Breaking News
ভেড়া
ভেড়া

#বানিজ্যিকভাবে #ভেড়ার #খামার: বিশেষজ্ঞ এবং শিক্ষাবিদগণের পরামর্শ ও সুপারিশ

 #বানিজ্যিকভাবে #ভেড়ার #খামার: বিশেষজ্ঞ এবং শিক্ষাবিদগণের পরামর্শ ও সুপারিশ

#আমিষের_চাহিদা_পূরণ
দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে আমিষের চাহিদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, প্রতিদিন একজন লোকের আমিষ দরকার ১২০ গ্রাম আর দেশে উৎপাদন হচ্ছে ১২১.৭৪ গ্রাম। যদিও এ বিষয়েও বিশেষজ্ঞ এবং শিক্ষাবিদগণের ভিন্নমত রয়েছে। যাহোক আমিষ হিসাবে ভেড়ার মাংস বিশ্ব সমাদৃত, কিন্তু এটা আমরা সবেমাত্র উপলব্ধি করতে শুরু করেছি। এর অন্যতম কারন হলো মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি, বিভিন্ন দেশের সাথে বাংলাদেশের মানুষের যোগাযোগ ও কাজের সুযোগ বৃদ্ধির ফলে ভিন্ন দেশের মানুষের খাবার অভ্যাসের প্রতি দৃষ্টিপাত।

#উলবেজড_টেক্সটাইল
বাংলাদেশ টেক্সটাইল সেক্টরে বেশ সমৃদ্ধ। প্রতিবছর এ সেক্টর থেকে বিশাল অংকের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে থাকে। তাই সরকারী ও বেসরকারী সকলেই চাইবে টেক্সটাইল সেক্টর টিকে থাকুক এবং আরো বেশি সমৃদ্ধ হোক। কিন্তু উল বেজড টেক্সটাইল এর ক্ষেত্রে আমাদেরকে উল বাইরের দেশ থেকে আমদানী করতে হয়। কারন আমাদের দেশে যে ভেড়া পালন হয়, তার উল ফেব্রিক্সের জন্য যথাযথ নয় বা উলের সঠিক প্রক্রিয়াজাত করন বা বাজারজাত করনের ব্যবস্থা এখনো তৈরী হয় নি। কিন্তু বিশেষজ্ঞ এবং শিক্ষাবিদগণ মনে করেন বানিজ্যিকভাবে ভেড়ার খামার করে উলের যোগান দিয়ে বাংলাদেশ টেক্সটাইল সেক্টরকে আরো বেশি সমৃদ্ধ করা সম্ভব।

#দারিদ্র_দূরীকরণ:
গ্রামিণ অর্থনীতিতে ভেড়া পালন বা ভেড়ার খামার করে দারিদ্র দুরীকরণ এখন আর বই পুস্তকের বিষয় নয়। বরং তা আজ প্রমানিত বিশেষ করে মেহেরপুর, চোয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া সহ অন্য জেলার দিকে যদি লক্ষ্য করা যায়।

#বেকারত্ব_দূরীকরণ:
বেকার সমস্যা আমাদের দেশে এক অন্যতম কারন। তাছাড়া তথ্য প্রযুক্তির কারনে যুবক শ্রেণি দিনে দিনে স্বাধীন পেশার দিকে বেশি ঝুঁকে পড়ছে। অর্থাৎ নিজের ইচ্ছামত কাজ করতে চাচ্ছে। ফলে অনেকেই কৃষিকে বেচে নিচ্ছে। এটা ভাল দিক। ভেড়ার খামার তার মধ্যে অন্যতম।

#বানিজ্যিকভাবে_ভেড়ার_খামার_উপর_জোরদার_কেন?

ছোট প্রাণির মধ্যে বানিজ্যিকভাবে খামার গড়ে তোলার জন্য কেন বিশেষজ্ঞ এবং শিক্ষাবিদগণ ভেড়ার খামারের উপর জোর দিচ্ছেন, এ বিষয়ে তুলনামূলক কোন গবেষণা রিপোর্ট আছে বলে আমাদের জানা নেই। তবে নাজ ফার্ম তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে নিম্নের কতিপয় ফ্যাক্টরকে চিহ্নিত করেছেন। যার ফলে হয়তো বিশেষজ্ঞ এবং শিক্ষাবিদগণ বানিজ্যিকভাবে ভেড়ার খামার উপর জোরদার দিচ্ছেন।

#খাদ্যাভাস:
ভেড়া গ্রেজিং প্রাণি অর্থাৎ চরে খেতে পছন্দ করে। ছোট ছোট যে কোন ঘাস ভেড়া খেতেও যেমন পছন্দ করে এবং তা থেকে যথাযথ পুষ্টিমানও পেয়ে থাকে। তাছাড়া ভেড়ার খাবারে বৈচিত্র না থাকলেও চলে। একই ধরনের খাবার এবং নিম্নমানের খাবার খেয়েই চলতে পারে। ফলে গ্রোথ, প্রজননে মারত্বক কোন বাঁধা আসে না। যেটা বানিজ্যিক খামারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাড়িভিত্তিক ২/৪ টা যে কোন পশুই পালন করা সম্ভব। যেখানে কত সময় পালন করা হলো বা কত খরচ করা হলো তার হিসাব যদি করা হয় না। কিন্তু বানিজ্যিক খামারের জন্য পালনের সময়কাল ও খাবার খরচ যথাযথভাবে হিসাব করা হয়। তাই কম খরচে, কম সময়ে কোন খামার টেকসই সেই হিসাব করলে ভেড়াই বেস্ট।

#অতিরিক্ত_গরম:
জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে আবহাওয়ার বিরুপ প্রতিক্রিয়া বিরাজ করছে। দিনে দিনে তাপমাত্রা বেড়েই চলছে। এই অতিরিক্ত গরমে ভেড়া খুব সহজেই নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে। ফলে রোগ বালাই বেশি আক্রমন করতে পারে না এবং গোস্ত উৎপাদন ও প্রজননে ব্যাপক কোন খারাপ প্রভাব ফেলবে না, যা অন্য প্রাণিকে সহজেই আক্রান্ত করবে।

#অতিরিক্ত_ঠান্ডা:
আবহাওয়ার বিরুপ প্রতিক্রিয়ার ফলে কখনো আবার অতিরিক্ত ঠান্ডা পড়ছে। যেমন আমরা কখনো আবার মাইনাসের কাছাকাছি চলে আসছি । এমন আবহাওয়ায় ভেড়া তার উলের কারনে নিজেকে সহজেই মানিয়ে নিতে পারে। কিন্তু অন্য প্রাণির জন্য মানিয়ে নেয়া সহজ ব্যাপার না।

#গোস্তের_পুষ্টিগুণ:
পুষ্টিমানের দিক থেকে ভেড়ার গোস্ত অনেক ভাল। যেটা বিদেশিরা আগেই উপলব্ধি করতে পেরেছে। তাছাড়া ভেড়ার গোস্তে চর্বির পরিমান কম থাকে বিশেষ করে ১২-১৪ মাসের বয়সী ভেড়ার। ফলে যাদের শরীরে কোলেস্টরেল বেশি তারা দিনে দিনে ভেড়ার মাংশের উপর ঝুঁকে পড়বে।

#প্রতিষ্ঠিত_ভেড়ার_খামার:
কোন খামার লাভজনক কিনা তা বোঝার সবচেয়ে বড় ইন্ডিকেটর হলো খামারটি কতদিন ধরে টিকে আছে। যদি দীর্ঘদিন ধরে টিকে থাকে তাহলে বুঝতে হবে খামারটি লাভজনক। উন্নত দেশে একটা খামার শুরু করে প্রতিষ্ঠিত খামারে পরিনত করতে ৬-৮ বছর সময় লাগে, সে তুলনায় আমাদের মত দেশের কম পক্ষে ৮-১০ বছর সময় লাগবে, কোন খামার ভালভাবে বানিজ্যিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে। এই দিক দিয়ে বিচার করলে দেখা যায়, ৮-১০ বছরের উপর ছোট প্রাণির মধ্যে ভেড়ার খামার বাংলাদেশে অনেক আছে। বিশেষ করে মেহরেপুরে। তার মানে এটা টেকসই এবং লাভজনক। এদর মধ্যে অনেকেই আবার ১৫-২০ ধরে ভেড়ার খামার চালিয়ে যাচ্ছেন।

#সরকারী_উদ্যোগ:
বানিজ্যিকভাবে ভেড়ার খামার করার জন্য সরকার বেশ জোরালো উদ্যোগ নিয়েছে, এর জন্য সভা, সেমিনার, প্রচার প্রচারণা, খামারীদের সহযোগিতা সহ নানাবিধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এসব কারনেই বানিজ্যিকভাবে খামার গড়ে তোলার জন্য বিশেষজ্ঞ এবং শিক্ষাবিদগণ ভেড়ার খামারের উপর জোর দিচ্ছেন বলে আমাদের বিশ্বাস।
তথ্য সূত্র NAZ FARM

Please follow and like us:

About admin

Check Also

টিকা ও ওষুধের ব্যবহার পদ্ধতি (এম এ ইসলাম)

টিকা ও ওষুধের ব্যবহার পদ্ধতি  টিকা ও ওষুধের সঠিক ব্যবহার রোগপ্রতিরোধ ও নিরাময় নিশ্চিত করে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »