Breaking News

বাণিজ্যিকভাবে দেশী মুরগি পালন (লাভ লস)

বাণিজ্যিকভাবে দেশী মুরগি পালন (লাভ লস)

বাণিজ্যিকভাবে দেশী মুরগি পালন

দেশী মুরগি বানিজ্যিকভাবে পালন কৌশল আয় বৃদ্ধি ও পারিবারিক পুষ্টির নিশ্চয়তা বিধানে দেশী মুরগী প্রতিপালন বিশেষ অবদান রাখতে পারে । আমরা সবাই বলে থাকি দেশী মুরগির উৎপাদন কম । কিন্তু বিভিন্ন পর্যায়ে বিশেষ লক্ষ্য এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করে দেশী মুরগীর উৎপাদন দ্বিগুনের ও বেশী পাওয়া সম্ভব। দেশী মুরগি থেকে লাভ জনক উৎপাদন পওয়ায় বিভিন্ন কৌশল এখানে বর্ননা করা হয়েছে।

গবেষনায় দেখা গেছে দেশী মুরগির ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি করে বাজারে বিক্রি করার চেয়ে ডিম ফুটিয়ে বাচ্চা তৈরী করে ৮-১২ সপ্তাহ বয়সে বিক্রি করলে লাভ বেশী হয়। এক সংঙ্গে ১০-১২ টি মুরগি নিয়ে পালন শূরু করতে হবে। তবে কখনও ১৫-১৬ টির বেশী নেওয়া ঠিক না । তাতে অনেক অসুবিধাই হয় । শুরুতে মুরগি গুলোকে কৃমিনাশক ঔষধ খাওয়ানোর পরে রানীক্ষেত রোগের টীকা দিতে হবে। মুরগির গায়ে উকুন থাকলে তাও মেরে নিতে হবে। প্রতিটি মুরগিকে দিনে ৫০-৬০ গ্রাম হারে সুষম খাদ্য দিতে হবে। আজকাল বাজারে লেয়ার মুরগির সুষম খাদ্য পাওয়া যায় । তাছাড়া আধা আবদ্ধ এ পদ্ধতিতে পালন করলে লাভ বেশী হয়।

মুরগির সাথে অবশ্যই একটি বড় আকারের মোরগ থাকতে হবে। তা না হলে ডিম ফুটানো যাবে না । ডিম পাড়া শেষ হলে মুরগি উমে আসবে । তখন ডিম দিয়ে বাচ্চা ফুটানোর ব্যবস্থা নিতে হয়।এক সঙ্গে একটি মুরগির নীচে ১২-১৪ টি ডিম বসানো যাবে। খামারের আদলে বাঁশ, কাঠ, খড়, বিচলী ,নারকেল ও  সুপারির পাতা দিয়ে যত কম খরচে স্থানান্তর যোগ্য ঘর তৈরী করা সম্ভব তা করা যায়। ঘর তৈরীর সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যেন সঠিক মাপের হয় এবং পর্যাপ্ত আলো বাতাস চলাচল করতে পারে । বানানোর পর ঘরটিকে বাড়ীর সব চেয়ে নিরিবিলি স্থানে রাখতে হবে । মাটির উপর ইট দিয়ে তার উপর বসাতে হবে। তাহলে ঘর বেশী দিন টিকবে ।

 

ফুটানোর ডিম সংগ্রহ ও সংরক্ষনঃ- আরেকটি প্রয়োজনীয় ̧গুরুত্বপূর্ন কাজ। ডিম পাড়ার পর ডিম সংগ্রহের সময় পেন্সিল দিয়ে ডিমের গায়ে তারিখ লিখে ঠান্ডা জায়গায় সংরক্ষন করতে হবে। ডিম পাড়া শেষ হলেই মুরগি কুঁচো হবে। গরম কালে ৫-৬ দিন বয়সের ডিম এবং শীত কালে ১০-১২ দিন বয়সের ডিম ফুটানোর জন্য নির্বাচন করতে হবে।
উমে বসানো মুরগির পরিচর্যা করতে হবে। মুরগির সামনে পাত্রে সবসময় খাবার ও পানি দিয়ে রাখতে হবে যাতে সে ইচ্ছে করলেই খেতে পারে । তাহলে মুরগির ওজন হ্রাস পাবেনা এতে বাচ্চা তোলার পর আবার তাড়াতাড়ি ডিম পাড়া আরম্ভ করবে।

ডিম বসানোর ৭-৮ দিন পর আলোতে রাতের বেলা ডিম পরীক্ষা করলে বাচ্চা হয় নাই এমন ডিম গুলো চেনা যাবে এবং বের করে অনতে হবে। বাচ্চা হওয়া ডিম গুলো সুন্দর করে সাজিয়ে দিতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন মুরগি বিরক্ত না হয়।
প্রতিটি ডিমের গায়ে সমভাবে তাপ লাগার জন্য দিনে কমপেক্ষ ৫-৬ বার ওলট পালট করে দিতে হবে।

বাতাসের আর্দ্রতা কম হলে বিশেষ করে খুব গরম ও শীতের সময় ডিম উমে বসানোর ১৮- ২০দিন পর্যন্ত কুসুম গরম পানিতে হাতের আঙ্গুল ভিজিয়ে পানি স্প্রে করে দিতে হবে।

*ফোটার পর ৫-৬ ঘন্টা পর্যন্ত মাকে দিয়ে বাচ্চাকে উম দিতে হবে। তাতে বাচ্চা শুকিয়ে ঝরঝরে হবে।

বাচ্চা ফুটার পর বাচ্চার পরিচর্যা ও ডিম পাড়া মুরগির পরিচর্যা :– গরম কালে বাচ্চার বয়স ৩-৪ দিন এবং শীত কালে ১০-১২ দিন পর্যন্ত বাচ্চার সাথে মাকে থাকতে দিতে হবে। তখন মুরগি নিজেই বাচ্চাকে উম দিবে। এতে কৃত্রিম উমের (ব্রুডিং ) প্রয়োজন হবে না। এ সময় মা মুরগিকে খাবার দিতে হবে। মা মুরগির খাবারের সাথে বাচ্চার খাবার ও কিছূ আলাদা করে দিতে হবে।

বাচ্চা গুলো মায়ের সাথে খাবার খাওয়া শিখবে। উপরোক্ত বর্নিত সময়ের পর মুরগিকে বাচ্চা থেকে আলাদা করতে হবে। এ অবস্থায় বাচ্চাকে কৃত্রিম ভাবে ব্রুডিং ও খাবার দিতে হবে। তখন থেকেই বাচ্চা পালনের মত বাচ্চা পালন পদ্ধতির সব কিছুই পালন করতে হবে। মা মুরগিকে আলাদা করে লেয়ার খাদ্য দিতে হবে। এ সময় মা মুরগিকে তাড়াতাড়ি সুস্থ হওয়ার জন্য পানিতে দ্রবনীয় ভিটামিন দিতে হবে।

মা মুরগি ও বাচ্চা এমনভাবে আলাদা করতে হবে যেন তারা দৃষ্টির বাহিরে থাকে। এমন কি বাচ্চার চিচি শব্দ যেন মা মুরগি শুনতে না পায় । তা না হলে মা ও বাচ্চার ডাকা ডাকিতে কেউ কোন খাবার বা পানি কিছুই খাবে না । আলাদা করার পর অবস্থার সাথে খাপ খাইয়ে গেলে আর কোন সমস্য থাকে না ।প্রতিটি মুরগিকে এ সময় ৮০-৯০ গ্রাম লেয়ার খাবার দিতে হবে। সাথে সাথে ৫-৭ ঘন্টা চড়ে বেড়াতে দিতে হবে। প্রতি ৩-৪ মাস পর পর কৃমির ঔষধ এবং ৪-৫ মাস পর পর আর. ডি. ভি . টীকা দিতে হবে।

দেশি একটি মুরগি ডিম পাড়ার জন্য ২০ -২৪দিন সময় নেয় । ডিম থেকে বাচ্চা ফুটানোর জন্য ২১ দিন সময় নেয় । বাচ্চা লালন পালন করে বড় করে তোলার জন্য ৯০-১১০ দিন সময় নেয় । ডিম থেকে এ ভাবে (৯০-১১০ দিন ) বাচ্চা বড় করা পর্যন্ত একটি দেশী মুরগির উৎপাদন চক্র শেষ করতে স্বাভাবিক অবস্থায় ১২০- ১৩০ দিন সময় লাগে।

কিন্তু মাকে বাচ্চা থেকে আলাদা করার ফলে এই উৎপাদন চক্র ৬০ -৬২ দিনের মধ্যে সমাপ্ত হয়। বাকি সময় মুরগিকে ডিম পাড়ার কাজে ব্যবহার করা যায় । এই পালন পদ্ধতিকে ক্রিপ ফিডিং বলে ।
* ক্রিপ ফিডিং পদ্ধতিতে বাচ্চা পালন করলে মুরগিকে বাচ্চা পালনে বেশী সময় ব্যায় করতে হয় না । ফলে ডিম পাড়ার জন্য মুরগি বেশী সময় দিতে পারে । এই পদ্ধতিতে বাচ্চা ফুটার সংখ্যা বেশী হয় । দেখা গেছে বাচ্চার মৃত্যুহারও অনেক কম থাকে। মোট কথা অনেক দিক দিয়েই লাভবান হওয়া যায় ।

কালেক্টেড

যদি কেউ লেয়ারের মত খাচায় পালতে চায়,রেডি ফিড দেয় তবে পালা যাবে এবং প্রডাকশন বেশি ওজন বেশি,তাছাড়া তাড়াতাড়ি আসে তবে মাংসের স্বাদ নাকি দেশীর হয় না,দাম কম দেয়।বিক্রি করতে একটু সমস্যা হয়।।অনেকে তাই বলে।

তবে সবচেয়ে ভাল রাতের বেলা ঘরে বা খাচায় রাখা আর দিনের বেলা বাহিরে বের করে দেয় যাতে সে বাহির থেকে কিছু খাবার খেতে পারে।

বি সি আর ডি বি ১০০মি লি ভায়াল.১ভায়ালের জন্য ৬মিলি পানি মিক্স করে ১ফোটা কর ২ চোখে।

আর ডি বি ভ্যাক্সিন ১ভায়াল ১০০মুরগিকে করা যায়.১ভায়াল ১০০মিলি ডীস্টিল পানির সাথে মিক্স করে মাংসে ইঞ্জেকশন করতে হবে ৮-৯ সপ্তাহে কিন্তু রানিক্ষেত হলে যে কোন বয়সে দেয়া যায় তবে মাংস যথেস্ট পরিমাণ না হলে দেয়া  যায় না।

মাংসের জন্য হলে উপরের শুধু ৫০্দিনের সিডিউল মেনে চললেই হবে।ডিমের জন্য হলে সব গুলো মেনে চলতে হবে।

 

#দেশী_মুরগী পালনের লাভ 

#মাংসের-জন্য বাজারজাত করন:
বাচ্চা ১০০ পিস
#খরচ_সমুহ:
১.বাচ্চার দাম:
৪০*১০০=৪০০০/(রেট ৩৫-৪০টাকা)
২.খাদ্য বাবদ :
২২০০*৪=৮৮০০/(৯০দিনে প্রায় ৪ বস্তা খাবার লাগবে,বাকি খাবার বাহির থেকে ছাড়া অবস্থায় খাবে)( দিনে গড়ে ৩০গ্রাম)
৩.লিটার বাবদ:
৫০০ টাকা
৪.ওষুধ ও ভ্যাকসিন
৫০০ টাকা
#মোট_খরচ_সমুহ : =১৩৮০০/

#মোট_বিক্রয়:
১০০ পিস বাচ্চার মধ্যে ১০ পিস বাচ্চাও যদি মারা যায় বাকি থাকে ৯০ পিস।
প্রতি পিস ৯০ দিন পর ওজন হবে ৮০০গ্রাম প্লাজ।
৩২০ টাকা কেজি দাম হলে……
ওজন হবে
৮০০*৯০=৭২কেজি
সুতারাং মোট বিক্রয়
=৩২০*৭২/
=২৩০৪০/
মোট লাভ =২৩০০০-১৩৮০০/
=৯২০০/ মত লাভ থাকে,

২০০/৫০০ পিস বাচ্চা নিয়ে শুরু করলে কেমন লাভ-বেশি হবে।

দেশী মুরগি চেনার উপায়

দেশি মুরগির পা খস খসে এবং ময়লাযুক্ত থাকে

আপনি খামারের পরিচালনার উপরে লাভ বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
যদি মুরগি অসুস্থ হয় তাহলে অনেক মারাও যেতে পারে।তাই ঝুঁকি নিয়েই ব্যবসা করতে হবে।দেশী মুরগির ডিমদেশী মুরগির বাচ্চা

দেশি মুরগির ঘরতবে বুঝে শুনে ।

অনেকে নিচের মত করে পালন করে থাকে।

১মাস বাচ্চা ছাড়া অবস্থায় থাকে পরে সেডের ভিতর নিয়ে পালা হয়।

এভাবে  ৫০০-১০০০ করে দেশী মুরগি পালন করতে হলে কাঠ ,বাশ ,ত্রিপল ,পলিথিন ,প্লাসিটিকের নেট দিয়  ৪০০০০-৫০০০০টাকায় সেড বানায়।

চালাটা হবে পলিথিন,খাবারের বস্তা,ত্রিপল।ত্রিপল উপরে,নিচে পলিথিন আর মাঝে খড় ।চারদিকে প্লাস্টিকের নেট।বাশের খুটি।

খাবার নিজে বানিয়ে খাওয়ালে খরচ অনেক কম পড়ে।

৭০%  নিজে বানানো খাবার আর ৩০% শাক ও ঘাস দেয়া যায়।এতে খরচ কমে  এবং অর্গানিক খাবারও হল।

এভাবে পালন করলে প্রতি টি মুরগি থেকে মাসে ২০টি ডিম পাওয়া যায়।

সরকারী টিকা বিস্তারিত

1.মারেক্স টিকা

MAREK’S DISEASE VACCINE

মারেক্স ডিজিজ (Marek’s Disease) মোরগ-মুরগির একটি লিমফো প্রোলিফারেটিভ (Lympho-Proliferative) রোগ। পেরিফেরাল স্নায়ু, যৌন গ্রন্থি, আইরিস, বিভিন্ন অঙ্গসমূহ, পেশী ও ত্বকে এককেন্দ্রীক কোষের অনুপ্রবেশ (Infiltration) এ রোগের প্রধান বৈশিষ্ট্য। পেরিফেরাল স্নায়ুতে এককেন্দ্রীক কোষের অনুপ্রবেশের কারণে স্নায়ু স্ফীত হয়ে পক্ষাঘাত সৃষ্টি করে। তাই এ রোগকে ফাউল প্যারালাইসিস বলা হয়।

মাষ্টার সীডঃএইচ ভি টি এফ সি-১২৬ (HVT FC-126) (সিরো টাইপ-৩)।

অরিজিনঃইংল্যান্ড

ব্যবহার বিধিঃ ২০০ এম এল ডাইল্যুন্টের সাথে গুলানোর পর ০.২ এম এল করে চামড়ার নিচে প্রয়োগ করতে হয়। ১ দিন বয়সের মুরগীর বাচ্চাকে এই টিকা প্রদান করতে হয়।

সরবরাহঃ প্রতি ভায়ালে ১০০০ মাত্রা টিকা + ২০০ এম এল ডাইল্যুয়েন্ট

মূল্য: প্রতি ভায়াল ৩৫০ টাকা।

2.বাচচা মুরগির রাণীক্ষেত টিকা

BABY CHICK RANIKHET DISEASE VACCINE (BCRDV)

মোরগ-মুরগির সংক্রামক রোগগুলোর মধ্যে রাণীক্ষেত রোগ বা নিউক্যাসেল ডিজিজ (Newcastle Disease) একটি মারাত্মক ভাইরাসজনিত সংক্রামক ব্যাধি। এ রোগের জীবাণু আক্রান্ত বাচ্চা মোরগ-মুরগির শ্বাসতন্ত্র, পরিপাকতন্ত্র ও স্নায়ুতন্ত্র আক্রান্ত করে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ লক্ষণ প্রকাশ করে। পরিপাকতন্ত্র আক্রান্তের ফলে মোরগ-মুরগি সাদা চুনের ন্যায় অথবা সবুজ বর্ণের পাতলা মল ত্যাগ করে। এ রোগের সুপ্তিকাল ৩ থেকে ৬ দিন।

মাষ্টার সীডঃলেন্টোজেনিক এফ (F) ষ্ট্রেইন।

অরিজিনঃFood and Agricultural Organization (FAO)

ব্যবহার বিধিঃ

প্রতি ভায়ালে ০.৬ এম এল টিকা হিমশুস্ক অবস্থায় থাকে। এ টিকা প্রদানের জন্য ৬ এম এল পরিস্রুত পানি, জীবাণুমুক্ত পরিস্কার মিশ্রণ পাত্র, সিরিঞ্জ নিডিল ও আইড্রপার প্রয়োজন হয়। সিরিঞ্জের সাহায্যে ৬ এম এল পরিস্রুত পানির কিছুটা অংশ নিয়ে টিকা ভায়ালে প্রবেশ করাতে হবে। টিকা গলানোর জন্য ভায়াল ধীরে ধীরে নাড়তে হবে এবং পুরো মিশ্রণটি সিরিঞ্জে টেনে নিতে হবে। এরপর পরিস্কার জীবাণুমুক্ত আই ড্রপারের সাহায্যে মিশ্রিত টিকা নিয়ে মুরগির বাচ্চার চোখে দিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে বাচ্চা ঢোক গিললে বুঝা যাবে টিকা প্রদান সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে। প্রতি চোখে ১ ফোটা করে উভয় চোখে টিকা দিতে হবে। প্রতি ভায়ালে ১০০ মাত্রা টিকা থাকে।
সাধারণতঃ ৪ হতে ৭ দিন বয়সের মুরগির বাচচার চোখে প্রথম এ টিকা প্রয়োগ করা উত্তম। কারণ, এ ক্ষেত্রে মাতৃ এন্টিবডি দ্বারা টিকার ভাইরাস নিউট্রালাইজ হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। প্রথম টিকা প্রয়োগের ২১ দিন পর এই টিকা পুনরায় প্রয়োগ করতে হয়।
এই টিকার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ৬ থেকে ৭ সপ্তাহ স্থায়ী হয়। এ সময়কালের পরে বড় মুরগরি রাণীক্ষেত টিকা প্রয়োগ করতে হয়।

সরবরাহ :প্রতি ভায়ালে ১০০ মাত্রা টিকা।

মূল্য :প্রতি ভায়াল- ১৫ টাকা।

3.মুরগির রাণীক্ষেত টিকা

RANIKHET DISEASE VACCINE (RDV)

মোরগ-মুরগির সংক্রামক রোগগুলোর মধ্যে রাণীক্ষেত রোগ বা নিউক্যাসেল ডিজিজ (Newcastle Disease) একটি মারাত্মক ভাইরাসজনিত সংক্রামক রোগ। এ রোগের জীবাণু আক্রান্ত মোরগ-মুরগির শ্বাসতন্ত্র, পরিপাকতন্ত্র ও স্নায়ুতন্ত্রের আক্রান্ত করে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ লক্ষণ প্রকাশ করে। পরিপাকতন্ত্র আক্রান্তের ফলে মোরগ-মুরগি সাদা চুনের ন্যায় অথবা সবুজ বর্ণের পাতলা মল ত্যাগ করে এবং স্নায়ুতন্ত্র আক্রমনের ফলে মোরগ-মুরগির ঘাড় বাঁকা হয়ে যায়। এ রোগের সুপ্তিকাল ৩-৬ দিন।

মাষ্টার সীডঃমুক্তেসর এম (M) ষ্ট্রেইন

অরিজিনঃFood and Agricultural Organization (FAO)

ব্যবহার বিধিঃ

প্রতি ভায়ালে ০.৩ এম এল টিকা হিমশুস্ক অবস্থায় থাকে। প্রতি ভায়ালে ১০০ মাত্রা টিকা থাকে।
টিকার মিশ্রণ তৈরীর জন্য জীবাণুমুক্ত ও পরিস্কার ঢাকনাযুক্ত পাত্র, সিরিঞ্জ নিডিল পরিস্রুত পানি প্রয়োজন। প্রথমে পাত্রে ১০০ এম এল পরিস্রুত পানি মেপে নিতে হবে। তারপর সিরিঞ্জের সাহায্যে ১০০ এম এল থেকে কিছু পরিস্রুত পানি ভায়ালে ঢুকিয়ে নিতে হবে। টিকা পুরোপুরি গুলানোর জন্য শিশিটি আস্তে আস্তে নাড়তে হবে। টিকা পুরোপুরি গুলে গেলে উক্ত মিশ্রণ পাত্রের অবশিষ্ট্য পরিশ্রম্নত পানির সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণ যাতে ভালভাবে হয় সে জন্য ঢাকনা আটকিয়ে পত্রাটিকে ভালভাবে ঝাঁকিয়ে নিতে হবে। পাত্র থেকে মিশ্রণ নিয়ে সিরিঞ্জটি ভরে নিতে হবে। টিকা প্রয়োগের জন্য পাখির পায়ের মাংসল জায়গা থেকে পালকগুলি সরিয়ে নিডিল ধীরে ধীরে মাংসে ঢুকাতে হবে। এরপর ঠিক ১ এম এল টিকা মাংসে ঢুকাতে হবে। টিকার মাত্রা যাতে ঠিক হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে।
২ মাস বা ততোধিক বয়স্ক মুরগিকে এই টিকা দিতে হবে। এই টিকার প্রতিরোধ ক্ষমতা ৬ মাস স্থায়ী হয়। তাই ৬ মাস অন্তর অন্তর এই টিকা প্রয়োগ করতে হয়।
টিকা দেওয়ার সময় যদি কোন মোরগ-মুরগি ককসিডিওসিস, এসপারজিলোসিস, গামবোরো, কৃমি বা অপুষ্টিজনিত রোগে আক্রান্ত থাকে তাহলে রোগ থেকে আরোগ্য লাভের পুনরায় রাণীক্ষেত রোগের টিকা প্রদান করতে হয়। কারণ উপরোক্ত রোগ সমূহে আক্রান্ত হওয়ার ফলে মোরগ-মুরগির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।
সুস্থ মোরগ-মুরগিকেই এই টিকা দিতে হবে। কোন অসুস্থ মোরগ-মুরগিকে টিকা দেওয়া যাবে না। তবে, খামারে রাণীক্ষেত রোগ দেখা দিলে আক্রান্ত মোরগ-মুরগি আলাদা করে ফেলতে হবে। যে সমস্ত মোরগ-মুরগির রাণীক্ষেত রোগ দেখা দেয়নি সেগুলিকে নিয়মমাফিক টিকা দিতে হবে। অসুস্থ মুরগির সংস্পর্শে আসা সুস্থ মুরগির দেহে জীবাণু লুকিয়ে থাকার ফলে ভ্যাকসিন দেওয়ার পরও এরা আক্রান্ত হতে পারে। তবে যে সব মোরগ-মুরগির দেহে জীবাণু নেই তাদের ক্ষেত্রে টিকা প্রদানের ফলে প্রতিরোধ ক্ষমতা জন্মে।
সাধারণ টিকা প্রদানের ১ সপ্তাহের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জন্মে।

সরবরাহ :প্রতি ভায়ালে ১০০ মাত্রা টিকা।

মূল্য :প্রতি ভায়াল ১৫ টাকা।

4.ফাউল পক্স টিকা

FOWL POX VACCINE

ফাউল পক্স মোরগ-মুরগির ভাইরাসজনিত একটি রোগ। আক্রান্ত মোরগ-মুরগির ঝুটি, কানের লতি, পা, পায়ের আঙ্গুল এবং পায়ুর চার পার্শ্বে বসন্তের ফুসকুড়ি দেখা যায়। চোখের চারপাশে এই ক্ষত সৃষ্টির ফলে চোখ বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। এই রোগে বাচ্চা মোরগ-মুরগির বয়স্ক মোরগ-মুরগির অপেক্ষা অধিক সংবেদনশীল।

মাষ্টার সীডঃবোডেট (Buddett) ষ্ট্রেইন।

অরিজিনঃমালয়েশিয়া।

ব্যবহার বিধিঃ

প্রথমে টিকার ভায়ালে ৩ এম এল পরিস্রুত পানি নিয়ে ভাল করে মিশাতে হবে। এই টিকা প্রয়োগের জন্য বিশেষ ধরনের সুঁজ (Biforked Pricking Needle) বা বিকল্প হিসাবে ইনজেকশনের সুঁচের অর্ধাংশ ডুবিয়ে ২১ দিনের বা তদুর্ধ বয়সী মোরগ-মুরগির পাখার ত্রিকোণাকৃতি বিহীন চামড়ায় একাধিকবার খুঁচিয়ে প্রয়োগ করতে হয়।
এই টিকা আজীবনের জন্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি করে। মা থেকে মাতৃএন্টিবডি বাচ্চায় সংঞ্চয়িত হয়।
এই টিকা একবার (বুষ্টার ডোজসহ) প্রয়োগই যথেষ্ট। পুনরায় টিকা প্রয়োগের প্রয়োজন পড়ে না।
সরবরাহ :

প্রতি ভায়ালে ২০০ মাত্রা টিকা।

মূল্য :প্রতি ভায়াল ৪০ টাকা।

5/পিজিয়ন পক্স টিকা

PIGEON POX VACCINE

পিজিয়ন পক্স কবুতর ও বাচ্চা মোরগ-মুরগির একটি ভাইরাস জনিত রোগ। এ রোগের সুপ্তিকাল ৪-২০ দিন। ঈষৎ হলুদ বর্ণের ওয়ার্ট প্রধান লক্ষণ। প্রধানত: মাথা ও ঝুটিতে এবং অনেক সময় মুখগহবর, খাদ্যনালী, শ্বাসনালীতে ডিপথেরিক লিসন দেখা যায়। বাচ্চা মুরগির ও বাচ্চা কবুতরের ক্ষেত্রে খাবার খেতে না পারার জন্য মৃত্যু হার ৯০%-১০০% পর্যন্ত হতে পারে।

মাষ্টার সীডঃদেশীয় (Indigenous/native) কবুতর হতে সংগৃহীত, পৃথকীকরণ এবং Chicken embryo passage এর মাধ্যমে এটিনিউয়েটেড (Attenuated).

ব্যবহার বিধি :
এই টিকা ৩ থেকে ৭ দিন বয়সী মুরগিতে ও কবুতরে প্রয়োগ করা হয়। এই টিকার অন্যান্য ব্যবহার বিধি ফাউল পক্স টিকার ব্যবহার বিধির অনুরূপ।

সরবরাহ :প্রতি ভায়ালে ২০০ মাত্রা টিকা।

মূল্য :প্রতি ভায়াল ২০ টাকা।

5.হাঁস-মুরগির কলেরা টিকা

(FOWL CHOLERA VACCINE)

হাঁস-মুরগির কলেরা গৃহপালিত ও বন্যপাখির একটি মারাত্মক সেপ্টিসেমিক রোগ। পাস্ত্তরেলা মাল্টোসিডা টাইপ-এ (Pasteurella multocida type-A) নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা এ রোগ সৃষ্টি হয়ে থাকে। এটি মূলতঃ আক্রান্ত পাখি থেকে সুস্থ পাখিতে অথবা আক্রান্ত বা বাহক পাখির মল ও অন্যান্য নিঃসরণ দ্বারা পানি ও খাদ্য দূষণের মাধ্যমে অন্য সুস্থ পাখিতে ছড়ায়। উচ্চ আক্রান্তের হার ও অধিক মৃত্যুর হার এবং সবুজ বা হলুদ ডায়রিয়া এ রোগের প্রধান বৈশিষ্ট্য। সব বয়সী পাখি এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে, তবে বয়স্ক পাখি বেশি সংবেদনশীল।

মাষ্টার সীডঃলোকাল ষ্ট্রেইন।

অরিজিনঃপ্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান, মহাখালী, ঢাকা।

ব্যবহার বিধিঃ

অয়েল এ্যাডজুভেন্ট টিকা ২ মাস বা তদুর্ধ বয়সী হাঁস-মুরগিকে চামড়ার নীচে ১ এম এল মাত্রায় প্রয়োগ করতে হয়। প্রথম টিকা প্রয়োগের ১৫ দিন পর বোষ্টার ডোজ প্রয়োগ করতে হয়। এরপর ৬ মাস অন্তর অন্তর টিকা দিতে হয়। এ্যালাম অধঃপতিত টিকা একই মাত্রায় এই বয়সী হাঁস-মুরগিকে প্রয়োগ করতে হয়। তবে, এই টিকা মাংসীপেশীতে প্রয়োগ করতে হবে। এই টিকাও ৬ মাস পর পর প্রয়োগ করতে হয়।
অয়েল এ্যাডজুভেন্ট ও এ্যালাম অধঃপতিত উভয় ধরনের টিকা মাঠ পর্যায়ে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু দু’ধরনের টিকার প্রয়োগ স্থান ভিন্ন। ওয়েল এ্যাডজুভেন্ট টিকার তেল থাকে বিধায় তা মাংসপেশীতে প্রয়োগ করলে মাংস নষ্ট হয়ে যায় ও হাঁস-মুরগি খোঁড়া হয়ে যেতে পারে। এছাড়া অল্প বয়স্ক হাঁস-মুরগিতে (২ মাস বয়সের নীচে) প্রয়োগ করলে অনেক ক্ষেত্রে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।
বিঃ দ্রঃ :

এই টিকা কিছুতেই বরফায়িত করা বা শূন্য ডিগ্রি (০০) সেলসিয়াস বা তার নীচের তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।

সরবরাহ :প্রতি ভায়ালে ১০০ মাত্রা টিকা।

মূল্য :প্রতি ভায়াল ৩০ টাকা।

6.সালমোনেলোসিস/ফাউল টাইফয়েড টিকা

(SALMONELLOSS/FOWL TYPHID VACCINE)

সালমোনেলোসিস/ফাউল টাইফয়েড গৃহ-পালিত মোরগ-মুরগির একটি ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ। এ রোগ তীব্র ও দীর্ঘ মেয়াদী (Chronic) প্রকৃতির হয়ে থাকে। তীব্র প্রকৃতির রাগে মোরগ-মুরগির উচ্চ তাপমাত্রা ও হঠাৎ মৃত্যু হয়। দীর্ঘ মেয়াদী (Chronic) মোরগ-মুরগির খাদ্য গ্রহণে অনিহা, ঝুটি বিবর্ণ হওয়াসহ সবুজ বা হলুদ বর্ণের ডায়রিয়া দেখা দেয়। যা মলদ্বারের আশপাশের পালকে লেগে থাকে। এ রোগে আক্রান্ত পাখির ওজন ও ডিম উৎপাদন দ্রুত কমে যায়। বাচ্চা মোরগ-মুরগির মৃত্যুর হার অত্যাধিক হয়। আক্রান্ত মোরগ-মুরগির মলমূত্র দিয়ে, দূষিত খাদ্য ও পানিয় দিয়ে সুস্থ পাখিতে রোগ সংক্রমিত হয়। বাহক মুরগির ডিমের মাধ্যমে বাচ্চাতে এ রোগের সংক্রামণ হয়।

মাষ্টার সীড :সালমোনেলা গেলিনেরাম- এর ফিল্ড ষ্ট্রেইন ও 9 R ষ্ট্রেইন।

অরিজিন :প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান, মহাখালী, ঢাকা।

ব্যবহার বিধি :

৬ সপ্তাহের উর্ধ্ব বয়সী মোরগ-মুরগিতে প্রথম ডোজ দেওয়া হয়। ১ম ডোজের ৩০ দিন পর ২য় ডোজ ও ৬ মাস পর বুষ্টার ডোজ দিতে হয়। গলার চামড়ার নীচে ০.৫ এম এল করে ইনজেকশন দিতে হয়।

সরবরাহ :প্রতি ভায়ালে ২০০ মাত্রা টিকা।

মূল্য :প্রতি ভায়াল ৯০ টাকা।

7.গামবোরো টিকা

INFEDCTIOUS BURSAL DISEASE VACCINE

গামবোরো রোগ (Infectious Bursal Disease Vaccine) মোরগ-মুরগির ভাইরাস জনিত একটি মারাত্মক রোগ। সাধারণত: ৩-৮ সপ্তাহ বয়সী মোরগ-মুরগি এ রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। এ রোগে মোরগ-মুরগির বার্সা আক্রান্ত হয় বলে এরূপ নামকরণ করা হয়েছে। আক্রান্ত মোরগ-মুরগির কোচকানো পালক, অবসন্নতা, ময়লাযুক্ত পায়ুস্থান, উচ্চ তাপমাত্রা, কাঁপুনি ও পানির মতো ডায়রিয়া এ রোগের প্রধান বৈশিষ্ট্য।

মাষ্টার সীড :বি এ ইউ- ৪০৪ (BAU-404) ষ্ট্রেইন।

অরিজিন :বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ।

ব্যবহার বিধি :

(1) ৫০ এম এল ডাইল্যুয়েন্টের সাথে গুলানোর পর ১ ফোটা চোখে প্রয়োগ করতে হয়।

(2) সাধারণত: ১২-১৯ দিন বয়সে এই টিকা প্রয়োগ করতে হয় (৭ দিন পর পুনরায় ২য় বার প্রয়োগ করতে হয়) তবে মাতৃ এন্টিবডির টাইটারের উপর নির্ভর প্রাপ্ত এন্টিবডির টাইটারের উপর ভিত্তি করে এই টিকা প্রয়োগ করা উত্তম।

সরবরাহ :প্রতি ভায়ালে: ১০০০ মাত্রা টিকা + ৫০ এম এল ডাইল্যুয়েট + ড্রপার।

মূল্য :প্রতি ভায়াল : ২০০ টাকা।

8.ডাক প্লেগ টিকা

(DUCK PLAGUE VACCINE)

ডাক প্লেগ আমাদের দেশের হাঁসের একটি ভাইরাসজনিত মারাত্মক সংক্রামক রোগ। এ রোগে আক্রান্ত হাঁসের ছানা ৩-৪ দিনের মধ্যে মারা যায়। সবুজ বর্ণের পাতলা পায়খানা, চোখে পিছুটি লেগে থাকা, খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাটা এবং মৃত্যুর পর পুরুষ হাঁসের পুরুষাংগ বাহির হয়ে আসা এ রোগের প্রধান বৈশিষ্ট্য। এ রোগে আক্রান্ত হাঁসের মৃত্যুর হার ১০০%।
মাষ্টার সীড :দেশীয় (Local) ষ্ট্রেইন।

অরিজিন :প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান, মহাখালী, ঢাকা।

ব্যবহার বিধিঃ

ছোট কাচের ভায়ালে ১০০ মাত্রা টিকা থাকে। টিকা ব্যবহারের জন্য পরিস্রুত পানি, জীবাণুমুক্ত ও পরিস্কার ঢাকনাওয়ালা পাত্র এবং সিরিঞ্জ নিডিল প্রয়োজন হয়।
জীবাণুমুক্ত পাত্রে ১০০ এম এল পরিস্রুত পানি মেপে নিতে হয়। অতঃপর এই পানি থেকে কিছু পানি সিরিঞ্জের সাহায্যে ভায়ালে প্রবেশ করাতে হয়। ভায়ালের টিকা ভালোভাবে গলে গেলে এই মিশ্রণ পাত্রে পরিস্রুত পানির সঙ্গে ভালভাবে মিশিয়ে নিতে হয়। মিশ্রিত টিকা হাঁসের বুকের মাংসে ১ এম এল করে ইনজেকশন হিসাবে দিতে হয়। ৩ সপ্তাহ বয়সের হাঁসের বাচ্চাকে ১ম টিকা দিতে হয়।
৬ মাস পর্যন্ত এই টিকার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় থাকে। তাই ৬ মাস পর পর এই টিকা দিতে হয়।
খামারে রোগ দেখা দিলে সুস্থ হাঁসগুলিকে আলাদা করে এই টিকা দিতে হয়।

সরবরাহ :প্রতি ভায়ালে ১০০ মাত্রা টিকা।

মূল্য :প্রতি ভায়াল ৩০ টাকা।


নিচের অংশ টুকু ডা তানবির এর  স্কয়ার

যারা বাসায় দেশি মুরগী পালনে ইচ্ছুক তারা প্রাকৃতিক ভাবে নিম্ন বর্নিত খাদ্য তালিকা অনুসরণ করতে পারবেন স্বল্প খরচের মধ্যে।
১০কেজি খাদ্য তালিকা
 
৬.৫কেজি ভুট্টা ভাংগা
১কেজি রাইস পালিশ
১কেজি আটা/গম ভাংগা
১কেজি সরিষার খৈল
৫০০গ্রাম ফিশমিল/প্রোটিন/শুটকির গুড়া
৫০গ্রাম লবন
 
এই ভাবে প্রস্তুতকৃত খাদ্য দিনে ২বার সকাল-বিকাল
 
দুপুরে-পুইশাক,লাল শাক,নিমপাতা(সপ্তাহে ২দিন),কলমি শাক কুচি কুচি করে কেটে দিতে পারেন, বাধাকপির দাম যখন কম থাকে তখন বাধাকপি কুচি করে দিলে মুরগী খুব ভালো খায়, নেচারাল খাবারের অভ্যাস প্রথম থেকেই করলে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ভিটামিন ইত্যাদির অভাব পূরণ হবে।
 
মোট খাদ্যের ৭০ভাগ বানানো খাবার ৩০ ভাগ শাক,সবজি।
 
সপ্তাহে ২দিন খাবারের সাথে কালিজিরা, হলুদের গুড়া-১গ্রাম/১কেজি খাদ্যের সাথে দিলে ইমুনিটি বৃদ্ধি পায়।
 
ধন্যবাদ
Please follow and like us:

About admin

Check Also

#বনরাজা_মুরগীঃ২ মাসে ২-৩কেজি খাদ্য খেয়ে ১১০০-১২০০গ্রাম ওজন আসে।

#বনরাজা_মুরগীঃ এই মুরগীর উদ্ভাবক ভারত সরকারের “প্রজেক্ট ডাইরেক্টরেট অন পোল্ট্রি “। এই মুরগীর পালকে বিচিত্রতা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »