Breaking News
হ্যাচারীতে প্রাপ্ত বিভিন্ন বাচ্চা
হ্যাচারীতে প্রাপ্ত বিভিন্ন বাচ্চা

হ্যাচারীতে প্রাপ্ত বাচ্চার বিভিন্ন অবস্থা এবং হ্যাচারী ম্যানেজমেন্টের বিষয়াবলী-

হ্যাচারীতে প্রাপ্ত বাচ্চার বিভিন্ন অবস্থা এবং তার সাথে সম্পর্কিত হ্যাচারী ম্যানেজমেন্টের বিষয়াবলী-

১. Early hatch
মুরগীর বাচ্চা সাধারনত ২১ দিন পর হ্যাচ হয়। টার্কির জন্য ২৮ দিন সময় লাগে। সঠিক সময়ের আগেই হ্যাচ হয়ে গেলে সেটা অধিক তাপমাত্রা নির্দেশ করে।

২. Delay hatch
বাচ্চা দেরীতে হ্যাচ হলে অর্থাৎ ডিম থেকে বাচ্চা বের হতে বেশী সময় লাগলে সেটা কম আদ্রর্তা ও কম তাপমাত্রা বিশেষ করে হ্যাচারে কম তাপমাত্রা নির্দেশ করে।

৩. Under weight
সাধারনত ডিমের ওজনের ৬৬-৬৮% বাচ্চার ওজন হয়। যদি ডিম থেকে বেশী ওয়াটার লস হয় তবে বাচ্চার ওজন ডিমের ওজনের ৬৬-৬৮% এর কম হবে। এই ধরনের কম ওজনের বাচ্চা অধিক তাপমাত্রা ও কম আদ্রর্তা নির্দেশ করে।।

৪. Over weight
যদি ডিম থেকে কম ওয়াটার লস কম হয় তবে বাচ্চার ওজন ডিমের ওজনের ৬৬-৬৮% এর বেশী হবে। এটা ইনকিউবেশনের তাপমাত্রা কম ও অধিক আদ্রর্তা নির্দেশ করে।

৫. Wing feather
যদি বাচ্চার পাখাতে অবস্থিত প্রাইমারী ও কভার পালকগুলো বিকশিত হয়ে যায় তবে সেটা সময়ের আগেই হ্যাচ ও অধিক তাপমাত্রা নির্দেশ করে।

৬. Fluff color
সাধারনত বাচ্চার পালক উজ্জ্বল হলুদ বর্নের হয়ে থাকে। যদি বাচ্চার পালক সাদাটে হয় তবে সেটা নির্দেশ করে যে কুসুমথলি স্বাভাবিক ভাবে শোষিত হয় নি। এটাও অধিক তাপমাত্রার কারনে হতে পারে।

৭. Chicks length
যদি বাচ্চার দৈর্ঘ্য স্বাভাবিক দৈর্ঘ্যের চেয়ে কম হয় (প্যারেন্টের বয়সের সাথে বাচ্চার দৈর্ঘ্য ভিন্ন ভিন্ন হয়) তবে সেটা নির্দেশ করে যে ইনকিউবেশনের সময় বাচ্চার বিকাশে ডিমে বিদ্যমান প্রোটিন সঠিক ভাবে ব্যবহৃত হয় নি। অধিক তাপমাত্রার কারনে এমনটি হতে পারে।

৮. Alertness
একদিনের বাচ্চা সাধারনত চঞ্চল হয়ে থাকে। এবং উল্টিয়ে দিলে ৩-৫ সেকেন্ডের মাঝে সোজা হয়ে যায়। যদি বাচ্চার চঞ্চলতা কম থাকে এবং রিফ্লেক্স টেস্টে বেশী সময় নেয় তবে সেটা দুর্বল বাচ্চা নির্দেশ করে। ইনকিউবেশন পিরিয়ডে অধিক তাপমাত্রা বাচ্চার দুর্বলতার অন্যতম কারন।

৯. Chicks leg
বাচ্চার পা সাধারনত মসৃন, উজ্জ্বল, তেলতেলে হয়ে থাকে। যদি বাচ্চার পা শুষ্ক ও খসখসে হয় তবে সেটা ডিহাইড্রেশন ও ইনকিউবেশন পিরিয়ডে অধিক তাপমাত্রা ও কম আদ্রর্তা নির্দেশ করে।

১০. Spraddle leg
বাচ্চার সাধারনত সোজা হয়ে দাড়িয়ে থাকে। তবে অনেক সময় দেখা যায় বাচ্চা দুই পা ছড়িয়ে দাড়িয়ে থাকে। এমন অবস্থা হ্যাচিং ট্রের অধিক মসৃণতার কারনে হতে পারে।

১১. Red hock
সুস্থথ বাচ্চা হক জয়েন্ট বা হাটু পরিষ্কার ও হালকা হলুদ বর্নের হয়ে থাকে। যদি হাটুর অংশটি লাল ও ক্ষত যুক্ত হয় তবে সেটা কম তাপমাত্রা ও অধিক আদ্রর্তা নির্দেশ করে।

১২. Blue leg
বাচ্চ্চার পা সাধারনত হালকা হলুদ বর্নের হয়। যদি পা হালকা সবুজ বা নীল হয় তবে সেটা হ্যাচারে অক্সিজেনের অভাব ও কার্বন ডাই অক্সাইডের অাধিক্য নির্দেশ করে।

১৩. Chicks with shell
হ্যাচের পর সাধারনত বাচ্চার শরীর থেকে ডিমের খোসা মুক্ত হয়ে যায়। যদি হ্যাচের পর বাচ্চার শরীরে ডিমের খোসা লেগে থাকে তবে সেটা ইনকিউবেটরে অধিক তাপমাত্রা ও ত্রুটিপূর্ন টার্নিং নির্দেশ করে।

১৪. Umbilical cord
স্বাভাবিক বাচ্চার নাভীতন্তু থাকে না। এবং নাভীর অংশটি শুকনো থাকে। বাচ্চাতে নাভীতন্তু বিদ্যমান থাকলে এটা নির্দেশ করে যে কুসুমথলি ভাল মতো শোষিত হয় নি। এটা হ্যাচারে অধিক আদ্রর্তা ও ইনকিউবেটরে অধিক তাপমাত্রা নির্দেশ করে।

১৫. Black button
বাচ্চার নাভী সাধারনত পরিষ্কার ও কোন প্রকার স্পট থাকে না। তবে বাচ্চার নাভীতে যদি ব্লাক বাটন (কালো অংশ) পাওয়া যায় তবে সেটা ইনকিউবেশন পিরিয়ডের শেষের দিকে অধিক তাপমাত্রা নির্দেশ করে।

১৬. Open naval
সুস্থ বাচ্চার নাভীমুখ সাধারনত বন্ধ থাকে। যদি বাচ্চার নাভীমুখ খোলা থাকে তবে সে অংশ দিয়ে জীবানু প্রবেশ করে রোগ সৃষ্ট করতে পারে। বাচ্চার নাভী মুখ খোলা থাকলে সেটা ইনকিউবেশন পিরিয়ডের শেষের দিকে কম তাপমাত্রা ও অধিক আদ্রর্তা নির্দেশ করে।

১৭. Pasty vent
স্বাভাবিক বাচ্চার ভেন্ট বা পায়ু পালকযুক্ত, পরিষ্কার, শুষ্ক হয়ে থাকে। যদি বাচ্চার ভেন্ট বা পায়ু ভেজা থাকে তবে সেটা অনেক ক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন নির্দেশ করে।

১৮. Embryonic death
অনেক সময় ডিমের মাঝে বাচ্চা মারা যেতে দেখা যায়। এই রকম অবস্থা অনেক কয়টি বিষয় নির্দেশ করে। যেমনঃ ইনকিউবেশনের প্রথম সপ্তাহে অধিক বা কম তাপমাত্রা, ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন, ত্রুটিপূর্ন টার্নিং, নিউট্রিশনের অভাব ইত্যাদি কারনে ইমব্রায়নিক মর্টালিটি হতে পারে।

১৯. Malposition
অনেক সময় ডিমের মাঝে বাচ্চা ভুল পজিশনে থাকে ফলে বাচ্চা ডিমের খোসা ভাঙ্গতে পারে না এবং শেলের ভিতরই মারা যায়। এই রকম অবস্থা ইনকিউবেশনের প্রথম সপ্তাহে অধিক বা কম তাপমাত্রা ও ত্রুটিপূর্ন টার্নিং নির্দেশ করে।

২০. Congenital disorder
সাধারনত মনে করা হয় কনজেনিটাল ডিজঅর্ডার গুলো জেনেটিক কারনে হয়ে থাকে। কিন্তু শুধু জেনেটিক কারনে কনজেনিটাল ডিসঅর্ডার হয় বিষটা এমন নয়। অধিক তাপমাত্রা, নিউট্রিশন, ভাইরাল ইনফেকশন সহ বিভিন্ন কারনেও কনজেনিটাল ডিসঅর্ডার হতে পারে।

২১. Piped embryo
অনেক সময় দেখা যায় বাচ্চা ডিমের খোসা ফুটো করে দিয়েছে কিন্তু পুরোপুরি বের হতে পারছে না। সাধারনত দুর্বল বাচ্চাগুলোর ক্ষেত্রে এমন হতে পারে। এমন অবস্থা হলে সেটা ত্রুটিপূর্ন বায়ুপ্রবাহ, ইনকিউবেটরে কম তাপমাত্রা, ইনকিউবেটরে অধিক আদ্রর্তা ও হ্যাচারে কম আদ্রর্তা নির্দেশ করে।

লেখকঃ ডা শুভ দত্ত

Please follow and like us:

About admin

Check Also

হ্যাচারী

হ্যাচারীতে হ্যাচিং বাচ্চা্য় কি কি ত্রুটি হয়,কারণ এবং সমাধান

হ্যাচারীতে হ্যাচিং বাচ্চা্য় কি কি ত্রুটি হয়,কারণ এবং সমাধান ১।ভ্রূণ  মারা যাওয়া কারণ প্যারেন্টে সুষম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »