মন্ত্রীসভা কর্তৃক অনুমোদিত হলো বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল এ্যাক্ট ২০১৮
গত ১১ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ সরকারের মন্ত্রীসভার নিয়মিত বৈঠকে বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল এ্যাক্ট ২০১৮ এর খসড়া অনুমোদিত হয়। এই আইনের অধীনে যে কোন প্রাণির ও পাখির লাইসেন্সবিহীন হাতুড়ে চিকিৎসা করলে তিন বছরের কারাদন্ড বা দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ডে দন্ডিত করা হবে।
মন্ত্রিসভা ‘প্রাণী কল্যাণ আইন-২০১৮’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। নিষ্ঠুরতার পরিবর্তে প্রাণীর মালিকদের ইতিবাচক ও সদয় আচরণ প্রদর্শন করতে পূর্ববর্তী প্রাণী আইন-১৯২০-এর স্থলে এই আইনের অনুমোদন দেয়া হয়। এই আইনের মাধ্যমে কোনো প্রাণীকে বিষ প্রয়োগে অপ্রয়োজনীয় হত্যা বা ২৪ ঘণ্টা অবরুদ্ধ রাখা রোধ করা যাবে। যদি কেউ এই অপরাধে অপরাধী সাব্যস্ত হয় তাকে ৬ মাসের কারাদন্ড বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ডে দন্ডিত করা হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ধর্মীয় আচার অনুযায়ী প্রাণী হত্যা ব্যতীত অন্য সকল ক্ষেত্রে নিষ্ঠুরতা হিসেবে গণ্য হবে।
মন্ত্রিসভা ‘বাংলাদেশ ভেটেরিনারি প্রাকটিশর্নাস অর্ডিনেন্স-১৯৮২’ পরিবর্তে ‘বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল এ্যাক্ট-২০১৮’ অনুমোদন দিয়েছে। এই আইনের অধীনে প্রাণীসম্পদ বিভাগ, মাদক সংশ্লিষ্ট প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্রগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়, এটর্নি জেনারেল অফিস ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারসহ ২২ সদস্যের ভেটেরিনারি কাউন্সিল গঠন করা হবে।
মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রীর নেতৃত্বে ৭-সদস্যের একটি উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হবে। এতে স্পিকার কর্তৃক মনোনিত একজন এমপি, মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ৪ জন নিবন্ধিত প্রাণী চিকিৎসক নিযুক্ত করা হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব প্রাণী চিকিৎসকদের নৈতিকতার সাথে দায়িত্ব পালনের আহবান জানান ও প্রতি ৪ বছর পরপর রেজিষ্ট্রেশন নবায়ন করতে বলেন।
লাইসেন্সবিহীন ব্যক্তিকে ৩ বছরের কারাদন্ড বা ২ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ডে দন্ডিত করা হবে।
সুত্র: ইন্টারনেট