিলি/১০০ কেজি দৈহিক ওজনে চামড়ার নীচে ইনজেকশন করলে ৮থেকে১০ ঘন্টার মধ্যে গরুর খাওয়ার চাহিদা বেড়ে যায়।তাতে বোঝা যায় চিকিৎসা সফল।
অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম প্রয়োগের ইতিহাস থাকবে, আর গরুর মাংশ পেশী, জয়েন্ট শক্ত হবে, শুতে উঠতে কষ্ট হবে।তাপমাত্রা থাকবে ১০৩-১০৪ ডিগ্রি।দাত কাটবে।আমরা দাত কাটলে কৃমি আক্রান্ত মনে করি।
আমাদের দেশে কম খাওয়ার মুল কারন বিপাকীয় সাধারন যখন কয়েক দিন পাতলা পায়খানা,অন্য কোন অসুখে,বা হাট থেকে ক্রয় করার কারনে বা দীর্ঘদিনের অপুষ্টির কারনে ক্রমান্বয়ে শরীরে কার্বোহাইড্রেটের ঘাটতি হয়। তখন কার্বোহাইড্রেটের অভাবে শরীরে এনার্জির প্রয়োজনে প্রথমে ষ্টোর গ্লাইকোজেন ব্যবহৃত হয়,তাতে না হলে শরীরে তখন জমা চর্বি থেকে চর্বি মেটাবলিজম হয়ে এনার্জি সরবরাহ করে এই অতিরিক্ত পরিমান চর্বির বিপাকের ফলে,অতিরিক্ত বাই প্রোডাক্ট হিসেবে কিটোন বডিস নামে ৩টা কেমিক্যাল রক্তের মধ্যে জমা হয়। বেশী পরিমান কিটোন বডি রক্তে জমা হলে।তখন গরুর প্রস্রাব,দুধ ও নিশ্বাসে কিটোনের মিষ্টি গন্দ্ধ পাওয়া যায়। গরু খাওয়া বন্দ্ধ করে।
dr sk md robiul alam firoz