Breaking News

গাবতলি গরুর হাটের আদ্যপ্রান্ত!

গাবতলি গরুর হাটের আদ্যপ্রান্ত!
————————————————–
পূর্বে, বৃহত্তর ঢাকার মানুষ গরু সংগ্রহ করত নরসিংদীর পুইট্টা হাট থেকে। উনিশ শতকের দ্বিতীয় দশকে ঢাকার গাবতলীতে গরুর হাট বসতে শুরু করে। গাবতলী তখন ছিল ঢাকার অদূরে বিচ্ছিন্ন গ্রাম। ঢাকাবিদ আপেল মাহমুদের লেখা থেকে জানা যায় গাবতলীর পশুর হাট বসানোর সম্পূর্ণ কৃতিত্ব মিরপুরের জমিদার মুন্সীলাল মিয়ার। মুন্সীলাল মিয়া ১৯১৮ সালে প্রতিষ্ঠা করেন গাবতলী পশুর হাট। তখন সপ্তাহে এক দিন শনিবার হাট বসত। তখনকার হাট অবশ্য বর্তমান জায়গায় ছিল না। তখন হাট বসত মিরপুর মাজার রোডের দুই পাশে। শুধু ঢাকা নয়, হাট শুরুর সময় থেকেই আশপাশের বিভিন্ন এলাকার লোকজন কোরবানির পশু কিনতে গাবতলীতে চলে আসতেন। সাভার, কেরানীগঞ্জ, নবাবগঞ্জ, দোহার, ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ এবং নরসিংদী এলাকার মানুষ ৫০-৬০ কিলোমিটার পথ হেঁটে গাবতলী থেকে পশু কিনে বাড়ি ফিরতেন। মূলত কম দামে পছন্দসই পশু গাবতলীতে পাওয়া যেত বলেই দূর থেকে ক্রেতা আসত। অতীতে পশুর হাটটি ওয়াক্‌ফ এস্টেটের অধীনে চললেও পরবর্তী সময়ে সেটি সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত করা হয়েছে।

লর্ড কারমাইকেল রোডের বাসিন্দা আব্দুল হক মিয়া জানান, মুন্সিলাল মিয়া এস্টেটের আয়ের বড় একটা উৎস ছিল গাবতলীর গবাদি পশুর হাট। ১৯৭৩ সালে হাটটি সরকার জাতীয়করণ করে। মূলত তখন থেকেই সপ্তাহের পরিবর্তে প্রতিদিন এখানে হাট বসতে শুরু করে। বদলে যায় হাসিল আদায়ের প্রথা। হাটের শুরুর দিকে গরু প্রতি চার আনা হাসিল আদায় করা হতো। ওয়াক্‌ফ এস্টেটের আওতায় থাকার শেষ দিকে যা এক টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। ১৯৮৬ সালে ঢাকা সিটি করপোরেশনের (ডিসিসি) উদ্যোগে তুরাগ নদের তীরবর্তী বর্তমান জায়গায় গবাদি পশুর হাটটির কার্যক্রম শুরু হয়।

গাবতলী গরুর হাটে শুরু থেকেই কোরবানির ঈদের সময় বসত জমজমাট পশুর হাট। ঢাকার আদি বাসিন্দারা ১৫-২০ মাইল হেঁটে গিয়ে গরু কিনে বাড়ি ফিরতেন। এখন পর্যন্ত এই হাট দেশের বৃহৎ পশুর হাট হিসেবে পরিচিত। গাবতলী এখন রাজধানী ঢাকার অংশ। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির ফলে ঢাকা বা ঢাকার বাইরের যে কেউ এই হাট থেকে পশু কিনে দ্রুত বাড়ি পৌছাঁতে পারেন।

 Collected
Please follow and like us:

About admin

Check Also

টিকা ও ওষুধের ব্যবহার পদ্ধতি (এম এ ইসলাম)

টিকা ও ওষুধের ব্যবহার পদ্ধতি  টিকা ও ওষুধের সঠিক ব্যবহার রোগপ্রতিরোধ ও নিরাময় নিশ্চিত করে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »