রেডি ফিড ও লোজ ফিডের মধ্যে সুবিধা ও অসুবিধা

রেডি ফিড ও লোজ ফিডের মধ্যে সুবিধা ও অসুবিধা

লোজ ফিড কয়েক ধরনের হয় যেমন

কোম্পানী থেকে সব আইটেম মিশ্রিত প্রডাক্ট কিনে,নিজেরা শুধু ভুটা আর সয়াবিন কিনে।তারপর মিক্স করে।

কেউ কেউ ভুট্রা ভেংগে এনে নিজেরা হাতে মিক্স করে

কেউ আবার সব আইটেম কিনে নিজেদের মিক্সার মেশিন দিয়ে মিক্স করে।

কেউ কেউ আবার পিলেট মেশিন কিনে ব্রয়লারের খাবার বানায়,তবে আগে ব্রয়লারকে ম্যাশ ফিড দিত।

নোটঃযারা মিক্সার মেশিন দিয়ে মিক্স করে তাদের ফিডের কোয়ালিটি সবচেয়ে ভাল হয়।এটাই বেস্ট।

ক।রেডি ফিড

সুবিধা

১।রেডিমেড পাওয়া যায়,বানানোর ঝামেলা নাই।

২।মান ও ভাল যদি কোম্পানী ভাল হয়।খাবারের কোয়ালিটী ভাল বা মাঝামাঝি অবস্থায় হয়।

৩। আলাদা জায়গা  লাগে না(ফিড মিল এবং স্টোর রুমের দরকার নাই)

৪।প্রডাকশন পিরিয়ড বেশি ৮৫-১০০ সপ্তাহ।

৫।বডি কন্ডিশন ভাল থাকে।

অসুবিধাঃ

১।দাম বেশি (বস্তায় ১৫০-২৫০ টাকা বেশি লাগে)

২।ভাল মন্দ  কোম্পানীর উপর ইচ্ছার উপর নির্ভর করে।

৩।আবহাওয়ার সাথে মিল রেখে বা মুরগির প্রয়োজন অনুযায়ী খাবার পাওয়া যায় না।

একেক এলাকার আবহাওয়া একেক রকম যেমন কোন  জেলায় তাপমাত্রা ৩৫ আবার কোন জেলায় ২৮।বিভিন্ন আবহাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরণের ফর্মুলা দরকার কিন্তু কোম্পানী একই ধরণের খাবার বানায়।শীতের সময় কোন জেলায় তাপমাত্রা ১০ আবার কোন জেলায় ২৫।

আবার বিভিন্ন ফার্মের বিভিন্ন সমস্যা থাকতে পারে  এবং তাদের জন্য আলাদা ফর্মুলার বা স্পেশাল কিছু লাগতে পারে যা কোম্পানীর খাবার দিয়ে হয় না।

খ।লোজ ফিড

সুবিধা

দাম কম (বস্তায় ১৫০-২৫০টাকা কম লাগে।যদি খাদ্য উপাদানেরর দাম কম.থাকে তাহলে বেশি লাভ আর যদি খাদ্য উপাদানের দাম বেশি থাকে তাহলে লাভ কম হয়।অনেক সময় ৩০০-৩৫০টাকা কমেও ফিড বানানো যায় বিশেষ করে যখন ভুটার সিজনে।

উত্তর বংগ যেখানে ভুট্রা উৎপাদিত সেখানে বস্তায় ৩০০-৪০০টাকা কমে খাবার বানানো যায়।

মুরগির প্রয়োজন অনুযায়ী খাবার বানানো যায়।

যদি সঠিক ভাবে,ভাল উপাদান দিয়ে  ভাল ফর্মুলার মাধ্যমে ফিড বানানো যায় তাহলে লোজ ফিড  বেশি ভাল।

নোটঃ যদি নিজের ভুট্রা বা অন্য উপাদান থাকে তাহলে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়।

অসুবিধাঃ

প্রতি টি উপাদান কিনতে হবে,বিভিন্ন জনের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

ফিড বানানোর জন্য আলাদা সময় দিতে হবে।

ভাল মানের খাদ্য উপাদান অনেক সময় পাওয়া যায় না।তাছাড়া খাবারের উপাদানের মান নির্ণয় করার সুযোগ সবার  নাই।

ফলে অনেক সময় খাবারের মান ভাল রাখা যায় না।

ফিডমিল ও স্টোরের জন্য আলাদা জায়গা লাগে।

ফিডমিলে জড়িত লোক গুলো যদি ভুল করে তাহলে সমস্যা হয়।

যদি ফিড ফর্মুলা ভাল না হয় তাহলে ভাল রেজাল্ট পাওয়া যায় না।প্রডাকশন পিরিয়ড কম হতে পারে।

এককালীন ফিড মিলের জন্য খরচ করতে হয়।ঘন্টয় ১০০-২০০কেজি খাবারের মেশিনের দাম ৬০-৮০ হাজার টাকা।তাছাড়া ফিড তৈরিতে বিদ্যু বিল ত আছেই।

ব্রয়লারের পিলেট ফিড বা লেয়ারের বানাতে হলে ভুটা ও সয়াবিন বা অন্য উপাদান উলো গুড়া,ক্রাশিং করার জন্য আলাদা মেশিন থাকবে।

আর যদি শুধু লেয়ার ১ ফিড বানানো হয় তাহলে ক্রাশিং মেশিন ও মিক্সার মেশিন ২টীই কিনতে হবে।

লোজ ফিড ভাল,খারাপ বা মাঝারী ৩ ধরণেই হতে পারে।

নোটঃ

আমি অনেককেই ব্রয়লার,লেয়ার ও সোনালীর ফর্মুলেশন দিয়েছি অনেকেই ভাল করেছে আবার কেউ কেউ করতে পারে নাই।

কারণ মুরগি ভাল ওজন ও প্রডাকশনের জন্য ফিড ফর্মুলেশনের পাশাপাশি খাদ্য উপাদানের কোয়ালিটি,বাচ্চার কোয়ালিটি,ব্যবস্থাপনার উপর নির্ভর করে।

Please follow and like us:

About admin

Check Also

মুরগির খাদ্য উপাদানের প্রোটিন%ও এনার্জি বের করার নিয়ম

মুরগির খাদ্য উপাদানের প্রোটিন%ও এনার্জি বের করার নিয়ম প্রোটিন% হিসেবঃ নমুনা ১ কুড়াতে পোটিন ১২% …

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Translate »
error: Content is protected !!