ফ্যাটেনিং বা বিফ রেয়ারিংঃ গরু কিনার পর করনীয়।
বাজার থেকে গরু কিনলে অবশ্যই সাবধানে কিনতে হবে।দেখে শুনে বুঝে গরু কিনতে হবে। ক্ষুরা দেখে কিনবেন, মুখ দিয়ে লালা ঝরছে কিনা তা ও ভাল করে খেয়াল করবেন।
কানের দুই পিঠেই হাত দিয়ে তাপমাত্রা চেক করবেন। অত্যাধিক গরম অথবা ঠান্ডা কিনা।হাতের কাছে ঘাস থাকলে মুখের সামনে ধরবেন, দেখেন খায় কিনা। নাকে সর্দী পেকে গেছে কিনা।
গরু চঞ্চল কিনা। পায়খানা ঠিক আছে কিনা। গায়ে হাত দিলে গা কেপে উঠে কিনা।
কিনে খামারে ঢুকানোর আগে গোসল দিবেন ভাল করে তারপর হাটু থেকে ক্ষুরা পর্যন্ত, লেজ পুরাটা এবং নাক- মুখ ভাল করে পটাশ পানি দিয়ে ধুয়ে দিবেন। গা শুকালে ফিটকারি গুড়া করে ক্ষুরায় আর মুখে মেখে দিবেন।
স্যালাইন পানিতে গুলিয়ে খেতে দিবেন। যদি গাড়িতে করে অনেকদূর জার্নি করে আসে অথবা বিক্রেতার কাছে জিজ্ঞেস করবেন ভাই কত দূর থেকে আনছেন আর কিভাবে আনছেন? যদি ধরতে পারেন যে গরু টায়ার্ড বা গাড়ির ধকল গেছে অনেক তাহলে বডি ওয়েট অনুযায়ী আর্থিভেট বা কেটোভেট ইঞ্জেকশন দিয়ে দিবেন। এতে গায়ে ব্যাথা থাকলে সেরে যাবে আর জ্বর আসার সম্ভাবনা কমে যাবে।
যদি আলাদা ঘর থাকে তাহলে অবশ্যই আলাদা ঘরে ৭ দিন রেখে তারপর অরিজিনাল খামারে ঢুকাবেন।
যদি আলাদা ঘর না থাকে তাহলে শেডে ঢুকার পর প্রতিদিন কয়েকবার করে চেক দিতে হবে যে খাওয়া দাওয়া ঠিক আছে কিনা, ক্ষুরা, মুখ ঠিক আছে কিনা, তাপমাত্রা ঠিক আছে কিনা।
খাবার আপনার রেশন অনুযায়ী পুরো খাবার দিবেন না। ঘাস খেড় দিতে পারেন অন্যান্য খাবার আস্তে আস্তে অভ্যাস করতে হবে ,না হলে পেটে সমস্যা হবে, যেমন ইউ এম এস, ফারমান্টেড কর্ন এগুলা একবারে পেট ভরে খেতে দিবেন না, অল্প অল্প করে অভ্যাস করে ফুল রেশনে যাবেন।
এবং সব শেষে গরু ফিট থাকলে সকল প্রকার ভ্যাকসিন দিয়ে, কৃমি মুক্ত করে ১৫-২০ দিনের মধ্যে ফ্যাটেনিং শুরু করে দিবেন। ইনশাআল্লাহ ৪ মাসে আপনার খুব একটা আর চিন্তা করতে হবে না।
Mizanur