♥ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল ®(Bangladesh)♥
→হতে পারে আয়ের একমাত্র রাস্তা!←
_____________________________________________
ছাগল পালনে কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য:
======================================
ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল পালন এর প্রয়োজনীয়তা:-
ক. ছাগল রাখার জন্য খুব বেশি জায়গার প্রয়োজন হয় না।
খ. পরিবারের গৃহিনী,ছোট ছেলে-মেয়ে বা যে কেউ দেখা-শোনা করতে পারে।
গ. ছাগলের খাবার কম লাগে।
ঘ. মূলধন কম লাগে।
ঙ. ছাগি বছরে ২ বার বাচ্চা দেয় এবং প্রতিবার ২ বা অধিক বাচ্চা দেয়।
চ. ৮-১২মাস বয়সের ছাগল মাংসের জন্য বিক্রি করা যায়।
ছ. যমুনাপারি বা রামছাগলের চেয়ে এর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি।
জ. দেশে এবং বিদেশে এর মাংস,দুধ ও চামড়ার বিপুল চাহিদা আছে।
বৈশিষ্ট্য:-
★এ জাতের অধিকাংশ (৭০%)ছাগলের গায়ের রং কালো তাই এদের ব্ল্যাক বেঙ্গল বলে, এছাড়াও বাদামি বা সাদাও হতে পারে।
★আকারে মাঝারি, কান সোজা ও শক্ত (যমুনাপাড়ির মতো ঝোলানো নয়)।
★বছরে ২ বার বাচ্চা দেয় এবং ২-৪ টি বাচ্চা দেয়।
পাঁঠা নির্বাচন :-
★বয়স কমপক্ষে ১ বছর হতে হবে।
★অণ্ডকোষের আকার বড় ও সুগঠিত হতে হবে।
★পিছনের পাঁ সুঠাম ও শক্তিশালী হতে হবে।
★যৌন রোগ মূক্ত হতে হবে।
★নির্বাচিত পাঁঠার মা,দাদী ও নানির বাচ্চার মৃত্যুর হার কম হতে হবে, যা আলোচনার মাধ্যমে জেনে নিতে হবে।
ছাগী নির্বাচন:-
★বছরে ২ বার বাচ্চা দেয় ও প্রতিবার ২ এর অধিক বাচ্চা দেয়।
★কমপক্ষে ৯ মাস বয়সের হতে হবে।
★পেট বড়, পাঁজরের হাঁড় চওড়া এবং দুইটি হাঁড়ের মাঝখানে এক আঙ্গুল জায়গা থাকবে।
★নির্বাচিত ছাগীর মা, দাদী ও নানীর বাচ্চার মৃত্যুর হার কম হতে হবে, যা আলোচনার মাধ্যমে জেনে নিতে হবে।
ছাগলের আদর্শ বাসস্থান তৈরি এবং ব্যবস্থাপনা:-
★ঘরের মেঝে থেকে ২.৫ ফুট উঁচু করে বাঁশ বা কাঠ দিয়ে মাঁচা তৈরি করতে হবে।
★মাঁচায় দুইটি চটা বা কাঠের মাঝে আধা ইঞ্চি করে ফাঁকা রাখতে হবে।
★প্রতিটি ছাগলের জন্য ৪-৫ বর্গফুট জায়গা থাকতে হবে।
★ঘরের উচ্চতা হবে ৬-৭ ফিট,মাঁচার উপরে ২.৫ ফিট বেড়া বাকি অংশে ফাঁকা বেড়া দিতে হবে। মাটি হতে মাচার উচ্চতা কমপক্ষে ২ হাত হতে হবে।
★ঘরের মেঝে ভেজা বা স্যাঁতসেঁতে হবেনা।
★শীতকাল বা বর্ষা কালে ঘরের বেড়া চট বা পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।
★শীতকালে ঘরের মেঝে খড় বা বিচুলি বিছিয়ে দিতে হবে।
★মাচার নিচে ও ঘর প্রতিদিন সকালে পরিষ্কার করতে হবে।
ছাগলের খাদ্য ও খাদ্য ব্যবস্থাপনা:-
* চারণভূমিতে ঘাস কম হলে বাবলা পাতা ও তার ফল, কাঁঠালপাতা,ইপিল ইপিল পাতা,ধৈঞ্চা পাতা,কলা পাতা ও খোসা,শিমুল(মান্দা)পাতা ইত্যাদি খাওয়াতে হবে।
* দুগ্ধবতী এবং গর্ভবতী ছাগলকে তরকারীর খোসা, ভাতের মাড় ও লবন মিশিয়ে খাওয়ানো যেতে পারে। দানাদার খাদ্য হিসেবে গমের ভূষি, ডালের ভুষি, চালের কুড়া ও খৈল খাওয়াতে হবে।
* পরিষ্কার বিশুদ্ধ পানি সকাল,দুপুর ও বিকালে দিতে হবে।
* ছাগলকে তাজা,সতেজ ও টাটকা খাবার খাওয়াতে হবে,কোনক্রমেই পঁচা /বাসি খাবার খাওয়ানো যাবেনা।
প্রজনন :
★ছাগীর বয়স ১ বছর ও ওজন ১২-১৩ কেজি হলে প্রজনন করানো যাবে।
ছাগী গরম হওয়ার লক্ষণ –
* ছাগী অস্থির /অশান্ত থাকবে এবং খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিবে।
* ঘন ঘন প্রসাব করবে ও উচ্চস্বরে ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে ডাকবে।
* যোনি পথ দিয়ে আঁঠাল মিউকাস বের হবে এবং অস্বাভাবিক লেজ নাড়াবে।
* গরম হওয়ার ১২-১৫ ঘন্টার মধ্যে পাল দিতে হবে সম্ভব হলে ২৪ ঘন্টার মাথায় দ্বিতীয় বার পাল দিতে হবে।
গর্ভবতী ছাগী ও বাচ্চার যত্ন :-
* গর্ভাবস্থার শেষদিকে বাড়তি খাবার দিতে হবে।
* পরিষ্কার, আলো বাতাসপূর্ণ,শুষ্ক ও নিরিবিলি জায়গায় ছাগী রাখতে হবে।
* ছাগী যেন কোন অবস্থায় কোন কিছু দিয়ে আঘাত না পায় এবং গর্ভবতী ছাগীর উপর অন্য ছাগল লাফ না দেয়।
* প্রসবের প্রায় ২ সপ্তাহ পূর্বে একটু বড়/আলাদা ঘরে খোলা অবস্থায় রাখতে হবে।
* ছাগীর পায়ের ক্ষুর ও অতিরিক্ত বাঁট ছেঁটে দিতে হবে।
* বাচ্চা বের হওয়ার সাথে সাথে নাক মুখের শ্লেষ্মা সরিয়ে নাক মুখে ফুঁ দিয়ে মায়ের সামনে রাখতে হবে।
* বাচ্চার নাভী শরীর থেকে প্রায় ২ আংগুল রেখে পরিষ্কার জীবাণু মুক্ত ব্লেড দিয়ে কেটে সেখানে সেভলন/টিংচার আয়োডিন লাগাতে হবে।
* দুধের বাটের ছিদ্রপথ পরিষ্কার করে ১৫-২০ মিনিটের মধ্যে বাচ্চাকে শাল দুধ অবশ্যই খাওয়াতে হবে।
_____________________________________________
ছাগলের রোগ-প্রতিরোধে করণীয়:-
★পিপি আর-
লক্ষণ- ১)পায়খানা দুর্গন্ধময় হবে, ২) মুখে ঘা সহ চোখে ময়লা, ৩) জ্বর থাকবে।
প্রতিকার- ৩ মাস বয়সে ১ম ডোজ পরে প্রতি ৮ মাস হতে ১ বছর পর পর টিকা দিতে হয়।
★নিউমোনিয়া –
লক্ষণ – সর্দি ও কাশি হবে, লোম খাড়া হবে,নাক দিয়ে সর্দি বের হবে।
প্রতিকার – পরিষ্কার শুষ্ক ও পরিচ্ছন্ন জায়গায় ছাগল রাখতে হবে।
★গোটপক্স-
লক্ষণ- জ্বর থাকবে, খাবার কম খাবে,শরীরে ব্যথা থাকবে বসন্তের গুটি উঠবে,পাতলা পায়খানা হবে।
প্রতিকার -৬ মাস বয়সে ১ম ডোজ পরবর্তীতে ১ বছর পর পর গোটপক্স টিকা দিতে হবে।
★মুখে ঘাঁ:-(একথাইমা)
লক্ষণ- ঠোঁট,দাঁতের মাড়ি ও জিহবায় ঘা হবে। গায়ের তাপমাত্রা বাড়বে,মুখে ব্যথার কারনে খাবার কম খাবে।
প্রতিকার- ৩ দিন বয়সের বাচ্চা কে ১ম ডোজ পরে ১ বছর পর পর একথাইমার টিকা দিতে হবে।
এছাড়াও ক্ষুরার জন্য ৬ মাস পর পর ‘এফ এমডি ‘টিকা দিতে হবে ও কৃমি মুক্ত ৫ মাস পর পর করতে হবে।
ছাগলের অাধুনিক ঘর তৈরিকরনে মাচা বিষয়ক কিছু বিভ্রান্তি”
প্রথমে বলা দরকার ছাগলের অাধুনিক ঘর তৈরিতে মাচা কেন করতে হয়?
ছাগলের যতো রোগ হয়ে থাকে, প্রায় সকল রোগের মুলে হলো ঠান্ডা। এই ঠান্ডা থেকে ছাগল কে বাচাতে ও পরিস্কার পরিছন্য রাখতে মাচা সম্বলিত ঘর তৈরি করা হয়।
ছাগলের ঘরের মাচা কতটুকু উচু হওয়া দরকার?
সাধারনত জীবানু এবং ক্ষতিকর গ্যাস ২.৫ – ৩ ফুট উচ্চতা পজন্ত ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে সক্ষম, সে জন্য মাচা মাটির লেবেল থেকে কম করে ৩.৫ ফুট উচ্চতায় তৈরিকরণে পরামর্শ দেয়া হয়।
মাচার নীচের চারপাশ আবদ্ধ করে দেয়া কি ঠিক?
না মাচার নীচের চারপাশ খোলা রাখতে হবে, কারন চতুরদিকে খোলা রাখলে স্বাভাবিক ভাবে বাতাস চলাচল করার ফলে মাচার নীচে সৃস্ট জীবানু ও এ্যামোনিয়া গ্যাসের প্রভাব মুক্ত থাকবে।
মাচা তৈরিতে কাঠ অথবা বাঁশ কোনটি ব্যবহার করা উত্তম?
আমার মতে বাঁশের চেয়ে কাঠ ব্যবহার করা উত্তম। কাঠ দিয়ে মাচা যতোটা সমতল করা সম্ভব, বাঁশে ততোটা সম্ভব নয় ( বাঁশের তৈরি মচা উচুনিচু হয়ে থাকে)। সমতল হলে ছাগল আরাম করে বসতে বা থাকতে পারে। বাঁশের চটির ফাকে ছাগলের পা আটকে যাবার সম্ভাবনা আছে। শীতের সময় বাঁশের তৈরিকৃত মাচা বেশী ঠান্ডা হয়ে থাকে। আমার মতে বাঁশের তৈরি মাচা পরিহার করা উত্তম।
মাচা তৈরিতে দুটি কাঠের মধ্যে কতোটা ফাঁকা রাখতে হবে?
আমার বেক্তিগত মতামত দুটি কাঠের মাঝে কোন প্রকার ফাঁকা না রাখাই ভালো।
দুটি কাঠের মাঝে ফাঁকা রাখলে কি সুবিধা পাওয়া যায়?
* ছাগলের বিস্টা বা নাদা ও প্রসার ফাঁকা দিয়ে নিচে পরে যায়। সহজে পরিস্কার করা যায়।
একটি মাত্র সুবিধা, কিন্তুু অসুবিধা অনেক, যেটা আমি নিজে হাঁড়ে হাঁড়ে টের পাচ্ছি।
* মশার সিজনে যখন মশারি ব্যবহার করবেন মশা থেকে ছাগল কে রক্ষা করতে, তখন মাচার ফাঁকা দিয়ে মশা ডুকবে, নীচ থেকে মশা ঢোকা আটকাতে আপনাকে অতিরিক্ত ব্যবস্থা করতে হবে।
* শীতের সময় খামারের চারদিক পর্দা দিয়ে আটকে দিলেও নীচ থেকে ঠান্ডা বাতাস ডুকতে পরবে। নীচ খেকে ঠান্ডা বাতাস আটকাতে আপনাকে অতিরিক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।
* মাচার ফাঁকাতে বাচ্চা ছাগলের পা ঢুকে আটকে যেতে বা ভেঙ্গে যেতে পারে।
আপনি মাচাতে যদি ফাঁকা রাখেন তবে ১ টি সুবিধা পাচ্ছেন, সেটা হলো পায়খানা ও প্রশাব সহজে নিচে পরে যাবে, কিন্তুু সকল পায়খানার দানা নিচে পড়বে না, কিছুটা আটকে থাকবে, সেটা পরিস্কার করতে খামারের মাচা প্রতিদিন ঝাড়ু দিতে হবে।
আপনি যতোই চেস্টা করেন দুটি কাঠের জয়েন্টে ফাঁকা না রাখার, তথাপিও যে পররিমান ফাঁকা থেকে যাবে তাতে প্রশাব তাৎক্ষনিক মাচা থেকে নিচে পড়ে যাবে। তবে কাঠের চওড়া ৩ ইঞ্চির বেশী দেয়া যাবে না।
৩০০ টি ছাগল রাখার ঘর ঝাড়ু দিয়ে পরিস্কার করে বিস্টা সরিয়ে নিতে বেশী হলে ৩০ মিনিট সময় লাগবে। মুল কথা একটি অসুবিধার বিপরীতে আপনি অনেক গুলো সুবিধা পাচ্ছেন, এখন মাচায় ফাঁকা রাখবেন কি রাখবেন না সেটা আপনার বিষয়।
কেহ বলেছেন কাঠের মাচায় আলকার্তা প্রলেব দিতে, সেটা উচিৎ হবেনা, অতিরিক্ত তাপমাত্রা বেড়ে গেলে আলকার্তা কিছুটা হলেও নরম হবে, তাতে ছাগলের শরিরের পশম আটকে যেতে পারে।
উপরে সকল মতামত আমার বেক্তিগত অভিগ্যতা থেকে লেখা, অন্যের সাথে আমার মতের মিল নাও হতে পারে। সকলে ভালো থাকবেন, এমনটা-ই কামনা করছি।BD Farm
কালেক্টেড
লাভ লস
আধুনিক পদ্ধতিতে ১০০টি ব্লেক বেঙ্গল / দেশীয় ছাগল পালন করে
১ বৎসরে ২৫ লাখ টাকা আয় করা সম্ভব ।
মোবাইল – 01990198469, বিস্তারিত পদ্ধতি নিচে।
নুতন উদ্যোক্তাদের জন্য আমাদের ফার্মের এক মাস মেয়াদি ফ্রি ট্রেনিংয়ের ও ফ্রি থাকার ব্যাবস্থা আছে।
ট্রেনিংয়ের জন্য যোগ্যতা কি?
১) বাংলা পড়তে ও লিখতে জানতে হবে ।
২) ইন্টারনেটের ব্যবহার জানলে বেশী ভালো হয়।
৩) নিজ হাতে ১০০ ছাগলকে খাবার দেওয়া , ও পরিচর্যা করতে হবে, তখনি আপনি জেনে যাবেন আপনি পারবেন কি পারবেন না।
ফার্ম শুরু করতে যা যা লাগবে ।
৪) ঘর তৈরির জন্য ২ শতাংশ বা ৩ কাঠা জায়গা।
৫) হাইব্রিড ঘাস / নেপিয়ার ঘাস উৎপাদনের জন্য ৩০ শতাংশ বা ১ বিঘা জমি।
৬) আধুনিক ছাগল পালন পদ্ধতি সমন্ধে বাস্তব জ্ঞান বা হাতে কলমে ট্রেনিং।
ফোন – ০০65 8328 0194
৪ লাখ ৫ লাখ টাকা খরচ করে বিদেশে যাবার কথা ভাবছেন ?
আপনার বন্দু বান্ধব বা আত্তীয় যারা বিদেশে আছে তাঁদের কাছ থেকে সত্যিকথাটি জেনে নিন তারা বাৎসরিক কি পরিমান আয় করছেন , আর দিন রাত কি পারিমান অমানসিক পরিশ্রম তারা করছেন।
প্রয়োজনে আমাদের আইডিয়াটা তাঁদের সাথে শেয়ার করুন এবং তাঁদের মতামত নিন।
আপনারা যারা টাকা নিয়ে বসে আছেন ব্যবসা করার জন্য, কি ব্যবসা করবেন খুজে পাচ্ছেন না , লাভ লোকসানের হিসেব মিলছে না তারা দয়াকরে একটু পড়ে দেখবেন।
প্রথমে অন্য ফারম হতে ১০০ দেশীয় জাতের প্রাপ্ত বয়স্ক ব্লেক বেঙ্গল (পিউর ব্রীড/ অরিজনাল জাতের )
ডো/ মহিলা/পাঠি ছাগল সংগ্রহ করতে হবে।
যাতে আপনার ফার্মে আনার কিছু দিনের মধ্যে গভর্বতী হতে শুরু করে।
ফার্ম হতে সংগ্রহ করলে দাম একটু বেশী হবে , কিন্তু সুস্থ সবল টিকা দেওয়া ও একই বয়সী পাবেন।
অন্য ফার্মের দাম আমাদের জানা নেই,
আমাদের ফার্মে প্রতি পিছ -৩৫০০ টাকা ।
সবর্ নিন্ম অডার ২০ পিছ, কোন ডেলীভারী দেওয়া হয় না , আসার সময় পিকআপ নিয়ে আসতে হবে ।
ট্রেনিংয়ের করার পর ইচ্ছে করলে আপনি নিজে এলাকার বাজার হতে সঠিক জাত চিনে সুস্থ সবল দেখে ছাগল কিনতে পারেন , তাঁতে কিছুটা দাম কম লাগবে ।
কিন্তু মনে রাখবেন , অসুস্থ না হলে বা খুব বেশী টাকার প্রোয়োজন না হলে সাধারানত বাজারে কোন ব্যক্তি ডো/ মহিলা/পাঠি বিক্রী করে না ।
সেই ক্ষেত্রে বাজার হতে খুব সর্তকার সাথে কিনতে হবে ।
আর এদেরকে প্রজনন করার জন্য ১টি উন্নত জাতের পাঠা /বাক সংগ্রহ করতে হবে।
ছাগল বৎসরে ২ বার ২টি করে বাচ্চা দেয় তা হলে ১০০ ছাগল এক বৎসরে ৪০০ টি বাচ্চা দিবে, উন্নত জাতের পাঠা দিয়ে প্রজনন করানো হলে ৫-৬ মাস বয়সে বাচ্চা গুলো ২০-২২ কেজী হবে।
২০ কেজী ওজনের ছাগল হতে ১৪ কেজী মাংস
হবে, ৫০০ টাকা কেজী হিসেবে ১৪ কেজী মাংসের দাম ৭০০০ টাকা ।
তাহলে ৪০০ বাচ্চা ৭০০০ টাকা হিসেবে ৪০০x৭০০0=2৮00000 (2৮ লক্ষ টাকা) বিক্রি হবে।
এ বার আসি খরচ এ , একজন কর্মচারি মাসিক ১০ হাজার টাকা বেতনে ১২০হাজার টাকা,
ঔষধ ৩০ হাজার টাকা,
ফারমের উন্নয়ন খরচ ১৫০ হাজার টাকা
টোটাল খরচ = ৩ লক্ষ টাকা
মোট মুনাফা ২৮-৩=২৫ লক্ষ টাকা ।
আর একটি কথা মনে করিয়ে দেই , আপনি মূলধন হিসেবে যে ছোট ছাগল গুলো কিনছিলেন সে গুলো ছোট হতে বড় হওয়াতে মূলধনের পরিমাণ ও বেড়েছে।
যেভাবে করবেন ।
১) প্রথমে ৩০ শতাংশ জমিতে নেপিয়ার চাষ শুরু করবেন। সঠিক পরিচর্যায় নেপিয়ার ৪০-৪৫ দিনে পূনাঙ্গ হবে।
২) একই সময়ে আপনাকে ১০ কক্ষ বিশিষ্ট আধুনিক ঘর তৈরি করতে হবে, ঘর তেরীতে যা লাগবে, ১হাজার ইট, ২০ টি নেট, ১৮ টি সিমেন্টের খুঁটি, গ্রীল বা বাঁশ আর প্রয়োজনীয় টিন।
৩) দেশীয় জাতের ছাগল ১০০টি ।
৪) একটি উন্নত জাতের পাঠা/ বাক ।
এখন চিন্তা করছেন সবই তো বোঝলাম, তার পর আমি করলে যদি না হয় ভাই?
বা
আপনার আইডিয়াটা ভাল আমার পছন্দ হয়েছে , কিন্তু করতে যে টাকা লাগবে তা তো নাই।
উপরের এই ২ সমস্যার সমাধানের জন্য আমরা হেল্প করি।
তা হলে আপনি নিজে চলে আসুন আমাদের ফারমের, নিজে কিছু ছাগল কিনে শুরু করে দিন আমাদের সাথে ,
আমাদের ঘর, আমাদের ঘাস , আমাদের পাঠা সবই ব্যাবহার করতে পারবে, শুধু মাএ আপনার ডো/ মহিলা/পাঠি ছাগল গুলো আমাদের পদ্ধতিতে পালন করতে হবে , কিছু দিন পর আপনি যখন কনফিডেন্ট হয়ে যাবেন , আপনার বাড়িতে শুরু করে দিন আধুনিক ফামর্ ।
এখন তো সব ই বোঝলাম , বলেন তো ভাই আপনার মূল উদ্দ্যেশ্য টা কি , বাংঙ্গালী তো লাভের ব্যাবসা কারো সাথে শেয়ার করে না ।
মূল উদ্দেশ্য তে যাওয়ার আগে আপনার পালন করা ছাগল কোথায় বিক্রি করব তা জেনে নেই।
সরকারি হিসাব আনুযায়ী বাংলাদেশের জনসংক্ষ্যা কম বেশী ১৬ কোটি।
প্রতিপরিবারে জনসংক্ষ্যা ৪-১০ জন।
আমরা যদি ১০ জন হিসেবে প্রতিটিপরিবার হিসাব করি তা হলে দেশে মোট ১ কোটি ৬০ লাখ পরিবার আছে।
১০ জনের প্রতিটি পরিবার যদি মাসে ১ কেজী করে খায় , তাহলে প্রতি মাসে বাজারের চাহিদা ১ কোটি ৬০ লক্ষ কেজী ।
বিয়ে, বৌভাত, সুন্নতে খৎনা , সামাজিক অনুষ্ঠান হোটেলের হিসাব না ই করলাম,
১যদি ও বাস্তবে ১ কেজীতে মাংসতে ১০ জন লোকের এক বেলা ও হবে না।
তাহলে প্রতিটি ছাগল হতে যদি ১৪ কেজি মাংস হয় ১ কোটি ৬০লাখ পরিবারের জন্য মাসিক চাহিদা = ১১ লক্ষ ৪২ হাজার ছাগল ।
তাহলে বাৎসরিক চহিদা ১ কোটি ৩৭ লক্ষ ছাগল ।
প্রতিটি ফারম যদি বৎসরে ৪০০ করে ছাগল উৎপাদন করে ,বৎসরিক ১ কোটি ৩৭ লক্ষ ছাগল উৎপাদন করতে ৩৪ হাজার ২৫০ টি ফামর্ প্রয়োজন।
মূল উদ্দেশ্য হল :
১) নুতন একটি শিল্প তৈরি করা ।
২) ৩৪ হাজার মালিক + ৩৪ হাজার কমর্চারী = ৬৮ হাজার লোকের কমর্সংস্থান তৈরি করা ।
আনেকে হয়ত ৬৮ হাজারের হিসাব কোথায় পেলাম চিন্তা করছেন সেটা উপরে আছে ।
৩) আর আমদের নিজে কিছু ইনকাম করা । তা ও বলেদিচ্ছি কি ভাবে , আপনার যদি ফার্ম থকে, নিশ্চই বৎসরে ২/৩বার বিক্রি করবেন, ১০০ ছাগল বজরে নিতে কম পক্ষে ১০০০ টাকা খরচ হবে,
আর আপনি যদি আমাদের সাথে যুক্ত থাকেন , আর আমরা যদি আপনার ছাগল বড়িতে রেখে বিক্রি করে দিতে পারি , আর আপনার বাজারে নেওয়ার খরচ টা আমি চাই , মনে হয় বেশী অন্যায় হবে না।
তা হলে আমাদের বাৎসরিক আয় হবে ৩৮০০০x১০০০ =৩,৮০,০০০০০ মোট ৩ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা।
ঝুকিঃ
বিভিন্ন রোগ ব্যাধির কারণে ছাগল মারা যেতে পারে তাই ব্যবসায় লস ও হতে ।তাই ব্যবসা করলে ঝুকি নিয়েই করতে হবে।
বিশেষ করে টিকা দেয়া না হলে পি পি আর নামে একটা রোগ হয় যাতে সব ছাগল মারা যেতে পারে।