এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জাঃভাইরাসের বৈশিষ্ট্য,কিভাবে ছড়ায়,প্রকারভেদ,লক্ষণ,পোস্টমর্টেম,চিকিৎসা,প্রতিরোধ
এটি সিংগেল স্টেন্ডেড অরথোমিক্সোভিরিডি ফ্যামিলির অরথোমিক্সো আর এন এ ভাইরাস।
পাখির হলে বলা হয় এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা আর মানুষের হলে বলা হয় বার্ড ফ্লু।
এতে ব্যাপক হারে মুরগি মারা যায় বলে এটাকে ফাউল প্লেগ বলা হয় তাছাড়া ডিমের প্রডাকশন কমে যায়,ডিমের মান খারাপ হয়,খাবার কম
খায়,শ্বাসকষ্ট হয় এবং নিস্তেজ হয়ে পড়ে।
১৮৭৮ সালে ইটালিতে প্রথম দেখা যায়।১৯২৪-১৯২৫, ১৯২৯,১৯৮৩,১৯৮৪ সালে আমেরিকায় হাই প্যাথোজেনিক এ আই দেখা দেয়।
১৯৬৪ সালে লো এবং মাঝারি ধরনের এ আই দেখা দেয়।
পিরিয়ড বছর প্রাদুর্ভাব
১৯৫০-১৯৮৯ ৩০বছরে ৯বার
১৯৯০ -১৯৯৯ ১০বছর ৯বার
২০০০-২০০৪ ৪ বছর ১৪বার( এশিয়ার ১০ দেশেই ১০ বার)
এজেন্টঃ
এ আই ভাইরাসের স্পেশাল বৈশিষ্ট্যঃ
এটি যখন হাঁস বা বন্য প্রানীতে থাকে তখন লো প্যাথোজেনিক হিসেবে থাকে কিন্তু বিষ্টা বা নেজাল সেক্রেশনের মাধ্যমে যখন প্রকৃতিতে আসে তখন এটি অন্য পাখিতে আসার পর হাই প্যাথোজেনিক হিসেবে কাজ করে মানে স্ট্রেইনের মিউটেশন ঘটে।(antigenic shift)
এত শক্তিশালী যে ভাইরাস তাকে মারা যায় খুব সহজে যেমন ডিটারজেন্ট,ডিসইনফেকট্রেন্ট এবং তাপে,৬০-৭০ ডিগ্রি তাপমাত্রায়।এ আই ( এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ) ভাইরাস ৩ ধরনের হয় এ,বি,সি।টাইপ এ পাখি এবং মানুষে হয় কিন্তু বি এবং সি শুধু মানুষে হয়।ইনকিউবেশন পিরিয়ড দেড় -৩ দিন।(ফ্লকে কয়েকদিন থেকে ২ সপ্তাহ)
H5N2 prevent H5N1 and reduce virus spreading after 19days vaccine .এন্টিজেনের উপর ভিত্তি করে টাইপ এ কে ২ভাগে ভাগ করা হয়েছে যেমন হেমাগ্লুটিনেশন Haemaglutination H),(NEURAMINIDASE ,N)নিউরামিনিডেজ।H and N are most variable proteins and new strains of influenza virus evolve continuously either by mutations( antigenic drift) or reassortment of genome segments( antigenic shift).All HPAI strains belong to either H5 or H7 subtypes,but some times 5 and H7 subtypes strains may circulate as LPAI strains with potential of mutating in high pathogenic strainsএই সাবটাইপের মাঝে ক্রস প্রটেকশন হয়না।১৬ ধরনের এইচ আর ৯ ধরনের এন পাওয়া গেছে যা HN এভাবে প্রকাশ করা হয়.
H1-H16 and N1-N9
H1.H2,H3,H4.H5.H5.H6.H7.H8>H9.H10.H11.H12,H13.H14.H15.
N1,N2.N3.N4.N5.N6.N7.N8 ,N,9.N10
সবচেয়ে প্যাথোজেনিক স্টেইন H5N1.তাছাড়া আছে H5N8,H7N7,H5N2,H7N9,H5N3,H5N9,H7N3,H7N2,H7N4
LPAI যেমন H2N2,H3N2,H9N2,H1N1,H7N5।এইচ ৬ ও লো এ আই।
বাংলাদেশে H5 ও H9 দেখা যায়।তার মধ্যে H9 বেশি পাওয়া যায়।লো এ আই মিউটেশনের মাধ্যমে হাই এ আই হতে পারে।লো এ আই লেয়ারে তেমন মর্টালিটি হয় না কিন্তু ব্রয়লারে মিক্স ইনফেকশন হলে ১০০% মর্টালিটি হতে পারে।
H5,H7 হাই প্যাথোজেনিক
এইচ ৯ নরমালি রেস্পিরেটরী সিস্টেমে ক্ষতি করে আর আইচ ৫ সিস্টেমিক ডিজিজ করে ভিসেরাল অর্গানের ক্ষতি করে এতে মুরগি মারা হঠাত করে অনেক মারা যায়।এইচ ৯ সাবক্লিনিকেলেও হতে পারে।
হোস্টঃ
চিকেন এবং টার্কি বেশি সংবেদনশীল । কোয়েল,গিনি ফাউল।ফিজেন্ট
রিক্স এরিয়া হল জীবন্ত পাখির বাজার,পুকুর,খাল বিল,নদী নালা যেখানে হাস এবং অন্য আক্রান্ত পাখি বসবাস করে তাছাড়া যে সব দেশে টার্কি এবং পিগ(শুকুর) পালন করা হয়।চিকেন এবং টার্কির জন্য যে স্ট্রেইন ক্ষতিকর হাসের জন্য তা ক্ষতিকর নয় মানে স্পিসিস স্পেসিফিক।মানুষ কে আক্রান্ত করে যে স্টেইন গুলি H7N7,H5N1,H9N2,H1N1,H2N2,H3N2.
বাদুর ঃH17N10,H18N11 ঘোড়াঃ H7N7,
স্ট্রেইন গুলিতে মিউটেশন ঘটে মানে তার গঠন,রুপ ও এন্টিজেনিক পরিবর্তন ঘটে তাই টিকায় ভাল কাজ করেনা,বাংলাদেশে যে স্ট্রেইন আছে সে ধরনের স্ট্রেইনের টিকা দিতে হবে।কিন্তু সে রকম টিকা নাই।বাংলাদেশে অধিকাংশ সময় ধরে লো প্যাথোজেনিক এ আই দেখা যায় যা এইচ৫ এন১ টিকা দিলে কাজ হবে না।সব ধরনের পাখিকে এই ভাইরাস আক্রান্ত করে,যেমন চিকেন,হাস,গিনি ফাউল,রাজহাস,টার্কি,বক,কোয়েল এবং আরো অনেক পাখি কিন্তু হাস সবচেয়ে বেশি ভাইরাস ছড়ায় ।asymtomatic হিসাবে হাসে থাকতে পারে।’শুকর থেকে টার্কিতে যায় আবার টার্কি থেকে মুরগিতে যায়।খাচায় পালিত পাখি যেমন ময়না,প্যারাকিট,টিয়া,হক,Weaverbirds,finches ,cockatoos থেকেও এই ভাইরাস আইসোলেট করা হয়েছে।waterfowls,shorebirds ae major natural reservoir.টার্কি এবং চিকেনে বেশি মর্টালিটি এবং মর্বিডিটি হয়।
পরিবেশ:
কলেরার সাথে মিক্স ইনফেকশন হলে এইচ ৯ ভাইরাসেও অনেক মর্টালিটী হয়।শীতে বেশি হয় ২৫ডিগ্রি সেন্টিগ্রেট তাপমাত্রার নিচে বেশি এক্টিভ থাকে।কম তামাত্রায় অনেক দিন বেচে থাকে,৩ মাস পর্যন্ত ভাইরাস ফার্মে জীবিত থাকতে পারে।
রোগ হবে কিনা বা কোন ধরনের লক্ষণ প্রকাশ পাবে তা নির্ভর করে:
জাত,বয়স,ভাইরাসের তীব্রতা এবং স্ট্রেইন।মুরগির ইমোনিটি
কো-ইনফেকশন( রানিক্ষেত,ই- কলাই,মাইকোপ্লাজমা,ব্রংকাইটিস)।পরিবেশ(অতিরিক্ত গ্যাস,বা ধুলাবালি,বেশি গরম বা ঠান্ডা)
ব্যবস্থাপনা,বায়োসিকিউরিটি।পুষ্টিমানের ঘাটতির উপর।
কিভাবে ছড়ায়ঃ
এ আই ভাইরাস অন্যান্য ভাইরাস থেকে ২৯গুণ বেশ দ্রুত ছড়ায়।হরিজোন্টাল ট্রান্সমিশন ঘটে তবে ব্রিদারে হলে ফিসিসের মাধ্যমে বাচ্চতে চলে আসে।।এয়ারবোন) বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায়।পোল্ট্রি,পোল্ট্রি প্রডাক্ট,পোল্ট্রি বাই প্রডাক্ট ও ইকোপমেন্ট এর মাধ্যমে এক দেশ থেকে অন্য দেশে ছড়ায়।পাখি থেকে পাখিতে ডাইরেক্ট কন্টাকের মাধ্যমে ছড়ায়।ওয়াটার ফাউল মানে হাসের মাধ্যমে বেশি ছড়ায়।
পাখির বিষ্টা,স্যালাইভা,নেজাল সেক্রেশন।যানবাহন ও যন্ত্রপাতি( রিক্সা,ভ্যান ,পিক আপ)লোকজন।কন্টামিনেটেড খাবার ও পানি,খাচা
কন্টামিনেটেড ডিম হ্যাচারীতে আসলে,সেই ডিম যদি ভাংগে তাহলে (হ্যাচারী) ইনকিউবেটরের মাধ্যমে ছড়াতে পারে।অসুস্থ পাখি সুস্থ হলে বাহক হিসেবে ১০ দিন জীবানূ পায়খানা ও মুখের মাধ্যমে ছড়াতে পারে।ডিমের গাড়ি,ডিমের ক্রেটস ও কেইজ।কাপড় ও জুতা।ডিমের এগ সেল কন্টামিনেশনের মাধ্যমে হয় কিন্তু ভার্টিকেল হয়না।ওয়াটার ফাউল এবং বালি হাস রিজার্ভার হিসেবে কাজ করে।অতিথি এবং বিদেশি পাখি রোগ ছড়াতে সাহায্য করে।এটি যে কোন জিনিসের মাধ্যমে ছড়াতে পারে যেমন গাড়ি,ভিজিটর,পাখি ,শুকর,কাপড়,জুতা,কেইজ,পোকামাকড়,পানি,খাবার,বাতাস্ পায়খানা ,যন্ত্রপাতি।রান্না করা মাংস জীবানূ ছড়ায়না এবং সেই মাংশ খেলে সমস্যা নাই।আমাদের দেশে বেশি ছড়াচ্ছে অসুস্থ মুরগি বিক্রি করার পর তা এক জেলা থেকে আরেক জেলায় যাচ্ছে।তাছাড়া অনেকে বিভিন্ন নামে টিকা ব্যবহার করছে যার কোন ডকুমেন্ট নাই।দেশে হঠাত করে অনেক টার্কি বেড়ে গেছে এই টার্কিও একটা অন্যতম কারণ।সকল অংগ আক্রান্ত হয় যেমন,শ্বাসতন্ত্র,পরিপাক,প্রজননতন্ত্র এবং স্নায়ুতন্ত্র।Integuments(skin)মাসকুলার সিস্টেম।এটি সাবক্লিনিকেল বা স্পোরাডিক রুপেও হতে পারে।এ আই হলে করাইজা,কলেরা,আই বি আই এল টি ,ভি ভি এন ডি,অর্নিথোসিস হবার সম্বাবনা অনেক বেড়ে যায়।
তীব্রতার উপর ভিত্তি করে ২ ভাগে বিভক্ত
১।লো প্যাথোজেনিক(LPAI) ২।হাইপ্যাথোজেনিক(HPAI)
প্যাথোজেনেসিসঃ
ইনহ্যালেশন বা ইঞ্জেশনের মাধ্যমে বডিতে ঢুকে।ভাইরাস বাতাসের মধ্যেম ট্রাকিয়ায় যায়,সিলিয়েটেড ইপিথেলিয়াম সেল অফ Nose,throat, and intestine.পরে সেল নেক্রোসিস হয়ে একিউট রেস্পিরেটরী সিস্টেমে ইনফেকশন করে।হাইলি প্যাথোজেনিক হলে রেস্পিরেটরী সিস্টেমে প্রাথমিক ইনফেকশন সাইট হিসাবে কাজ করে আর লো প্যাথোজেনিক হলে পরিপাক তন্ত্রে প্রাথমিক সাইট হিসাবে কাজ করে।
কোন অর্গানের প্রতি আসক্তি বেশি ১ম থেকে লাস্টের দিকে ঃ ওভারী-ফুসফুস-কিডনি-প্রভেন্টিকোলাস-ব্রেইন-ক্লোয়েকা।Hemaglutinations is responsible for attachment of the virus to host cell surface and Neuraminidase helps in releasing virus from infected cells.
লো প্যাথোজেনিক(LPAI) ঃ
লো এ আই এ লেয়ারে মর্টালিটি তেমন হয় না কিন্তু ব্রয়লারে ১৫-১০০% পর্যন্ত মর্টালিটি হয়ট্রাকিয়ায় মাধ্যমে ভাইরেনিয়া হয়ে শ্বাসনালী,পরিপাক,রিপ্রডাকশন,কার্ডিওভাস্কুলার সিস্টেমে চলে যায় ।ট্রাকিয়া এবং ফুসফুসে প্রদাহ,কঞ্জেশন হয়।মাইল্ড বা মডারেট হলে ট্রাকিয়া,সাইনাস,এয়ারস্যাক,কংজাংটিভা,Ovarian atresia,involution of oviduct.পরে congestive lesions.Haemorrhagic lesions.Transudative lesion,Necrotic lesion হয়।এবডোমিনাল ক্যাভিটিতে ওভাম চলে আসে।ওভিডাক্টে ইনফ্লামেটরী এক্সুডট জমা হয় তাছাড়া মিউকসালিডিমা হয়।।সাইনুসাইটিস কমন(হাস,কোয়াল।টার্কি)
এ আই ভাইরাস আর বি সি সেলের প্রতি আসক্তি আছে।
লক্ষণঃ
সেডে কাশি,ঠান্ডা ও ডিম কমে যায়।পানি বেশি খায়।এভাবে প্রায় ১৫দিন থাকার পর মুরগি সুস্থ হয়ে যায়।উস্কোখুস্কো পালক।অনেক সময় লক্ষন ছাড়াই ডিম কমে যায়।হাচি,কাশি ও গড় গড় শব্দ হয়।(sneezing,coughingOcular,nasal discharge,swelling of infraorbital sinus)চোখের কংজাংটিভাতে রক্তাধিক্য দেখা যায়।মাথা,সাইনাস ও গলা ফোলে যায়।মাথা ও ঘাড়ের চামড়ার নিচে পানি জমা হয়।ঝুটি কালো এবং পায়খানা সবুজ বা নীল।৫-১০% মারা যায় যা অনেক সময় কো ইনফেকশন হলে আরো বেশি মারা যেতে পারে।খাবার এবং ডিম অনেক কমে যায় ডিম আসতে ১ -১.৫ মাস সময় লাগে।অনেক সময় প্রডাকশন ৬৫-৭৫% এর বেশি হয় না।অনেক খামারি এই সময় মুরগি বিক্রি করে দেয়।
চিকিৎসা দিলে ভাল হয়,অনেক সময় সাথে ব্রংকাইটিস থাকে ফলে প্রায়ই বিভিন্ন রোগের সাথে সম্মিলিত বা এককভাবে হতে দেখা যায় যেমন কলেরা,ই- কলাই,মাইকোপ্লাজমা,ব্রংকাইটিস,রানিক্ষেত।
পোস্টমর্টেমঃ
এটি মিক্স ইনফেকশন হিসেবে সাথে ই-কলাই,মাইকোপ্লাজমা,কলেরা ও স্টেফাইলোক্ককাস থাকে।Sinusitis is commmon in domestic duck,quail,turkey.Typically lesion in Respiratory tract congestion and inflammation of the trachea and lungs.In layer Ova rupture(yolj in abdominal cavity) or involution or mucosal edema and inflammatory exudates in lumen of oviduct.sometime causes acute renal failure(visceral gout)
এবডোমিনাল ফ্যাট এবং মাংসে রক্ত দেখা যায়।পেঠের ভিতর গলিত ডিম দেখা যায়।লিভার বড় এবং নরম হয়,নেক্রোটিক ফোকাই হয়.।ওভিডাক্টে এলবোমিন পাওয়া যায়।ডিম্বাশয়ে রক্তক্ষরণের কালচে রং ধারণ করে।সিকাম ও অন্ত্রনালীতে রক্ত ক্ষরণ দেখা যায়।প্রভেন্টিকোলাস ও গিজার্ডের সংযোগ স্থলে রক্ত ক্ষরন হয়।
২।হাই প্যাথোজেনিক
শূণ্য ডিগ্রি তাপমাত্রায় ৩০দিনের বেশি বাচে.৫৬ ডীগ্রি তাপমাত্রায় ৩ঘ ন্টা আএ ৬০ডীগিতে ৩০মিনিট।
প্যাথোজেনেসিসঃ
এটা সিস্টেমিক ডিজিজ।Fribrinous exudate on airsac,Oviduct,Pericardial sac,Peritonium.এতে স্কিন,ঝুটি,ওয়াটল।লিভার,কিডনি,স্প্লিন,ফুসফুস আক্রান্ত হয়।Integuments সিস্টেম আক্রান্ত হয় এমন কি নার্ভাস সিস্টেমও আক্তান্ত হতে পারে।congestion,oedema,and Haemorrhages হয়।(vascular damage)ইউরিনারী সিস্টেমের কিডনিতে ইউরেট জমা হয়ে গাউট হতে পারে ও একিউট রেনাল ফেইলার হতে পারে।মাসলে হেমোরেজ হয়।
লক্ষণঃ
২৪ ঘন্টায় ১০০% মারা যেতে পারে।পার একিউট হলে লক্ষণ ছাড়াই মারা যায়।একিউট হলে সায়ানোসিস হয়,মাথা,কম্ব,ওয়াটলে ইডিমা হয়।Ischemic necrosis of comb,wattles.এটা হলে দেখার সুযোগ কম পাওয়া যায় কারন ১-২ দিনের মধ্যে মারা যায় যার মৃত্যহার ১০০%।সেডের কোন এক অংশে মুরগি মারা যায়,শ্বাসকস্ট হয়।পাখির স্বাভাবিক কোন শব্দ থাকেনা।পায়ের পালকবিহীন স্থানে রক্ত ক্ষরণ হয়।মাথা নীল এবং ফোলে যায়,কম্ব এবং ওয়াটল ফোলে যায়চোখ দিয়ে পানি পড়ে,প্যারালাইসিস হয়।দ্রুত ডিম কমে যায়,এমন কি শূন্যতে চলে আসে।অনেক সময় ডিম ও খাবার কমে না।Facial swelling with swollen and bluish-violet colored combs and wattles.muscle weakness and paralysis.মাংসে হেমোরেজ পাওয়া যায়।পেটেসিয়াল ও একাইমোটিক হেমোরেজ।Gasping for breath.পার একিউট এ আই ভাল হবার পর অনেক সময় প্যারালাইসিস হয়(Opisthotonous,twisting,Torticolis) হয়ে থাকে।ডায়রিয়া ও সবুজ কালার পায়খানা।পা ফোলে যায় এবং সেংক লাল রং হয়ে যায়,তারপর কালো হয়ে যায়।এবডোমিনাল ফ্যাটে রক্ত পাওয়া যায় এবং সমস্ত সেরোসা এবং মিউকোসায় রক্ত দেখা যায়।অনেক সময় লক্ষণ ছাড়াই মারা যায়।Bloodtinged oral and nasal discharge.
পোস্ট মর্টেমঃ
দেহের অভ্যন্তরে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় যেমন( প্রভেন্টিকোলাস,গিজার্ড,লিভার ও মিউকোসা,চামড়ার নিচে,হৃদপিন্ড,এবডোমিনাল চর্বিতে,স্টারনামে)ওভারীতে রক্তক্ষরন ও প্রদাহ দেখা যায়।এয়ার স্যাকোলাইটিস,সানোসাইটিস,Necrotic foci on liver,splrrn,kidney,lungs.Haemorrhages between proventiculus and gizzard.(and lymphoid tissue of intestinal tract)ফ্রাইব্রিনাসেন্টারাইটিস,পেরিকার্ডাইটিস.ফুসফুসে পানি হয়।সাবকিউটেটিয়াস একাইমোটিক হেমোরেজ হয় পা এবং শ্যাংকে।ভিসেরাল অর্গানে পেটেসিয়াল হেমোরেজ হয়।Edema and echymotic hemorrhage in shanks and feet.Petechial hemorrhages on visceral organs and muscles.Blood tinged oral and nasal discharges.
চিকিৎসা করার সময় পাওয়া যায় না এবং রিজাল্ট ও শুন্য।
প্রভেন্টিকোলাসের মিউকোসা এবং গ্লান্ডোলার ডাক্টে,গিজার্ডে,লিভারে ও ওভারীতে রক্ত পাওয়া যায়।এমন কি চামড়ার নিচে,হার্টে,স্টারনামে রক্ত ক্ষরণ হয়।পার একিউট থেকে বেচে যাওয়া মুরিতে Torticolis,opisthotonos,incoodination,paralysis and droop wing হয়।
ডিফারেনিয়াল ডায়াগ্নোসিস ঃ
কলেরা
রানিক্ষেত
তাছাড়া অনেক সময় মিক্স ইনফেকশন হয়।
তাই টেস্ট করে রোগ নির্ণয় করা উচিত।
অধিকাংশ সময় কলেরা বা রানিক্ষতকে ইনফ্লুয়েঞ্জা( এ আই) হিসেবে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে।
অনেকে মনে করে প্রতিদিন ১০-৩০ বা ১০০ মুরগি মারা গেছে মানে এ আই।এটা ভুল কলেরা,রানিক্ষেতের জন্যও এই রকম মর্টালিটি হতে পারে।
আরেক টি ভুল ধারণা আছে সেডের কোন একটি অংশ থেকে মারা গেলে ্তাকে বার্ড ফ্লু বলা হচ্ছে।এটাও সব সময় ঠিক না।
হিট স্টোকের সাথে অনেক সময় মিলে যায়।
রোগ নির্ণয়ের পদ্ধতি ঃ
এইচ আই টাইটার টেস্ট
এলাইজা
আগারজেল প্রিসিপিটেশন
আর টি পি সি আর
এ আই রেপিড টেস্ট
চিকিৎসাঃ
উপস্থিত ডাক্তার রোগের উপর ভিত্তি করে চিকিৎসা দিবেন।
নিচে ধারনা মাত্র
এন্টিভাইরাল
লেভোফ্লক্সাসিলিন বা অন্য কোন এন্টিবায়োটিক
ইমোনোস্টিমুলেটর(লাইসোভিট বা নিউ্ট্রিল্যাক)
কফ পরিস্কারক(পালমোকেয়ার,রেস্পাইট)
লিভার টনিক( রেস্টোলিভ বা হেপারেনল)
মিক্স ইনফেকশন হলে ইরোকট বা মাইক্রোনিড দেয়া যায় ৫-৭ দিন,সব সময়।
বা কসুমিক্স-প্লাস + এনরোসিন দেয়া যায়।
এইচ ৯ এন ২ ভাল হতে অনেক সময় লাগে সেক্ষেত্রে রেনামাইসিন এল এ ইঞ্জেকশন দেয়া যায় প্রডাকশনের মুরগিতে ২কেজি ওজনের জন্য ০.৫মিলি মাংসে ২দিন পর ৩বার।
ইঞ্জেকশন দিলে প্যারাসিটামল দেয়া উচিত
জিংক
ভিটামিন সি
চিকিৎসা নির্ভর করে ওই সময়কার পরিস্থিতির উপর ।
লো এ আই ভাল হতে ২-৪ সপ্তাহ লাগে তাই তাড়াহুড়া করলে বা বেশি এন্টিবায়োটিক দিলে কোন লাভ হবেনা।
প্রতিরোধঃ
বন্য পাখি ও হাস থেকে দূরে থাকতে হবে।বাহিরের লোকজনের চলাচল বন্ধ করতে হবে।ফার্মে ঢুকার আগে হাত ধুতে হবে এবং রীতিমত স্প্রে করতে হবে পাখির উপর ও অন্য সকল জায়গায়।ছাড়া অবস্থায় বাহিরে দেশি মুরগি পালা যাবেনা।একই জায়গায় হাস ও শুকর পালা যাবেনা।দেশি হাস,মুরগি ও কবুতর রাখা যাবেনা।যেসব বন্য পাখি খাচায় পালা হয় সেখানে যাওয়া যাবেনা।কোন সমস্যা হলে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।যেসব দেশে ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছে সেসব দেশ থেকে গেম বার্ড,পোল্ট্রি প্রডাক্ট ,ব্রিডার ও বন্য পাখি যাতে না আসে সে ব্যবস্থা করতে হবে।ফার্ম পরিস্কার রাখতে হবে।লোকাল ফার্ম,লাইভ পোল্ট্রি মার্কেট থেকে দূরে থাকতে হবে।মুরগির বিষ্টা যেখানে সেখানে ফেলা বা রাখা যাবেনা।শীতকালে নিউট্রিল্যাক,বিটামিউন,লাইসোভিট,ই সেল,এডি৩ই,জিংক,টক্সিন বাইন্ডার ,সি ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে যাতে ইমোনিটি ভাল থাকে।বায়োসিকিউরিটি ভাল রাখতে হবে।
নোটঃভাইরুস্নিপ(Virusnip) দিয়ে ৩-৫ দিন পর পর মুরগির উপর এবং ফার্মের সকল জায়গায় স্প্রে করলে সহজে মুক্ত থাকা যাবে
ভাইরুসিডঃ দিয়ে স্প্রে করা যেতে পারে ১ দিন পর পর মুরগির উপর এবং ফার্মের সকল জায়গায়(শীতের সময়)
টিকা শিডিউলঃ
ভ্যাক্সিন দেয়ার মূল উদ্দেশ্য মুরগির প্রডাকশন যাতে না কমে,জীবাণুর লোড কমানো।
ইমার্জেন্সি ভ্যাক্সিন সিডিউল ঃ
যে কোন বয়সে তবে ৪-৬ সপ্তাহ পর ব্রুস্টার দিতে হবে।
প্রাইমারী ভ্যাক্সিন ৩ সপ্তাহের আগে হলে ২য় ব্রুস্টার দিতে হবে ১৬-১৮ সপ্তাহ।
যে এলাকায় এ আই এর রিক্স বেশি সেক্ষেত্রে
এক দিনের বাচ্চায় 0.২৫ এম এল করে,পরে ২টি ব্রুস্টার ৪-৬ সপ্তাহ এবং ১৬-১৮ সপ্তাহ
৪০-৫০ সপ্তাহের দিকে আরেক টি দিতে হবে।
কম রিক্সের এলাকায় ৪ সপ্তাহে ০.5 এম এল করে প্রাইমারী ভ্যাক্সিন ,১৬-১৮ সপ্তাহে ব্রুস্টার।
ভ্যাক্সিন সাব কাট বা আই এম
অথবা
এইচ ৫ এন ১ স্টেইন
২ সপ্তাহ ০.25 ml
৮ সপ্তাহ
১৬ সপ্তাহ
০.৫ এম এল রানের মাংসে বা ঘাড়ের চামড়ায় ইনজেকশন
স্টেইনে্র সাথে মিলে গেলে কাজ করবে।
অনেক কোম্পানী ১দিনের বাচ্চাতে টিকা দিয়ে দেয়।দিলে আর লাগবেনা।
ইন্দোনেশিয়ার টিকার সিডিউল যা দিয়ে তারা পোল্ট্রি সেক্টরকে কন্টোলে রেখেছে।
বয়স H5N1 H9N2
২-৫ সপ্তাহ দিতে হবে লাগবে না
৮-১২ সপ্তাহ দিতে হবে দিতে হবে
১৬-২০ সপ্তা দিতে হবে দিতে হবে
৩০-৩৪ সপ্তাহে দিতে হবে দিতে হবে
ভ্যাক্সিনের কম্বিনেশন
H5N2
H5+ND = H5N2
H7N1
H7N7
H9N2
H9N2+ND=H9N2
আমাদের দেশে এ সি আই .৯ ) ৫ ভ্যাক্সিন,এডভান্স ৫ভ্যাক্সিন,এফ এন এফ ৯ ) ৫ ভ্যাক্সিন মার্কেটিং করে।
এ আই ভ্যাক্সিন যে ভ্যাক্সিনের সাথে কম্বাইন্ড করা হয়
রানিক্ষেত
পক্স
এইচ ভি টি
যেসব দেশে ভ্যাক্সিন না করে কালিং করা হয়
আমেরিকা
কানাডা
ইউরোপ
ব্রিটেন
রাশিয়া
যেসব দেশে ভ্যাক্সিন দেয়া হয়
ইন্ডোনেশিয়া
পাকিস্থান
মায়ানমার
মিশর
চীন
মেক্সিকো
কোরিয়া
এ সি আই কোম্পানীর H9N2+ND ভ্যাক্সিন সিডিউল ঃ
লেয়ার
৩-৪ সপ্তাহ মাংসে
৬-৮ সপ্তাহে ১ম বার
১৪ সপ্তাহে ২য়বার
প্রডাকশনের সময় ৩৫-৫০ সপ্তাহে দেয়া যায় তবে প্রডাক্সন কিছুদিন কমে যেতে পারে।
সোনালী/ব্রয়লার
৫-১০দিনে
প্রতিরোধে করণীয়
যে এলাকায় হবে তার করনীয়ঃ
Novement restriction
Disease investigation quickly
Stamping out of birds( তাড়াতাড়ি মুরগি কালিং করতে হবে)
Decontamination of affected area
Surveillance and close monitoring
Vaccination ( ring)
যারা আক্রান্ত হয়নি তারা কি করবে
Keep distance from the birds
keep clean
Do not bring infectious agents to farm or home
Should report sickness of birds to veterinarians
Should not contaminate the environments by sick or dead birds.
ACTIVE SURVEILLANCE – EFFICIENT