ঔষধি গুল্ম হিসাবে তুলসী পাতার ব্যবহার হাজার বছরের পূরানো। উল্টা আধুনিক কিছু মানুষ যদিও জ্ঞ্যানের স্বল্পতার কারনে অথবা ব্যবসার কারনে বিজ্ঞানের দোহাই দিয়ে আমাদের প্রাকৃতিক গুল্ম পাতা গুলোর গুনাগুন অস্বীকার করে থাকে।
এর আগে গরু এবং মানুষের ঠান্ডা লাগার চিকিতসায় আমার ঘরে তুলসী পাতা এবং মধুর ব্যবহার অনেক বছর ধরে চলে আসছে। এবার তুলসী পাতার একটা নতুন একটা বাস্তব ব্যবহার শিখলাম।
কিছুদিন আগে এক ভাই (নাম মনে নাই) মশা মাছি তাড়ানোর জন্য কমেন্টে তুলসী পাতা ব্যবহার করার কথা বলেছিলেন।
আমি তার কমেন্টে তাকে পরীক্ষা করার কথা বলেছিলাম। সেইদিনই ফোন করে বউকে বললাম তুলসী পাতার রস পায়ে হাতে মাখানোর জন্য।
গত ৬ বছর আমার পরিবারে মশা থেকে রক্ষা পেতে কয়েক হাজার টাকার ওডোমাস ক্রিম ব্যবহার করেছি। কারন আমার রক্ত মশার খুব প্রিয়। ও পজিটিভ রক্তের প্রতি মশা সহজেই আকৃষ্ট হয়।
যাই হোক আমার হাতে পায়ে তুলসী পাতার রস লাগায় এবং গরুর উপর পরীক্ষা করার জন্য গরুর লেজে তুলসী পাতার ডাল বেধে দেয়।
২ দিন একই কাজ করা হয়। ফলাফল হাতে নাতে। লেজে তুলসী পাতার ডাল বেধে দেয়ার পরে গরুর কাছে মশা মাছি আর আসেনা।
আর শরীরে যেসব যায়গা তুলসী পাতা লাগানো হয় সেখানে মশা কামড়ায় না৷
এই পরীক্ষায় ভালো ফল পাওয়ায় এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছি কেমিস্ট Md Waliduzzaman Sarder ভাইয়ের সাহায্য নিয়ে এলোভেরা আর তুলসী পাতার রস মিশিয়ে একটা লিকুইড বানাবো যেটা স্প্রেয়ার দিয়ে স্প্রে করা হবে। এলোভেরা মেশানো হবে কারন এলোভেরা ত্বক নরম মসৃন করে এবং ত্বকের রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। ধন্যবাদ সেই ভাইকে যে কমেন্টে বুদ্ধিটা দিয়েছিলো।
জাহিদুল ইসলাম
চিঁটাগুড় বা মোলাসেসের পুষ্টিগুণঃ
——————————————-
গো খাদ্যে মোলাসেস বা চিঁটাগুড়ের একটি বিশেষ অবদান রয়েছে।
চিটাগুড়ে শক্তির পাশাপাশি বেশ কিছু খনিজ উপাদান,আমিষ, ফাইবার এবং কিছু এনজাইম পাওয়া যায় যা গবাদিপশুর দেহে খুবই কাজে লাগে! আসুন জেনে নেই চিঁটাগুড়ে কি কি উপাদান আছে এবং এদের পুষ্টিগুণ।
ড্রাই মেটারঃ ৭১%
শক্তিঃ ৯.৬ মেগাজ্যুল/কেজি
প্রোটিনঃ ৫.৫%
ফ্যাটঃ ১.০%
ফাইবারঃ ০.১%
এশঃ ১৪.৬%
ক্যালসিয়ামঃ ৯.২গ্রাম/কেজি
ফসফরাসঃ ০.৭ গ্রাম/কেজি
পটাশিয়ামঃ ৫১.০ গ্রাম/কেজি
ম্যাগনেসিয়ামঃ ৪.০ গ্রাম/কেজি
ম্যাংগানিজঃ ৭৪.০ গ্রাম/কেজি
জিংকঃ ১৮.০ গ্রাম/কেজি
আয়রনঃ ১৭০ গ্রাম/কেজি