সোমবার দুপুরে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রঞ্জিত সরকারের উপস্থিতিতে এই হামলা হয় বলে জানিয়েছেন সিলেট বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের উপপরিচালক আমিনুল ইসলাম।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে রঞ্জিত সরকার বলেন, ‘আমার উপস্থিতিতে মারধরের বিষয়টি মিথ্যা। ছাত্রলীগের কিছু কর্মীর সাথে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। তাদের মধ্যকার ভুল বোঝাবুঝির বিষয়টি সমাধানের জন্য আমি চেষ্টা করছি’।
আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘দুপুরে ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে এসে খামারে প্রজননের জন্য রাখা পাঁঠা জাতীয় একটি ছাগল খাওয়ার জন্য নিতে চাইলে আমরা না করি। তাদের বলা হয়, এ ছাগল কেবলমাত্র প্রজননের উদ্দেশ্যে খামারিদের দেওয়া হয়, খাওয়ার জন্য দেয়ার কোনও সুযোগ নেই। তখন তারা আমাদের সঙ্গে বাজে ব্যবহার করেন।’
‘পরে জেলা আওয়ামী লীগের নেতা রঞ্জিত সরকার আসার পর তিনি ও ছাত্রলীগের সেই সব কর্মীরা হুমকি দেন ও কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে কয়েকজন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে মারধর করেন।’
আহত কর্মকর্তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পরামর্শক্রমে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
এই কর্মকর্তা বলেন, করোনা মহামারি পরিস্থিতির মাঝেও কার্যালয় খোলা রেখে আমরা কাজ করে যাচ্ছি ডেইরি ও মাংসের সরবরাহ নিশ্চিত করতে। সেখানে এ ধরনের ব্যবহার ও হামলা ন্যাক্কারজনক।
এ ব্যাপারে শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, ‘কিছু ছেলেদের সাথে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের কথাকাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে বলে জেনেছি। যদি কোন অভিযোগ দায়ের করা হয়, তবে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।
সূত্রঃThe DAILYSTAR.NET