Breaking News
টিপস ৫
টিপস ৫

টিপসঃ৫

কেন মুরগি প্যারালাইসিস হয়?
খাবারের মিক্সার যদি ভাল না হয় তাহলে সব মুরগি সমানভাবে ক্যালসিয়াম পায় না।
যদি খাবারে শুধু পাথর দেয়া হয় কিন্তু পাথরের গুড়া না দিলে  বেচে বেচে পাথর খেয়ে ফেলে কিন্তু সবাই সমান ভাবে খেতে পারে না।

গুড়া দিলে খাবারের সাথে মিশে যায় ফলে বেচে খাবার সুযোগ থাকে না।
মুরগি যদি বেশি ঘন হয় তাহলে অনেক মুরগি বড় ক্যালসিয়াম খেতে পারেনা।
ডিমে প্রায় ৫.৫গ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে আর মুরগি খাবারের মাধ্যমে ৪.৫গ্রাম ক্যালসিয়াম পায়।

#পাথর থেকে ঝিনুকের গুড়া বেশি সলুবল এবং ভাল।
#বয়স্ক মুরগিতে ক্যালসিয়াম বাইন্ডিং প্রোটিন ও এস্টোজেন হরমোন সেক্রেশন কমে যায় তাই ডিমের খোসা নরম হয়।

#সকালের ডিম বেশি শক্ত হয়।
#লেয়ারকে যদি ৬ ঘন্টা খাবার অফ রাখা হয় তাহলে প্যারালাইসিস শুরু হয়ে যায়।।
খাবারে সোডিয়াম বাই কারবোনেট দিলে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ রক্তে বেড়ে যায়।
রক্তে ক্যালসিয়াম সব সময় ২৫ এম জি/মিনিট থাকতে হয়।এর কম হলে খোসার মান খারাপ হয়।
ফসফরাস বেড়ে গেলে ক্যালসিয়াম বের হয়ে যায় আবার ক্যালসিয়াম বেশি দিলে পি এইচ বেড়ে যায় এবং জীবাণূর লোড বাড়ে।
তাছাড়া হোয়াইট ডায়রিয়া দেখা দেয়।

#গ্রোয়িং পিরিয়ডে পাথর ৬৫% আর গুড়া ৩৫%দেয়া উচিত।
লেয়িং পিরিয়ডে পাথর ৮৫% আর গুড়া ১৫% দেয়া হয়।

#পানিতে লবণ বেশি হলে,ট্রেস মিনারেলের ঘাটতি হলে ,টক্সিসিটি বেশি হলে খোসার মান খারাপ হয়।

#গরমে সোডা ১.৫ কেজি/টন ,লবণ ২কেজি/টন আর শীতে লবন ৩কেজি আর সোডা ৫০০গ্রাম /টন দেয়া উচিত।

তুতে
এটি এন্টিভাইরাল,এন্টিব্যাক্টেরিয়াল,এন্টিপ্যারাসাইটিক,এন্টিএনথেল্মেন্টিক,এন্টিফাঙ্গাল ,এন্টিএলগি হিসেব কাজ করে যদি সাথে পি এইচ বা এসেটিক এসিড দেয় হয়।
তাছাড়া ই- কলাই এর বিরুদ্ধে কাজ করে।
১লিটারে ৫গ্রাম তুতে দিয়ে স্প্রে করলে ভাইরাস মারা যায় এবং এটি পানির লাইনে বায়োফ্লিম দূর করতে ব্যবহার করা হয়।
কুকুর ও বিড়ালের এন্টি কক্সিডিয়াল হিসেবে কাজ করে।
টার্কি তে ব্যাল্ক হেড রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে।
কবুতরে ক্যাঙ্কারের বিরুদ্ধে কাজ করে।
তবে অনেক দিন ব্যবহার করলে গিজার্ড ইরোশন হয় এবং ভিটামিন এ এর ঘাটতি হয় তাই বিরতি দিয়ে খাওয়ানো উচিত।

#ব্রিডার মুরগি ডিম পাড়া শুরু করার  ২ সপ্তাহ পরের ডিম হ্যাচিং এ দেয়া উচিত কারণ ১ম ২ সপ্তাহ যে ডিম পাড়ে সেগুলোর ওজন কম থাকে ।

২ সপ্তাহের পর থেকে ১৬ সপ্তাহ (৪মাস) মানে পিকের সময় যে ডিম আসে সেগুলোর বাচ্চা সবচেয়ে ভাল হয়।

গরম কালে ৫বার আর শীতকালে ৪বার ডিম কালেকশন করা উচিত।

ডিম পাড়ার পর ডিমে কার্বন ডাই অক্সাইড উচ্চমাত্রায় থাকে পর তা কমতে থাকে,কিন্তু পি এইচ বেড়ে যায় আর এতেই কোষ উতপাদনের জন্য মেটাবলিক প্রক্রিয়া শুরু হয়।

৪৬-৫০ গ্রাম এবং ৫০-৬৬ গ্রাম ওজনের ডিম ভাল।এই ওজনের চেয়ে ১০ গ্রাম কম হলে ৪% হারে হ্যাচিং% কমে যায় আর ১০গ্রাম ওজন বেশি হলে ১১% হারে হ্যাচিং কমে যায়।

বড় সাইজের ডিমে খোসার আয়তন কম হয় ফলে অক্সিজেন,কার্বন ডাই অক্সাইড ও জলীয় বাষ্পের আদান প্রদান কম হয় তাই হ্যাচিং কম হয়।

বায়বীয় আদান প্রদান ছাড়া খোসার আরো কাজ আছে ।ডিম ৫০০ ব্যাক্টেরিয়া নিয়েই আসে।

খোসায় অসংখ্য ছিদ্র আছে,এই ছিদ্র  দিয়ে নেস্ট বা লিটার থেকে জীবাণূ ডিমে ঢুকে যদি খোসার মান খারাপ হয়।

জীবাণু খোসার উপর বা খোসার ভিতরে পর্দায় আটকে থাকে ,বাচ্চা ফোটার পর খোসা বা পর্দা থেকে জীবাণূ দ্বারা আক্রান্ত হয়।

ডিম ফোটার শেষের দিকে (২১দিন পর) ভ্রূনের পরিবর্তন হয়),ডিম যদি ডিম্বাকৃতি হয় তাহলে এই ঘূর্ণন ভাল হয়।লম্বা বা গোল ডিম ভাল না।

ভাল মানের খোসা পেতে হলে দানাদার পাথর এবং বিকালে ৬৫% খাবার দেয়া ভাল।দানাদার পাথর অনেক সময় ধরে রিলিজ হয় তাই রাতের বেলায় ও ক্যালসিয়াম পর্যাপ্ত থাকে ডিমের খোসার জন্য।

গরম কালে বিকালে বা রাত্রে খাবার  বেশি দেয়া  ঠিক নয় কারণ এতে রাতে মেটাবলিজম হয়ে তাপ তৈরি হয়ে ধকলে মুরগি মারা যায়।রাতে মুরগি মরার এটাই মেইন কারণ।

নরমালী মুরগি রাতে মুরগি শরীরের তাপমাত্রা ২-৩ডিগ্রি সেন্টিগ্রেট কমিয়ে দেয় এবং তাও বের করার প্রত্রিয়া কমে যায় ফলে যদি অধিক তাপ রাত্রে তৈরি হয় সেই অধিক তাপ বের না হওয়ায় হিট স্টেসে  মুরগি মারা যায়।

ধুলাবালি, আর্দ্রতা এবং ভেজাল মিলিয়ে ১০% খাবার নস্ট হয়।

ডিমের ভ্রূণ বৃদ্ধি এবং প্রস্ফুটনের সময় ২১দিনে  ১টি ডিম ৬লিটার অক্সিজেন,১১লিটার জলীয় বাষ্প শোষণ এবং ৪.৫ লিটার কার্বন ডাই অক্সাইড

নির্গমন করে।

Please follow and like us:

About admin

Check Also

টিপস ৩২

ডিমের কোয়ালিটির সাথে জড়িত বিষয় ক্রোমিয়াম ও কপার(Pluming process in uterus) এস কর্বিক এসিড ক্টন …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »