একটি লেয়ারের আত্নজীবনী:
# ২০ সপ্তাহ পর্যন্ত প্রতি মুরগি খায় প্রায়৮ কেজি যার দাম প্রায় ৩০০টাকা,১০০০ লেয়ার খাবে ১৬০-১৭০ বস্তা।
১০০০লেয়ারে সেড,খাচা মেডিসিন,কর্মচারী,বাচ্চা মিলে প্রায় ৯-১০লাখ(প্রতি মুরগিতে ৯০০-১০০০টাকা) টাকা লাগে।(সেড ৩লাখ(প্রতি মুরগিতে খরচ ৩০০টাকা),খাচা ১৬০০০০-১৭০০০০টা(প্রতি মুরগিতে ১৬০-১৭০টাকা),কর্মচারী মাসে প্রায়১০০০০টা তবে এক হাজারে বা ২ হাজারে একই খরচ।একজন ২০০০-২৫০০লেয়ার পালন করতে পারে)
# ৭০ সপ্তাহ পর্যন্ত ১টি লেয়ার খায় প্রায় ৫০কেজি,১২০ সপ্তাহ পর্যন্ত খায় প্রায় ১০০কেজি।
#৮০ সপ্তাহ পর্যন্ত প্রায় ২০ কেজি ডিম পাড়ে(৩৫০-৩৬০টি) এবং ১০০ সপ্তাহ পর্যন্ত প্রায় ৩০ কেজি ডিম পাড়ে.(৪৬০-৪৮০টা)
১০০০ মুরগি ১০০০( ২০০০ বস্তা খাবার খায়) মানে ২০০০/২০ঃ১০০টন খাবার খায় ।
১০০০লেয়ারে ভ্যাক্সিন খরচ প্রায় ৪০০০০-৫০০০০টা(প্রতি মুরগিতে ৪০-৫০টা) এবং মেডিসিন খরচ প্রায় ২০০০০-২৫০০০টা(প্রতি মুরগিতে ২০-২৫টা)।এগুলো নরমাল যদি সমস্যা হয় তাহলে আরো বেশি লাগতে পারে।
২০ সপ্তাহ পর্যন্ত (২০-৩০০% ডিম দিত এখন প্রডাকশন শুরু হয় ১৯-২১ সপ্তাহে ।এলাকা ও সেড অনুযায়ী কম বেশি হয়।
পিক প্রডাকশন উঠে ২৫-৩০ সপ্তাহে ৯০-৯৫% যা ৪০-৪৫ সপ্তাহ পর্যন্ত থাকে.৫০-৬০ সপ্তাহে ৯০%.৮০সপ্তাহে ৮০%.১০০ সপ্তাহে ৭৫%,১১০-১২০ সপ্তাহে ৬০%।এই হল স্টান্ডার্ড প্রডাকশন।আমাদের দেশে নরমালী লেয়ার বিক্রি হয় ৯০-১০০ সপ্তাহে।
কত সপ্তাহ পর্যন্ত লাভ জনক ডিম পাড়বে তা মেইনলি খাবার ও ব্যবস্থাপনার উপর নির্ভর করে।
নোটঃ২৫-৩০ সপ্তাহে ৯০% উঠবেই তা খারাপ ব্যবস্থাপনা বা খাবার হলেও,দেখার বিষয় হল পিক কতদিন ছিল এবং কত সপ্তাহ পর্যন্ত মানে ১০০-১১০ সপ্তাহ পর্যন্ত লাভ জনক প্রডাকশন ছিল কিনা।আমাদের দেশের খামারীদের দূর দর্শিতা না থাকায় ভাল মন্দ বুঝে না,শর্ট টাইম চিক্তা কর মানে ২৫-৩০ সপ্তাহের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ।
প্রতি লেয়ারের খরচ প্রায় ৬০০টাকা(১৯ সপ্তাহ পর্যন্ত।
খামারী যদি মুরগির যত্নে অবহেলা করে,মুরগি ডিম কম পেড়ে তার প্রতিশোধ নেয়।
আর ডিম পাড়লেও নিজের ডিম নিজে খাবে বা ভেংগে ফেলবে।
এমন কি এক লেয়ার আরেক লেয়ারকে প্রাণে মেরে (ঠোকরা ঠুকরি করে) হলেও খামারীর বারোটা বাজিয়ে দিবে।
১দিন থেকে ২০সপ্তাহের মধ্যে যদি মুরগির প্রতি কোন অবিচার করা হয় সেটার ফল খামারী ডিম পাড়ার পর পেয়ে যাবে। আগে ফল পাবার সুযোগ তেমন নাই।
তাই খামারীকে দক্ষ হতে হয়।না হলে …।
যতটুকু সেবা দিবে তত টুকু ডিম পাড়বে
#দৈহিক ওজনের প্রায় ১৫ গুণ ডিম পাড়ে।
# ১২০গ্রাম খাবার খেয়ে ৬০ গ্রাম ওজনের ডিম পাড়ে.
# খাবারের ৪০% মাংস এবং ডিম তৈরিতে ব্যবহার হয়.
#দৈনিক গ্রোয়িং পিরিয়ডে অরতি লেয়ারের জন্য প্রোটিন লাগে প্রায় ৩গ্রাম কিন্তু ডিম পাড়া অবস্থায় লাগে প্রায় ১৭ গ্রাম.
# গড়ে দৈনিক ওজন বাড়ে ১২ গ্রাম করে.
৭-১২ সপ্তাহে ওজন তুলনামূলক বেশি বাড়ে,১০০গ্রাম প্রতি সপ্তাহে।তারপর বাড়ে ২০-২৪ সপ্তাহে প্রতি সপ্তাহে ৫০গ্রামের বেশি।
#প্রোটিন এবং ক্যালরির অনুপাত ১:১৭৫।
ডিমের খোসায় আড়াই গ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে।
খাবারে এনার্জি প্রোটিন কম দিলে খাবার বেশি খাবে,বেশি দিলে কম খাবে।স্টান্ডার্ড দিলে স্ট্যান্ডার্ড খাবে ১২০গ্রাম(ডিম পিকে থাকলে)
উন্নত দেশে অর্ধ ছাড়া অবস্থায় মুরগি পালে ,ব্যবস্থাপনা ভএল তাই ঘাস লতা পাতা খায় মন ভাল থাকে ঠোকরাঠুকরি করে না।আমরা খাচায় পালি ব্যবস্থাপনা ভএল না তাই ঠোকরাঠুকরি বেশি করে।
লেয়ার বিভিন্ন ভাবে পালা যায় যেমন ছাড়া অবস্থায়,অর্ধছাড়া,ফ্লোরে ,মাচায়,খাচায় ।
লেয়ার মুরগি:
১.ডিম পাড়া অবস্থায় খাবার হজম হতে সময় লাগে প্রায় ২.৫ ঘন্টা.
২.গ্রোয়িং পিরিয়ডে লাগে প্রায় ১০-১২ ঘন্টা.
#মুরগি দিনে প্রায় ১০০-১০৫ গ্রাম বিস্টা (feces) বের করে দেয়.
সংগী ছাড়া জীবন এবং জীবনের অধিকাংশ সময় দাঁড়িয়ে কাটায়।
ডিম বানানোর মেশিন বলা যায়।
মানুষ থেকে মুরগির এনাটমি আলাদা আর সেই জন্য মুরগি বেশি শ্বাসনালীর রোগে বেশি আক্রান্ত হয় যেমন
মুরগির ডায়াফার্ম নাই,ইপিগ্লটিস নাই কিন্তু এয়ারস্যাক ফলে মুরগি বেশি ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়।
মুরগির ঘর্ম গ্রন্থি নাই তাই গরমে হাঁপায় বেশি।
অন্যান্য প্রাণীতে টিউমারের মত লিম্ফনোড থাকে কিন্তু মুরগি লিম্ফোসাইট সারা শরীরে ছড়ানো ছিটানো থাকে।
মুরগিতে গ্রানোলোমেটাস জাতীয় টিউমার বেশি হয়।
মুরগিতে নিউট্রোফিল না থাকায় পুজ তৈরি হয় ন,কেজিয়াস ম্যাস তৈরি হয়।
মুরগির দাতের পরিবর্তে ঠোঁট আছে।
টেস্ট বার্ড কম ২৪টি তাই স্বাদের অনূভূতি কম,কোয়েলের ৬২টি,কবুতরের ৩৭টি।মানুষের ৯০০০টি তাই বিভিন্ন ধরণের স্বাদ নিতে পারে।
ফার্মে মুরগির বাচ্চা কি করে:
# ২০% বাচ্চা খাবার খাবে
#২০% পানি খাবে
#২০% খেলা করবে
# ২০% বিশ্রাম করবে
#২০% কিচিরমিচির করবে
* সব জায়গায় ছড়ানু ছিটানু থাকবে*
বাচ্চা প্রতি ২৪ ঘন্টায় ২ গ্রাম করে ওজন কমতে থাকে,গরমকাল হলে পরিবহণের জন্য আরো বেশি কমতে পারে মানে হ্যাচারিতে ওজন ৪০গ্রাম হলে ২৪ ঘন্টা পর বাচ্চা আসলে ওজন হবে ৩৮ গ্রাম.
একটি ডিমের আত্মজীবনীঃ একটি ডিমের দাম খামারী এবং ভোক্তার কাছে কত এবং কিভাবে তা নির্ধারিত হয়ঃ
১টি ডিম আরেকটি ডিম থেকেই আসে।ব্রিডার মুরগির ডিম হ্যাচারীতে যায়।হ্যাচারীর সেটারে ১৮দিন আর হ্যাচারে ৩দিন,মোট ২১দিনে হ্যাচিং ডিম থেকে বাচ্চা আসে।এই বাচ্চা থেকে ৬মাস পর আমরা কমার্শিয়াল ডিম মানে যে ডিম খাই সেই ডিম পাই।এই ডিমকে টেবল ডিম/এগ বলা হয়।আর ব্রিডারের মুরগি থেকে যে ডিম পাওয়া যায় সেগুলোকে হ্যাচিং ডিম বলা হয়।হ্যাচিং ডিম থেকেই বাচ্চা ফোটানো হয় হ্যাচারীতে বা বাড়িতে ।
১ দিন বয়সী ১ টি লেয়ার বাচ্চার দাম – ৪০ টাকা (কম বেশী হয়)