পারা ঘাস
এ ঘাসের উৎপত্তিস্থল ব্রাজিল। বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশেও এর চাষ হয়।
এ ঘাসের সুবিধা হলো উৎপাদন বেশী, জমিতে একবার রোপন করা হলে কয়েক বছর যাবৎ ফলন দিয়ে থাকে।
উঁচু, নীচু, ঢালু, জলাবদ্ধ, লোনা মাটি প্রভৃতি স্থানে ‘পারা ঘাস’ ভাল জন্মায়। রোপনকাল বর্ষা মৌসুম।
বৈশাখ হতে আশ্বিন মাস পর্যন্ত পারা ঘাস রোপনের উত্তম সময়।
কিন্তু জমি ভিজা বা পানি সেচ দেয়ার সুবিধা থাকলে চৈত্র মাসেও এ ঘাস চাষ করা যায়।বীজ হিসাবে শিকড়সহ গাছ বা কান্ড ব্যবহৃত হয়।
প্রত্যেক কাটিং বা চারায় ২ বা ৩টি গিটসহ প্রতি ২.৫ একরে ছিটিয়ে বপনের জন্য ১০০০ কেজি দরকার।
আর যদি সারিবদ্ধভাবে লাগানো হয়, তাহলে ২.৫ একর প্রতি ১২০০ কেজি কাটিং-এর প্রয়োজন হয়।
১.৫-২ হাত উঁচু হলে পারা ঘাস কেটে গরুকে খেতে দিতে হবে। এ ঘাস গরুকে চড়িয়ে খাওয়ানো যায়।
বৎসরে প্রায় ৮/১০ বার ঘাস কাটা যায়।
প্রয়োজনানুযায়ী সার ও পানি সেচের ব্যবস্থা করতে পারলে বৎসরে প্রতি ২.৫ একর ৯০-১০০ মে. টনের মত সবুজ ঘাস পাওয়া যায়।