পোল্ট্রি ডিজিজ ডায়াগ্নোসিসের টিপস,চিকিৎসায় ভাল রিজাল্ট পাওয়া যায় না কেনঃ
১।আগে হিস্ট্রি নিতে হবে,হিস্ট্রি দিয়ে অনেক গুলো ডিজিজ থেকে ১টা বা ২টা বা ৩টাতে নিয়ে আসতে হবে।
সেখান থেকে ১টা বা মিক্স ইনফেকশন ডায়াগ্নোসিস করতে হবে।যদি ২টি রোগের কাছাকাছি বা একই লেসন থাকে তাহলে তাহলে কমন অর্গান বাদ দিয়ে আনকমন অর্গান দেখতে হবে
যেমন টাইফয়েড ও কলেরার ক্ষেত্রে লিভারের কিছু মিল আছে তাই টাইফয়ডের ক্ষেত্রে ওভারী,কিডনি ফুসফুস দেখতে হবে।আবার কলেরার ক্ষেত্রে এবডোমিনাল ও হার্টের বেসে ফ্যাটে হেমোরেজ আছে কিনা দেখতে হবে।এইচ ৫ আর কলেরার ক্ষেত্রে এবডোমিনালফ্যাট,ওভার্রী ও হার্টের হেমোরেজ কমন কিন্তু এইচ ৫ এর ক্ষেত্রে আন কমন হল শ্যাংকে ও মাংসে হেমোরেজ,ঝুটি নীল ও বেগুনী কালার হয়ে যেতে পারে।কলেরার ক্ষেত্রে এমন হবে না,কলেরার ক্ষেত্রে হার্টে হেমোরেজ টা বেশি হয়ে থাকে।
২।সব গুলো নরমাল অর্গানের কালার,সাইজ,লোকেশন ও টেক্সাস(নরম বা শক্ত) জানতে হবে।না জানলে প্যাথোলজিকেল লেসন জানা যাবে না।
৩।মিনিমাল ৩-৫ট মুরগির পি এম করতে হবে।যদি কম মারা যায় তাহলে আরো ২দিন দেখতে হবে এবং সেগুলো পি এম করে ডায়াগ্নওসিস করতে হবে।
৪।শুধু পি এম দেখলে হবে না ফার্মের মুরগির দিকেও তাকাতে হবে,তাদের কথা শুনতে হবে,মুরগির মনের ভাষা বুঝতে হবে।মুরগি আরো মারা যাবে কিনা বা অসুস্থ হবে কিনা তাও বুঝতে হবে।পি এমে যা দেখি তা অনেক সময় ভুল বা অন্য ডিজিজের কারণে হতে পারে।তাই যা দেখি না তাই বিবেচনা করতে হতে পারে।যা দেখি তা বাদ দিয়ে চিন্তা করতে হবে।যেমন এবডোমিনাল ফ্যাটে হেমোরেজ বা হার্টে হেমোরেজ দেখেই এ আই বা কলেরা না ভেবে হিট স্টক বা মাইকোটক্সিনের কথাও বিবেচনা করতে হবে।ওভারীতে হেমোরেজ দেখলেই কলেরা বা রানিক্ষেত নাও হতে পারে।
৫।পি এম কিভাবে শুরু করবেনঃ
পি এম মুখ দিয়ে বা পেঠ দিয়ে শুরু করতে পারেন।তবে নাড়িগুলো পরে দেখতে হবে যাতে ফিসিস গুলো সব কিছুতে লেগে না যায়।তাছাড়া এবডোমিনাল কাটার সময় চামড়াটা কাটার পর এর ভিতরে ফ্যাটের উপর একটা পর্দা থাকে সেটা সরিয়ে ফ্যাটে হেমোরেজ আছে কিনা দেখতে হবে।
লিভার ও হার্ট সাবধানে সরাতে হবে যাতে এয়ারস্যাক ছিড়ে না যায়।হার্ট ও লিভার দেখার সময় হেমোরেজ হয় তাই সাবধানে দেখতে হবে।
৬।বার্সার এখানে সিস্ট দেখলেই আই বি তা বলা যাবে না।অনেক সময় এমনিতেই থাকে ।মুরগির কোন সমস্যা পাওয়া যায় না।
৭।বার্সাতে হেমোরেজ হলে গাম্বোরু ছাড়াও মাইকোটক্সিন হতে পারে,মাংসে হেমোরেজ থাকলে গাম্বোরু ছাড়াও আই বি এচ বা মাইকোটক্সিন বা এইচ ৫ হতে পারে।সিকাল টনসিলে হেমোরেজ থাকলেই রানিক্ষতে তা নাও হতে পারে এ আই হতে পারে বা গুরুত্বপূর্ণ রোগ ছাড়াও হতে পারে।লিভারের কালার,সাইজ ও টেক্সাস দেখেই রোগ নির্ণয় করা যায় না তবে ধারণা করা যায়।তবে সব গুলো অর্গান সমন্বয় করে ডায়াগ্নোসিস করতে হবে।রেক্টামে হেমোরেজ দেখে অনেকে এ আই মনে করে কিন্তু এ আই ছাড়াও এমনিতে হতে পারে।
প্রভেন্টিকোলাসে হেমোরেজ দেখে রানিক্ষেত মনে করি কিন্তু রানিক্ষেত নাও হতে পারে,এ আই হতে পারে বা মাইকোটক্সিন এর জন্য ও হতে পারে।হার্টে হেমোরেজ দেখে কলেরা ছাড়াও এ আই এর জন্য হয় তবে নরমালী কলেরার জন্য হয়ে থাকে বা গরমে বা অন্য কারণেও হতে পারে।
গিজার্ডে ইরোশন/ক্ষত বিভিন্ন কারণে হয় যেমন এডেনো ভাইরাস,মাইকোটক্সিন,এ আই ,রানিক্ষেত তবে এ আই ও রানিক্ষেতের ক্ষেত্রে হেমোরেজ হয়।
অন্ত্রে বিভিন্ন কারণে হেমোরেজ হয় যেমন নন স্পেসিফিক ডায়রিয়া,এন্টারাইটিস বা এমনিতেই হতে পারে।তাছাড়া ঘা(নেক্রোটিক আলসার) হয় যা রানিক্ষেত,নেক্রোটিক এন্টারাইটিস,সাল্মোনেলার জন্য হতে পারে।
ট্রাকিয়াতে হেমোরেজ এ আই,আই এল টি বা রানিক্ষেতের জন্য হতে পারে,মিউকাস হতে আই বি,মাইকোপ্লাজমা,রানিক্ষেত,এমোনিয়া গ্যাসের কারণে
ফুসফুস কঞ্জেস্টেড হতে পারে সাল্মোনেলা,মাইকোপ্লাজমা,শ্বাস বন্ধ হয়ে মারা গেলে
সিকামে হেমোরজে কক্সির পাশাপাশি বাচ্চা মুরগিতে সাল্মোনেলার জন্যও হতে পারে।
অল্প কয়েটার কথা এই রকম প্রায় সব ক্ষেত্রেই হয়ে কারণ পোল্ট্রিতে প্যাথোগ্মোমোনিক লেসন নাই।
চিকিৎসায় ভাল রিজাল্ট পাওয়া যাচ্ছে না বা যায় না কেনঃ
১।ডায়াগ্নোসিস ঠিক মত হচ্ছে না।
২।ভাইরাল ডিজিজ হবার কারণে
৩।এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট হবার কারণে
৪।মিক্স ইনফেকশন হওয়ার কারণে
৫।খাবার,বাচ্চা সহ ব্যবস্থপনা বিষয়ে অনেক সমস্যা থাকে।
৫।এন্টিবায়োটিক এর ডোজ এবং ডিউরেশন ঠিক মত হয় না।
৬।প্রেস্ক্রিপশন টা সমন্বিত ভাবে হয় না।শুধু এন্টিবাইয়োটিক দিয়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে,এন্টিবায়োটিক ছাড়াও চিকিৎসা দেয়া যায়।জীবানূ ঘটিত বিশেষ করে ব্যাক্টেরিয়াল কারণ ছাড়াও ফিল্ডে সমস্যা হচ্ছে যা দেখে চিকিৎসা দেয়া উচিত।
৭।খামারদের সচেতনতা এবং শিখার অভাব যার কারণে তারা চিকিৎসা শেষ হবার আগেই নিজে বা কারো পরামর্শে চিকিৎসা বন্ধ করে দেয়।অনেক রোগ আছে যা ভাল হতে কয়েক মাস লাগতে পারে।
৮।সব রোগ ত ভাল হবার নয় তাই ভাল হতেই হবে এমন কোন কারণ নাই।এসব ক্ষেত্রে প্রোগ্নোসিস করতে হবে।অবশ্য সব ক্ষেত্রেই পোগ্নোসিস করতে হয়।