এখন অনেক রাত রমজান মাস তবুও ভেটেরিনারি বা পশুচিকিৎসক হতে বের হতে পারিনি। আমি যুগ্ম সচিব হিসেবে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে যোগদান করতে গেলাম তৎকালীন মন্ত্রী কিছু অছিয়ত নছিয়ত করলেন আমি বল্লাম সবকিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ব্যবস্থা নেয়া সঠিক হবে স্যার।উনি বুঝলেন আমি আইনের বাইরে কিছু করবো না। উনি জানতে চাইলেন আমি কিসের ডাক্তার । আমি বল্লাম স্যার আমি গরুর ডাক্তার। উনি বল্লেন আপনি এভাবে বলছেন কেন? আমি বল্লাম আপনি মনে হয় এভাবেই জানতে চেয়েছেন।
যুগ্ম সচিব বা সচিব হয়েও veterinary ডিগ্রি থাকায় অনেকেই এ বিরামবনা এড়াতে পারেননি । জনৈক উপসচিবকে ডিসি ফিট লিষ্ট পরীক্ষায় ড. সাদাত হোসেন জানতে চাইলেন তুমার পড়াশুনা । শুনে বললেন ও পশুচিকিৎসা! সেবার না হলেও পরেরবারে তিনি ডিসি হতে পেরেছিলেন।
ব্রিটিশ সিলেবাস বিবেচনায় এবং পড়াশুনার জন্য প্রয়োজনীয় মেধার গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে গরুর ডাক্তারদের প্রথম শ্রেনীর মর্যাদা দিয়েছিলেন।এদেশের আমলা বলুন আর কিছু শিক্ষিতের নামে অশিক্ষিত যেমন ডা. তোষার সাহেবরা একই। তবে এদেশে যারা কামলা হিসেবে বিবেচিত তারা ঠিকই ই জানে পশু হাসপাতাল কোথায় আছে।
ছাত্রেনেতা হিসেবে রাষ্ট্রপতি এরশাদ সাহেবের সাথে বঙ্গভবনে দেখা করতে গেলে কেবিনেট সেক্রেটারি মরহুম এম কে আনোয়ার সাহেবের সাথে কৃষিবিদের পদ থেকে অকৃষিদের সরিয়ে দেবার প্রশ্নে গোলমাল বেধে যায়।এক পর্যায়ে তাকে বলে ফেলি আমরা আপনার মত বেকার হতে পড়াশুনা করিনি।আমরা একটা ব্যাগ নিয়ে ছনের ঘরে বসলে আমাদের দিন চলে যাবে তবে আপনাকে চাকরী ছাড়লে থালা হাতে বটতলায় বসতে হবে।তবুও ধন্যবাদ সাবেক মহামান্য রাষ্ট্রপতি এরশাদ সাহেব ও মরহুম এম কে আনোয়ারকে সে সময়ে বিসিএস -এ কৃষির সকল বিভাগে একটি পত্রের পরির্বতে দুটিপত্রের পরীক্ষার দাবী মেনে নেওয়ায়। সে কারনেই ১৯৮৫ সালের বিসিএসে কৃষি সেক্টরের প্রধান্য।
সময় হলে আবার আসবো।
ডা শহীদ মোতাহার হোসেন
যুগ্ন সচিব