খামার বন্ধ হওয়ার পেছনে কি কি কারন..??
১
#খাদ্য_মুল্য _বেশিঃ
অধিকাংশ খামারের লসের বেশির ভাগ কারন থাকে অধিক খাদ্যমুল্য। যেটা নিয়ন্ত্রণ না করতে পেরে খামারি লস গুনতে গুনতে একটা সময় খামার বন্ধ করতে বাধ্য হয়।
এলাকায় সহজলভ্য খাদ্য দিয়ে খাদ্য তালিকা তৈরি করতে হবে। যদি সম্ভব হয় তাহলে নিজে খাদ্য উৎপাদন করতে হবে।
২
#সহজলভ্য_চিকিৎসা_ব্যবস্থা_না_থাকাঃ
আমাদের দেশে গবাদিপশুর চিকিৎসা ব্যবস্থা খুব বেশি উন্নতা না। প্রত্যান্ত গ্রাম অঞ্চলে চিকিৎসক পাওয়া ও দুঃস্কর তাই চিকিৎসা ব্যবস্থা সম্পর্কে নিকটস্থ এলাকার খামারি, ভেটেরিনারি চিকিৎসক, অনলাইন পরিচিত খামারি ভাইদের সাথে আলোচনা করা যোগাযোগ রাখা।
নিজে চিকিৎসা সম্পর্কে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করা। কিছু ঔষধ খামারে রাখা এবং ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা।
৯০%খামারি অপরিকল্পিত ভাবে বিনিয়োগ করে। এখন
যারা সফল তাদের শুরুটা কিন্তু এমন ছিল না অধিকাংশ খামারি শখের বশে শুরু করলেও পরবর্তী সময়ে বানিজ্যিক চিন্তা ভাবনায় বড় পরিসরে চলে এসেছে। তাই তাড়াহুড়ো না করে সময় নিয়ে পরিকল্পিত ভাবে বিনিয়োগ করতে হবে।
৪
#নিকটস্থ_বাজার_ব্যবস্থা_যাচাই_না_করাঃ
যেহেতু আপনি আপনার এলাকাতে ছাগল পালন করবেন তাই আপনার পার্শ্ববর্তী জেলায় কোন ছাগলের চাহিদা বেশি সেটা যাচাই করুন।
উচ্চ মুল্যে ছাগল ক্রয় করে নিকটস্থ এলাকায় বিক্রি হবে কিনা সেটার নিশ্চয়তা কোথায়??
এটা বাস্তব সত্য নিকটস্থ হাট, ছাগল পালনকারী যে ছাগল গুলো বিক্রি করে তার মধ্যে ৭৫% কোন না কোন সমস্যার জন্য তারা বিক্রি করে।
যদি আপনি বাচ্চা সংগ্রহ করেন তাহলে তিন থেকে চার বছরের মধ্যে ভালো মানের ছাগি নিজের খামারে উৎপাদন হয়ে যাবে। হাট বাজারের ছাগল দিয়ে ফার্ম করা সম্ভব নয়
তাই ফার্ম উপযোগী ছাগল নিজেই তৈরি করুন।
অনেকের সাথে কথা হয় বেশিরভাগ ভাইদের নির্দিষ্ট কোন লক্ষ্য নাই তাঁরা কি উৎপাদন করবে, কি বাজারজাত করবে, দুধ, বাচ্চা, মাংস, খাসি, পাঁঠা নাকি ছাগি…..?
নির্দিষ্ট কোন লক্ষ থাকেনা তাদের। এর কারণ মনে হয়েছে বেকার যুবকের সংখ্যা বেশি। সে জন্যে নির্দিষ্ট একটা লক্ষ নিয়ে ফার্মিং করা জরুরি।
পর্যাপ্ত দুধ, ভালো গ্রোথ, সুস্থ সবল ছাগল নির্নয় করতে হবে। পাশাপাশি খেয়াল রাখতে হবে খামারে উৎপাদিত ভাল মানের বাচ্চা৫ মাসে ২০ কেজির উপরে ওজন হচ্ছে কিনা।
শুধু মাত্র ভালো মানের মা ছাগল থেকেই ভালো বাচ্চা পাওয়া সম্ভব।
আমাদের দেশে বিকল্প আয়ের উৎস হিসেবে প্রান্তিক গ্রাম অঞ্চলে ছাগল পালন করা হয়। যেটা আমাদের দেশে মোট ছাগল পালনের ৯৫%।
কিন্তু বর্তমানে অনেকেই প্রধান আয়ের উৎস হিসেবে ছাগল পালন শুরু করে। কিছুদিন পর খামার আর সংসার চালানোর মত ইনকামের অভাবে মুখ থুবড়ে পরে মাঝপথেই।
তাই বিকল্প আয়ের উৎস না থাকলে ফার্মিং শুরু না করাই উত্তম।
জনবলের অভাবে অনেকেই খামার বন্ধ করে দেয়। তাই জনবলের উপর নির্ভর না করে নিজের উপর নির্ভর করে খামার করুন। আপনি খামারের সব পরিশ্রম করতে পারলে তবেই সত্যিকারের খামারি হতে পারবেন।
জনবলকে সঠিক ভাবে মেইনটেন করতে পারলে সম্ভব।
পরিকল্পিত ভাবে বিনিয়োগ করুন,জাত সংরক্ষণ করুন, নিকটস্থ এলাকায় সহজলভ্য খাদ্য দিয়ে খাদ্য তালিকা তৈরি করুন, চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চেস্টা করুন, নিকটস্থ বাজার ব্যবস্থা নিজে নিজের মত করে তৈরি করুন এবং নির্দিষ্ট লক্ষ্য ঠিক করে এগিয়ে চলুন। দেখবেন ইনশাআল্লাহ একটা সময় আল্লাহ আপনাকে সফলতা দান করেছেন।
নিজের সম্পদ নষ্ট না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।
Shahin Goat farm