Breaking News

খাবারের এনার্জি,প্রোটিন,ফ্যাট এবং খাদ্যের উপাদান( সুষম খাবার)

সুষম খাদ্য মানেই,
১)শর্করা
(গম, ভুট্টা, ধান, কুড়া, ভুষি, ঘাস, খড় ইত্যাদি)
২) আমিষ ( ২ প্রকার, যথা প্রানীজ ও উদ্ভিজ, প্রানীজ আমিষ হলো MBM বা শুটকী গুড়া, উদ্ভিদ আমিষ মুলত ডাল ও ডালেই গাছে পাওয়া যায়।)
৩) স্নেহ ( বিভিন্ন তৈল বীজের খৈল থেকে পাওয়া যায়।)
৪) ভিটামিন ( শরীরের বিপাকীয় ক্ষমতা বজায় রাখা বা বৃদ্ধি করা,আরো সহজে বললে বলা যায়, আপনি যা খাওয়াবেন সেটাকে কাজে লাগানোর ক্ষমতা বৃদ্ধি করা বা বজায়ে রাখা)
৫) মিনারেলস বা লবন ( এটার মুল কাজ হলো শরীরবৃত্তীয় কাজকে ঠিক রাখা, শরীরের সাম্যাবস্থা বজায় রাখা, মনে রাখবেন বেশি হলেও সমস্যা, কম হলেও সমস্যা। তবে সামান্য কম বা বেশি হলে সমস্যা হয় না সাধারণত)
৬) পানি, ( পানির অপর নাম জীবন। দেহের ৬০-৭০% পানি, আর রক্তের ৯২% পানি, পানি খাওয়াবেন তো পরিমান মত প্রস্রাব হবে, শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের হয়ে যাবে, শরীরের তাপমাত্রা বজায় থাকবে, শরীরে রক্তের সাম্যাবস্থা বজায় থাকবে, রক্তের আয়তন বৃদ্ধি পাবে, পাকস্থলী থেকে সারাদেহে পুষ্টি উপাদান পৌছানো সহজতর হবে ইত্যাদি)

এখন একটা ব্যাপার প্রায়ই আমাদের গবাদি পশুর গ্রুপ গুলোতে আলোচনা হয়। তা হলো কোন উপাদান কতটুকু দেব!!!

এখানে দুটো বিষয় খুব মুখ্য:
১) শক্তি/ ক্যালরি
২) খাদ্য উপাদানের সঠিক অনুপাত।

আপনি যখন প্রানীকে খাওয়াবেন তখন তার কোন বয়সে ও ওজন অনুযায়ী কত মেগা/কিলো ক্যালরি শক্তি দরকার সেটা যেমন মাথায় রাখতে হবে, ঠিক তেমনি কোন উপাদান সর্বোচ্চ কত শতাংশ হারে ও সর্বনিম্ন কত শতাংশ হারে তার খাবারে দিতে হবে সেটাও মাথায় রাখতে হবে৷

শুধু ক্যালরি হিসাব করলে যেমন ভুল হবে তেমনি শুধু উপাদানের % হিসাব করলেও ভুল হবে।
এর জন্য দরকার দুটোর সমন্বয়। আর সেই সাথে বাস্তব অভিজ্ঞতা।

যেমন, আপনি ১০০ গ্রাম শর্করা খাওয়ায়ে যে পরিমাণ ক্যালরি পাবেন, ৫০ গ্রাম স্নেহ জাতীয় খাবার খাওয়ালে তার চেয়েও বেশি ক্যালরি পাবেন।
তাই বলে কি আপনি শর্করা বাদ দিয়ে স্নেহ জাতীয় খাবার খাওয়াবেন???

নাহ, কখনোই না।

কেন খাওয়ানো যাবে না?
কারণ মোট খাবারের ৪-৬% এর বেশি স্নেহ জাতীয় খাবার খাওয়ালে প্রানীর সমস্যা হবে।

কি সমস্যা হবে??

আমরা মানুষেরা চর্বি বেশি খাইলে যেমন হার্টের রোগে ভুগী, আমাদের অবলা পশুগুলোও এমন রোগে আক্রান্ত হয়, কিন্তু তারা মুখে বলতে পারে না?

এখন আসি আমিষের ব্যাপারে। আমাদের খামারী ভাইয়েরা কম বেশি সবাই আমিষ নিয়ে চিন্তিত। হ্যাঁ, আমিও চিন্তিত। তবে এর সমাধান আছে।

আমরা জানি মোট খাবারের প্রায় ২০% লাগে আমিষ।

এই আমিষ কই পাবো??
MBM বা শুটকী গুড়া। কিন্তু এদের দাম ও অপ্রতুলতার জন্য প্রানীকে এসব সর্বরাহ করা বেশ কঠিন।
তাহলে কি করতে পারি??
আমরা আমাদের পশুদেরকে ডালের ভূষি ও ডালের গাছ খাওয়াইতে পারি।

প্রশ্ন হলো ডালের ভুষির দাম বেশি, কেমনে কি করা যায়!!!

সহজ উত্তর। আপনি যদি আপনার প্রানীর জন্য ২০ শতাংশ জমিতে ঘাস করতে পারেন তাহলে আপনার উচিত সেখান থেকে ৪-৫ শতাংশ জমিতে ডাল চাষ করা।

আপনার জমি স্বল্পতা??
সমস্যা নাই। খামারের চারপাশে বারোমাসী শিম গাছ লাগাইয়ে দেন। শিমের পাতা খাওয়ান, শিম খাওয়ান, আমিষের ঘাটতি পুরন করুন। ( আমি বলছি না সম্পুর্ন ঘাটতি এভাবে পূরণ করা সম্ভব, কিন্তু যতটা পুরন হোক বা কেন সেটাই বা কম কিসে???)

এখন কিছু কথা বলবো,
শর্করার পাশে যেসব দানাদারের নাম লিখেছি সেখানে যে শুধু শর্করা আছে এমন না, সেখানেও আমিষ, স্নেহ, ভিটামিন, মিনারেল আছে।
একই রকম ভাবে আমিষেও শর্করা, স্নেহ, ভিটামিন, মিনারেল ইত্যাদি থাকে।

আর একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো, হজম করার জন্য পাচকরস ( digestive juice) লাগে। সব প্রানীর পাচকরস এক রকম নয়। একটা পশুর সাথে পাচকরসের সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি আপনি প্রানীকে হঠাৎ করে কিছু দিলেই যে সেটা হজম করতে পারবে এমন না। এমনও হতে পারে আপনি তাকে যা দিচ্ছেন সেটা হজম করার ক্ষমতা আল্লাহ আপনার প্রানীকে দেনই নাই। যেমন, আমরা মানুষেরা সেলুলোজ জাতীয় শর্করা হজম করতে পারি না। কিন্তু মাছ মাংস হজম করতে পারি ভালোভাবেই?। তেমনি ভাবে আপনার প্রানীগুলো সেলুলোজ হজম করতে পারলেও মাছ মাংস খুব বেশি একটা হজম করতে পারবে না, আল্লাহ তাকে সেভাবেই সৃষ্টি করেছেন।

আমার এই লেখাগুলো বেশ এলোমেলো। অনেক ভুল ভ্রান্তি হয়তো রয়েছে। তবে নিজে যা জানি বা জানতেছি সেটাই আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। ভুল ভ্রান্তি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য অনুরোধ রইলো। আর ভুল গুলো শালীন ভাষায় ধরিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ রইলো।

আপনাদেরই একজন,
কামরুল হাসান মিথুন।
BDS student, Dhaka Dental College and hospital.
খামার মালিক,
Ranch of Twenty Eight Agro Farms
ইসলামপুর, জামালপুর।
মাহমুদুল হাসান মামুন চিশতী

পশুর খাদ্য ঃ
খাদ্যের উপাদান সমুহ ঃ খাদ্যের উপাদান ৬ প্রকার যেমনঃ–
১) আমিষ ( প্রোটিন) জাতীয় খাদ্য – উদাহরন – ছোলা, মাসকালাই ইত্যাদি।
২) শ্বেত সার জাতীয় খাদ্য, উদাহরণ — চাউলের কুড়া, গমের ভূষি।
৩) স্নেহ জাতীয় খাদ্য, উদাহরণ – সরিষা, তিসিও তিলের খৈল।

৪) খনিজ জাতীয় খাদ্য — উদাহরণ — লবণ।

৫) ভিটামিন ও খনিজ– বিভিন্ন প্রকার সবুজ শাক- শবজিতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন পাওয়া যায়।

৬) পানি।

খাদ্যের কাজ ঃ

১) আমিষ ( প্রোটিন) জাতীয় খাদ্য – শরীর গঠনের সাহায্য করে অর্থাৎ মাংস বৃদ্ধি করে।
২) শ্বেতসার জায়ীয় খাদ্য– কাজ করার ক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীরের স্বাভাবিক তাপ ঠিক রাখে।
৩) স্নেহ জাতীয় খাদ্য– তাপ ও কর্ম ক্ষমতা বজায় রাখার জন্য শক্তি মওজুত করে।
৪) খনিজ জাতীয় খাদ্য — হজম শক্তি ও রক্তের তরলতা রক্ষা করে।
৫) ভিটামিন শরীরের বিপাকীয় কার্যে সহায়তা করে।
৬) পানি – বিশুদ্ধ পানি শরীরের তাপ, রক্তের সমতা ও সুস্বাস্হ্য রক্ষা করে।
উন্নতমানের, পাউডার ক্যালসিয়াম ১ কেজি
মাএা, ৫০ গ্রাম করে দিনে ২ বার খাওয়াবেন।
কোমি ক্যালসি ভিট

Please follow and like us:

About admin

Check Also

গরু মোটাতাজাকরণে ‘ফারমেন্টেড কর্ন’ তৈরীর প্রণালী

গরু মোটাতাজাকরণে ‘ফারমেন্টেড কর্ন’ তৈরীর প্রণালী খামারি ভাইয়েরা বলে, “খড় তো নয় যেন সোনা খাওয়াচ্ছি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »