কোরবানীর গরু ষ্টেরয়েড ও হরমোন হুমকী।
অনেকদিন ধরে বিষয়টা নিয়ে কিছু লিখবো লিখবো করে লেখা হয়নি। কিন্তু আজকে আমি স্বল্প জ্ঞানের একজন মানুস হয়ে বড় বড় বিজ্ঞানী ও গবেষক যারা পত্রিকার পাতায় লেখেন,তাদের কাছে বিনয়ের সাথে জানতে চাই।
ষ্টেরয়েড কি এবং কি কাজে লাগে আমি যতদুর জানি ষ্টেরয়েড মানুস ও প্রানির জীবন রক্ষাকারী একটা ড্রাগ।
শরীরের রোগ প্রতিরোধ কারী ইমমিউন সিষ্টেমকে ডিপ্রেসড করে।যেমন একটা পায়ে দীর্ঘদিনের আর্থাইটিস বা জয়েন্ট ফোলা আছে যেখানে জীবানু এবং রোগ প্রতিরোধের বাহিনী রেটিকুলো এন্ডোথেলিয়াল স্টিষ্টেমের ১১ প্রকার কোস হাজির হয়েছে, তারাতো একা যেতে পারেনা ফ্লুইড তাদেরকে বয়ে নিয়ে যায়। সেখানে জীবানু ওএই সৈনিকরা মুখোমুখি যুদ্ধ করে যারা মারা যায় তারা পুজ বা এ্যাবসেস হিসাবে অবস্হান করে।এই যুদ্ধ ক্ষেত্রে ফ্লুইড এ্যাকুমুলেসন এমন পরিমান( ইনফ্লামেশন) হয় যে আমরা যত এ্যান্টিবায়োটিক ব্যাবহার করি তা ঐ যুদ্ধক্ষত্রে প্রবেশ করতে পারেনা জীবানু ও রোগ প্রতিরোধ কারীদের অবস্হানের তীব্রতার জন্য।তখন আমরা ষ্টেরয়েড ব্যাবহার করি,রোগ প্রতিরোধকারী শক্তি কমানোর জন্য।যাহা ঐ স্হানের ইনফ্লামেশন কমায়ে দেয় এবং তখন ঐ জায়গায় এন্টিবায়োটিক প্রবেশ করে জীবানু মারতে পারে।যেমন আমরা ক্রোনিক নিউমোনিয়া বা আর্থাইটিসে করি।
ষ্টেরয়েডের বহুবিধ কাজ যা এত অল্প জায়গায় আলোচনা সম্ভব না।
যেমন আমি এলার্জির জন্য অনেকদিন ষ্টেরয়েড খেয়েছি, আমার ভাইজি ডাঃরের স্ত্রী সে এলার্জির কারনে জ্ঞান হারাতো পরে বাধ্য হয়ে তারে ষ্টেরয়েড ইনজেকশন দেয়া হয়েছে।তাতে সে অতিরিক্ত ফ্যাটি হয়ে গেছে।আবার এক সময় আস্তে আস্তে কমে যাবে।
আমাদের এ্যাজমার রোগীরা প্রায় সারা বছর ষ্টেরয়েড খায়। আজ পর্যন্ত দেখানতো একটা এ্যাজমা রোগীর ক্যানসার হয়েছে বা কিডনি ড্যামেজ হয়েছে।
হ্যা আমরা জানি দীর্ঘদিন ষ্টেরয়েড খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমে যায়,শরীরে পানি জমে, কিডনি ক্ষতিগ্রস্হ হয়।সেটা কতদিন খেলে????
যদি আমি ধরে নি ষ্টেরয়েড খাওয়ায়ে গরু মোটা করা হয়েছে।তাতে ঐ গরু ক্ষতিগ্রস্হ হতে পারে।ওর মাংশ স্বাধহীন হতে পারে।ধকল সইতে না পেরে গরুটা মারা যেতে পারে। কিন্তু কোরবানীর একটা গরুর গোশ ৩/৪ দিন সর্বোচ্চ খেয়ে আমাদের কিডনি ড্যামেজ হয়ে যাবে?? কোন যুক্তিতে?? যেখানে ষ্টেরয়েড আমরা মাসের পর মাস চিকিৎসার জন্য খাচ্ছি তাতে কিছু হচ্ছেনা।আর গরুর গোশে থাকা সামান্য পরিমান ষ্টেরয়েড আমাদের কিডনি নষ্ট করে দেবে???
এমনকি হয় যে ষ্টেরয়েড খাওয়ানোর ফলে গরুর শরীরে একটা বিষ তৈরি হয় যা মানুসের ক্ষতি করে।যদি এমন হয় তাহলে সেই বিষটার নাম আমাদের বলেন এবং কিভাবে তৈরি হয়, তাও আমাদের বলেন।
একটা গরুকে ষ্টেরয়েড খাওয়ালে তার অর্ধেকটা ৭২ ঘন্টার মধ্যে শরীর থেকে বের হয়ে যায় এবং ৭ দিনের মধ্যে ৯০ ভাগ শরীর থেকে বের হয়ে যায় ৭দিনের মধ্যে। তা একটা গরু ষ্টেরয়েড দিয়ে হাটে বিক্রি করা ও কোরবানী দিতে যে সময় লাগে তা ৭ দিনের বেশী।
ষ্টেরয়েড খাওয়ানের পর তা শরীরে কাজে লাগে আর বাকীটা বের হয়ে যায়।ষ্টেরয়েডের কোন অবশিষ্ট কি শরীরে থাকে?? থাকলে কোথায় কিভাবে থাকে আমার অবশ্য জানা নেই।যদি কেউ জানেন রেফারেন্সসহ জানালে কৃতজ্ঞ হবো।
আর একটা হরমোনের কথা অনেকে বলেন।এই বড়িটা আমি একবার এনেছিলাম আমার ভাইজি সেতু কে খাওয়ানোর জন্য,ও মোটে ভাত ক্ষেতে চেত না।রুচি বাড়ানোর জন্য খাওয়াছিলাম।রুচি বাড়ানোর জন্য ভারতের মানুস এটা অহরহ খায় বলে আমি জানি।
কোরবানীর গরুর গোশের সাথে ২/১ দিন ষ্টেরয়েড খেলে কি হবে??
তার চেয়ে বরং একবার ভাবেন, তরকারীর সাথে আমরা যে বিষ খাচ্ছি, প্রত্যেকটা বিষ প্রথম পোর্টাল সিষ্টেমের মাধ্যমে প্রথমে লিভারে যায় তারপর ডি-টক্সিফিকেশন হয়ে শরীরে ভিতর যায়।কনটিনিউয়াস এইভাবে লিভারে বিষের ঘর্ষনে লিভার সিরোসিস হওয়ার কথা তাতো আমরা একবারো ভাবিনা।
আবার অনেক বড় চিকিৎসক দেখি একুট ভাইরাল হেপাটাইটিস রোগীকে এন্টিবায়োটিক দেই। যেখানে ভাইরাল হেপাটাইটিস রোগীর লিভারকে সম্পুর্ন বিশ্রাম দেবার কথা।সেখানে রোগীকে এন্টিবায়োটিক দিলে কি হবে।
যে কোন ঔষধ খেলে তা প্রথম লিভারে যায়,সেখানে প্রথমে হাইড্রোলাইসিস হয় এরপর শরীরের প্রয়োজন মত ঐ ঔষধ কনজুগেশন হয়ে শরীরে প্রবেশ করে।এইভাবে এন্টিবায়োটিক দিয়ে লিভারকে ক্ষতিগ্রস্হ করে পরে ঐ রোগীর জন্ডিস সহজে ভাল হয়??একটা নজীর দেখান,বা বই পুস্তকের কোথায় লেখা আছে হিউমান মেডিসিন খোলেন আমি নিজে পড়েছি।ঐ রোগী হেপাটিক কমা ষ্টেজে যেয়ে অজ্ঞান হবে মারা যাবে।আর না হয় লিভার সিরোসিস হবে।আর না হয় চুয়াডাঙ্গার দর্শনার কবিরাজের কাছে যেতে হবে,এটা নিয়েও কেউ ভাবে না।ভাবে কোরবানীর ষ্টেরয়েড দেয়া গোশ ৩দিন খালাম তাই নিয়ে।আমাদের তো লিভারের রেষ্ট দেয়ার কথা নেই যে ক্ষতি হবে।
আমি কম জানি আমাকে ব্যাখ্যা দিয়ে বোঝান।
dr sk md robiul alam firoz