গবাদিপশুর ক্ষেত্রে ক্যালসিয়াম এর গুরুত্ব ও খাওয়ানোর পরিমাণ
যেহেতু দুধে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে সেহেতু দুধ উৎপাদনের সাথে ক্যালসিয়ামের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।
বিশেষ করে অধিক দুধ উৎপাদন ক্ষমতার গাভীর জন্য অধিক পরিমাণে ক্যালসিয়াম এর প্রয়োজন রয়েছে।
ঘাস ক্যালসিয়ামের প্রধান প্রাকৃতিক উৎস হলেও অধিক উৎপাদনশীল গাভীর ক্ষেত্রে অনেক সময় কৃত্তিমভাবে ক্যালসিয়াম সরবরাহ করার প্রয়োজন হয়।
প্রাকৃতিক ক্যালসিয়ামের চেয়ে কৃত্রিমভাবে সরবরাহকৃত ক্যালসিয়াম গরুর শরীরে দ্রুত শোষিত হয়।
আবার ক্যালসিয়াম স্বল্পতায় আক্রান্ত গরুর চেয়ে সুস্থ গরু দ্রুত ক্যালসিয়াম শোষিত করে।
ওজন বয়স এবং দুধের পরিমাণ ভেদে গরুর শরীরে ক্যালসিয়াম এর প্রয়োজন ভিন্ন হয়ে থাকে।
তবে স্বাভাবিক ভাবে দুধ উৎপাদনকারী গাভীর জন্য ড্রাই মেটারের এর ০.৬৭% এবং ড্রাই পিরিয়ড এর জন্য .৪৫% এবং বকনা এবং ষাড়ের জন্য ড্রাই ম্যাটারের এর ০.৪০% ক্যালসিয়াম সরবরাহের প্রয়োজন হয়। হতে পারে সেটা প্রাকৃতিক উৎস অথবা কৃত্তিম ভাবে।
তবে তা কখনোই ১% এর বেশি নয়।
আর একটু সহজ করে বলি, যদি ৫০০ কেজি ওজনের একটি গাভী ২০-২৫ লিটার দুধ দেয়, যার ফ্যাট ৪.৫% এবং প্রোটিন ৩.৫%।
তাহলে তার খাদ্যে দৈনিক ১০০ – ১০৭ গ্রাম ক্যালসিয়াম থাকতে হবে।
গাভীর শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি ডেইরী খামারের একটি নীরব ঘাতক।আপনি যতই ভাল ভাল খাবার দেন,আর ভিটামিন খাওয়ান।কোন লাভ হবে না যদি পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম গাভীকে না দেন।গর্ভবতী,দুগ্ধবতী গাভী এমন কি যে গরু ভবিষ্যতে মা হবে তার জন্যও পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম দরকার।এ কথা কোন খামারীর অজানা নয়।
ক্যালসিয়ামের অভাবে গাভীর মিল্ক ফিবার নামক রোগ হতে পারে যার সুচিকিৎসা না হলে খামারের জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসতে পারে।
ক্যালসিয়ামের উৎস হিসেবে:
বােন মিল বা হাড়ের গুঁড়ো , ডাই – ক্যালসিয়াম ফসফেট ও ডাই – সােডিয়াম ফসফেট খাদ্যের সাথে সরবরাহ করা যায়।
আগামী পোস্টে ক্যালসিয়াম সম্পর্কে আরো বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
ডা: মোঃ শাহিন মিয়া
বিসিএস প্রাণিসম্পদ
ভেটেরিনারি সার্জন
চৌদ্দগ্রাম কুমিল্লা।
০১৭১৬১৬২০৬১(ইমো)