#বারবারী ছাগলটি একটি ছোট আকারের মাংসের ছাগল প্রজাতি যা বেশিরভাগ উত্তর-পশ্চিম শুষ্ক এবং আধা-শুষ্ক অঞ্চলে পাওয়া যায়।
এটি ভারতের ২3 টি নিবন্ধিত ছাগল প্রজাতির মধ্যে একটি এবং রাজস্থানের আগরা, ইত্তাহ, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট এবং ভারতপুর জেলায় পাওয়া যায়।
পাশাপাশি পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের ঝেলম ও সারগোদা জেলায়ও। মূলত বার্বারি ছাগলটি পূর্ব আফ্রিকার সোমালিয়া বারবারায় উৎপন্ন হয়েছিল। সম্ভবত এই প্রজনন তার নামের উৎপত্তি derived from Berbera।
বারবারী ছাগল জাতটি কিভাবে ভারতে এসেছিল তা অজানা। সম্ভবত মধ্যযুগীয় ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসায় সমিতির সময় সমুদ্র ও ভূমি রুটের মাধ্যমে ভারত এনেছিলেন।
আগ্রা, ইত্তাহ এবং ইতাওয়াহ ভারতে বার্বারি ছাগলের প্রজনন এলাকা। আজকের জাতটি ভারতীয় অবস্থার জন্য উপযোগী এবং মাংসের ছাগল হিসাবে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
#বারবারী ছাগলের শারীরিক বৈশিষ্ট্য
বার্বারি ছাগল অনন্য বৈশিষ্ট্য আছে। এটি মাঝারি আকারের কম্প্যাক্ট শরীরের সাথে একটি সুন্দর ছোট প্রাণী। তারা সতর্ক এবং আকর্ষণীয়। এবং তাদের বেশ বিশিষ্ট কক্ষপথের হাড়ের কারণে চোখ জ্বলছে।
তাদের কানগুলি ছোট, নলাকার, প্রায় দ্বিগুণ, সামনে স্লিট খোলার সাথে, সোজা, ঊর্ধ্বমুখী এবং বাহ্যিকভাবে নির্দেশিত। Bucks একটি বড় পুরু দাড়ি আছে।
বার্বারি শঙ্কু teats সঙ্গে ভাল সেট udder আছে। উভয় bucks এবং twisted শিং আছে, যা ঊর্ধ্বমুখী এবং পিছনে নির্দেশিত এবং দৈর্ঘ্য মাঝারি। Barbari ছাগলের গায়ের রঙে ব্যাপক বৈচিত্র্য আছে।
কিন্তু সাধারণত ছোট হালকা বাদামী প্যাচ দিয়ে সাদা রং এর সবচেয়ে বেশি।
গড়ে, প্রাপ্তবয়স্ক বারবারা প্রায় 37.85 কেজি ওজন ডো প্রায় 22.56 কেজি। এজি আর আর থেকে ছবি।
#ব্যবহারসমূহ
বার্বারি ছাগল প্রধানত একটি মাংসের ছাগল প্রজনন হিসাবে পালিত হয়। কিন্তু এর ভাল দুধ হয়। এই ছাগল বাণিজ্যিক মাংস ছাগল পালন ব্যবসার জন্য খুব উপযুক্ত।
#বিশেষ বিবেচ্য বিষয়
বারবারী ছাগল তাদের ভাল মাংসের গুণাবলীর জন্য এবং ট্রিপল মজা করার জন্য সুপরিচিত।
উভয় bucks এবং তাড়াতাড়ি পরিপক্ক এবং সাধারণত এই ছাগল রোগ প্রতিরোধী হয়।
বার্বারি ছাগল মাংস রূপান্তর অনুপাত ভাল ফিড আছে। এটি নিয়ন্ত্রিত এবং স্টল খাওয়ানো সিস্টেমের অধীনে পালন করার জন্য অত্যন্ত উপযুক্ত।
ভাল দুধ উৎপাদক হওয়ার পাশাপাশি বার্বারি ছাগলও একটি ভাল দুধের দুধ এবং অত্যন্ত ফলপ্রসূ।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই খাসি ছাগল গুলি বাণিজ্যিক মাংসের উৎপাদনের জন্য পালিত হয় যখন খুব অল্প বয়সেই উপযুক্ত হয়।
নীচের Chert বার্বারি ছাগল পূর্ণ প্রজনন প্রফাইল পর্যালোচনা।
বার্বারি ছাগল | প্রজনন প্রোফাইল
#বংশবৃদ্ধি নাম Barbari
অন্য কোন নাম নেই
প্রজনন উদ্দেশ্য প্রধানত মাংস উৎপাদনের জন্য পালিত হয়।
বংশবৃদ্ধি আকার ছোট
ওজন বাক প্রায় 37.85 কেজি ডো
প্রায় 22.56 কেজি
শিং হ্যাঁ
#জলবায়ু সহনশীলতা তাপ
গায়ের রঙ বিভিন্ন রঙ বৈচিত্র। কিন্তু সবচেয়ে বেশি ছোট হালকা বাদামী প্যাচ সঙ্গে সাদা।
স্ট্যাল ফেড জন্য ভাল
অসাধারণত্ব কমন
মূল দেশ সোমালিয়াROYSFARM
MA Islam
বারবারি ছাগল:
বারবারি ছাগলের আদি নিবাস পশ্চিম আফ্রিকার সোমালিয়ার বেরবেরা অঞ্চলে, তার থেকেই এর নাম বারবারি ছাগল,
ভারতের উত্তর-পশ্চিমের আরিদ এবং সেমি-আরিদ এলাকায় যে ২০ জাতের ছাগল পালন করা হয় তার মধ্যে এটি অন্যতম,
বারবারি ছাগল ভারতের উত্তর প্রদেশ, গুজরাট, আগ্রা, মথুরা, এটাহ, এটাওহা অঞ্চলে এবং পাকিস্থানের পান্জাবের ঝেলুম ও সারগোধা এলাকায় বর্তমানে বেশি পাওয়া যায়,
একটি ছোট আকৃতির ছাগল যেটি গোস্তের জন্য জনপ্রিয়।পুরূষ বারবারি ছাগল ৭০ সে:মি: লম্বা ও ৩৭.৮৫ কেজি ওজন হয়, এবং মহিলা ছাগল ৫৬.১৮ সে:মি: লম্বা ও ২২.৫৬ কেজি ওজন হয়ে থাকে।
দেখতে দারূন কিউট এই জাতের ছাগল, মাঝারী আকৃতির এ ছাগলের শারিরিক গঠন অনেকটা ছোট হরিনের মতন টাইট-ফিট, ছটপটে, চঞ্চল, চোখের আকৃতি বড়,
কানগুলো ছোট-খাড়া, শিং ও তেমই সোজা আর ছোট, ওলান ত্রিকোনাকৃতির শরিলের সাথে সুন্দর করে খাপ খাওয়ানো,
গায়ের চামড়া টান দিলে অনেক সম্প্রসারিত হয়, ছোট ছোট লোম হয়, লোমগুলো ঝকঝকে আর গায়ের রং হয় সাদা, ক্রিমি থেকে সোনালী, হরিনের ন্যায় বোটা বোটা চিতল রং-এরও হয়।
শরীলের গোস্ত বেশ সুসংগঠিত ও টান টান হয়ে থাকে, খুব অল্প বয়সে (৮ মাশ বয়সে)এরা প্রজনন ক্ষমতা লাখ করে এবং প্রতি সিজনে ২ টি ছানা জন্ম দেয়।
এরা প্র্রতি বছর ২ বার প্রজনন দিয়ে থাকে আর তাই অতি অল্প সময়ে এ ছাগলের সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পায়।
প্রতিটি ছাগী প্রতিদিন ১ লিটার দুধ দেয়।
মধ্যেপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে গোস্তের জন্য এ ছাগল অতন্ত্য জনপ্রিয়, ওমান, দুবাই, সৌদি আরবে বড় বড় খামারে এ ছাগলের চাষ হয়ে থাকে।বিশেষ করে ওমানের সালালায় উন্নত জাতের বারবারি ছাগল বানিজ্যিক ভাবে পালন করা হয়, অত্র এলাকায় সকলে এদের সালালা ছাগল বলে জানে।
এই জাতের চাগল অল্প জায়াগার মধ্যে অনেক পরিমানে পালা যায়, এবং বিশেষ কোন অরস্থার প্রয়োজন হয় না,এমনকি এদেরকে আমাদের দেশের ছাগলের ন্যায় ঘরেও পালন করা যায়, ঠান্ডা কিংবা গরম সব পরিবেশেই এরা অভস্ত হতে পারে।
খাদ্যে হিসেবে ঘাশই এদের প্রধান খাদ্যে, তবে অধিক দুধ ও মাংশের জন্য এদেরকে শুধুই ঘাস খাইয়ে রাখা ঠিক হবে না।
শুধু ঘাস দিয়ে এদের পুষ্টির অভাব পূরণ হবে না।মনে রাখতে হবে স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি এদের বাড়তি প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেলের প্রয়োজন আছে। সেইসঙ্গে এদেরকে খড় এবং ভূষি খাওয়াতে হবে।
কোনো কোনো অঞ্চলে এদের স্বাভাবিক খাবারে নির্দিষ্ট কিছু খনিজ লবণ থাকে না, সেজন্য পশুচিকিৎসকের পরমর্শে পরিপূরক ঔষধ খাওয়াতে হবে।
আপনি এদেরকে ট্যাবলেট গুঁড়া করে খাওয়াতে পারেন, তবে এদেরকে ঘাসপাতা খাওয়ানো বাদ দেবেন না।
অর্থাৎ এদেরকে প্রচুর পরিমাণে সবুজ ঘাসপাতা খাওয়াবেন। গর্ভবতী বকরীর পুষ্টিগত চাহিদার দিকে বিশেষ নজর রাখবেন। এদের জন্য অধিক খাদ্য ও ভিটামিন প্রয়োজন হতে পারে।
তাই আমাদের দেশের খামারী ভাইয়েরা যদি দেশি ছাগলের সাথে এই ছাগল পালন শুরূ করে তবে অধিক পরিমানে মাংশ দুধের উৎপাদন করে অর্জন করতে আরও বেশি মুনাফা, আর দ্রূত প্রজননশীল এই ছাগলের খামার স্থাপন করে সয়ংসম্পূর্ন হতে পারে আমাদের দেশের যুবকেরা।
ধন্যবাদ,
এন. এম সুমন।
SEENAN BIRDS BREEDING FARM.