না বিক্রি করছি না,ভাল বকনা বা ভাল ষাড় পাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি,২ টি ধাপ রয়েছে,মনোযোগ দিয়ে পড়লে অনেক কিছু জানতে পারবেন,
যাদের টাকা কম তারা চান বকনা কিনে খামার শুরু করতে,বাজার থেকে বা খামার থেকে কেনা বকনা বা ষাড় ভাল মানের নাও হতে পারে,আমরা আজ ভাল মানের বকনা নিয়ে আলোচনা করবো,
কোন খামারী ভাল মানের বকনা বিক্রি করতে চান না,ঠেকায় পড়লে কেউ বিক্রি করলেও সেই বকনা নিকট আত্নিয়রা কিনে নিয়ে যান,১-২ টা যদি পাওয়া যায় সেটা ভিন্ন কথা
তাই আসুন ভাল বকনার জন্য বাজার বা খামারের উপর নির্ভর না করে আমরা আমাদের ঘরের গাভী থেকে কৃত্তিম প্রজননের মাধ্যমে ভাল বকনা উৎপাদন করি,কিভাবেঃ
প্রথম ধাপ,
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
বকনার মাকে বীজ দেয়ার প্রথম দিন থেকে প্রসব পর্যন্ত পরিচর্যাঃ
১.আপনার গাভীকে কৃমি মুক্ত করুন,প্রয়োজনীয় দানাদার ও কাঁচা ঘাস পরিবেশন করুন,কারন একটি সাস্থ্যবতী মা দিতে পারে একটি সুস্থ সাস্থ্যবান বকনা,
২.আপনার গাভী হিটে আসলে ১২-১৮ ঘন্টার মধ্যে অভিজ্ঞ কৃত্তিম প্রজনন কর্মী দ্বারা ভাল মানের ষাড়ের সিমেন দ্বারা প্রজনন করান,ষাড়ের মায়ের দুধের রেকর্ড জেনে নিবেন,
৩.রেকর্ড সংরক্ষন করুন,
৪.৩ মাস পর গর্ভচেক করুন,
৫.গর্ভবতী গাভীকে নিয়মিত সুসমখাদ্য পরিবেশন করুন,
৬.গর্ভাবস্থায় গাভীকে কৃমিমুক্তু রাখুন,তাহলে ভাল বাচ্ছা পাবেন,
৭.গাভীর শরীরে ভিটামিন ক্যালশিয়াম ঘাড়তি থাকলে একজন ভেট ডাক্তার দেখান,
দ্বিতীয় ধাপঃ
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
বাচ্ছা প্রসবের পর থেকে বকনা মা হওয়া পর্যন্ত পরিচর্যা
###আজকের বকনা আগামী দিনের সম্পদ,
##বাছুরের খাবার,রোগ ও স্বাস্থ্য পরিচর্যা,
#জম্মের পরপর ৩০ মিনিটের মধ্যে বাছুরকে শাল দুধ খাওয়াতে হবে,কারন প্রতি ১০ মিনিট পর পর শাল দুধের গুন কমতে থাকে,
#এর পর বাছুরের ওজন নির্ণয় করে ২ মাস পর্যন্ত, শরীরের ওজনের দশ ভাগের এক ভাগ দুধ বা CMR বা কাপ মিল্ক রিপ্লেসার খাওয়াতে হবে,ওজন ২২ কেজি হলে দুধ খাবে ২.২ কেজি, ওজন ৪০ কেজি হলে দুধ খাবে ৪ কেজি,
#৪র্থ দিন থেকে বাছুরকে মা থেকে আলাদা করে ফিডার দিয়ে দুধ ও পরিস্কার পানি পান করাতে হবে,এই সময় সে দৈনিক ওজন অনুযায়ী (২ মাস পর্যন্ত) ২.৫ – ৫ কেজি পর্যন্ত দুধ খেতে পারে,
#পাশাপাশি স্বল্প পরিমান দানাদান বা ভুট্রা সুজির মত জিহ্বায় লাগিয়ে দিয়ে দানাদারের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে,
#১৫-২০ দিন পর থেকে আস্তে আস্তে জাবর কাটতে শুরু করবে,এতে রুমেন,রেটিকুলাম,ওমেজাম ডেভলপ করতে থাকবে,
#সে ১৫-২০ দিন পর কচি কাঁচা ঘাস খেতে শুরু করবে,এ সময় কখনোই বাছুরকে শুকনো খড় দেয়া যাবেনা,শুকনো খড় দিলে পেট বড় হয়ে যাবে, স্বাস্থ্য নষ্ট হবে,
৪৫-৬০ দিনে উইনিং প্রিয়ডে বাছুর শুকনো খড় খেতে শুর করবে,
#শাল দুধের এ্যকশন কমে ৭ দিন পর থেকে বুছুরের ক্রান্তি কাল শুরু হয়,###৩০-৪৫ দিনে বাছুরের মৃত্যু হার সব চেয়ে বেশি,এ সময়কে বাছুরের ভারনারেবল লাইফ বলে,
বাছুরকে শুকনা জায়গায় রাখতে হবে যাতে বাছুরের ঠান্ডা না লাগে,
#৩ দিন পর কেঁচো কৃমি বা এসকারিস রোধো বাছুরকে আইভারমেকটিন গ্রুফের ইনজেকশন এসিমেক ১% ৩০ কেজির জন্য, চামড়ার নিচে ১ সি সি ইনজেকশন দিতে হবে,মায়ের পেট থেকে বাছুর কৃমি নিয়ে জম্মায়,
কৃমির কারনে বাছুর দুধ- দুধ পাতলা পায়খানা করে দূর্বল হয়ে যায়,বাছুর দূর্বল হয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে লোম উঠে যায়,তখন জিংক ও ভিটামিন এ এবং বি এর অভাব দেখা দিবে,তখন চিকিৎসা হিসাবে
প্লেক্র জিংক ৫ এম এল করে প্রতি দিন খাওয়াতে হবে,
ভিটামিন এ ডি ই-৩ ইনজেকশন ৩-৫ সি সি করে ৫ দিন পর পর ৫ মাত্রা ইনজেকশন দিতে হবে,
###১ মাস বয়সে ক্ষুরা টিকা দিতে হবে, ২১ দিন পর আবার ক্ষুরার বুুষ্টার ডোজ দিতে হবে,এর পর প্রতি ৬ মাসে এক বার ক্ষুরার টিকা দিতে হবে,
নিয়ম মেনে পরিমান মত ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত বা ৮৪ দিন পর্যন্ত বাছুরকে মায়ের দুধ বা মিল্ক রিপ্লেসার খাওয়ালে বাছুর ৬ মাসের বাচ্ছার মত গ্রোথ হবে,রোগ কম হবে, মৃত্যু হার কমে যাবে,
প্রতি ৩ মাস পরপর বকনাকে কৃমিমুক্ত করতে হবে,
নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি টিকা প্রদান করতে হবে,
প্রয়োজনীয় দানাদার ও কাঁচা ঘাস প্রদান করলে আপনার বকনাটি ভাল মানের গাভী হবে এবং সে মা হলে অধিক পরিমানে দুধ দেবে,এধরনের গাভী কনসিভ করে বেশি, অনেকগুলো বাচ্ছা দেয়,রোগ কম হয়,তবেই খামারী হবে সফল খামারী,
এমডি সোহেল।
লাভজনক খামার পরিচালনায় খামারী ভাইদের করণীয়
দুধ উৎপাদনের ক্ষমতা সব গাভীর একরকম হয় না। তাই ডেইরী খামার লাভজনক করতে হলে উন্নত জাতের গাভী নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
অধিক দুধ উৎপাদনে সক্ষম গাভী নির্বাচনে লক্ষনীয় দিকঃ
♥ উন্নত জাতের ষাঁড় দ্বারা ক্রস ব্রিডিং করা গাভী নির্বাচন করা, যেমন- ফ্রিজিয়ান, জার্সি, পাকিস্তানি ইত্যাদি।
♥ দুগ্ধবতী গাভী শান্ত, ধীরস্থির ও মাতৃভাবাপন্ন হবে।
♥ বড় আকারের পেট ও পাঁজরের হাড়্গুলো ফাঁকা ফাঁকা হবে।
♥ ওলানের আকার বড়, চওড়া, মেধাহীন হবে এবং দুধ না থাকলে সংকোচিত থাকবে।
♥ দুধনালী আঁকাবাঁকা ও দূর থেকে স্পষ্ট দেখা যাবে।
♥ গাভীর বাঁটগুলো প্রায় একই মাপের এবং সমান দূরত্বে থাকবে।
♥ শরীরের চামড়া পাতলা, নরম, আলগা ও শিড়দাঁড়া সোজা হবে।
♥ প্রশস্ত চওড়া পাছা ও পেছনের পা দুটির মধ্যে যথেষ্ট ফাকঁ থাকবে।
♥ দেহ হবে ত্রিকোণাকৃতি ও পা হবে চিকণ লম্বা।
♥ নাকের অগ্রভাগে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমবে।
♥ শ্বাস-প্রশ্বাস ও চলাফেরা স্বাভাবিক থাকবে।
♥ মসৃণ পশম, চোখ-মুখ পরিষ্কার ও চাহনি সজাগ থাকবে।
♥ ভালো জাতের গাভীর লেজ সাধারণত লম্বা হয় এবং লেজের অগ্রভাগের চুলের গুচ্ছও বড় হয়।
তবে গাভীর মা-নানীর দুধ দেয়ার ক্ষমতা যাচাই করে