টুটকা
যার কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই,কিন্তু ব্যবহার করে ফল পেয়েছি।
১।F M D বা ক্ষুরা রোগ হলে ২০ দিন বয়স পর্যন্ত বাছুর শতকরা ১০০ ভাগ মারা যায় বা এর চেয়ে বড় বাছুর ও মারা চিকিৎসক হিসেবে কিছুই করার নেই অবশেষে মরহুম ডা ফজলুল হক ছারের কাছে পরামর্শ চাইলাম ছার বলল,ইনঃ সেলিডন (বর্তমানে) ২৫ সিসি একবারে মাংসে ইনজেকশন করে দাও এফ এম ডি রোগ হওয়ার ২/১দিন পুর্বে বয়স যাই হোক,মাত্র ১টা ইনঃ।তারপর থেকে করে আসছি, বাছুর আর মরেনি।
২।আঃ সালাম সাবেক ভি এফ এ,চরফ্যাশন,ভোলা বলেছিল হাসের ডাক প্লেগ রোগ হয়ে গেলে সেলিডোন ইনঃ ১ সি সি মাংসে মাত্র ১বার প্রতি হাসে ইনজেকশন করলে ঐ হাস (duck) মরে না।পরামর্শ দিয়ে আসছি ফল খুব ভাল, পুর্বে ইনজেকশন ডায়াডিন করতাম এখন সেলিডোন করি।
রিপিট ব্রিডিং
।আমার ধারনা মানুস বেশী আমিষ খায় তাই তার এসিডিটি বেশী, গরু ফাইবার জাতীয় খাদ্য বেশী খায় আর আমিষ জাতীয খাদ্য কম খায়,তাই তাদের এসিডিটি কম।কিন্তু ইদানিং দেখছি গরু ঘাস পাই না, আমিষ বেশী খেয়ে বেচে আছে তাই তাদের এসিডিটি বেশী হচ্ছে। যে গরু বার বার পাল মিস করে তাদের যে সমস্ত কর্মীরা পাল দেন,তাদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি, এই গরু পাল দেবার সময় যখন রেকটাম দিয়ে মেসেজ করেন তখন দেখেন স্বচছ মিউকাস সুতার মত ঝুলে পড়ছে,অর্থাৎ কোন সমস্যা নেই,তাহলে কেন পাল রাখেনা। একটু খেয়াল করেন ঐ সময় হঠাৎ করে আধা লিটার পরিমান পানির মত কি যেন পড়ে মাটিতে মিশে যায়। আমরা ধারনা এটাই এসিড জরায়ুর ভিতর জমা হয়েছিল,যাহা অতিরিক্ত আমিষ খাওয়া গরুতে জমে, ফলে জরায়ুতে সিমেন দেবার পর শুক্রানু মারা যায়,ফলে গর্ভধারন করে না,আপনি সোডি বাই কার্ব ওয়াশ দিয়ে পাল দিবেন, কিছুক্ষন পর উপর থেকে পানিটা বের হয়ে যাবে, সোডি বাই কার্ব তলানী হিসেবে পড়ে থাকবে এই অবস্হায় পাল দিলে সোডি বাই কার্বের স্পর্শ শুক্রানু গায়ে লাগলে জোক যেমন লবনে গলে যায়,শুক্রানুও অমন গলে যেতে পারে।তাই২০-৩০সি সি পানিতে এস পি ভেট ২.৫গ্রাম গুলায়ে জরায়ুতে ঢুকায়ে দিয়ে আধা ঘন্টা পর পাল দেন।প্রয়োজন হলে ৮ঘন্টা পর একই প্রক্রিয়ায পাল দেন,যদি ওভুলেশন হতে দেরী হয়,এই জন্য ৮ ঘন্টা পর দ্বিতীয় বার পাল দেবেন,এস পি দেবার উদ্দেশ্য অনেক সময় সাব -ক্লিনিক্যাল ফর্মে ইনফেকশন থাকতে পারে,যার লক্ষন প্রকাশ পায়না, পানি দেবার উদ্দেশ্য এসিডিটি থাকলে তা পাতলা হয়ে যাবে ফলে শুক্রানু মারা যাবেনা গরু পাল রাখবে, শতকারা ৮০ভাগ রিপিট সল্ভ হবে এটা আমি পেয়েছি,এখন যাচাই করে আমারে জানান,মানুসের উপকার হোক।
ডা এস কে এম রবিউল আলম ফিরোজ