ধইঞ্চার বৈজ্ঞানিক নাম
Sesbania bispinosa, এর বন্য অবস্থার
প্রজাতিটির বৈজ্ঞানিক নাম Sesbania aculeata. এটি সেসবানিয়া গণের অন্তর্ভুক্ত ছোট বৃক্ষ ।
এবার আসা যাক এর বীজের পুষ্টিগুণ সম্পর্কিত আলোচনায়।
ধইঞ্চা বা ধঞ্চের বীজ উপমহাদেশ এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জনপ্রিয় পশুখাদ্যের তালিকায় দিন দিন খামারী প্রিয় হয়ে উঠছে।
এর বীজে প্রচুর প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট ছাড়াও আরো অনেক উপকারী উপাদান রয়েছে যা গবাদিপশুর জন্য প্রয়োজনীয়।
নীচে ধইঞ্চা বীজের পুষ্টিগুণ দেয়া হল।
প্রতি ১কেজি ধইঞ্চার বীজে রয়েছে,
২৯৬.১-৩২১.২ গ্রাম ক্রুড প্রোটিন।
৪২.২-৬৪.২ গ্রাম ক্রুড লিপিড।
৫৬.৭-৭২ গ্রাম ক্রুড ফাইবার।
২৭.৬-৩১.৯ গ্রাম এশ।
৫৩১.৩-৫৫০.৬ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট।
এছাড়াও এতে আছে প্রচুর পটাশিয়াম, জিংক, ট্যানিন সহ আরো অনেক উপকারী উপাদান।
ধইঞ্চার বীজে যে পরিমাণ প্রোটিন থাকে কাঁচা বীজের ক্ষেত্রে ৬৬.৭১% এবং শুকনা বা পাঁকা বীজের ক্ষেত্রে ৭৬.৮% গবাদিপশু তা খাদ্য হিসাবে গ্রহন করার পর তার দেহে শোষিত হয়।
আরেকটি ব্যাপার উল্লেখ না করে পারছিনা ধইঞ্চা বা ধঞ্চে গাছের পাতা দিয়ে খুবই ভালো মানের সাইলেজ হয় কিন্তু।
এটা যেকোনো গ্রীন ফরেজ যে গুলি দিয়ে আমরা সাধারণত সাইলেজ বানাই তার সাথে এক চতূর্থাংশ হারে মিশিয়ে খুবই উন্নত মানের সাইলেজ তৈরী করা যায়!
উপরের প্রদত্ত তথ্য গুলি থেকে বুঝা যায় ধইঞ্চার বীজ,পাতা গবাদিপশুর খাদ্য হিসাবে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে।