১।।মুরগির নরমাল গ্লোকোজ লেবেল ১৩০-২৮০ এম জি/ডেসিমাল(DL)
মডারেট গ্লোকোজ লেবেল ২৫০ এম জি/ডেসিমাল
লো প্যাথোজেনিক এ আই হলে ১ম ৫দিন গ্লোকোজ হবে ১৫০ এম জি/ডেসিমাল
৭-১০তম দিনে হবে ২৫০এমজি।
১০দিন পর ২৮০ এম জি।
মুরগি জবাই করে রক্ত নিয়ে আমরা টেস্ট করতে পারি( লো এ আই)
২।# খামারী লিটার যদি প্রতি বছর বিক্রি না করে বা না সরায় তাহলে পোকামাকড় আসবে আর পোকামাকড়ের মাধ্যমে ও বিভিন্ন বন্য পাখির মাধ্যমে লো আই দ্বারা মুরগি আক্রান্ত হবে।
# সুস্থ মুরগির নরমাল হেমোগ্লোবিন(HB) লেবেল ১০ এম জি/ডেসিমাল।
যদি কম হয় তাহলে এনিমিয়া বা কক্সিডিয়ার সম্বাবনা থাকে।
প্রডাকশনের সময় HB(হেমোগ্লোবিনের মাত্রা যদি ৯ এর কম হয় তাহলে ডিমের কালার হালকা সাদা হয় কারণ HB is precursor for pigmentation.
৩# আই বি হলে কেন কুসুম ছাড়া ডিম পাড়ে?
আই বি আক্রান্ত মুরগির ডিম কে (Wind egg,witch egg or cock egg) নামে ডাকা হয়।
আই বি তে প্রজননতন্ত্র নস্ট হয় ফলে ডেড টিস্য বা ফরেন পার্টিকেল ইনফান্ডিবুলামে চলে আসে ,ওভারী এই বস্তুকে কুসুম মনে করে ইমেডিয়েটলি এই ডেড টিস্যু বা ফরেন পার্টিকেলের উপর এলবুমিন সিক্রেশন করে।
৪# মুরগি যদি অতিরিক্ত বা ফাইব্রাস বা বাদাম জাতীয় খাবার খায় তাহলে ক্রপ ইম্পেকশন হয়।দেশি মুরগিতে বেশি হয়।
৫# ফরমালিন সব ধরনের জীবাণূ মারতে পারে।
৬। সিপ্রো ,এনরো,নর ও ডানোফ্লাক্সাসিলিনের ডোজ যদি বেশি হয় তাহলে মুরগি প্যারালাইসিস হতে পারে কারণ হক জয়েন্ট রাপ্সার হয়ে যায়।
#কুসুমথলি_
বাচ্চার কুসুমথলিতে যে পুষ্টি থাকে তা দিয়ে বাচ্চা ২-৩ দিন না খেয়ে বাচতে পারে। বাচ্চার কুসুমথলি প্রধানত ৩-৫ দিন থাকে। ধীরে ধীরে তা শোষিত হয়। তবে বিভিন্ন কারনে ৫ দিনের পরেও বাচ্চাতে অশোষিত কুসুমথলি দেখা যায়।
যে সকল বাচ্চার কুসুমথলি পরিপূর্নভাবে শোষিত হয় সেগুলোর ওজন অনেক ভাল হয়। অপরদিকে যে বাচ্চাগুলোর কুসুমথলি পরিপূর্নভাবে শোষিত হয় না সেগুলোর ওজন তুলনামুলক ভাবে কম হয়।”
কুসুমথলি পরিপূর্নভাবে শোষিত হবার উপকারিতা-
#দৈহিক_বৃদ্ধি
কুসুমথলিতে প্রচুর পরিমানে পুষ্টি উপাদান থাকে। বাচ্চার জন্য প্রয়োজনীয় এনার্জি, চর্বি, আমিষ, ময়েশ্চার, ভিটামিন, মিনারেল ইত্যাদি সবকিছুই কুসুমথলিতে থাকে। যে বাচ্চাগুলোর কুসুমথলি ঠিকমত শোষিত হবে সেগুলো বেশি পুষ্টি পাবে এবং দৈহিক বৃদ্ধি ভাল হবে। অপরদিকে যেগুলোর কুসুমথলি ঠিকমত শোষিত হবে না সে বাচ্চা আংশিক পুষ্টি পাবে এবং ওজন তুলনামুলক কম হবে।
#ইমিউনিটি
কুসুমথলিতে পুষ্টি উপাদানের পাশাপাশি বিভিন্ন রোগের এন্টিবডি থাকে। যা বাচ্চা তার মায়ের শরীর থেকে পায়। এই এন্টিবডিগুলো বাচ্চাকে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধক্ষম করে তোলো যার ফলে বাচ্চা বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্ত থাকে। যে বাচ্চার কুসুমথলি (এন্টিবডি) যত পরিপূর্নভাবে শোষিত হবে সে বাচ্চার এন্টিবডি তত বেশী থাকবে এবং সহজে রোগাক্রান্ত হবে না। অপরদিকে যে বাচ্চার কুসুমথলি অপূর্ন বা আংশিক শোষিত হবে সে বাচ্চার এন্টিবডি লেভেল তত কম থাকবে এবং সহজেই রোগাক্রান্ত হবে
#জীবানু_সংক্রমণ
কুসুমথলি যেহেতু প্রচুর পুষ্টি উপাদানে ভরপুর থাকে সেহেতু এটি ব্যাকটেরিয়ার বংশবৃদ্ধির জন্য একটি ভাল মিডিয়া হিসেবে কাজ করে। বাচ্চার ভেজা ও খোলা নাভী দিয়ে জীবানু কুসুমথলিতে প্রবেশ করে এবং বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি করে। তাছাড়া দূষিত খাবার ও পানির মাধ্যমেও কুসুমথলিতে জীবানু প্রবেশ করতে পারে। তাই কুসুমথলি যত দ্রুত ও পরিপূর্নভাবে বাচ্চার শরীরে শোষিত হবে জীবানু সংক্রমনের সম্ভবনা তত হ্রাস পাবে। কুসুমথলি যদি দেরীতে শোষিত হয় বা অপূর্নভাবে শোষিত হয় তবে জীবানু সংক্রমনের সম্ভবনা বেড়ে যায় ।
।মাইকোটক্সিন
আবহাওয়ার আপ ডাউন হলে ভুট্রায় টক্সিসিটি বেশি হয় যাতে ১০-১৫% প্রডাকশন কমে যায়।
ভুট্রায় ফুসারিয়াম টক্সিন হয় যা সাদা কালার।
ডি ডি জি এস যদি ২০দিন স্টোর করা হয় তাতে আফ্লাটক্সিন ১০০পি পি বি হয়।
এম বি এম এ ই -কলাই বেশি থাকে আর যদি ১৫দিন স্টোর করা হয় তাহলে আফ্লাটক্সিন হয় ৫0 পিপিবি।
চাল ভাংগায় ও টক্সিন থাকে যা দেখা যায় না।
গমে টক্সিন হয় না কারণ এতে টক্সিন বিরোধী জিন আছে।
##হাইডোজেন পারঅক্সাইড সিল্ভার নাইট্রেট ছাড়া ভাল কাজ করেনা।
#ক্লোরিণ, পি এইচ ৭.৫ এর উপরে ভাল কাজ করে না।
#পানির কাংখিত প্যারামিটার
পি এইচ ৬.৫-৭
সোডিয়াম ৩২-৫০এমজি/লিটার
সালফেট ১২৫ এম জি
ম্যাগ্নেসিয়াম ১৪ এমজি
ক্লোরাইড ১৪ এম জি /লিটার
জিংক .৫০পিপিএম টক্সিক
লেড .02টক্সিক
হাডনেস ২০০-১০০০ পিপিএম
সোডিয়াম ক্লোরাইড ১৬৫এমজি/লিটারের বেশি হলে খাবারে সোডিয়াম কমাতে হবে।
সালফেট ও ম্যাগেনেসিয়াম ১২৫ পিপিএমের বেশি হলে সাদা পেস্টি ডায়রিয়া হয়।
টি ডি এস ১০০০ এর কম ।
ক্যালসিয়াম ৬০এম জি /লিটার।
ক্যালসিয়াম ৩০০-৪০০এমজি হলে টিডিএস বেড়ে যায় ফলে পানির পাইপ্লাইনে বায়োফিল্ম হয়।
#মাইকোপ্লজামা, এ আই ,টিকা ফেইলের জন্য ই -কলাই সাইলেন্ট কিলার।
#সিংগেল সোডিয়াম,সালফেট,ম্যাগ্নেসিয়াম ক্ষতিকর নয় যদি না কম্বাইন্ড হয়।
আয়রন .৩-২৫ এম জি/লিটার এর বেশি হলে পাতলা খোসা হয় এবং ব্যাক্টেরিয়ার লোড বেশি হয়।
#পানির রং দেখে গুণাগুণ নির্ণয়
নীল ঃ কপার বেশি
খারাপ গন্ধ হয় ঃম্যাগ্নেসিয়াম বেশি হলে
গাড় ব্রাউনঃ আ্রযরন অক্সাইড
সিউজেজ কন্টামিনেশনঃ ফসফেট
নাইট্রেট ১০-২৫ পিপিএমঃ সার
নাইট্রাইট ৪পিপিএম হেমোগ্লবিন বাইন্ড করে।
#মুরগি হলো সেলেক্টিভ ব্রিডিং মানে একটা মেল ৮টি ফিমেলের সাথে ম্যাটিং করে যদি মেল মারা যায় তাহলে অন্য মেল্ কে অনুমতি দেয় না।
একটা খাচায় যদি নতুন মুরগি আনা হয় তাহলে তাকে ঠোকর দেয় এমন কি মেরে ফেলে।
#সকালে মুরগি তার খাবার খেতে পছন্দ করে কারণ এঞ্জাইম সিক্রেশন বেশি হয় এবং ডাইজেশন বেশি হয়।