এন্টেরোটক্সিমিয়া বা পাল্পি কিডনি ডিজিজ
ক্লোস্টিডিয়াম পারফ্রিনজেন্স টাইপ-ডি নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা এ রোগে আক্রান্ত হয়।
কিডনি অত্যাধিক নরম এবং ফুলে যাওয়ার জন্য এ রোগকে পাল্পি কিডনি ডিজিজও বলা হয়।
অতিরিক্ত দানাদার খাদ্য একসঙ্গে খেলে ছাগলের ক্ষুদ্রান্ত্রে বিদ্যমান কোল্ডসট্রিডিয়াম জীবাণু দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং তীব্র বিষ উৎপাদন করে।
ফলে আক্রান্ত ছাগল কিছুক্ষণের মধ্যে মারা যায়।
এ রোগ সাধারণত স্বাস্থ্যবান বাড়ন্ত ছাগলের বেশি হয়, তবে স্বাস্থ্যবান বয়স্ক ছাগলও এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
লক্ষণসমূহ
সাধারণত কোন উপসর্গ বা লক্ষণ দেখা দেওয়ার আগেই ছাগল হঠাৎ মারা যায়।
আক্রান্ত ছাগল প্রথমে দাঁড়ানো অবস্থায় চতুর্দিকে ঘুরতে থাকে, শরীর কাঁপতে থাকে, শরীরের তাপমাত্রা কমে যায়, পেট ব্যথার কারণে শুয়ে পা ছোড়াছুড়ি করতে থাকে, পাতলা পায়খানা হয়, অত্যাধিক দুর্বল হয়ে পড়ে এবং কম সময়ের মধ্যেই মারা যায়।
মারা যাওয়ার পর পরই শরীরের চামড়ার রং বিবর্ণ হয়ে মৃতদেহে পচন ধরে।
প্রতিরোধ
অসুস্থ ছাগলকে সুস্থ্য ছাগল থেকে আলাদা করা এবং এদের মল-মূত্র ভালো করে পরিষ্কার করা।
প্রয়োজনের অতিরিক্ত দানাদার খাদ্য সরবরাহ না করা বিশেষত স্বাস্থ্যবান ছাগলকে অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ থেকে নিবারণ করা।
প্রতিকার
যেহেতু হঠাৎ করে মারা যায়, সে জন্য সাধারণত কোন চিকিৎসা করা যায় না।
তবে প্রাথমিক অবস্থায় এ রোগ শনাক্ত করা গেলে এট্রোফিন সালফেট ইনজেকশন (৩ মিলিলিটার ৬ ঘণ্টা পর পর) এবং শিরায় স্যালাইন দিলে অনেক ক্ষেত্রে ভালো ফল পাওয়া যায়।
সংগ্রহ লাইভস্টক ডায়েরি।