#Pain_Management_Protocols_In_Small_Animals
কুকুর বিড়াল নিয়ে যারা নিয়মিত চর্চা করেন তাদের অনেকেই অনেক সময় পেইন ম্যানেজমেন্ট নিয়ে সমস্যায় ভোগেন।”পেইন ট্রিটমেন্ট” এবং “পেইন ম্যানেজমেন্ট” দুটো একই বিষয় নয়,একটু পার্থ্যক্য আছে।আমরা প্রায় সময়তেই ট্রিটমেন্ট দেই,ম্যানেজমেন্ট করি না-এটা একটা সমস্যার কারণ হতে পারে।
বিভিন্ন বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে যদি আমরা দেখি তাহলে পেইনকে মোটামুটি তিনভাগে ভাগ করা যায়-
১.Acute Pain:এই ধরনের পেইন মোটামুটি সহজেই বোঝা যায়।আঘাত,কেটে যাওয়া বা অন্যান্য যেকোন কারণে সৃষ্ট অ্যাকিউট পেইন বেশ ভালোভাবেই হয়,তবে খুব বেশি সময় থাকে না।পেইন সাইটে কোন ধরণের স্টিমুলাইতে(হাত দিয়ে স্পর্শ করা,খোঁচা দেয়া) অ্যানিমেল বেশ ভালোভাবেই রেসপন্স করে।
২.Chronic Pain:এই ধরণের পেইন নিয়ে সমস্যাটা বেশি হয়।সমস্যা হবার প্রধাণ কারণ এই ধরণের ব্যাথা অনেক বেশি সময় ধরে থাকে।হয়ত কখনো বেশি,কখনো কম,আবার হয়ত ওষুধ দিলে থাকে না পরে আবার হয়।ক্রনিক পেইনের চিকিৎসায় “পারফেক্ট ম্যানেজমেন্ট” করাটা অতীব গুরুত্বপূর্ণ।
৩.Neuropathic Pain:নার্ভাস সিস্টেমের সমস্যার জন্য এই ধরণের পেইন হয়।কোথাও আঘাত লেগে,পড়ে গিয়ে,বা “Excessive Trauma” এর কারণে নিউরোপ্যাথিক পেইন হতে পারে।অনেক চিকিৎসক বলে থাকেন নিউরোপ্যাথিক পেইন সম্পূর্ণ ওষুধ নির্ভর এবং একেবারে কখনোই নির্মূল হয় না।সুতরাং,পেইনের এই প্রকার যদি ডায়াগনোসিস হয়ে থাকে তবে সেক্ষেত্রে তার ম্যানেজমেন্ট এবং চিকিৎসা সতর্কতার সাথে করা অত্যন্ত জরুরি।
এবার আসি মূখ্য বিষয়ে।পেইনের ম্যানেজমেন্টের ক্ষেত্রে সবসময় মনে রাখতে হবে যেহেতু অ্যানিমেল কথা বলতে পারে না সুতরাং পেইন ডায়াগনোসিসে এদের আচরণগত এবং শারীরগত দুই ধরনের পরিবর্তনকেই আমলে নিতে হবে।শারীরিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে দেখা যায় পেইনের প্রকারের ওপর ভিত্তি করে হার্ট রেট,রেসপিরেশন রেট,ব্রিদিং প্যাটার্ন ইত্যাদির পরিবর্তন হতে পারে,মুভমেন্ট স্লো হয়ে যেতে পারে,রিফ্লেক্স স্লো হয়ে যেতে পারে।আর আচরণগত পরিবর্তনের ক্ষেত্রে অরুচি,অবসাদ,চলাচলে সমস্যা,পেইন সাইটে কামড়ানো/চাটা/ঘষা,ইরিট্যাবিলিটি ইত্যাদি আচরণ প্রাণীর ভেতর দেখা যায়।
পেইনের চিকিৎসা দুটো বিষয়ের উপর নির্ভর করে থাকে-
#১_Medication:পেইনের ধরনের ওপর নির্ভর করে মোটামুটি তিন ধরণের ওষুধ ব্যবহার করা হয়।অপয়েড(মরফিন এবং অন্যান্য),NSAIDs(অ্যাসিটামিনোফেন,মেলোক্সিকাম,আইবুপ্রোফেন,ন্যাপ্রোক্সেন,ডাইক্লোফেনাক,কিটোপ্রোফেন ইত্যাদি) এবং Alpha2 Agonists(Xylazine,Medetomidine,Detomidine)।আবার অনেক সময় Prednisolone,Cortisol ইত্যাদি ওষুধও ব্যাথানাশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শমত ওষুধ ব্যবহার করতে হবে।কারণ,অনেক NSAIDs কুকুর বিড়ালে ব্যবহার করা হয় না যেমনঃপ্যারাসিটামল,আইবুপ্রোফেন,ন্যাপ্রোক্সেন(বিড়ালের জন্য টক্সিক)।আবার Alpha2 Agonists জাতীয় ওষুধের সিডেটিভ/অ্যানেস্থেটিক প্রোপার্টি আছে।আবার যদি নিউরোপ্যাথিক পেইন হয় সেক্ষেত্রে নার্ভের ওপর কাজ করে এমন ওষুধ,ভিটামিন ইত্যাদির প্রয়োজন পড়তে পারে।সুতরাং,ব্যাথানাশক দেবার আগে ব্যাথার প্রকৃতি বুঝে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী দিতে হবে।
#২_Pain_Site_Management:আঘাতপ্রাপ্ত স্থানের যথাযথ ম্যানেজমেন্ট করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যেমনঃ যদি কোথাও ভেঙ্গে যায় সেক্ষেত্রে স্থানটি কোনভাবেই নাড়ানো যাবে না,পুনরায় যেন আঘাত না লাগে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।আবার যদি বড় ধরনের আঘাত ব্যাথার কারণ হয়ে থাকে তবে অবস্থা বুঝে সেখানে গরম সেঁক দেয়া,বরফ লাগানো,নড়াচড়া না করা,আঘাতপ্রাপ্ত স্থানকে কমপ্রেস করা ইত্যাদি।এসব ম্যানেজমেন্ট প্রাকটিস ওষুধের পাশাপাশি ব্যাথা দূর করতে সাহায্য করে।
মনে রাখতে হবে,কোন স্থানে ব্যাথা পেলে এবং সেটা যদি বড় ধরনের আঘাতজনিত কারণে হয়ে থাকে তবে শুধুমাত্র ওষুধের দ্বারা তা দূরীভূত করা দুষ্কর।সুতরাং,চিকিৎসকের যথাযথ পরামর্শ অনুযায়ী আমরা ওষুধের পাশাপাশি এসব ম্যানেজমেন্ট প্রাকটিস রাখব।তাতে আশা করা যায় নিজের প্রিয় প্রাণীটির কষ্ট অতিদ্রুত লাঘব করা হবে।
Vet Platform