১।বাচচার ব্রুডিং এর জন্য যা যা লাগতে পারে
গুড় ১৬ ঘন্টা
১কেজি/১০০০বাচচার জন্য
প্রবায়োটিক
এসিডিফায়ার
ইলেক্টোলাইট
মাল্টিভিটামিন
প্রয়োজনে এন্টিবায়োটিক
২।একটা প্যারেন্ট( ব্রয়লার) থেকে ১২৫-১৬০টি বাচচা পাওয়া যায় ৭৫-৮৫ সপ্তাহ পর্যন্ত।
৩।ব্রয়লার বাচ্চা
রস বাচচার প্রিস্টাটার খাবারে প্রোটিন লাগে ২২%,স্টাটারে ২১%।লাইসিন ১.৩১%
কব বাচচার খাবারে প্রোটিন ২৪%,স্টাটারে ২২%।লাইসিন ১.৪৮%
রস বাচ্চার সেক্স ভেরিয়েশন বেশি ৪০০-৪৫০গ্রাম কিন্তু কবের ২০০-৩০০গ্রাম।
রস বাচ্চার ব্রেস্ট মাসল বেশি ডেভেলপ।
আরবার বাচচার পালক কম ,দেখতে ছোট মনে হয় কিন্তু ওজন বেশি হয়,অবশ্য ১ম দিকে কিছু মরটালিটি হয়।
৪।অভারক্রাইডিং(overcrowding) হলে ফাংগাস দ্বারা আক্রান্ত হবার সম্বাবনা বেশি থাকে।
বৃস্টির পানি সেডে ঢুকলে আমশয় হয়।
ব্রুডিং এ কাঠের গুড়া ব্যবহার করলে সি আর ডি হবার সম্বাবনা বেশি থাকে।
৫।লেয়ারকে মুক্তভাবে মানে প্রতি মুরগিকে ১৪ বর্গফুট জায়গা দিলে সে নিজের মত করে সবুজ ঘাস খায় যাতে DHA টাইপ ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড থাকে।.
৬।তুলসি ও হলুদ ভাইরাস ও ব্যাক্টেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে।
৭।লাইসিন ও মেথিওনিন,লিনোলেয়িক এসিড দিলে ডিমের সাইজ বড় হয়।.
৮।ফ্লাই(Fly) কন্টোল করতে ইন্ডিয়া ৮০০০০কোটি টাকা খরচ করে ,এমন কি অনেক ফার্ম বন্ধ হয়ে গেছে অতিরিক্ত ফ্লাই এর কারণে।
ফ্লাই ১০দিনের ভিতর ইন্সেক্টিসাইডের বিরুদ্ধে রেজি্স্ট্যান্স তৈরি করে এবং জেনেটিক রেজিস্ট্যান্স ট্রান্সফার করে।
ফ্লাই ঘন্টায় ৫কিলোমটার যায়।
এরা ৫০০টি জীবাণু বহন করে।
দেশি মুরগি ও ব্রয়লারের লিটারে এরা জন্মাতে পারেনা কারণ এদের বৃদ্ধির জন্য ৬০-৭০% আর্দ্রতা লাগে আর তাপমাত্রা লাগে ২৫ডিগ্রি সেন্টিগ্রেট।
এমনকি গোবের ও জন্মাতে পারেনা কারণ গোবর খুব তাড়াতাড় শুকায়ে যায়।
মেলাথিওন,এন্ডসালফিন,নিম্বিডিন,ক্রা্য়োমারজিন,কার্বোফুরান,ফেনভেলরেট এগুলো ব্যবহার করা হয় ফ্লাই কন্টোল করার জন্য।
বর্তমানে ৩থ জেনারেশন ইন্সেকটিসাইড ব্যবহার হচ্ছে।
ফ্লাই লিটারে যাতে না বসে বা লার্ভা যাতে মারা যায় বা যাতে বংশ বৃদ্ধি না করতে পারে সে জন্য মেডিসিন গুলো ব্যবহার করা হয়।
খাবারে ডি ডি জি এস,ফিশমিল,মিট এন্ড্র বোন মিল,রাইস গ্লোটেন ব্যবহার করলে ফ্লাই বেশি হয়।
৯।চুন ও সোডিয়াম হাইডোক্সাইড এক সাথে ব্যবহার করলে সব ভাইরাস মারা যায় যেমন আই বি ডি ,রানিক্ষেত, ইনফেকশাস এনিমিয়া ইত্যাদি।
কিন্তু এটি খুব বিষাক্ত চোখে স্পেশাল চশমা ব্যবহার করতে হয়।
১০।মুরগি ফ্যাটি হলে আমরা প্রোটিন কম দেয় আথচ প্রোটিন কম দিলে ফ্যাটি বেশি হবে।
ব্রয়লার খাবারে প্রোটিন ২২-২৪% অথচ ব্রয়লারে ফ্যাট কম।
১১।লাল আলো ১ওয়াট ৫ বর্গফুট জায়গার জন্য আর এল ই ডি ১ওয়াট বাল্ব ৭ বর্গফুট জায়গার জন্য।
১২।মুরগি ১০-১৫ বছর বাঁচে যদি জবাই করা না হয় বা কোন রোগ না হয়।
১৩।দেশি মুরগিতে আনস্যাসুরেটেড ফ্যাট বেশি কারণ মুরগি ৭০% এনার্জি ব্যবহার করে খাবার খোজার জন্য,
মুক্তভাবে পালা মুরগিতে বেশি এন্টি অক্সিডেন্ট বেশি কারণ তারা ন্যাচারাল হার্ব বেশি খায় তাই ই- কলাই ও সালমোনেলা কম হয়।
তাছাড়া ভিটামিন এ ৩গুণ ,ই ৫গুণ ডি ১০গুণ বেশি থাকে আবার ক্লোলেস্টেরল ৩০০এম জি থেকে কমে ১০০ এম জি তে চলে আসে।.
১৪।সাদা জাতের মুরগির হার্ট রেট ৩৫০/মি আর লাল জাতের মুরগির ৩০০/মিনিট।
১৫।মুরগির জন্য সর্ব নিন্ম সহনীয় তাপমাত্রা ১২ডিগ্রি সেন্টিগ্রেট।এর কম হলে হলে গ্রোয়ারে ওভারীর গ্রোথ হয় না আর লেয়ারের অভুলেশন কম হয়।(layer delay clutch or temporary stoppage of egg production)
ব্রয়লারে ব্রেস্ট মাসলের গ্রোথ কমে যায়\
১৬।ভুট্রার বদলে বাজরা ব্যবহার করলে লিভার ও কডনি নস্ট হয়ে যায় কারণ বাজরার উপর যে শক্ত কোট (Coat) থাকে তা হজম করতে পারেনা এমাইলেজ এঞ্জাইমের ঘাটতি থাকার জন্য।
১৭।কিভাবে লেয়ারের প্রডাকশন পিরিয়ড কমে বা বাড়ে।
ধকল মুক্ত থাকা(কন্টোল সেডে ধকল মুক্ত থাকে তাই প্রডাকশন পিরিয়ড ১০০ সপ্তাহ।
বডিওয়েট যদি ১৪০০ গ্রাম এর কম হয় তাহলে প্রডাকশন পিরিয়ড কম হয়।
এমানো এসিড যদি খাবারে কম দেয়া হয় তাহলে
খাদ্যের ফরমোলা যদি পরিবর্তন করা হয় বা বিভিন্ন কোম্পানীর বিভিন্ন উপাদানের খাবার খাওয়ালে
একোট বা ক্রনিক মাইকোটক্সিন বা ফার্মে যদি জীবাণূর লোড বেশি থাকে।
মুরগির ওজন যদি বেশি হয়।
মুরগি যদি বেশি ওজনের ডিম পাড়ে।
মুরগি যদি বেশি ঘন হয়।
ইউনিফরমিটি যদি ভাল না হয়
১৮ সপ্তাহে যদি ওজন ১৪৫০-১৫৫০গ্রাম হয় তাহলে প্রডাকশন ভাল হয়।
খাবারে যদি এনার্জি কম থাকে এবং নন কনভেনশনাল ফিড ইংরেডিয়েন্ট ব্যবহার করলে প্রডাকশন কম হয়।
মুরগি ট্রান্সফার বা ভ্যাক্সিনেশনের কারণে ধকল পড়ে।
পানির কোয়ালিটি ,খাবারের টক্সিসিটি,এয়ার(Air) কোয়ালিটি ভাল হলে প্রডাকশন ভাল হয়।
স্টোর করা খাদ্য উপাদানের চেয়ে টাটকা খাদ্য উপাদানের মান ভাল
খাদ্য উপাদান একের চেয়ে বেশি ব্যবহার করলে ভাল প্রডাকশন আসে।(ভুট্রা,বাজরা)
১৮।বাচ্চার আসার পর আলোর লাক্স হবে ৩৫-৫০ লাক্স
৩-৪৫দিন ৩০লাক্স
৪৫-৮০-দিন ৫-১৫লাক্স
৮০-১২০দিন ২০লাক্স
১২০ থেকে কালিং ৩০ লাক্স
১৯।ডিবেকিং এর সময় ব্লেডের তাপমাত্রা ৬৫০ডিগ্রি এবং টাইম ২সেকেন্ড।
২০।ম্যাক্সিমাম ইমোনিটি ও ডাইজেস্টিভ সিস্টেমের উন্নয়ন ঘটে ৭ সপ্তাহের মধ্যে আর হাড় ও মাংসের উন্নয়ন ঘটে ১৭ সপ্তাহের মধ্যে।
ওভারীর উন্নয়ন হয় ২৫ সপ্তাহের মধ্যে তাই এই সময় যদি তেল খাবারে দেয়া হয় তাহলে বডিতে ফ্যাট জমা হয় যা প্রডাকশনের জন্য ভাল।
২৫ সপ্তাহের পর যা কিছু ই দেয়া হয় তা আর কাজে লাগবে না।
২১।বিভিন্ন ব্রীডের বৈশিস্ট্য
বোভান্সঃতাপ সহ্য করতে পারেনা।কন্টোল সেডে ভাল।
গরমে মরটালিটি বেড়ে যায়।কিন্তু খোসা খুব শক্ত।
লোহম্যানঃতাপ সহ্য করতে পারে না।
চিকেন ইনফেকশাস এনিমিয়া(CAV) ও গ্র্যাংগ্রেনাস ডার্মাটাইটিস(GD) কম হয়।
2600 কিলোক্যালরির কমে ডিম পারে না।তাই ৩০-৪০% ভুট্রা খাবারে দিতে হয়।
ডিমের ওজন ৫৮-৬০গ্রাম।খোসা খুব শক্ত। অন্য ব্রীডের তুলনায় বড় সাইজের ডিম দেয়।
হাইলাইনঃপৃথিবীর সবচেয়ে ইকোনোমিকেল লেয়ার কারণ কম খাবার খায়।এটিও তাপ সহ্য করতে পারেনা।
কন্টোল সেডে খুব ভাল হয়।
কবঃএনিমিয়া ও গ্রেংগ্রেনাস ডারমাটাইটিস বেশি হয়।
২২# সেড থেকে কিছু মুরগি কালিং করলে সেডের তাপমাত্রা কমে যায় কারণ মুরগি থেকে তাপ আসে।গরমে মুরগি কালিং করা ভাল এতে কিছু বেশি খাবে কারণ এতে কিছুটা গরম কমে যায়।
২৩# সেডের মাঝের লাইনে শীতকালে ডিম কমে যায় কারণ মাঝে তাপমাত্রা বেশি কমে যায়।
২৪#বয়স্ক মুরগি কেন বেশি মারা যায়?
বয়স্ক মুরগির লিভার দুর্বল থাকে , যে সব মুরগির ওজন বেশি এবং অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট এর কারণে তাদের ফ্যাটি লিভার হয়।
শীতে অক্সিজেন কম পায় ,এমোনিয়া বেশি ,তাছাড়া ফিডে সয়াবিন কম থাকার কারণে কিডনি নস্ট হয় ও হার্ট বিট কম হয় ফলে এসাইটিস হয়ে মুরগি মারা যায়।
তাছাড়া হার্ট বিট কম হলে ডিহাইড্রেশন হয়ে মারা যায়।
লিভারে অনেকদিন ধরে মাইকোটক্সিন জমা হবার কারণে ও মারা যায়।
বয়স্ক মুরগির পালক কম হয় ফলে শীতে তাদের ১০% এনার্জি বেশি দরকার হয়,এদের ইমোনিটি ও কমে যায় ফলে ই -কলাই,সালমোনেলা ও ক্লোস্টিডিয়ার আক্রমণ বেশি হয়ে মুরগি মারা যায়।
২৫# কিল্ড টিকা দেয়ার সময় নিডলের প্রেশার যদি কম হয় তাহলে টিকা চামড়ার উপরে পড়ে যায় ফলে টিকা কাজ করে না।
#কিল্ড টিকা ৩৮ডিগ্রি তাপমাত্রায় ৫ ঘন্টা রাখার পর দেয়া উচিত।
কিল্ড টিকার বোতলে ২টি স্তর থাকলে ঠিকা ভাল আছে আর যদি ঝাকানোর পর ৩টি স্তর পড়ে তাহলে টিকার মান নষ্ট হয়ে যায়।
#মেরেক্স টিকা ৪৫ মিনিটের মধ্যে দেয়া উচিত।তানাহলে ভ্যাক্সিনের মান খারাপ হতে থাকে।