টার্কির করাইজাঃ
এটি আপার রেস্পিরেটরী ট্রাকের তীব্র সংক্রামক ও ছোঁয়াচে রোগ।
যা এলকালিজেনস রাইনোট্রাকাইটিস (Alcaligenes rhinotrachitis)
বোর্ডেটেলা ব্রনকিসেপ্টিকা (Bordetella bronchiseptica)
এলকালিজেনস ফ্যাকালিস (Alcaligenes Faecalis) নামক জীবাণু দ্বারা হয়।
এ রোগের প্রধান লক্ষণ হলো আপার রেস্পিরেটরী ট্রাকে মৃদু শব্দ
গড় গড় শব্দ করা,
নাক দিয়ে অতিরিক্ত মিউকাস বের হয়।
তীব্র শ্বাস কষ্ট।
উৎপাদন কমে যায় ও এমন কি মারা যেতে পারে।
বিস্তার
সরাসরি সংস্পর্শে
বাচ্চা টার্কি সহজেই এ রোগে আক্রান্ত হয়।
ফার্ম কাছাকাছি হলে সহজেই রোগ ছড়িয়ে পড়ে।
লিটারের সূক্ষ্ম কণার মাধ্যমে ।
খাদ্য ও পানির মাধ্যমে
খাদ্য ও পানির পাত্রের মধ্যে এলকালিজেনস ফ্যাকালিস ৬ মাস পর্যন্ত বেঁচে থাকে।
ইন কিউবেশন পিরিয়ড
৭-৯ দিন।
রোগের লক্ষণঃ
টার্কির কণ্ঠস্বর মৃদু হয়ে আসে।
অতিরিক্ত মিউকাস বের হয়।
চোখে ফ্যানাযুক্ত পানি ।
কনজাংটিভাইটিস
খাদ্য ও পানি কম খায়
দ্রুত ওজন কমে যায়।
গলার কণ্ঠস্বরে পরিবর্তন হয়।
তীব্র শ্বাস কষ্ট হবে এবং শেষে মারা যাবে।
বাচ্চা টার্কি একত্রে জড়ো হবে। পাইলিং হতে পারে।
এসকারেসিয়া কোলি ও রাণীক্ষেত রোগ একই সাথে যুক্ত হতে পারে।
আক্রান্তের হার ১০০% এবং মৃত্যুর হার ১ থেকে ৭০%পর্যন্ত হতে পারে।
মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পাবে যদি খামার ব্যবস্থাপনা ভাল না থাকে।
গ্রীষ্মকালীন সময়ে গরম আদ্রর্তা
অপর্যাপ্ত বায়ুপ্রবাহ
অতিরিক্ত এমোনিয়া গ্যাস
অতিরিক্ত স্যাতস্যাতে ও আদ্রর্তা থাকলে রোগ বেড়ে যায়।
টার্কি কোরাইজার সাথে পাসচুরেলা মাল্টোসিডা ও হ্যামোরেজিক এন্টেরাইটিস থাকলে টার্কির মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পাবে।
পোস্টমর্টেম
ট্রাকিয়ার ক্রাটিলেজ (cartilage) সংকোচিত হয়ে যাওয়া এ রোগের অন্যতম লক্ষণ।
তীব্র শ্বাস কষ্ট হবে।
চোয়াল ফুলে যাবে
নাসিকা রন্ধ্রে ও ট্রাকিয়ায় অতিরিক্ত মিউকাস বের হয়।
ই,কোলাই সংক্রমণের ফলে পেরিহেপাটাইটিস ও পেরিকার্ডাইটিস হবে।
প্রতিরোধ
জীবনিরাপত্তা
স্যানিটেশন
মুক্ত বায়ু চলাচল
এমোনিয়া মুক্ত খামার
লিটারের আদ্রর্তা ঠিক রাখা,
খাদ্য ও পানির পাত্র পরিস্কার
নিয়মিত ফাউল কলেরা ও রাণীক্ষেত রোগের ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে হবে।
চিকিৎসাঃ
ডাক্তার ঠিক করবে রোগের অবস্থা বুঝে কি দেয়া যায়
নিচের যে কোন এন্টিবায়োটিক দেয়া যায়
সালফোনেমাইড,
স্ট্রেপটোমাইসিন
অক্সিটেট্রাসাইক্লিন,