মো শাহ ইমরান
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে আজকের মিটিং খুব ভাল হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সচিব এবং প্রজেক্ট কোওর্ডিনেটরকে খামারিদের পক্ষ থেকে যে কথাগুলো বলতে চেয়েছি তিনি সব শুনেছেন।
দুগ্ধ খামারিদের সমস্যা চিহ্নিতকরন, সমস্যা সমাধান এবং সরকারের কর্ম পরিকল্পনা (SDG) বাস্তবায়নে মন্ত্রনালয় স্টেকহোল্ডার ও বিডিএফএ কে সাথে নিয়ে একত্রে কাজ করবে এমনই আশা ওনি ব্যাক্ত করেন।
বিডিএফএর উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলোঃ
বিদেশী গুড়া দুধ আমদানী শুল্ক বাড়িয়ে দেশীয় তরল দুধ সংগ্রহ করে দেশেই গুড়া দুধ ও কনডেন্সড মিল্ক তৈরীর ফ্যাক্টরীর সংখ্যা বাড়ানো, বিদ্যুৎ ও পানির বিল কৃষির আওতায় আনা, ভেটেরিনারি ডাক্তারের সংখ্যা বাড়ানো, ভাল মানের ভ্যাকসিনের পর্যাপ্ততা, উন্নত মানের সিমেন ও এমব্রায়ো আমদানী ও তৈরীর মাধ্যমে জাত উন্নয়নের দ্রুত পদক্ষেপ বাস্তবায়ন, দক্ষ বাজারজাতকরন ব্যবস্থাপনা, ১০ বছরের মুদ্রাস্ফীতির সাথে সামঞ্জস্য এনে প্রান্তিক পর্যায়ের খামারিদের তরল দুধের ন্যায্য দাম ঠিক করা, বিনা জামানতে খামারদের ঋন প্রদান, ফডার উতপাদনের জন্য পতিত জমি খামারিদের লীজ দেয়া, প্রতিটা জেলায় দুগ্ধ পল্লী জোন তৈরীর জন্য জমি বরাদ্দ দেয়া, দুধ খাওয়ার ব্যাপারে জনসচেতনতা, মেধা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গার্মেন্টস ও স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের টিফিনে ও দুপুরের খাবারে দুগ্ধজাত পন্য বিতরন,পশুখাদ্য আমদানী শুল্ক প্রত্যাহার ও বন্দর জটিলতা নিরসন করে দ্রুত খালাসের ব্যাবস্থা, খামারিদের ২০ বছর আয়কর রেয়াত বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের দুগ্ধ ও মাংস শিল্পের উন্নয়নে অভীষ্ট লক্ষ্য নিয়ে আগাচ্ছেন এমনই তথ্যই তুলে ধরা হয়েছে আজকের মিটিং এ। ইনশা-আল্লাহ ভাল কিছু হবে দেশের দুগ্ধ ও মাংস শিল্পের জন্য।
ধন্যবাদ
জেনারেল সেক্রেটারি
বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস এসোসিয়েশন