তরল ক্যালসিয়ামের বিপত্তি।
(২) হয়তো চিকিৎসকের হাতে পুর্বে তার কোন গরুর মৃত্য হয়েছে,হয়তো মৃত্যুর জন্য চিকিৎসক দায়ী না।
(৩) হয়তো কোন বিক্রয় প্রতিনিধি তার পন্যের বিক্রি বাড়ানোর জন্য গর্ভবতী গাভীকে তরল ক্যালসিয়াম খাওয়ানোর পরামর্শ দেয়।
(৪) দোকানী তার বিক্রী বাড়ানোর জন্য কৃষককে তার গর্ভবতীর গাভীর বাচ্চা ভাল হবে,মর্মে তরল ক্যালসিয়াম খাওয়ানোর পরামর্শ দেয়।
(৫) কিছু খামারী নিজেকে জ্ঞানী প্রমানের জন্যও ক্যালসিয়ামের পরামর্শ দেয়।
( ৭) কিছু চিকিৎসক কোম্পানীর সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে অখ্যাত কিছু কোম্পানীর অপ্রয়োজনীয় ঔষধ লিখে কৃষককে বিভ্রান্ত করে,ফলে কৃষক যোগ্য চিকিৎসকের কাছে আসতে ভয় পায়।আমার কথার সত্যতা পাবেন,অভিজ্ঞ কোন ঔষধের দোকান দারের কাছে ঐ শহরের সমস্ত চিকিৎসকদের বৃত্তান্ত পাবেন।প্রয়োজনে ঐ চিকিৎসকদের চরিত্রগত সনদও ঐ দোকানদার দিয়ে দেবে।
(৮) বড় ডাক্তারের ফি বেশী,এই দোহায় দিয়ে কিছু কোয়াক কৃষককে বড় ডাক্তারের কাছে যেতে দেয় না।
(৯) দুধের গাভীকে ক্যালসিয়াম খাওয়ানো খামারী,নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগায়ে গর্ভবতী গাভীকে ক্যালসিয়াম খাওয়ায়।
ক্যালসিয়াম বেশী হলে বিপত্তিঃ
(১)গরুর শরীরে তাপমাত্রা বেড়ে যায়(১০৩/১০৪ ডিগ্রী)
(২)খাওয়া কমে যায়।
(৩) গরু দাত কাটে।
(৪) গরুর পিঠ উটের মত বাকা হয়ে যায়।
(৫) গরুর শোয়াতে এবং উঠতে কষ্ট হয়।
(৬) গরু উঠে বেশী সময় দাড়ায়ে থাকতে পারেনা।
(৭) অধিক সময় দাড়ালে বার বার পিছনের পা ঝাড়া দেয়।
(৮) গর্ভের শেষ পর্যায়ে(৭/৮ মাসের সময়) আর উঠতে পারেনা,অথচ স্বাস্হ্য চমৎকার।
অপ চিকিৎসাঃ
চিকিৎসক মনে করে ক্যালসিয়ামের অভাবে হাড় দুর্বল হয়ে গেছে তাই উঠতে পারছেনা। অথবা মিল্ক ফিভার হয়েছে।এক্ষেত্রে মনে রাখা প্রয়োজন মিল্ক ফিভার হলে গরু খাওয়া বন্ধ করবে।
এইক্ষেত্রে চিকিৎসক শিরায় ক্যালসিয়াম,ভিটামিন– এ,ডি,ই,ক্যাটোফস,এ্যামাইনোভিট ইনজেকশন দেয়।এরপর গরু ক্রমান্বয়ে শক্ত হয়ে যায় এবং তখন বসে থাকতে পারেনা,এক পাশে কাত হয়ে শুয়ে পড়ে,মুখে খাওয়া অব্যাহত রাখে।এরপর বেড শোর হয়,বা রক্ত চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়ে গরু মারা যায়।
আমার বিশ্লেষনঃ
গর্ভবতী গাভী যদি পর্যাপ্ত কাচা ঘাস পায়,রোদে চলাচল করে তার কোন ক্যালসিয়াম বা ভিটামিন প্রয়োজন নেই। যদি পর্যাপ্ত কাচা ঘাস না পায়, সবসময় ঘরে আটকা থাকে তাকে ভিটামিন- এ,ডি সাপ্লাই দেন।তবে ঔষধটা ইনজেকশন আকারে না দিয়ে মুখে খাওয়ানো ভাল।কারন ইনজেকশনে অনেক সময় থ্রেটেন ( ভয় পেয়ে) এ্যাবোরশন হয়।
এই সমস্যা সমাধানে এস আর এগ্রো,বাংলাদেশ এনেছে, এস আর ভিটা- এ,ডি,ই,বি(। S R Vita ADEB- 5 kg/1 kg/500 gm) যা ২৫-৫০ গ্রাম দিনে একবার করে মাসে ১৫-২০ দিন খাওয়ান। গর্ভধারন থেকে শুরু করে বাচ্চা প্রসবের পুর্ব পর্যন্ত খাওয়ান।
উপকারিতাঃ
গাভীর স্বাস্হ্য ভাল থাকবে, দূধ বেশী হবে,স্বাভাবিক ডেলিভারী হবে,গর্ভফুল আটকাবেনা,গাভী দ্রুত ডাকে আসবে,গর্ভধারন হার বৃদ্ধি পাবে।
ক্যালসিয়াম বেশী হয়ে শুতে, উঠতে কষ্ট বা পড়ুটে হয়ে গেলে, ভারী গাভী চিকিৎসায় ভাল করার মত পর্যাপ্ত ঔষধ বাজারে নেই।ফলে মারা যাবার সম্ভাবনাই বেশী( যা ভুক্তভোগীরা জানেন)।
এক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসা দিলে ৪৮ ঘন্টা থেকে কিছু বেশী সময় লাগলে ও সফলতার সম্ভাবনা শতকরা ৯৯ ভাগ ।
২০০ -৩০০ কেজি ওজনের গাভীর জন্য।
চিকিৎসাঃ
(১) প্রোবায়োটিক প্লাস(Probiotic plus -5 kg/1 kg/500 gm)
২০০+০+২০০ গ্রাম দিনে চলবে
(২) ডেক্সট্রোজ পাউডার
২০০+০+২০০ গ্রাম দিনে চলবে
(৩) এস আর লিভার টনিক( S R Liver tonic powder-1 kgm/500 gm)
৫০-১০০ গ্রাম +০+ ৫০-১০০ গ্রাম দিনে চলবে।
ডা মো রবিউল আলম ফিরোজ