Breaking News

কবুতরের নর মাদি চেনার সহজ উপায়

নর মাদি চেনার সহজ ৭টি উপায়★

পাঠ ১।

১. নর কবুতর জোরে জোরে ডাকে এবং কিছুটা আক্রমনাত্বাক হয়। মাদি কবুতরের সাধারনত ডাকে না আর ডাকলেও ডাকটা নরের মত এত স্পস্ট নয়, কিছুটা নিরব থাকে।

২. নর কবুতর আকারে বড় হয় ও মাথা কিছুটা চ্যাপ্টা থাকে। মাদি কবুতরেরর আকার কিছুটা ছোট ও মাথা কিছুটা লম্বাটে হয়।

৩. নরের ঠোট হালকা করে টান দিলে ছুটিয়ে নেয়ার জন্য চেস্টা করবে কিন্তুু মাদি কবুতর চুপ থাকবে কোন চেস্টাই করবে না।

৪. নর কবুতরের দেহ কিছুটা ময়লা বা অপরিস্কার থাকে। মাদি কবুতরের দেহ তুলনামুলক ভাবে পরিস্কার থকে।

৫. নর কবুতর পুরো ঠোট ডুবিয়ে পানি পান করে। মাদি কবুতর সাধারনত অর্ধেক বা তার কম ঠোট ডুবিয়ে পানি পান করে।

৬. সবচেয়ে কনফার্ম চেনার উপায়।
কবুতর টিকে ধরুন বুকের নিচ দিয়ে পিছনের দিকে হাত চালালে, হাড় শেষে একটা জায়গা আছে, ওখানে আঙুল দিলে দুটি পাতলা হাড় পাবেন V এর মত। এই V এর মধ্যে যদি একটি আঙুল ফিট হয়ে যায় তা হলে বুঝবেন এটা মাদি কবুতর। এ দিয়ে ডিম পাস হয়। নর কবুতরের এ ফাকটিতে আঙুল ফিট হবে না যা সাধারনত সর্বোচ্চ ২ মিলি বেশি হয় না।

৭. বাচ্চা কবুতরের ক্ষেত্রে বাচ্চার বয়স যখন ৫ দিন হয় তখন পায়খানার রাস্তায় দিকে খেয়াল করলে দেখবেন মাদি কবুতরেরটা সরু আর নর কবুতরেরটা একটু চ্যাপ্টা বা স্মাইলের মত দেখাচ্ছে।

পাঠ ২

কোনটা পুরুষ বা নর কবুতর আর কোনটা মাদি কবুতর সেটা সনাক্ত করাটা বেশ জটিল ৷ যারা কবুতর সম্পর্কে জানতে চান, তাদের অন্যতম প্রশ্ন নর মাদী চেনা যাবে কীভাবে ৷ একটা নর আর একটা মাদী এক সাথে থাকলে, তাদের আচরণ দেখে সহজেই নর মাদী চিহ্নিত করা যায় ৷ তবে শুধু একটা নর বা একটা মাদীকে দেখে লিঙ্গ চিহ্নিত করাটা কঠিন ৷ অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক কবুতরের লিঙ্গ চিহ্নিত করা আরও কঠিন ৷ পুরুষ কবুতর এবং নারী কবুতরের শারীরিক এবং স্বভাবগত বৈশিষ্ট্য জানা থাকলে আশা করি নর মাদী চিহ্নিত করাটা সহজ হবে ৷
.
◆ শারিরিক বৈশিষ্ট্য
• অধিকাংশ ক্ষেত্রে পুরুষ কবুতর আকারে বড় হয় বিশেষ করে তার মাথা চ্যাপ্টা হয়। মেয়ে কবুতরের শরীর তুলনামূলক ছোট, বিশেষ করে তার মাথা ছোট ও লম্বা হয়।
• নারী কবুতরের চোখ বৃত্তাকার হয়, পুরুষ কবুতরের চোখ বৃত্তাকার হয় না ৷
• পুরুষ কবুতরের পা ও এর আঙ্গুল সমান ও মসৃণ হয় না, কিন্তু মেয়ে কবুতরের পায়ের আঙ্গুল প্রায় সমান ও মসৃণ হয়।
• পুরুষ কবুতরের সামনের তিনটি আঙ্গুলের দুপাশের দুটি সমান হয় ৷ নারী কবুতরের দুই পাশের দুই আঙ্গুল অসমান হয় ৷
• আপনার দিকে কবুতরের মুখ রেখে উভয় হাতে কবুতর ধরুন, শরীরের মধ্যভাগ থেকে বুক বরাবর নিচে হাত চালিয়ে দেখুন হাড় শেষে একটি স্পেস আছে, তারপর বরাবর একটি আঙ্গুল দিয়ে দেখলে V এর মত ২টা ছোট পাতলা হাড় পাবেন ৷ হাড় দুটো একসাথে যেখানে মিলিত হয়েছে, সেখানে একটি ছোট আঙুলের সমান ফাকা থাকলে সেটা মাদি কবুতর ৷ আর যদি ১ বা ২ মিলি ফাকা থাকে তাহলে পুরুষ কবুতর। অনেকে পুরুষ বা মাদি পরীক্ষা করার জন্য আঙ্গুল পায়খানার পথে দেন, এতে জরায়ু বা ভিতরে সংক্রমণ হবার সম্ভাবনা থাকে ৷
• পুরুষ কবুতরের মাথা/ঘাড় ও দেহ একটু মোটা একটু লম্বা ও ঘন, সবল হয়। আর সাধারণত মেয়ে কবুতরের মাথা/ঘাড় ও দেহ কাছাকাছি আরো মেয়েলি বা সূক্ষ্ম হয়।
• হ্যাচিং পরে ১ থেকে ৩ দিন পর যদি আপনি কবুতরের বাচ্চাকে অধিষ্ঠিত করে এর পায়খানা নির্গমনের (vent hole) পথের দিকে খেয়াল করেন তাহলে পুরুষ কবুতরের একটু চ্যাপ্টা বা smile এর মত দেখবেন আর মেয়ে কবুতরের সোজা বা গোল দেখবেন।
• পুরুষ কবুতরের গলার রগ মোটা হয় আর মেয়ে কবুতরের তুলনা মূলক ভাবে একটু পাতলা ৷
.
◆ স্বভাবগত বৈশিষ্ট্য
• পুরুষ কবুতরের লেজ ও শরীর ময়লা থাকে কিন্তু মেয়ে কবুতরের শরীর তুলনামূলক পরিষ্কার থাকে। পুরুষ কবুতরের ডাক খুব ঘন ও জোরে হয়, অপরদিকে মেয়ে কবুতরের ডাক থেমে থেমে ও আস্তে ডাকে।
• পুরুষ কবুতরের ঠোঁট ধরে হালকা করে টান দিলে সে ছাড়িয়ে নেবার চেষ্টা করে, আর মেয়ে কবুতর সাধারণত চুপ করে থাকে বা কোন চেষ্টা করে না।
• ৩/৪ সপ্তাহের কবুতরের পা মুঠে ধরে ঠোট ধীরে ধীরে টানলে, নারী কবুতরের লেজ উপরের দিকে উঠানো থাকে, পুরুষ কবুতরের লেজ নামানো বা সোজা থাকে ৷
• কবুতরের দুই পাখার নিচে ধরে ঝাঁকি দিলে পুরুষ কবুতরের লেজ নিচে নামিয়ে নেয় অতবা সোজা থাকে এবং নারী কবুতরের লেজ উঠানো থাকে ৷
• পুরুষ কবুতর হুমকি দিয়ে বা ভয় দেখিয়ে একটি প্রয়াস চালানোর চেষ্টা করে বা মাদীকে চার্জ করবে বা সাধারণত তার মনোযোগ পেতে হালকা ঠোকর চেহারা নেয় এবং আঘাত করে যদিও এটি ইচ্ছাকৃত ঠোকর নয়। পুরুষ কবুতর গলা ফুলিয়ে একজাগা থেকে লেজ নামিয়ে মাদিকে আক্রমন করে আর মাদি মাখা নাড়িয়ে মাথা উপর নিচ করে এক জায়গায় থাকে।
• পুরুষ কবুতর পুরো ঠোঁট ডুবিয়ে পানি পান করে, মাদি কবুতর অল্প বা অর্ধেক ঠোঁট ডুবিয়ে পানি পান করে।
• পুরুষ কবুতর মেয়ে কবুতরের থেকে বেশি আক্রমনাত্মক হয়। যদিও অনেক ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম দেখা যায়। যদিও ডাকের কম্পন দুই জনের সমান হয় না।
• পুরুষ কবুতর নারী কবুতরের পায়ের কাছে থেকে এক ধরনের আওয়াজ করে ৷
• পুরুষ কবুতর সূর্য অস্ত যাবার আগে বেশি অস্থির থাকে, আর মাদি কবুতর শান্ত থাকে।
• সাধারণ পুরুষ কবুতর সূর্য উঠার পর ডিমে তা দেয়, আর মাদি সারা রাত ডিমে তা দেয় ।
• ব্রিডিং এর আগে নর কবুতর মাদির পায়ের কাছে বসে এক ধরনের শব্দ করে, যদিও এ সব গৌণ বৈশিষ্ট্য এর মধ্যে পড়ে।
• মাদি কবুতর নর কবুতরের মুখে, ঘাড়ে ও গলায় ঠোঁট দিয়ে গ্রুমিং করে দেয়। আর মেটিং এর আগে মাদি পুরুষ কবুতরের মুখের ভিতর ঠৌঁট ঢুকিয়ে দেয় ।

 

Collected from  Exit BD

Please follow and like us:

About admin

Check Also

কবুতরের প্রাকৃতিক মেডিসিন

কবুতর/পাখির জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রাকৃতিক ঔষধ ও উপকারিতাঃ

কবুতর/পাখির জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রাকৃতিক ঔষধ ও উপকারিতাঃ ১) তুলসী পাতা : ঠান্ডা, কাশি, শ্বাস …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »